
উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে একের পর এক বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিলের ঘটনায় ট্রাম্প প্রশাসনের ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জর্জিয়ার ফেডারেল আদালতে মামলা করেছেন ১৩০ জনেরও বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী।
মামলায় অভিযুক্ত কর্মকর্তারা হলেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েম এবং দেশটির অভিবাসন ও কাস্টমস বিষয়ক নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এজেন্সি (আইসিই)- এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক টড লিয়নস।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, এই তিন কর্মকর্তার নির্দেশে আইনকে পাশ কাটিয়ে আইসিই বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করছে। আর তাদের এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের বৈধ অবস্থানকে সংকটাপন্ন করে তুলছে।
গত ১১ এপ্রিল ১৭ জন বিদেশি শিক্ষার্থী বাদি হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। পরে বাদির তালিকায় যুক্ত হন আরও অনেক শিক্ষার্থী । বৃহস্পতিবার ( ১৭ এপ্রিল) মামলার মোট বাদির সংখ্যা হয় ১৩৩ জনে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর গত প্রায় ৩ মাসে দেশের ১০০’টির বেশি উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ৬ শতাধিক বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করে ট্রাম্প প্রশাসন।
এই শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ গত বছর গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে আন্দোলনে অংশ নেয়। এছাড়া ছোটোখাটো কিংবা আমলযোগ্য অপরাধের মধ্যে পড়ে না— এমন কারণেও অনেক বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা সংক্রান্ত অনলাইন সংবাদ পোর্টাল ইনসাইড হায়ার ইডি’র বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে দ্য ইকোনোমিক টাইমস জানায়, গণপরিবহনে টিকিট না কেটে ওঠা কিংবা সড়কে নির্ধারিত গতিসীমার চেয়ে জোরে গাড়ি চলানোর মতো অপরাধেও ভিসা বাতিলের ঘটনা ঘটে।
কয়েকদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সাংবাদিকদের জানান, এ পর্যন্ত ৩ শতাধিক বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা হয়। ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ‘উন্মাদ’ বলেও আখ্যা দেন তিনি। সূত্র : দ্য ইকোনোমিক টাইমস
দিনা