
ইউক্রেনে রাশিয়ার ড্রোন হামলায় নয়জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ৩০ জন। ড্রোনটি শ্রমিকদের বহনকারী এক বাসে আঘাত হেনেছিল।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকালে দেশটির শহর দিনিপ্রোপেত্রোভস্ক অঞ্চলের মারহানেটসে এ ঘটনা ঘটে।
দিনিপ্রোপেত্রোভস্ক অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান সেরহি লিসাক বলেছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভুক্তভোগীর সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন একটি সময়ে এ হামলার ঘটনা ঘটল যখন যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন লন্ডনে সংঘাত নিরসন নিয়ে আলোচনায় বসার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রার আগ্রাসন শুরু করে। ধারণা করা হয়, ওই সময়ের পর থেকে দুই পক্ষের হাজার হাজার মানুষ হতাহত হয়েছে।
ইস্টার সানডে উপলক্ষে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ৩০ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন। ইউক্রেনও জানিয়েছিল যে, তারা যুদ্ধ বন্ধ রাখবে। কিন্তু ওই যুদ্ধবিরতির মধ্যেও দুই পক্ষই একে অপরকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর অভিযোগ তোলে।
গত মাসে মস্কো যুদ্ধবিরতির জন্য শর্তের একটি বিশাল তালিকা তৈরি করেছে। মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সম্মত হওয়া পূর্ণ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়াতেই ওই শর্ত উত্থাপন করে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে পৃথকভাবে আলোচনা করছে। কয়েকবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাশিয়ার প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত পুতিন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরাসরি কোনো বৈঠক হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্র যে শান্তি চুক্তির চেষ্টা চালাচ্ছে তাতে মস্কোর লাভ বেশি বলে এরই মধ্যে মন্তব্য করেছেন ইউরোপের অনেক পর্যবেক্ষক। চুক্তিটি নিয়ে খুব বেশি অগ্রগতি হয়নি, এখনো অনেকটা পথ বাকি। অগ্রগতির ধীরগতি নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা হুঁশিয়ারিও দিয়েছে যে, অগ্রগতি এরকম থাকলে তারা পুরো প্রক্রিয়া থেকেই সরে দাঁড়াবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সে চাপেই হয়তো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন সম্প্রতি জানিয়েছেন তিনি ইউক্রেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় বসতে রাজি। এতদিন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি হননি তিনি। সূত্র: রয়টার্স