
৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদের ১০০ দিন পূরণ করেছেন। ক্ষমতায় বসেই যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি, বাণিজ্য, অভিবাসন, চাকরি, স্বাস্থ্যসহ আরও অনেক ক্ষেত্রে বড় ধরনের নীতিগত রদবদল করেন। শুল্ক আরোপ করে বিশ্বে নতুন বাণিজ্যযুদ্ধের সূচনা করেন। এমন আভাস তিনি ক্ষমতা গ্রহণের আগেই দিয়েছিলেন। তথাপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। কিন্তু ক্ষমতা গ্রহণের তিন মাস পরেই তার জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ে। অর্ধেকের বেশি মার্কিনির মতে ট্রাম্প একজন ‘ভয়ংকর প্রেসিডেন্ট’। এমন তথ্যই উঠে এসেছে মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি)-এর জরিপে।
ট্রাম্পের নিজ দল রিপাবলিকান সমর্থক অনেকেই জরিপে ট্রাম্পের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। তারা ট্রাম্পের নিজ স্বার্থসংশ্লিষ্ট অনেক উচ্চাভিলাষী পদক্ষেপের সঙ্গে একমত নন।
এপির ওই জরিপে দেখা যায়, ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে গৃহীত অর্থনীতি ও অভিবাসন নীতিতে খুবই কম রেটিং পেয়েছেন তিনি। মাত্র ২৪ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মার্কিনি মনে করেন, ক্ষমতা গ্রহণের ১০০ দিনে ট্রাম্প প্রয়োজন অনুসারে সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছেন। প্রতি ১০ জনের ৪ জন মনে করেন দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্প একজন ‘টেরিবল’ অর্থাৎ ভয়ংকর প্রেসিডেন্ট হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। প্রতি ১০ জনে ১ জন মনে করেন ট্রাম্প তার কাজে খুবই অদক্ষ। প্রতি ১০ জনে ৩ জন মনে করেন ট্রাম্প ‘ভালো’ কাজ করছেন এবং ১০ জনে ২ জন মনে করেন ট্রাম্প ‘গড়পড়তা’ কাজ করছেন।
জরিপটি এমন সময়ে করা হয় যখন ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই তার জনপ্রিয়তা দ্রুত কমতে থাকে। জরিপে আরও দেখা যায়, অর্ধেকের বেশি আমেরিকান ট্রাম্পের বর্তমান কর্মকাণ্ড সমর্থন করেন না এবং অধিকাংশই ট্রাম্পের শুল্ক নীতি ও ফেডারেল কর্মীদের ক্ষেত্রে গৃহীত নীতির বিরোধিতা করেছেন। জরিপে আরও দেখা যায়, ট্রাম্পের বিরোধী ডেমোক্র্যাট শিবির প্রেসিডেন্টের ওপর ক্ষুব্ধ ও তিন-চতুর্থাংশ মনে করে ট্রাম্প অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে নজর দিচ্ছেন। ডেমোক্র্যাটদের শতকরা ৭০ শতাংশ ট্রাম্পকে ‘ভয়ংকর’ হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করেছেন।
অ্যাসোসিয়েট প্রেস সেন্টার ফর পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের গবেষণায় দেখা যায়, ট্রাম্পের নিজ দলের ৫৪ শতাংশ মনে করেন ট্রাম্প সঠিক পথে এগোচ্ছেন। বাকিরা ট্রাম্পের কার্যকলাপে সন্তুষ্ট নন। অন্যদিকে নিউইয়র্ক টাইমসের চালানো অন্য জরিপে দেখা যায়, বর্তমানে মাত্র ৪২ শতাংশ জনসমর্থন রয়েছে ট্রাম্পের এবং স্বতন্ত্র ভোটারদের মধ্যে তা মাত্র ২৯ শতাংশ। সূত্র: দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া