ঢাকা ২৪ আষাঢ় ১৪৩২, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২

রাশিয়ার বিমান ঘাঁটিতে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা, ৪০ বিমান ধ্বংস

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৫, ১০:১৪ পিএম
আপডেট: ০১ জুন ২০২৫, ১০:১৬ পিএম
রাশিয়ার বিমান ঘাঁটিতে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা, ৪০ বিমান ধ্বংস
ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার বিমানবাহিনীর ওপর অন্যতম সাহসী হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। ড্রোন ব্যবহার করে এ হামলায় ৪০টিরও বেশি রুশ বোমারু বিমান ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা (এসবিইউ)।

রবিবার (১ জুন) এই হামলা চালানো হয় বলে বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন এসবিইউর এক কর্মকর্তা।

রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির আলোচনাকে এগিয়ে নিতে তুরস্কের ইস্তানবুলে বৈঠকে বসার আগে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এমন হামলার খবর দেওয়া হলো। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, একটি পূর্ণ ও শর্তহীন যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছার লক্ষ্যে রবিবার সকালেই একটি প্রতিনিধিদল তুরস্কে রওনা হবে। অন্যদিকে, রুশ গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, আলোচনায় যোগ দিতে ক্রেমলিনের একটি প্রতিনিধিদল তুরস্কের উদ্দেশে রওনা হয়ে গেছে।

রাশিয়ার পক্ষ থেকে এই হামলার ব্যাপারে তেমন কিছু বলা হয়নি। রয়টার্সের পক্ষ থেকেও ইউক্রেনের ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তার দাবির সত্যতা তাৎক্ষণিকভাবে তারা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

বিবিসি জানিয়েছে, হামলাটির খবর জানিয়ে নাটকীয় একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে এসবিইউ। এই ভিডিওতে সাইবেরিয়ার ইরকুৎস্ক অঞ্চলের বেলায়া বিমানঘাঁটিতে ড্রোন হামলার দৃশ্য দেখা যায়। ফুটেজে বিস্ফোরণের আওয়াজ, আগুন ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, আরেকটি হামলা চালানো হয়েছে মুরমানস্কের কাছে ওলেনিয়া বিমানঘাঁটিতে। রুশ সংবাদমাধ্যমও হামলার খবর নিশ্চিত করেছে এবং দাবি করেছে, তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় রয়েছে। ইরকুৎস্কের ঘটনাও তারা রিপোর্ট করছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসবিইউর এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘রুশ টিইউ-৯৫ এবং টিইউ-২২ স্ট্র্যাটেজিক বোমারু বিমান ড্রোন হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়। এ যুদ্ধবিমানগুলো দিয়ে রাশিয়া ইউক্রেনের বিভিন্ন জায়গায় প্রায়ই দূরপাল্লার মিসাইল ছুড়ে।’

যুদ্ধের সম্মুখ সারি থেকে প্রায় ৪ হাজার ৩০০ কিলোমিটার দূরের রুশ ঘাঁটিতে প্রথমবারের মতো এই ধরনের হামলা চালিয়েছে কিয়েভ।

এক বিবৃতিতে এসবিইউ বলেছে, ‘শত্রু রাশিয়ার কৌশলগত বোমারু বিমানগুলো একের পর এক আগুনে পুড়ছে। বোমারু বিমান ধ্বংসের লক্ষ্যে একটি বড় পরিসরের বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এই অভিযানের আওতায় ৪০ টিরও বেশি বিমানকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও ছবিতে দেখা যায়, সাইবেরিয়ার ইরকুৎস্কের উত্তরে বেলায়া বিমানঘাঁটিতে রাশিয়ার কৌশলগত বোমারু বিমানগুলোতে আগুন জ্বলছে। এসব বোমারু বিমান সাধারণত দূরবর্তী লক্ষ্যবস্তুতে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপের জন্য ব্যবহার করা হয়।

রাশিয়ার ইরকুৎস্ক অঞ্চলের গভর্নর ইগোর কোবজেভ বলেছেন, উসোলস্কি জেলার স্রেদনি গ্রামের কাছের একটি সামরিক ইউনিটে ড্রোন হামলা হয়েছে। তবে তিনি কৌশলগত বিমান ঘাঁটির বিষয়ে কিছু জানাননি। টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক ভিডিওতে তিনি বলেন, ঘাঁটির আকাশে ড্রোনের শব্দ শোনা গেছে। এ সময় আকাশে বিশাল ধোঁয়ার কুণ্ডলি উড়তে দেখা যায়।

কোবজেভ বলেন, সাইবেরিয়ার এই অঞ্চলে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর প্রথম হামলার ঘটনা এটি। তবে হামলায় কতসংখ্যক ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে তা এখনো পরিষ্কার নয়। তার দাবি, ড্রোনগুলো একটি ট্রাক থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল।

ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম কিয়েভ ইন্ডিপেনডেন্টকে জানান, রাশিয়া যেসব যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে তাদের অঞ্চলে হামলা চালায় আজ তারা সেসব বিমানে ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছেন। 

সংবাদদাতারা বলছেন, এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের ড্রোন হামলার বিষয়টি সরকারিভাবে নিশ্চিত করা হয়নি। যদি প্রকৃতই এমন ঘটে থাকে, তা হলে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে যতগুলো হামলা হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম বড় মাপের হামলা হবে এটিই।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করবেন। কিন্তু এতে সফল হননি তিনি। তবে দেশ দুটিকে আলোচনার টেবিলে বসাতে সমর্থ হয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু যুদ্ধবিরতির আলোচনা এখনো আলোর মুখ দেখেনি।

তালেবানের ২ শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৯:০৮ পিএম
তালেবানের ২ শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
ছবি: সংগৃহীত

নারী ও মেয়েদের ওপর নিপীড়নের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) তালেবানের শীর্ষ দুই নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) আইসিসির বিচারকরা জানিয়েছেন, তালেবান সুপ্রিম লিডার হিবতুল্লাহ আখুন্দজাদা এবং প্রধান বিচারপতি আবদুল হাকিম হাক্কানির বিরুদ্ধে লিঙ্গভিত্তিক নিপীড়নের অভিযোগে মামলা চালানোর মতো ‘যুক্তিসঙ্গত প্রমাণ’ রয়েছে।

এক বিবৃতিতে আদালত জানায়, ‘তালেবান সমগ্র জনগণের ওপর কিছু নিয়ম ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও তারা বিশেষভাবে নারীদের লক্ষ্যবস্তু করেছে কেবলমাত্র তাদের লিঙ্গের কারণে এবং তাদের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করেছে।’

আইসিসির বিচারকরা বলেন, ‘তালেবান মেয়েদের শিক্ষা, গোপনীয়তা ও পারিবারিক জীবনের অধিকার এবং চলাফেরা, মতপ্রকাশ, চিন্তা, বিবেক ও ধর্মের স্বাধীনতা থেকে চরমভাবে বঞ্চিত করেছে।’

তারা আরও জানান, এছাড়া, এমন কিছু ব্যক্তিকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে যাদের যৌনতা ও লিঙ্গ পরিচয়ের কিছু অভিব্যক্তি তালেবানের লিঙ্গনীতি পরিপন্থী বলে মনে হয়েছে।

আদালতের মতে, এসব অপরাধ ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট তালেবান ক্ষমতা দখলের সময় থেকে শুরু হয়ে ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।

নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত আইসিসি বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ অপরাধ যেমন যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করে। তবে আদালত নিজস্ব কোনো পুলিশ বাহিনী চালায় না এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ওপর নির্ভর করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে - যার ফলাফল মিশ্র।

বিধি অনুযায়ী, আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আওতাভুক্ত কোনো ব্যক্তি সদস্য রাষ্ট্রে ভ্রমণ করলে তাকে গ্রেপ্তার হওয়ার ঝুঁকি নিতে হয়। সূত্র: আল জাজিরা

মাহফুজ/

গাজার সব বাসিন্দাকে ‘ক্যাম্পে বন্দি’ করার পরিকল্পনা ইসরায়েলের

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৬:৫২ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৬:৫৩ পিএম
গাজার সব বাসিন্দাকে ‘ক্যাম্পে বন্দি’ করার পরিকল্পনা ইসরায়েলের
ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ জানিয়েছেন, গাজার সব ফিলিস্তিনিকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের একটি শিবিরে স্থানান্তরের জন্য সামরিক বাহিনীকে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। দেশটির গণমাধ্যমগুলো সোমবার (৭ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছে।

কাটজ সাংবাদিকদের বলেন, রাফাহ শহরের ধ্বংসস্তূপের ওপর একটি ‘হিউম্যানিটারিয়ান সিটি’ অর্থাৎ মানবিক আশ্রয় শিবির হিসেবে একটি এলাকা গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে তার, যেখানে প্রাথমিকভাবে প্রায় ৬ লাখ ফিলিস্তিনিকে রাখা হবে, এবং পরে গাজার পুরো ২১ লাখ জনগোষ্ঠীকে সেখানে স্থানান্তর করা হবে।

ইসরায়েল কাটজ জানান, সবার আগে নিরাপত্তা যাচাই করে নিশ্চিত করা হবে তারা হামাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। যাচাইয়ের পর তাদের ভেতরে আনা হবে এবং বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, যদি পরিস্থিতি অনুকূল হয়, তাহলে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে প্রস্তাবিত ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির সময় এই নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।

এ পরিকল্পনাকে এক ইসরায়েলি মানবাধিকার আইনজীবী সরাসরি ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের একটি প্রক্রিয়াগত পরিকল্পনা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

মানবাধিকার আইনজীবী মাইকেল স্ফার্ড ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানকে বলেন, এটা গাজার দক্ষিণ প্রান্তে জনগণকে স্থানান্তরের মাধ্যমে পরবর্তীতে তাদের বহিষ্কারের প্রস্তুতি।

জাতিসংঘও এর আগে সতর্ক করেছে, কোনো দখলকৃত ভূখণ্ডের বেসামরিক জনগোষ্ঠীকে জোরপূর্বক স্থানান্তর বা বহিষ্কার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের পরিপন্থী এবং ‘জাতিগত নির্মূলের শামিল’।

এ বিষয়ে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা হামাসের পক্ষ থেকে কোনো তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

এদিন পরে, হোয়াইট হাউসে এক বৈঠকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবের কথা বলেন, যেখানে যুদ্ধোত্তর গাজা শাসনে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ ও ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র স্থায়ীভাবে পুনর্বাসনের কথা বলা হয়েছে।

নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমি মনে করি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি অসাধারণ। এটা 'স্বাধীন পছন্দ' নামে পরিচিত। কেউ থাকতে চাইলে থাকুক, আর কেউ যদি চলে যেতে চায়, তাহলে তাদের যাওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত… আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি এমন দেশ খুঁজতে, যারা ফিলিস্তিনিদের জন্য ভালো ভবিষ্যৎ চায়।’

ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা আশেপাশের দেশগুলোর কাছ থেকে অসাধারণ সহযোগিতা পেয়েছি… প্রতিটি দেশের কাছ থেকেই দারুণ সমর্থন এসেছে। তাই, কিছু ভালোই ঘটবে।’

গত মার্চে আরব রাষ্ট্রগুলো ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিকল্প হিসেবে মিশরের ৫৩ বিলিয়ন ডলারের গাজা পুনর্গঠন পরিকল্পনাকে সমর্থন করে, যেখানে ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূমিতেই থেকে যাওয়ার সুযোগ থাকবে।

তারা একে ‘ফিলিস্তিনি জনগণের যেকোনো প্রকার স্থানান্তরের ঘোরতর বিরোধতা’ বলে অভিহিত করে এবং এটিকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং জাতিগত নির্মূল’ হিসেবে আখ্যায়িত করে।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং হামাস মিশরের এই পরিকল্পনাকে সমর্থন জানালেও, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল বলেছে, এ পরিকল্পনা গাজার বাস্তবতা বিবেচনায় নেয়নি।

এদিকে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ভয় বাড়ছে আরেকটি নাকবার আশঙ্কায়। আরবি ভাষায় যার অর্থ ‘বিপর্যয়’, যখন ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র গঠনের আগে ও পরে লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান বা উৎখাত হন।

সেই সময়ের অনেক শরণার্থীই গাজায় এসে আশ্রয় নেন, এবং তাদের সন্তান-সন্ততিসহ তারা গাজার মোট জনসংখ্যার প্রায় তিন-চতুর্থাংশ। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, আরও ৯ লাখ নিবন্ধিত শরণার্থী পশ্চিম তীরে এবং ৩৪ লাখ ফিলিস্তিনি জর্ডান, সিরিয়া ও লেবাননে বাস করছেন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন সীমান্ত পেরিয়ে হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হলে, ইসরায়েল হামাসকে নিশ্চিহ্ন করতে সামরিক অভিযান শুরু করে।

হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, এরপর থেকে গাজায় ৫৭ হজার ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

গাজার অধিকাংশ মানুষ একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। বাড়িঘরের ৯০ শতাংশেরও বেশি ধ্বংস হয়েছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে স্বাস্থ্যব্যবস্থা, পানি, স্যানিটেশন এবং পরিচ্ছন্নতা ব্যবস্থা। তীব্র সংকটে রয়েছে খাদ্য, জ্বালানি, ওষুধ ও আশ্রয়। সূত্র: বিবিসি

মাহফুজ/

 

কায়রোর টেলিকম ভবনের আগুনে নিহত ৪, ব্যাহত ইন্টারনেট ও ফোন সেবা

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৫:২৯ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৫:২৯ পিএম
কায়রোর টেলিকম ভবনের আগুনে নিহত ৪, ব্যাহত ইন্টারনেট ও ফোন সেবা
ছবি: সংগৃহীত

মিশরের রাজধানী কায়রোয় একটি প্রধান টেলিকমিউনিকেশন ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে চারজন কর্মী নিহত হয়েছেন এবং অন্তত ২২ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন মিশরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হোসাম আবদেল ঘাফফার।

সোমবার (৭ জুলাই) টেলিকম ইজিপ্টের (Telecom Egypt) একটি গুরুত্বপূর্ণ ডেটা সেন্টারে আগুন লাগার ঘটনায় কায়রোর বিভিন্ন এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে জানানো হয়, আগুন সোমবারই নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে মিশরের যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী আমর তালাত জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধাপে ধাপে সব সেবা স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

টেলিকম ইজিপ্ট মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে নিহত কর্মীদের জন্য শোক প্রকাশ করে এবং তাদের পরিবারকে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

আগুনের কারণে ফোন কল ও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ইন্টারনেট পর্যবেক্ষণ সংস্থা Netblocks জানায়, আগুনের পর জাতীয় ইন্টারনেট সংযোগ স্বাভাবিকের তুলনায় ৬২ শতাংশে নেমে আসে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, যারা জরুরি অ্যাম্বুলেন্স সেবা পেতে হটলাইন নম্বরে পৌঁছাতে পারছেন না, তাদের জন্য বিকল্প নম্বর চালু করা হয়েছে।

ফোন সেবা ছাড়াও, এই অগ্নিকাণ্ডের প্রভাবে কিছু ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা, যেমন ক্রেডিট কার্ড, এটিএম মেশিন এবং অনলাইন লেনদেন ব্যাহত হয় বলে সোমবার জানিয়েছেন ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা ও স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে সেদিন ব্যাংকগুলো বন্ধই ছিল।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, অধিকাংশ আহত ব্যক্তি ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা MENA সোমবার জানায়, আগুন পুরো ভবন এবং আশপাশের ছাদগুলোতে ছড়িয়ে পড়ার আগেই নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

দেশটির নিরাপত্তা সূত্র জানায়, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, আগুনের সূত্রপাত হয় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে। সূত্র: আনাদুলো এজেন্সি

মাহফুজ/

 

এবার নিজের টিভি স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চালু করলেন ট্রাম্প

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩০ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩৪ পিএম
এবার নিজের টিভি স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চালু করলেন ট্রাম্প
ছবি: সংগৃহীত

নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল চালুর পর এবার নতুন টিভি স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ প্লাস’ চালু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের মালিকানাধীন ট্রাম্প মিডিয়া অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপ (টিএমটিজি) এটি পরিচালনা করবে।

সোমবার (৭ জুলাই) ট্রাম্পের মিডিয়া কোম্পানি ট্রুথ প্লাস নামে্র এই টেলিভিশন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম উন্মোচন করে ঘোষণা করে যে, নিউজম্যাক্স - ট্রাম্প-পন্থী কন্টেন্টের জন্য পরিচিত একটি প্রচারণামূলক একটি ফ্ল্যাগশিপ চ্যানেল হবে।

প্ল্যাটফর্মটি কনজারভেটিভ (রক্ষণশীল) সংবাদমাধ্যম নিউজম্যাক্সের সঙ্গে অংশীদারত্বে শুরু হয়েছে। ট্রাম্প মিডিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্ল্যাটফর্মটি ‘পরিবারবান্ধব লাইভ টিভি চ্যানেল ও অন ডিমান্ড কনটেন্ট’ সম্প্রচারে গুরুত্ব দেবে।

আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ছাড়াও ইন্টারনেট, অ্যাপল টিভি, অ্যান্ড্রয়েড টিভি, অ্যামাজন ফায়ার ও রোকু কানেকটেড টিভিতে অ্যাপটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যাবে। এলজি ও স্যামসাংয়ের স্মার্ট টিভির জন্যও অ্যাপটি শিগগির চালু হবে এবং এটি অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

গত জুনের শেষ দিক থেকে এই প্ল্যাটফর্মের বেটা সংস্করণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করে ট্রাম্প মিডিয়া।

এক বিবৃতিতে ট্রাম্প মিডিয়ার সিইও ও চেয়ারম্যান ডেভিন নুনেস জানান, ‘ট্রুথ প্লাস’ এত দ্রুত আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করতে পেরে আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা সব ডিভাইস ও অপারেটিং সিস্টেমে এটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করতে কাজ করছি।
 
নিউজম্যাক্সের সিইও ক্রিস রুডি জানান, ডেভিন নুনেস যুক্তরাষ্ট্রে ট্রুথ সোশ্যাল এবং এখতাই তাদের বিশ্বব্যাপী সম্প্রসারণ একেবারেই স্বাভাবিক। এই সম্প্রসারণে ট্রাম্প মিডিয়ার সঙ্গে অংশীদার হতে পেরে তিনি গর্বিত।

এদিকে ট্রুথ সোশ্যাল ও ট্রুথ প্লাস ছাড়াও ট্রাম্প মিডিয়া শিগগিরই ‘ট্রুথ ডট ফাই’ নামে একটি নতুন আর্থিক ও ফিনটেক ব্র্যান্ড চালু করতে যাচ্ছে। সেখানে থাকবে ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে বিনিয়োগের সুযোগ।

সুলতানা দিনা/

ভারত-মায়ানমারের কালাদান প্রকল্প শেষ হবে ২০২৭ সালে

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০২:৩২ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০২:৩২ পিএম
ভারত-মায়ানমারের কালাদান প্রকল্প শেষ হবে ২০২৭ সালে
ছবি: সংগৃহীত

ভারত এবং মায়ানমারের মধ্যে হতে চলা কালাদান প্রকল্প ২০২৭ সালের মধ্যেই চালু হবে বলে দাবি করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় জাহাজমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেওয়াল।

সোমবার (৭ জুলাই) আসামের গুয়াহাটিতে মন্ত্রী জানান, ইতোমধ্যে মায়ানমারের সিটওয়ে বন্দর পুরোপুরি প্রস্তুত। এখন মিজোরামের আইজল থেকে মায়ানমার পর্যন্ত সড়কপথে সংযোগ তৈরির কাজ চলছে। ২০২৭ সালের মধ্যেই পুরো প্রকল্প চালু হয়ে যাবে। এতে আইজল থেকে কলকাতার দূরত্ব ৭০০ কিলোমিটার কমে যাবে।

কালাদান মাল্টি-মোডাল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্টের কাজ শেষ হলে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে দেশের বাকি অংশের দূরত্বও অনেকটা কমে যাবে।

কালাদান নদীর নামে ভারত এবং মায়ানমার মাল্টি-মোডাল প্রকল্প তৈরি করছে। এর ফলে বিভিন্ন পরিবহণ ব্যবস্থার মাধ্যমে পূর্ব ভারতের বন্দর থেকে মায়ানমারে পণ্য পরিবহণ করা যাবে। একইভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব ভারতেও পণ্য পৌঁছে দেওয়ার কাজ সহজ হয়ে যাবে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে অবস্থিত সিটওয়ে বন্দরে কলকাতা থেকে পণ্যবাহী জাহাজ পৌঁছে গেছে। 

এই বন্দর কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে গেলে চট্টগ্রাম বা মোংলা বন্দরের উপর আর ভারতকে নির্ভর করতে হবে না।

জানা যায়, কালাদান প্রকল্পের মাধ্যমে কলকাতা থেকে সমুদ্রপথে পণ্য মায়ানমারের সিটওয়ে বন্দরে যাবে। সেখান থেকে কালাদান নদী ধরে পালেতোয়ায় পৌঁছে যাবে পণ্য। আর সেখান থেকে সড়কপথে উত্তর-পূর্ব ভারতের মিজোরামে পৌঁছে যাবে।

অমিয়/