ঢাকা ২৫ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
English

পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণ ছয় দিনে বেড়েছে ৭ গুণ

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৯:০৯ এএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ০৯:৩৯ এএম
পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণ ছয় দিনে বেড়েছে ৭ গুণ
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের প্রায় প্রতিটি রাজ্য থেকেই গত কয়েক দিনে নতুন করে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের খবর এসেছে। সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গকে নিয়ে। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশটির মধ্যে সর্বাধিক সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গে। 

গত রবিবার পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে ৮৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে, যেখানে ২৬ মে পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ১২। মাত্র ছয় দিনে সংক্রমণ বেড়েছে প্রায় ৭ গুণ

পুরো ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩ হাজার ৭৫৮-এ। 

রবিবারের হিসাব বলছে, পশ্চিমবঙ্গের পরে কেরালায় ৬৪ ও দিল্লিতে ৬১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। 

স্বাস্থ্য দপ্তর এরই মধ্যে একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছে। গত দুই সপ্তাহে যারা করোনা সংক্রমিত হয়েছেন, তাদের নমুনা জিন বিশ্লেষণের (জিনোম সিকোয়েন্সিং) জন্য পাঠাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া সব বেসরকারি ল্যাবকে গত দুই সপ্তাহের করোনা সংক্রমণের নমুনা সরকারের নির্ধারিত কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

চীন থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র পেল ইরান

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১১:১১ এএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১১:১১ এএম
চীন থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র পেল ইরান
এইচকিউ-৯বি আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র। ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের সংঘর্ষের পর এবার চীন থেকে অত্যাধুনিক এইচকিউ-৯বি আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা পেয়েছে ইরান।

মধ্যপ্রাচ্যের গোয়েন্দা সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে ইরান তেলের বিনিময়ে এসব সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রহ করেছে। এইচকিউ-৯বি যুক্ত হওয়ার ফলে ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা বলয় আরও শক্তিশালী হচ্ছে। বিশেষ করে স্টেলথ ও দ্রুতগামী ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলায় এইচকিউ-৯বি ব্যবস্থা বেশ কার্যকর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নতুন এই পদক্ষেপ চীন-ইরান সামরিক সহযোগিতার বিস্তার এবং মধ্যপ্রাচ্যে বেইজিংয়ের কৌশলগত প্রভাব বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে, যদিও দুই দেশ এখন পর্যন্ত সরাসরি সামরিক কোনো জোট গঠন করেনি। 

মধ্যপ্রাচ্যের গোয়েন্দা সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই জানিয়েছে, গত ২৪ জুন ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরই ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য এই ক্ষেপণাস্ত্রের চালান তেহরানে পৌঁছায়। এর আগে ইরান রাশিয়ার এস-৩০০ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা আমদানি করে।

এইচকিউ-৯বি হলো আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা, যা চীনের একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে। এটি রাশিয়ার এস-৩০০ প্রযুক্তির সঙ্গে চীনের নিজস্ব রাডার ও ইলেকট্রনিক্স সিস্টেম একত্রিত করে তৈরি একটি ব্যবস্থা। এইচকিউ-৯বি ২৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে এবং এটি ২৭ কিলোমিটার উচ্চতায়ও কাজ করতে সক্ষম। এই ক্ষেপণাস্ত্রে কমান্ড পোস্ট, এইচটি-২৩৩ এস-ব্যান্ড রাডার, লক্ষ্য শনাক্তকরণ রাডার এবং ছয় থেকে আটটি লঞ্চার থাকে।

এই নতুন প্রতিরক্ষাব্যবস্থা মূলত ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি, রাডার এবং কমান্ড অবকাঠামো পুনর্প্রতিষ্ঠায় ব্যবহৃত হবে। যুদ্ধ চলার সময় ইসরায়েল ক্ষণিকের জন্য ইরানের আকাশের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়। ওই হামলায় বেশ কয়েকজন ইরানি জেনারেল ও বিজ্ঞানী নিহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় উভয় দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। যুদ্ধবিরতির আগে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনাতেও হামলা চালায়। আর ইরান যুদ্ধবিরতির আগে পর্যন্ত ইসরায়েলে বহু ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে ইসরায়েলের ৩১ হাজারের বেশি ভবন ধ্বংস হয়। 

ইরানে বর্তমানে একটি বহুস্তরীয় আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে আছে রাশিয়ার এস-৩০০, নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি বাভার-৩৭৩, আরমান, খোরদাদ, সেয়াদ, এবং মাঝারি ও স্বল্পপাল্লার অন্যান্য ব্যবস্থা। তবে এসব ব্যবস্থার মাধ্যমে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের স্টেলথ প্রযুক্তির এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান প্রতিহত করার ক্ষমতা সীমিত। ইসরায়েল সম্প্রতি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছে। এখন এইচকিউ-৯বি যোগ হওয়ায় ইরানের এই প্রতিরক্ষা বলয়ে নতুন মাত্রা যোগ হলো। এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ও স্টেলথ ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলা করা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

এর পাশাপাশি চীন থেকে ইরান বিপুল পরিমাণে ক্ষেপণাস্ত্র জ্বালানির উপাদান, যেমন সোডিয়াম পারক্লোরেট ও অ্যামোনিয়াম পারক্লোরেটও আমদানি করেছে। এসব দিয়ে শত শত ছোট পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা সম্ভব। কিছু উপাদান ইয়েমেনের হুথি ও ইরাকের শিয়া গোষ্ঠীগুলোর কাছেও পাঠানো হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

চীন ও ইরানের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বাড়লেও চীন সরাসরি অস্ত্র বিক্রি করতে অস্বীকার করে এবং বলে তারা রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা মেনে চলে। এসব সত্ত্বেও চীনা কোম্পানি ও হংকংভিত্তিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো ইরানের সঙ্গে চুক্তিতে যুক্ত বলে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এর জবাবে ইতোমধ্যে কিছু চীনা ও ইরানি ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

একজন আরব গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, ইরান দীর্ঘদিন ধরেই তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার চেষ্টা করছিল। আরেক কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার আরব মিত্ররা আগে থেকেই জানত যে ইরান এমন উদ্যোগ নিচ্ছে। হোয়াইট হাউসকেও বিষয়টি জানানো হয়েছিল।

তবে ইরান ঠিক কতগুলো ক্ষেপণাস্ত্র পেয়েছে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ইরান তেলের বিনিময়ে এই ক্ষেপণাস্ত্র কিনেছে। বর্তমানে ইরানের সবচেয়ে বড় তেল ক্রেতা চীন। যুক্তরাষ্ট্রের তথ্য অনুযায়ী, ইরানের প্রায় ৯০ শতাংশ অপরিশোধিত তেল এবং কনডেনসেট রপ্তানি হয় চীনে।

এর আগেও ইরান চীনের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র পেয়েছে। ১৯৮০-এর দশকে ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় চীনের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া থেকে সিল্কওয়ার্ম ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পেয়েছিল ইরান। সেই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইরান কুয়েত এবং যুক্তরাষ্ট্রের ট্যাংকারে হামলা চালিয়েছিল।

চীন ও ইরান গত মার্চে যৌথ নৌ-মহড়া করেছে। গুঞ্জন রয়েছে, ইরান চীনের কাছ থেকে জে-১০সি যুদ্ধবিমানও কিনবে। যদি এ ব্যাপারে চুক্তি চূড়ান্ত হয় তবে তা ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষায় আরও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনবে।

চীনের তৈরি এইচকিউ-৯বি ও এইচকিউ-১৬বি ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা ইতোমধ্যে পাকিস্তান ও মিসরের কাছে বিক্রি হয়েছে। এবার ইরান এই তালিকায় যুক্ত হলো। সূত্র: ডিফেন্স নিউজ

ইয়েমেনের নাগরিক হত্যায় ভারতীয় নার্সের ফাঁসি কার্যকর করা হবে

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১০:৪৭ এএম
ইয়েমেনের নাগরিক হত্যায় ভারতীয় নার্সের ফাঁসি কার্যকর করা হবে
নিমিশা প্রিয়া

ইয়েমেনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়ার ফাঁসি কার্যকর করা হবে ১৬ জুলাই। ইয়েমেনের নাগরিক তালাল আবদো মেহদিকে হত্যার দায়ে ৩৭ বছর বয়সি নিমিশা প্রিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

এক সমাজকর্মীকে উদ্ধৃত করে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, এই আবহে ভারত সরকার তার জীবন বাঁচাতে হস্তক্ষেপ করতে পারে।

মেহদিকে হত্যার অভিযোগে ২০১৭ সাল থেকে ইয়েমেনের কারাগারে রয়েছেন প্রিয়া।

ফাঁসি কার্যকরের ঘোষণায় ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করে বলে, তারা এই ঘটনার সমস্ত বিকল্প খতিয়ে দেখছে।

আর এরই মাঝে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার বার্তা দিলো ইরান।

এদিকে নিমিশার হাতে খুন হওয়া মেহদির পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে সেই দেশে যাচ্ছেন ভারতের এক সমাজকর্মী স্যামুয়েল জেরোম ভাস্করণ।

জানা যায়, নিমিশা প্রিয়া কেরলের পলক্কড় জেলার বাসিন্দা। কর্মসূত্রে স্বামীর সঙ্গে ইয়েমেনে থাকতেন। ২০১৪ সালে তার স্বামী এবং মেয়ে ভারতে ফিরে আসেন। এদিকে ২০১৬ সালে ইয়েমন থেকে যাতায়তে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারত। তখন ইয়েমেনে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চাকরি করতেন প্রিয়া। সেখানেই মেহদির সঙ্গে পরিচয় হয়।

পরবর্তীতে মেহদি প্রিয়াকে একটি ক্লিনিক খোলার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কারণ, ইয়েমেনে কোনো বিদেশি নাগরিক যদি ক্লিনিক খুলতে চায়, তাহলে তাকে স্থানীয় কারও সঙ্গে পার্টনারশিপে খুলতে হবে। সে কারণেই মেহদিকে প্রয়োজন ছিল প্রিয়ার। এই আবহে ২০১৫ সালে মেহদির সাহায্যে ক্লিনিক খোলেন প্রিয়া।

পরে মেহদির সঙ্গে তার মতপার্থক্য দেখা দেয়। মেহদি প্রিয়ার পাসপোর্ট ছিনিয়ে নেন। এর জেরে সেই দেশেই আটকে পড়েন তিনি। এদিকে প্রিয়াকে নিজের স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিতেন মেহদি। প্রিয়াকে অত্যাচারও করতেন তিনি। পরে প্রিয়া পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছিলেন মেহদির নামে। ২০১৬ সালে গ্রেপ্তারও হয় মেহদি। পরে অবশ্য সে ছাড়া পেয়ে যান।

এরপর ২০১৭ সালের ২৫ জুলাই মেহদিকে ঘুম পাড়ানো ইনজেকশন দেয় প্রিয়া। তার উদ্দেশ্য ছিল, লুকিয়ে রাখা পাসপোর্টটি নিয়ে ভারতে ফিরে আসা। তবে সেই ইনজেকশনের ওভারডোজে মৃত্যু হয় মেহদির। পরে প্রিয়া এক বান্ধবীকে নিয়ে মেহদির দেহ কেটে ক্লিনিকের ট্যাঙ্কে রেখে পালিয়ে যায়।

পরে ২০১৮ সালে খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন প্রিয়া। পরে সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে ইয়েমেনের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন তিনি। কিন্তু শীর্ষ আদালতেও হেরে যান প্রিয়া। পরে গত জানুয়ারি মাসে প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন দেন ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট রাশাদ মোহাম্মদ আল-আলিমি।

অমিয়/

টেক্সাসে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০৭

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:১৮ এএম
টেক্সাসে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০৭
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১০৭ জনে পৌঁছেছে। এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে ওই অঞ্চলে আরও বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এতে অঞ্চলটির বন্যা পরিস্থিতি আরও প্রতিকূল হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

টেক্সাসের গুয়াদালুপে নদীর ধারের গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্প থেকে নিখোঁজ হওয়া ২৭ মেয়ে শিশু ও তাদের কাউন্সিলরদের মৃত হিসেবে পাওয়া গেছে। ক্যাম্প ওয়েবসাইটের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই অকল্পনীয় মর্মান্তিক ঘটনায় আমাদের পরিবারের পাশাপাশি আমাদের হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে। আমরা তাদের জন্য প্রতিনিয়ত প্রার্থনা করছি।’ 

এখনো নিখোঁজদের সন্ধানে অনুসন্ধান চলছে। এক বিবৃতিতে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আমরা আপনাদেরকে ভুক্তভোগী পরিবারের জন্য প্রার্থনা করতে, তাদের সম্মান করতে ও গোপনীয়তা বজায় রাখতে আহ্বান জানাচ্ছি।

পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন ক্যাম্প থেকেও অনেকে নিখোঁজ হয়েছেন। তাদের সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি। উদ্ধার কাজ পূর্ণগতিতে চললেও বন্যা পরিস্থিতির কারণে এ কাজ ব্যাহত হচ্ছে। 

ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন বলছে, স্যান অ্যান্টোনিওর উত্তরাঞ্চলে গত শুক্রবার ভোরের আগে ৪৫ মিনিটের প্রবল বর্ষণে প্লাবিত হয় গুয়াদালুপে নদী। এ সময়ের মধ্যে নদীর পানি ২৬ ফুট বেড়ে যায়। এতে আশপাশের অঞ্চল দ্রুত প্লাবিত হয়।

টেক্সাসের হিল কাউন্টিতে অন্তত ৬৮ জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ট্র্যাভিস, বার্নেট, কেনডাল, টম গ্রিন ও উইলিয়ামসন থেকে আরও অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে।

টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট জানিয়েছেন, আবারও ভারী বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং এ পরিস্থিতির কারণে বন্যা আরও ছড়াতে পারে। কের-এর বাসিন্দাদের নিজেদের নষ্ট হয়ে যাওয়া জিনিসপত্র থেকে কাদা পরিষ্কার করতে দেখা গেছে। অনেকেই বলেছেন, প্রতিবেশীদের বীরত্বের কারণে তারা রক্ষা পেয়েছেন। 

কর্তৃপক্ষের দিকে এরই মধ্যে এ বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আঙুল উঠেছে। তীব্র বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু যে মাত্রায় বৃষ্টি হয়েছে, তা ছিল এর দ্বিগুণ। এ ছাড়া পূর্বাভাস জানানোর ক্ষেত্রে যথেষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল কি না, সব মানুষের কাছে খবর পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল কি না- এসব নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। বিষয়গুলো নিয়ে পরে তদন্ত করে দেখা হবে বলে আশ্বস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। আপাতত পূর্ণ মনোযোগ তারা দিচ্ছে উদ্ধারকাজের দিকে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, বিবিসি

ইরানকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করল চীন

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৯:৩০ পিএম
ইরানকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করল চীন
চীনের তৈরী এইচকিউ-৯ আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র। ছবি: সংগৃহীত

ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা চীনের কাছ থেকে হাতে পেয়েছে ইরান। ইসরায়েলের সঙ্গে টানা ১২ দিনের সংঘাতের পর আকাশ প্রতিরক্ষা আরও জোরদার করতে তেহরান তার অস্ত্রভাণ্ডার সমৃদ্ধ করার পদক্ষেপ নিয়েছে।

মিডল ইস্ট আই-কে এক আরব গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, গত ২৪ জুন ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির পর তেহরানে পৌঁছেছে চীনের তৈরি ওই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক আরব কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র রাষ্ট্রগুলো আগে থেকেই জানত যে ইরান তার আকাশ প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই অগ্রগতি সম্পর্কে হোয়াইট হাউসকেও জানানো হয়েছে।

তবে যুদ্ধবিরতির পর চীন থেকে ইরান ঠিক কতগুলো ক্ষেপণাস্ত্র পেয়েছে, এবং কোন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র পেয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য দেননি সংশ্লিষ্ট কেউ। তবে এক আরব কর্মকর্তা জানান, ইরান তেলের বিনিময়ে এসব ক্ষেপণাস্ত্র সংগ্রহ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ইরানের সবচেয়ে বড় তেল ক্রেতা হচ্ছে চীন। মার্কিন জ্বালানি তথ্য সংস্থা ইউএস এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মে মাসে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ইরানের প্রায় ৯০ শতাংশ অপরিশোধিত তেল ও কনডেনসেট রপ্তানি হয় চীনে। উল্লেখ্য, কনডেনসেট হলো প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনের সময় সংগৃহীত হালকা তরল জ্বালানি।

দ্বিতীয় আরব কর্মকর্তা বলেন, নিষেধাজ্ঞা এড়াতে ইরান বিভিন্ন সৃজনশীল কৌশলে বাণিজ্য করে থাকে। এই সামরিক চালান চীন-ইরান সম্পর্কের গভীরতাকেই নির্দেশ করে।

বর্তমানে ইরান রাশিয়ার তৈরি এস-৩০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করছে, যা বিমান ও ড্রোন ধ্বংসের পাশাপাশি কিছুটা ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতেও সক্ষম। পাশাপাশি চীনের পুরোনো ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার পাশাপাশি ইরান নিজেদের তৈরি খোরদাদ সিরিজ এবং বাভার-৩৭৩ ব্যবস্থাও ব্যবহার করছে। সূত্র: মিডল ইস্ট আই

 

তালেবানের ২ শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৯:০৮ পিএম
তালেবানের ২ শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
ছবি: সংগৃহীত

নারী ও মেয়েদের ওপর নিপীড়নের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) তালেবানের শীর্ষ দুই নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) আইসিসির বিচারকরা জানিয়েছেন, তালেবান সুপ্রিম লিডার হিবতুল্লাহ আখুন্দজাদা এবং প্রধান বিচারপতি আবদুল হাকিম হাক্কানির বিরুদ্ধে লিঙ্গভিত্তিক নিপীড়নের অভিযোগে মামলা চালানোর মতো ‘যুক্তিসঙ্গত প্রমাণ’ রয়েছে।

এক বিবৃতিতে আদালত জানায়, ‘তালেবান সমগ্র জনগণের ওপর কিছু নিয়ম ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও তারা বিশেষভাবে নারীদের লক্ষ্যবস্তু করেছে কেবলমাত্র তাদের লিঙ্গের কারণে এবং তাদের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করেছে।’

আইসিসির বিচারকরা বলেন, ‘তালেবান মেয়েদের শিক্ষা, গোপনীয়তা ও পারিবারিক জীবনের অধিকার এবং চলাফেরা, মতপ্রকাশ, চিন্তা, বিবেক ও ধর্মের স্বাধীনতা থেকে চরমভাবে বঞ্চিত করেছে।’

তারা আরও জানান, এছাড়া, এমন কিছু ব্যক্তিকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে যাদের যৌনতা ও লিঙ্গ পরিচয়ের কিছু অভিব্যক্তি তালেবানের লিঙ্গনীতি পরিপন্থী বলে মনে হয়েছে।

আদালতের মতে, এসব অপরাধ ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট তালেবান ক্ষমতা দখলের সময় থেকে শুরু হয়ে ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।

নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত আইসিসি বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ অপরাধ যেমন যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করে। তবে আদালত নিজস্ব কোনো পুলিশ বাহিনী চালায় না এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ওপর নির্ভর করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে - যার ফলাফল মিশ্র।

বিধি অনুযায়ী, আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আওতাভুক্ত কোনো ব্যক্তি সদস্য রাষ্ট্রে ভ্রমণ করলে তাকে গ্রেপ্তার হওয়ার ঝুঁকি নিতে হয়। সূত্র: আল জাজিরা

মাহফুজ/