ঢাকা ২৫ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
English

হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু বুধবার, হজযাত্রীরা মিনায়

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ১২:০৫ এএম
হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু বুধবার, হজযাত্রীরা মিনায়
পুরোনো ছবি

মিনায় অবস্থানের মাধ্যমে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে আজ বুধবার। হজযাত্রীরা আজ ৮ জিলহজ (৪ জুন) জোহর থেকে আগামীকাল ৯ জিলহজ ফজর পর্যন্ত মিনায় অবস্থান করে মোট পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন। ফজরের নামাজ আদায় করার পর তারা রওনা দেবেন আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশে।

মঙ্গলবার রাতে মক্কা থেকে হজযাত্রীরা তাঁবুর শহর বলে পরিচিত ঐতিহাসিক মিনার উদ্দেশে রওনা হন। তারা মক্কায় নিজ নিজ রুম থেকে হজের ইহরাম বেঁধে মিনায় পৌঁছান। মিনায় অবস্থান করা সুন্নত। হজযাত্রীরা এখানে তাকবির, তাসবিহ, দোয়া এবং কোরআন তিলাওয়াতে সময় কাটান।

পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা চলে পাঁচ দিন। তার মধ্যে আরাফাতের দিবসকে (৯ জিলহজ) ধরা হয় মূল হজ হিসেবে। মিনা থেকে ৯ জিলহজ (বৃহস্পতিবার) ভোর থেকেই হজযাত্রীরা আরাফাতের ময়দানে সমবেত হবেন। তাদের সমস্বরে উচ্চারিত ‘লাব্বাইক আল্লাহুমা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত হবে আরাফাতের আকাশ-বাতাস। দুপুরে হজের খুতবা শুনবেন তারা। তারপর এক আজানে হবে জোহর ও আসরের নামাজ। সূর্যাস্তের পর তারা আরাফাতের ময়দান ত্যাগ করে যাত্রা করবেন মুজদালিফার পথে। সেখানে আবার তারা এক আজানে আদায় করবেন মাগরিব ও এশার নামাজ। বৃহস্পতিবার রাতে মুজদালিফায় তারা খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করবেন।

এ সময় তারা মুজদালিফা থেকে পাথর সংগ্রহ করবেন জামারায় প্রতীকী শয়তানকে নিক্ষেপের জন্য। এরপর শুক্রবার সকালে সূর্যোদয়ের পর জামারায় প্রতীকী বড় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন হজযাত্রীরা। এরপর আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু কোরবানি করবেন। কোরবানি করে মাথা মুণ্ডন করবেন। এহরাম খুলে পরবেন সাধারণ পোশাক। আবার কাবাঘর তাওয়াফ করবেন। সাফা-মারওয়ায় সাতবার সাঈ (চক্কর) করবেন। এরপর আবার ফিরে যাবেন মিনায়। এর পরদিন এবং তার পরদিন অর্থাৎ টানা দুই দিন দ্বিতীয় ও ছোট শয়তানকে পাথর মারার মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।

সৌদি আরব জানিয়েছে, এরই মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ১৫ লাখ হজযাত্রী মক্কায় উপস্থিত হয়েছেন। আগামী সাত দিন হাজিদের মিনা-আরাফাতের ময়দান ও মুজদালিফায় উন্নত মানের মেট্রো সার্ভিস দেওয়ার জন্য একটি বিশেষ ট্রেন ৫ হাজার বার আসা-যাওয়া করবে। সড়ক নিরাপত্তায় প্রায় ৫ হাজার কিলোমিটার রাস্তাকে স্ক্যান করা হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দিয়ে। একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় সংস্কার নিশ্চিত করা হচ্ছে।

আরব নিউজ বলছে, আল মাশায়ের আল মোকাদ্দাসা মেট্রো লাইনে ওই বিশেষ ট্রেনটি চলাচল করবে সাত দিন। এটি মক্কার রেলব্যবস্থায় উচ্চ সক্ষমতাসম্পন্ন একটি ট্রেন। বছরে হজের সময় মাত্র সাত দিন এই ট্রেনটি শাটল সার্ভিস দেয়। হজযাত্রীদের বিভিন্ন পবিত্র স্থাপনায় আনা-নেওয়া করে।

পরিবহন ও লজিস্টিক সার্ভিসের মুখপাত্র সালেহ আল জাওয়াইদ বলেছেন, বিমান, স্থল, সমুদ্র ও লজিস্টিকসসহ সফরের সব সেক্টরে বার্ষিক হজযাত্রার বিস্তৃত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় হারামাইন হাইস্পিড রেলওয়ের ট্রিপ সংখ্যা শতকরা ৭৫ ভাগ বাড়ানো হয়েছে। উপরন্তু কমপক্ষে ২৫ হাজার বাস হজযাত্রীদের নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক সফরকে নিশ্চিত করতে ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে এ ক্ষেত্রেও ইন্সপেকশন প্রক্রিয়া আছে। পরিবহনব্যবস্থাকে উন্নত করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অর্থাৎ ড্রোনসহ সর্বশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। অনেক যানবাহনে এআই ব্যবহার করে সড়ক স্ক্যান করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

চলতি বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৭ হাজার ১৫৭ জন সৌদি আরবে পৌঁছেছেন মোট ২২৪টি ফ্লাইটে। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় গেছেন ৫ হাজার ২০০ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গেছেন ৮১ হাজার ৯০০ জন।

এদিকে চলতি বছর হজ পালন করতে গিয়ে সৌদি আরবে এখন পর্যন্ত ১৭ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকে বার্ধক্যজনিত ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে মারা গেছেন বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ থেকে হজ ফ্লাইট পরিচালনা শেষ হয়েছে গত শনিবার। সূত্র: সৌদি গেজেট

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান ম্যাক্রোঁর

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১০:৪৩ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১০:৪৩ পিএম
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান ম্যাক্রোঁর
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৮ জুলাই) পার্লামেন্টে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘এটাই একমাত্র শান্তির পথ।’

গাজায় অব্যাহত ইসরায়েলি বর্বরতায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘গাজা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন পশ্চিম তীরে হামলা হচ্ছে। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ধারণা কখনো এতটা বিপন্ন হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি প্রদানই অঞ্চলজুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার একমাত্র উপায়।’

অর্ধঘণ্টার ওই বক্তৃতায় ম্যাক্রোঁ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের একসঙ্গে কাজ করার গুরুত্ব তুলে ধরেন। পাশাপাশি ইউক্রেন ইস্যুতে ইউরোপের ঐক্য বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

বক্তব্যের পর উইন্ডসর ক্যাসেলে এক রাজকীয় নৈশভোজে অংশ নেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ এবং রাজা চার্লস তৃতীয়। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, সঙ্গীত তারকা এলটন জন ও মিক জ্যাগার-সহ সকল অতিথিদের সামনে ম্যাক্রোঁ বলেন, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে মৈত্রীর সম্পর্ক আজও সমান গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে এই জটিল বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে। সূত্র: ব্লমবার্গ

মাহফুজ/

আন্দোলনকারীদের ‘পায়ে গুলি করেন’: পুলিশকে নির্দেশ কেনিয়ার প্রেসিডেন্টের

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:৩৬ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:৩৭ পিএম
আন্দোলনকারীদের ‘পায়ে গুলি করেন’: পুলিশকে নির্দেশ কেনিয়ার প্রেসিডেন্টের
ছবি: সংগৃহীত

কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন, কেউ যদি বিক্ষোভে অংশ নিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা সম্পত্তি পুড়িয়ে দেয়, তাহলে তাকে পায়ে গুলি করে অক্ষম করে দিন, তবে হত্যা নয়।

সম্প্রতি দেশজুড়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের অতিরিক্ত বলপ্রয়োগে ৩১ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কেনিয়ার রাষ্ট্রীয় মানবাধিকার কমিশনের (KNCHR) তথ্যমতে, গত সোমবারের (৭ জুলাই) বিক্ষোভেই মারা গেছে ৩১ জন, আহত হয়েছে ১০০ জনের বেশি এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫৩২ জনকে। তবে কেনিয়া পুলিশ দাবি করেছে, নিহত হয়েছে ১১ জন।

রুটো বলেন, ‘কেউ যদি অন্যের ব্যবসা বা সম্পত্তি পুড়িয়ে দেয়, তাহলে তাকে পায়ে গুলি করে হাসপাতালে পাঠান, পরে আদালতে সোপর্দ করুন। হত্যা করবেন না, তবে নিশ্চিত করুন যেন তার পা ভেঙে যায়।’

তিনি আরও বলেন, তার বিরোধীরা যেন সহিংস বিক্ষোভ বা বেআইনি উপায়ে তাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর চেষ্টা না করে। তিনি কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘আইন লঙ্ঘন করে বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে কেনিয়াকে কেউ শাসন করতে পারবে না, আমার আমলে তা কখনোই হবে না।’

তিনি উল্লেখ করেন, সরকার পরিবর্তনের একমাত্র বৈধ পথ হচ্ছে নির্বাচন। ২০২৭ সালের সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

রুটো বলেন, ‘এই দেশ কয়েকজন অধৈর্য মানুষের জন্য ধ্বংস হতে পারে না, যারা অসাংবিধানিক উপায়ে সরকার পরিবর্তন করতে চায় - তা কোনোভাবেই ঘটতে দেওয়া যাবে না।’

২০২২ সালে রুটোর সঙ্গে নির্বাচিত হয়েছিলেন সাবেক উপ-প্রেসিডেন্ট রিগাথি গাচাগুয়া। পরে সম্পর্কের অবনতি হলে তিনি অভিশংসিত হন। গাচাগুয়া বলেন, ‘আমরা রুটোকে অসাংবিধানিকভাবে সরাতে চাই না। আমরা চাই ২০২৭ সালের নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে তার মোকাবিলা করতে।’

গত মাসে পুলিশি হেফাজতে ব্লগার আলবার্ট ওজওয়াংয়ের মৃত্যুর পর থেকে কেনিয়ায় আবার উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক বছর আগে কর বৃদ্ধির প্রতিবাদে তরুণরা পার্লামেন্টে ঝড় তুলেছিল।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, তরুণদের বেকারত্ব ও চাকরির মানজনিত সংকট এই ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছে।

রুটো স্বীকার করেন, তরুণদের জন্য কাজের সুযোগের ঘাটতি রয়েছে, তবে তিনি দাবি করেন- এই সংকট তার আগেই শুরু হয়েছে এবং তার সরকার প্রথমবারের মতো বিষয়টি সমাধানে সচেষ্ট হয়েছে।

তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আগের সরকারের চেয়ে কেন আমার সময়েই এত বিশৃঙ্খলা? আমাকে আপনি যা খুশি বলতে পারেন, তবে আমি নিশ্চিত করব - কেনিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে।’

সোমবারের বিক্ষোভ ছিল কেনিয়ার দীর্ঘদিনের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের স্মরণে আয়োজিত কর্মসূচি, যা দ্রুতই প্রাণঘাতী সংঘর্ষে রূপ নেয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৪৭টি কাউন্টির মধ্যে অন্তত ১৭টিতে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

বিক্ষোভকারীরা ‘রুটো হটাও’ ও ‘ওয়ান টার্ম’ (এক মেয়াদে বিদায়) স্লোগান দেন।

KNCHR এক বিবৃতিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়াকে ‘গভীরভাবে উদ্বেগজনক’ বলে অভিহিত করেছে। সংস্থাটি বলেছে, ‘আমরা সকল মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানাই এবং পুলিশের পাশাপাশি বেসামরিক ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের দায় নিশ্চিত করার আহ্বান জানাই।’

তারা আরও জানিয়েছে, অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের হাতে সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় লুটপাট ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, রাজধানী নাইরোবির উপকণ্ঠ কিয়াম্বুতে ১২ বছরের এক শিক্ষার্থী ঘরে বসে থাকার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের মুখপাত্র রবিনা শামদাসানি বলেন, ‘এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক যে, এই হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটেছে মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে, যখন ২৫ জুন নাইরোবিসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও ১৫ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছিল।’

তিনি জানান, বিক্ষোভকারীদের ওপর প্রাণঘাতী গুলি, রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করা হয়েছে।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানায়, অজ্ঞাত হামলাকারীরা দু’টি হাসপাতালে হামলা চালিয়ে চিকিৎসা সরঞ্জাম লুট করেছে এবং হাসপাতালের কর্মীদের হয়রানি করেছে।

হত্যাকাণ্ড, সম্পত্তি ধ্বংস এবং নির্বিচার গ্রেপ্তারের বিষয়ে ধর্মীয় ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো দ্রুত, স্বতন্ত্র ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে।

বিরোধী নেতারা অভিযোগ করেছেন, সরকার পুলিশ ভ্যান দিয়ে সশস্ত্র গ্যাং সদস্যদের বিক্ষোভস্থলে পাঠিয়েছে, বিশেষ করে বিরোধী ঘাঁটিগুলোতে।

তারা প্রেসিডেন্ট রুটোর প্রশাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব ব্যবসা বর্জনের আহ্বান জানায়।

বিরোধীরা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘এই সরকার শত্রুভাবাপন্ন। তাদের সঙ্গে যুক্তিযুক্ত আলোচনা সম্ভব নয়। এই সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ চলবে। আমরা থামব না, পিছু হটব না, আত্মসমর্পণ করব না।’

কেনিয়ার প্রধান বিচারপতি মার্থা কুমে সহিংস বিক্ষোভ বন্ধে সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, এ ধরনের আন্দোলন দেশটির গণতান্ত্রিক ভিত্তিকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। সূত্র: বিবিসি

মাহফুজ/

ভারতের গুজরাটে সেতু ধসে নিহত অন্তত ১০ জন

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:০৩ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:০৪ পিএম
ভারতের গুজরাটে সেতু ধসে নিহত অন্তত ১০ জন
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় গুজরাট রাজ্যে একটি সেতু ধসে পড়ে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

গুজরাটের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুশিকেশ প্যাটেল জানান, বুধবার (৯ জুলাই) সকালে গামভিরা সেতুর একটি অংশ ধসে পড়লে কয়েকটি যানবাহন নিচে মহিসাগর নদীতে পড়ে যায়। সেতুটি রাজ্যের ভদোদরা জেলায় অবস্থিত এবং ১৯৮৫ সালে নির্মিত হয়েছিল বলেও জানান তিনি।

ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায়, সেতুর একাংশ ভেঙে পড়ার পর একটি ট্যাংকার বিপজ্জনকভাবে ঝুলে আছে। আর নিচে নদীতে উল্টে থাকা একটি ভ্যানে আটকে থাকা একজন নারীকে তাঁর ছেলের জন্য সাহায্য চেয়ে কাঁদতে শোনা যায়।

জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা অনিল ধামেলিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাস্থল থেকে এখন পর্যন্ত ১০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে বলেও তিনি জানান।

দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন।

ভারতে দীর্ঘদিন ধরেই অবকাঠামোগত নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। বিশেষ করে মহাসড়ক ও সেতুগুলোতে প্রায়ই বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে।

এর আগে ২০২২ সালে গুজরাটেই ঔপনিবেশিক আমলের একটি তারে ঝোলানো সেতু মাচ্ছু নদীতে ধসে পড়ে। সেই ঘটনায় শত শত মানুষ পানিতে পড়ে যান এবং অন্তত ১৩২ জনের মৃত্যু হয়। সূত্র: আল জাজিরা

 

পুতিনকে ট্রাম্পের সমালোচনার পর ইউক্রেনে জোরালো রুশ হামলা

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৫:৫২ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৫:৫৭ পিএম
পুতিনকে ট্রাম্পের সমালোচনার পর ইউক্রেনে জোরালো রুশ হামলা
কিয়েভ অঞ্চলে বিস্ফোরণের পর আগুন নেভাচ্ছেন দমকল কর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার সর্ববৃহৎ আকাশ হামলায় নাস্তানাবুদ ইউক্রেন। প্রেসিডেন্ট ভলোদেমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাতভর চলা হামলায় একাধিক ধাপে রাশিয়া ৭২৮টি ড্রোন ও ১৩টি ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইউক্রেনজুড়ে বিভিন্ন শহরে। এ হামলা সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় আকাশ হামলা।

এই হামলার কড়া নিন্দা করে জেলেনস্কি বলেন, ঠিক এমন এক সময়ে এই হামলা হলো যখন শান্তি প্রতিষ্ঠা ও যুদ্ধবিরতির জন্য ব্যাপক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু একমাত্র রাশিয়াই প্রতিটি শান্তি প্রচেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করে চলেছে।

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনকে নতুন করে অস্ত্র সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা দেন - যা গত সপ্তাহে স্থগিত হয়ে গিয়েছিল বলে মার্কিন গণমাধ্যমে দাবি করা হয়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ট্রাম্প নিজে এই স্থগিতাদেশ সম্পর্কে জানতেন না।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রকাশ্যে ক্ষোভ ঝাড়েন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর। সাংবাদিকদের সঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ‘আলোচনায় পুতিন আমাদের দিকে অনেক বাজে কথা ছুড়ে দেয়। সে সব সময় আমাদের সঙ্গে ভদ্রভাবে কথা বলে, কিন্তু আসলে কিছুই করে না।’

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এ বিষয়ে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি বেশ ঠান্ডা মাথায় নিচ্ছি। ট্রাম্প সাধারণত একটু রুক্ষ ভাষায় কথা বলেন।’

দুই নেতার মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ থাকলেও এখন পর্যন্ত তা ইউক্রেন সংঘাতে কোনো যুদ্ধবিরতিতে রূপ নেয়নি-যা একসময় ট্রাম্প বলেছিলেন তিনি একদিনেই বাস্তবায়ন করতে পারবেন।

গত সপ্তাহে পুতিনের সঙ্গে এক ফোনালাপের পর ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমি খুব হতাশ। সে (পুতিন) এখনো থামতে চায় না, কেবল মানুষ হত্যা করেই যাচ্ছে। এটা কোনো ভালো বিষয় না।’

ট্রাম্প প্রশাসনের ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। মার্কিন গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এই সিদ্ধান্তে সম্মতি দিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এবং প্রতিরক্ষা নীতির আন্ডার-সেক্রেটারি এলব্রিজ কলবি।

মঙ্গলবার সাংবাদিকরা ট্রাম্পের কাছ থেকে জানতে চান, ‘এই সিদ্ধান্ত কে নিয়েছিলেন? পাশে বসা হেগসেথের দিকে তাকিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি জানি না। আপনি আমাকে বলুন।’

পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার ফলে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ১০টি প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করতে পারে বলে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম Axios। ইউক্রেন এই আন্তঃবাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ব্যবহার করে রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করার চেষ্টা করছে।

যদিও পূর্ব ইউক্রেন ও রাজধানী কিয়েভ নিয়মিত হামলার মুখে পড়ে, রাশিয়ার আঘাত থেকে দেশটির কোনো অংশই রেহাই পায়নি।

মঙ্গলবার রাতের ভয়াবহ হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লুটস্ক শহর, যেটি পোল্যান্ড সীমান্ত থেকে মাত্র ৯০ কিলোমিটার দূরে এবং সামরিক ও মানবিক সহায়তা পরিবহনের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।

এছাড়া পশ্চিমাঞ্চলের লভিভ ও রিভনে শহরেও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।

চলতি বছর শুরুর দিকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দুই দফা যুদ্ধবিরতির আলোচনা হলেও এরপর আর কোনো বৈঠকের তারিখ নির্ধারিত হয়নি। কিয়েভ কিংবা মস্কো-কোনো পক্ষই বর্তমানে কূটনীতিকে আশাব্যঞ্জক পথ মনে করছে না।

এর মধ্যেই ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার গ্রীষ্মকালীন সামরিক অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পেসকভ বুধবার (৯ জুলাই) বলেন, ‘আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। প্রতিদিনই ইউক্রেনকে নতুন বাস্তবতা মেনে নিতে হচ্ছে।’ সূত্র: বিবিসি

মাহফুজ/

 

দুধ খেতে না চাওয়ায় নবজাতকে ফুটন্ত পানিতে ডুবিয়ে মারলেন মা!

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫০ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫৬ পিএম
দুধ খেতে না চাওয়ায় নবজাতকে ফুটন্ত পানিতে ডুবিয়ে মারলেন মা!
প্রতীকী ছবি

ভারতের বেঙ্গালুরুতে দুধ খেতে না চাওয়ায় হেমন্ত কুমার নামে এক মাস ৮ দিন বয়সী ছেলেকে ফুটন্ত পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেছেন রাধা নামে এক মা (২৭)। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রাধাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত সোমবার (৭ জুলাই) বিশ্বেশ্বরপুরে রাধা নামে ওই নারী তার বাবার বাড়িতে এ ভয়াবহ কাণ্ড ঘটান

পুলিশ জানায়, রাধা পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনে (প্রসবোত্তর অবসাদ) ভুগছিলেন। সময়ের আগেই ভুমিস্ট হওয়ায় দূর্বল ছিল শিশুটি। প্রায়ই দুধ খেতে চাইত না। মাঝেমধ্যেই অস্বাভাবিকভাবে কান্নাকাটি করত সে। এর ফলে অভিযুক্ত রাধা বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে শিশুটি স্বাভাবিক নয়। সেই হতাশা থেকেই তিনি চুলা জ্বালিয়ে, রান্নার পাত্রে পানি ফুটিয়ে শিশুটিকে তাতে শুইয়ে দেন।

জানা গেছে, দুবছর আগে পবন নামে এক অটোচালক তরুণের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন রাধা। মাসখানেক আগে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন তিনি। তার সাংসারিক জীবনে প্রচণ্ড অশান্তি ছিল। রাধার স্বামী মদ্যপ ও বেকার। সন্তান জন্মের পর স্বামী তার সঙ্গে থাকতেন না।

মেহেদী/