ঢাকা ২৫ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
English

ট্রাম্পকে টেক্কা দিতে মাস্কের নতুন রাজনৈতিক দল ‘আমেরিকা পার্টি’

প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২৫, ০৮:০৪ পিএম
আপডেট: ০৮ জুন ২০২৫, ০৮:২২ পিএম
ট্রাম্পকে টেক্কা দিতে মাস্কের নতুন রাজনৈতিক দল ‘আমেরিকা পার্টি’
ছবি: সংগৃহীত

ট্রাম্পের সঙ্গে প্রকাশ্য বিরোধের মধ্যে টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রে ‘আমেরিকা পার্টি’ নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (০৬ জুন) নিজের এক্স-একাউন্টে এই মার্কিন ধনকুবের একটি পোল পোস্ট করে তার ২২ কোটি অনুসারীকে জিজ্ঞাসা করেন তারা কি মনে করেন যে, ‘আমেরিকাতে এমন একটি নতুন রাজনৈতিক দল তৈরি করার সময় এসেছে যা আসলে মধ্যবর্তী ৮০%-এর প্রতিনিধিত্ব করে।’

এর একদিন পর শুক্রবার (০৭ জুন), মাস্ক জানান, জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৮০ শতাংশ মানুষ এই ধারণাটিকে সমর্থন করেছেন। এরপর তিনি আবার পোস্ট করেন, ‘এটাই ভাগ্য!’ 

এরপর মাস্ক একজন তার এক অনুসারীর পরামর্শে দলের নাম ‘আমেরিকা পার্টি’ রাখার পরামর্শ দেন। নামটি আমেরিকা প্যাকের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ, গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মাস্ক এই রাজনৈতিক অ্যাকশন কমিটি প্রতিষ্ঠা করেন। এটি ২০২৪ সালে ট্রাম্প এবং অন্যান্য রিপাবলিকান প্রার্থীদের নির্বাচিত করতে ২৩৯ মিলিয়ন ডলার নির্বাচনী তহবিল প্রদান করে।

নতুন রাজনৈতিক দল শুরু করা বলা যতটা সহজ, করা ততটাই সহজ হবে। তবে ডেমোক্র্যাটিক এবং রিপাবলিকান দল এবং কিছু বৃহৎ তৃতীয় পক্ষের ইতিমধ্যেই প্রায় প্রতিটি রাজ্যে ব্যালট পেপার ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।  তাই প্রতিযোগিতার ময়দানে আসতে হলে একটি নতুন দলকে তার প্রার্থীদের ব্যালটে আনার জন্য রাজ্য-ভিত্তিক নিয়মের শর্ত পূরণ করেই আসতে হবে। 

সেক্ষেত্রে, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মাস্ক -আইনত আমেরিকা পিএসিতে সীমাহীন অর্থ ঢালতে পারবেন কারণ এটি একটি স্বাধীন পিএসি হিসাবে সংগঠিত। ফেডারেল নির্বাচন কমিশনের ২০২৫-২০২৬ সালের ফেডারেল নির্বাচনের জন্য অবদানের সীমা অনুসারে, আনুষ্ঠানিক রাজনৈতিক দলগুলোতে অনুদানের পরিমাণ ১ মিলিয়ন ডলারেরও কম। যা ইলন মাস্কের হাতের ময়লা!

এদিকে, নতুন রাজনৈতিক দল শুরু করার বিষয়ে মাস্কের চিন্তাভাবনা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, তিনি রাজনীতিতে জড়িত থাকার পরিকল্পনা করছেন এবং ট্রাম্পের প্রভাবকে টেক্কা দিতে চান। 

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মাস্ক নিজের এক্স একাউন্টে এক পোস্টে কংগ্রেসের রিপাবলিকানদের উদ্দেশ্যে রীতিমতো স্পষ্ট প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ‘যারা এখনও নিশ্চিত নন যে তিনি তার পক্ষে থাকবেন নাকি রাষ্ট্রপতির পক্ষে থাকবেন, তারা সিদ্ধান্ত নিন। ট্রাম্পের রাষ্ট্রপতি হিসেবে ৩.৫ বছর বাকি আছে, কিন্তু আমি ৪০ বছর ধরে থাকব।’ 

গত বছর ট্রাম্পকে জোরালোভাবে সমর্থন করলেও এবার মাস্ক তার অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। গত মার্কিন নির্বাচনে তিনি ট্রাম্পপন্থী একটি রাজনৈতিক গ্রুপ গঠন ও তাতে ২৬০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অনুদান দিয়েছিলেন। এমনকি চলতি বছরের জানুয়ারিতে ট্রাম্প তাকে ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি’ (ডোজ) এর সহ-প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন। বিশেষ এই বিভাগের কাজ ছিল, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অকার্যকর ব্যয় কমানো এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতার অবসান ঘটানো।

কিন্তু ট্রাম্পের সঙ্গে প্রকাশ্য বিবাদে জড়িয়ে এই সবকিছু থেকে সরে এসেছেন ইলন মাস্ক। এই পরিস্থিতির মধ্যেই মাস্ক তার এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে ২২ কোটি অনুসারীর মধ্যে একটি জরিপ চালান। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন—‘আমেরিকায় কি এমন একটি নতুন রাজনৈতিক দল তৈরি করার সময় এসেছে যা আসলে মাঝামাঝি অবস্থানে থাকা ৮০ ভাগ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করবে?’

এই জরিপে ৫৬ লাখের বেশি সাড়া পড়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশই মাস্কের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছেন।

এদিকে মাস্ক- ট্রাম্পের বিরোধ এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সবচেয়ে বেশি চর্চার বিষয়। মাস্ক সেখানে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জেফরি অ্যাপস্টেইনের কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আনেন এবং তার অভিশংসনের দাবিও জানান। 

এই বিরোধ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানান প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে ডেমোক্র্যাট কংগ্রেস সদস্য আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্তেজ বলেন, ‘এই দুটি বিশাল ইগো একসঙ্গে থাকার জন্য জন্মায়নি। এই বিচ্ছেদ বহু আগেই হওয়া উচিত ছিল।’

সুলতানা দিনা/

আন্দোলনকারীদের ‘পায়ে গুলি করেন’: পুলিশকে নির্দেশ কেনিয়ার প্রেসিডেন্টের

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:৩৬ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:৩৭ পিএম
আন্দোলনকারীদের ‘পায়ে গুলি করেন’: পুলিশকে নির্দেশ কেনিয়ার প্রেসিডেন্টের
ছবি: সংগৃহীত

কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন, কেউ যদি বিক্ষোভে অংশ নিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা সম্পত্তি পুড়িয়ে দেয়, তাহলে তাকে পায়ে গুলি করে অক্ষম করে দিন, তবে হত্যা নয়।

সম্প্রতি দেশজুড়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের অতিরিক্ত বলপ্রয়োগে ৩১ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কেনিয়ার রাষ্ট্রীয় মানবাধিকার কমিশনের (KNCHR) তথ্যমতে, গত সোমবারের (৭ জুলাই) বিক্ষোভেই মারা গেছে ৩১ জন, আহত হয়েছে ১০০ জনের বেশি এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫৩২ জনকে। তবে কেনিয়া পুলিশ দাবি করেছে, নিহত হয়েছে ১১ জন।

রুটো বলেন, ‘কেউ যদি অন্যের ব্যবসা বা সম্পত্তি পুড়িয়ে দেয়, তাহলে তাকে পায়ে গুলি করে হাসপাতালে পাঠান, পরে আদালতে সোপর্দ করুন। হত্যা করবেন না, তবে নিশ্চিত করুন যেন তার পা ভেঙে যায়।’

তিনি আরও বলেন, তার বিরোধীরা যেন সহিংস বিক্ষোভ বা বেআইনি উপায়ে তাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর চেষ্টা না করে। তিনি কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘আইন লঙ্ঘন করে বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে কেনিয়াকে কেউ শাসন করতে পারবে না, আমার আমলে তা কখনোই হবে না।’

তিনি উল্লেখ করেন, সরকার পরিবর্তনের একমাত্র বৈধ পথ হচ্ছে নির্বাচন। ২০২৭ সালের সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

রুটো বলেন, ‘এই দেশ কয়েকজন অধৈর্য মানুষের জন্য ধ্বংস হতে পারে না, যারা অসাংবিধানিক উপায়ে সরকার পরিবর্তন করতে চায় - তা কোনোভাবেই ঘটতে দেওয়া যাবে না।’

২০২২ সালে রুটোর সঙ্গে নির্বাচিত হয়েছিলেন সাবেক উপ-প্রেসিডেন্ট রিগাথি গাচাগুয়া। পরে সম্পর্কের অবনতি হলে তিনি অভিশংসিত হন। গাচাগুয়া বলেন, ‘আমরা রুটোকে অসাংবিধানিকভাবে সরাতে চাই না। আমরা চাই ২০২৭ সালের নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে তার মোকাবিলা করতে।’

গত মাসে পুলিশি হেফাজতে ব্লগার আলবার্ট ওজওয়াংয়ের মৃত্যুর পর থেকে কেনিয়ায় আবার উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক বছর আগে কর বৃদ্ধির প্রতিবাদে তরুণরা পার্লামেন্টে ঝড় তুলেছিল।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, তরুণদের বেকারত্ব ও চাকরির মানজনিত সংকট এই ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছে।

রুটো স্বীকার করেন, তরুণদের জন্য কাজের সুযোগের ঘাটতি রয়েছে, তবে তিনি দাবি করেন- এই সংকট তার আগেই শুরু হয়েছে এবং তার সরকার প্রথমবারের মতো বিষয়টি সমাধানে সচেষ্ট হয়েছে।

তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আগের সরকারের চেয়ে কেন আমার সময়েই এত বিশৃঙ্খলা? আমাকে আপনি যা খুশি বলতে পারেন, তবে আমি নিশ্চিত করব - কেনিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে।’

সোমবারের বিক্ষোভ ছিল কেনিয়ার দীর্ঘদিনের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের স্মরণে আয়োজিত কর্মসূচি, যা দ্রুতই প্রাণঘাতী সংঘর্ষে রূপ নেয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৪৭টি কাউন্টির মধ্যে অন্তত ১৭টিতে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

বিক্ষোভকারীরা ‘রুটো হটাও’ ও ‘ওয়ান টার্ম’ (এক মেয়াদে বিদায়) স্লোগান দেন।

KNCHR এক বিবৃতিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়াকে ‘গভীরভাবে উদ্বেগজনক’ বলে অভিহিত করেছে। সংস্থাটি বলেছে, ‘আমরা সকল মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানাই এবং পুলিশের পাশাপাশি বেসামরিক ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের দায় নিশ্চিত করার আহ্বান জানাই।’

তারা আরও জানিয়েছে, অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের হাতে সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় লুটপাট ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, রাজধানী নাইরোবির উপকণ্ঠ কিয়াম্বুতে ১২ বছরের এক শিক্ষার্থী ঘরে বসে থাকার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের মুখপাত্র রবিনা শামদাসানি বলেন, ‘এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক যে, এই হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটেছে মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে, যখন ২৫ জুন নাইরোবিসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও ১৫ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছিল।’

তিনি জানান, বিক্ষোভকারীদের ওপর প্রাণঘাতী গুলি, রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করা হয়েছে।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানায়, অজ্ঞাত হামলাকারীরা দু’টি হাসপাতালে হামলা চালিয়ে চিকিৎসা সরঞ্জাম লুট করেছে এবং হাসপাতালের কর্মীদের হয়রানি করেছে।

হত্যাকাণ্ড, সম্পত্তি ধ্বংস এবং নির্বিচার গ্রেপ্তারের বিষয়ে ধর্মীয় ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো দ্রুত, স্বতন্ত্র ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে।

বিরোধী নেতারা অভিযোগ করেছেন, সরকার পুলিশ ভ্যান দিয়ে সশস্ত্র গ্যাং সদস্যদের বিক্ষোভস্থলে পাঠিয়েছে, বিশেষ করে বিরোধী ঘাঁটিগুলোতে।

তারা প্রেসিডেন্ট রুটোর প্রশাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব ব্যবসা বর্জনের আহ্বান জানায়।

বিরোধীরা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘এই সরকার শত্রুভাবাপন্ন। তাদের সঙ্গে যুক্তিযুক্ত আলোচনা সম্ভব নয়। এই সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ চলবে। আমরা থামব না, পিছু হটব না, আত্মসমর্পণ করব না।’

কেনিয়ার প্রধান বিচারপতি মার্থা কুমে সহিংস বিক্ষোভ বন্ধে সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, এ ধরনের আন্দোলন দেশটির গণতান্ত্রিক ভিত্তিকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। সূত্র: বিবিসি

মাহফুজ/

ভারতের গুজরাটে সেতু ধসে নিহত অন্তত ১০ জন

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:০৩ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:০৪ পিএম
ভারতের গুজরাটে সেতু ধসে নিহত অন্তত ১০ জন
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় গুজরাট রাজ্যে একটি সেতু ধসে পড়ে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

গুজরাটের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুশিকেশ প্যাটেল জানান, বুধবার (৯ জুলাই) সকালে গামভিরা সেতুর একটি অংশ ধসে পড়লে কয়েকটি যানবাহন নিচে মহিসাগর নদীতে পড়ে যায়। সেতুটি রাজ্যের ভদোদরা জেলায় অবস্থিত এবং ১৯৮৫ সালে নির্মিত হয়েছিল বলেও জানান তিনি।

ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায়, সেতুর একাংশ ভেঙে পড়ার পর একটি ট্যাংকার বিপজ্জনকভাবে ঝুলে আছে। আর নিচে নদীতে উল্টে থাকা একটি ভ্যানে আটকে থাকা একজন নারীকে তাঁর ছেলের জন্য সাহায্য চেয়ে কাঁদতে শোনা যায়।

জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা অনিল ধামেলিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাস্থল থেকে এখন পর্যন্ত ১০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে বলেও তিনি জানান।

দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন।

ভারতে দীর্ঘদিন ধরেই অবকাঠামোগত নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। বিশেষ করে মহাসড়ক ও সেতুগুলোতে প্রায়ই বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে।

এর আগে ২০২২ সালে গুজরাটেই ঔপনিবেশিক আমলের একটি তারে ঝোলানো সেতু মাচ্ছু নদীতে ধসে পড়ে। সেই ঘটনায় শত শত মানুষ পানিতে পড়ে যান এবং অন্তত ১৩২ জনের মৃত্যু হয়। সূত্র: আল জাজিরা

 

পুতিনকে ট্রাম্পের সমালোচনার পর ইউক্রেনে জোরালো রুশ হামলা

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৫:৫২ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৫:৫৭ পিএম
পুতিনকে ট্রাম্পের সমালোচনার পর ইউক্রেনে জোরালো রুশ হামলা
কিয়েভ অঞ্চলে বিস্ফোরণের পর আগুন নেভাচ্ছেন দমকল কর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার সর্ববৃহৎ আকাশ হামলায় নাস্তানাবুদ ইউক্রেন। প্রেসিডেন্ট ভলোদেমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাতভর চলা হামলায় একাধিক ধাপে রাশিয়া ৭২৮টি ড্রোন ও ১৩টি ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইউক্রেনজুড়ে বিভিন্ন শহরে। এ হামলা সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় আকাশ হামলা।

এই হামলার কড়া নিন্দা করে জেলেনস্কি বলেন, ঠিক এমন এক সময়ে এই হামলা হলো যখন শান্তি প্রতিষ্ঠা ও যুদ্ধবিরতির জন্য ব্যাপক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু একমাত্র রাশিয়াই প্রতিটি শান্তি প্রচেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করে চলেছে।

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনকে নতুন করে অস্ত্র সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা দেন - যা গত সপ্তাহে স্থগিত হয়ে গিয়েছিল বলে মার্কিন গণমাধ্যমে দাবি করা হয়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ট্রাম্প নিজে এই স্থগিতাদেশ সম্পর্কে জানতেন না।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রকাশ্যে ক্ষোভ ঝাড়েন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর। সাংবাদিকদের সঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ‘আলোচনায় পুতিন আমাদের দিকে অনেক বাজে কথা ছুড়ে দেয়। সে সব সময় আমাদের সঙ্গে ভদ্রভাবে কথা বলে, কিন্তু আসলে কিছুই করে না।’

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এ বিষয়ে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি বেশ ঠান্ডা মাথায় নিচ্ছি। ট্রাম্প সাধারণত একটু রুক্ষ ভাষায় কথা বলেন।’

দুই নেতার মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ থাকলেও এখন পর্যন্ত তা ইউক্রেন সংঘাতে কোনো যুদ্ধবিরতিতে রূপ নেয়নি-যা একসময় ট্রাম্প বলেছিলেন তিনি একদিনেই বাস্তবায়ন করতে পারবেন।

গত সপ্তাহে পুতিনের সঙ্গে এক ফোনালাপের পর ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমি খুব হতাশ। সে (পুতিন) এখনো থামতে চায় না, কেবল মানুষ হত্যা করেই যাচ্ছে। এটা কোনো ভালো বিষয় না।’

ট্রাম্প প্রশাসনের ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। মার্কিন গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এই সিদ্ধান্তে সম্মতি দিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এবং প্রতিরক্ষা নীতির আন্ডার-সেক্রেটারি এলব্রিজ কলবি।

মঙ্গলবার সাংবাদিকরা ট্রাম্পের কাছ থেকে জানতে চান, ‘এই সিদ্ধান্ত কে নিয়েছিলেন? পাশে বসা হেগসেথের দিকে তাকিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি জানি না। আপনি আমাকে বলুন।’

পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার ফলে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ১০টি প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করতে পারে বলে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম Axios। ইউক্রেন এই আন্তঃবাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ব্যবহার করে রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করার চেষ্টা করছে।

যদিও পূর্ব ইউক্রেন ও রাজধানী কিয়েভ নিয়মিত হামলার মুখে পড়ে, রাশিয়ার আঘাত থেকে দেশটির কোনো অংশই রেহাই পায়নি।

মঙ্গলবার রাতের ভয়াবহ হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লুটস্ক শহর, যেটি পোল্যান্ড সীমান্ত থেকে মাত্র ৯০ কিলোমিটার দূরে এবং সামরিক ও মানবিক সহায়তা পরিবহনের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।

এছাড়া পশ্চিমাঞ্চলের লভিভ ও রিভনে শহরেও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।

চলতি বছর শুরুর দিকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দুই দফা যুদ্ধবিরতির আলোচনা হলেও এরপর আর কোনো বৈঠকের তারিখ নির্ধারিত হয়নি। কিয়েভ কিংবা মস্কো-কোনো পক্ষই বর্তমানে কূটনীতিকে আশাব্যঞ্জক পথ মনে করছে না।

এর মধ্যেই ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার গ্রীষ্মকালীন সামরিক অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পেসকভ বুধবার (৯ জুলাই) বলেন, ‘আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। প্রতিদিনই ইউক্রেনকে নতুন বাস্তবতা মেনে নিতে হচ্ছে।’ সূত্র: বিবিসি

মাহফুজ/

 

দুধ খেতে না চাওয়ায় নবজাতকে ফুটন্ত পানিতে ডুবিয়ে মারলেন মা!

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫০ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫৬ পিএম
দুধ খেতে না চাওয়ায় নবজাতকে ফুটন্ত পানিতে ডুবিয়ে মারলেন মা!
প্রতীকী ছবি

ভারতের বেঙ্গালুরুতে দুধ খেতে না চাওয়ায় হেমন্ত কুমার নামে এক মাস ৮ দিন বয়সী ছেলেকে ফুটন্ত পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেছেন রাধা নামে এক মা (২৭)। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রাধাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত সোমবার (৭ জুলাই) বিশ্বেশ্বরপুরে রাধা নামে ওই নারী তার বাবার বাড়িতে এ ভয়াবহ কাণ্ড ঘটান

পুলিশ জানায়, রাধা পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনে (প্রসবোত্তর অবসাদ) ভুগছিলেন। সময়ের আগেই ভুমিস্ট হওয়ায় দূর্বল ছিল শিশুটি। প্রায়ই দুধ খেতে চাইত না। মাঝেমধ্যেই অস্বাভাবিকভাবে কান্নাকাটি করত সে। এর ফলে অভিযুক্ত রাধা বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে শিশুটি স্বাভাবিক নয়। সেই হতাশা থেকেই তিনি চুলা জ্বালিয়ে, রান্নার পাত্রে পানি ফুটিয়ে শিশুটিকে তাতে শুইয়ে দেন।

জানা গেছে, দুবছর আগে পবন নামে এক অটোচালক তরুণের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন রাধা। মাসখানেক আগে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন তিনি। তার সাংসারিক জীবনে প্রচণ্ড অশান্তি ছিল। রাধার স্বামী মদ্যপ ও বেকার। সন্তান জন্মের পর স্বামী তার সঙ্গে থাকতেন না।

মেহেদী/ 

ভারতের জাগুয়ার যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, পাইলট নিহত

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:১৯ পিএম
ভারতের জাগুয়ার যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, পাইলট নিহত

ভারতের রাজস্থানে একটি জাগুয়ার যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে বিমানের পাইলট নিহত হয়েছেন।

বুধবার (৯ জুলাই) চুরু জেলার ভানুদা গ্রামের কাছে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

বিমানটি সুরতগড় বিমানঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করেছিল।

বিমান ভেঙে পড়তেই এলাকার বাসিন্দারা সেখানে জড়ো হন। ঘটনার একটি ভিডিও সামনে এসেছে। এতে দুর্ঘটনাস্থল থেকে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।

খবর পেয়ে পুলিশ ও প্রশাসন ঘটনাস্থলে গেছেন। 

গ্রামবাসীরা জানান, বিকট শব্দের পর বিমানটি ভেঙে পড়ে। তারপরেই বিমানে আগুন লেগে যায়। গ্রামবাসীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছিলেন। ধ্বংসস্তূপের কাছ থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই মরদেহটি পাইলটের।

ঠিক কী কারণে বিমানটি ভেঙে পড়ল সে সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।

এর আগে গত এপ্রিলে গুজরাটের জামনগরের কাছে বিমান বাহিনীর একটি জাগুয়ার যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল। এতে পাইলট সিদ্ধার্থ যাদব সহকারী পাইলটের জীবন বাঁচাতে গিয়ে নিহত হন।

প্রশিক্ষণ অভিযানের সময় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে রাত সকাল সাড়ে ৯টায় একটি খোলা মাঠে যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছিল।

সিদ্ধার্থের বাবা সুশীল যাদব ছেলের প্রতি তার গর্বের কথা জানিয়ে এনডিটিভিকে বলেন, ‘আমি খুব গর্বিত... সে অন্য একজনকে বাঁচাতে গিয়ে তার জীবন হারিয়েছে। কিন্তু এটা দুঃখেরও বিষয় কারণ সে আমার একমাত্র ছেলে ছিল।’

অমিয়/