ঢাকা ২ শ্রাবণ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২

কানাডায় লেকে ডুবে বাংলাদেশি পাইলট ও ব্যবসায়ীর মৃত্যু

প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২৫, ০২:০৬ পিএম
কানাডায় লেকে ডুবে বাংলাদেশি পাইলট ও ব্যবসায়ীর মৃত্যু
পাইলট সাইফুজ্জামান গুড্ডু (বায়ে) ও টিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লা হিল রাকিব (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত

কানাডার অন্টারিওর কাওয়ার্থা হ্রদ অঞ্চলে নৌকা ডুবে দুই বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় রবিবার (৮ জুন) দুপুরের পরে ঘটনাটি ঘটেছে স্টারজন লেকে, যা টরন্টো থেকে প্রায় ১৫৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত।

কানাডার সংবাদমাধ্যম সিটিভি নিউজ নৌকা ডুবে মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছে। তবে তাদের পরিচয়  সম্পর্কে কিছু জানায়নি।

বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে তারা হলেন, বাংলাদেশ বিমানের ক্যাপ্টেন সাইফুজ্জামান গুড্ডু, যিনি বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং ৭৮৭-এর ক্যাপ্টেন ছিলেন। অন্যজন বিজিএমইএ’র সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও টিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লা হিল রাকিব।

সিটিভি নিউজ জানায়, তিনজন পুরুষ বহনকারী একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার খবর পাওয়ার পর বিকেল ৩টার কিছু পরেই জরুরি উদ্ধারকারীদের ওই এলাকায় ডাকা হয়।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে, অন্টারিও প্রাদেশিক পুলিশের (ওপিপি) কাওয়ার্থা লেকস ডিটাচমেন্ট জানায়, নৌকাটি ডুবে যাওয়ার পর একজন সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হয়েছেন, তবে অন্য দুজন ডুবে মারা গেছেন।

ওপিপি আরও জানায়, নৌকায় কোনো লাইফ জ্যাকেট ছিল না।

জানা গেছে, সাইফুজ্জামান গুড্ডু তার স্ত্রী ও ছোট মেয়েকে নিয়ে স্থানীয় সময় শনিবার (৭ জুন) ঢাকা থেকে টরন্টো আসেন। সেখান থেকে রবিবার তারা লিনজি শহরে একটি কটেজে ওঠেন। পরে দুপুরের দিকে সাইফুজ্জামান, তার বন্ধু আব্দুল্লা হিল রাকিব ও রাকিবের ছেলে একটি ছোট নৌকা নিয়ে হ্রদে নামেন। এ সময় হ্রদের তীরে দাঁড়িয়ে সাইফুজ্জামানের স্ত্রী ও ছোট মেয়ে মোবাইলে ভিডিও করছিলেন। হঠাৎ করে নৌকাটি উল্টে যায়। এ সময় রাকিবের ছেলে সাঁতরে উঠে আসলেও সাইফুজ্জামান ও রাকিব পানিতে তলিয়ে যান। পরে উদ্ধারকারীরা তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।

রাকিব ও সাইফুজ্জামান কানাডাপ্রবাসী বাংলাদেশি অভিনেতা টনি ডায়েসের বাল্যবন্ধু ছিলেন। তিনি তার ফেসবুকে দুজনের সঙ্গে তোলা নিজের ছবিজুড়ে দিয়ে লিখেছেন, ‘এখনো এটা বিশ্বাস করতে পারছি না। আজ সন্ধ্যায় টরন্টোর কাওয়ার্থা লেকে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমার দুই বাল্যবন্ধু আব্দুল্লাহ হিল রাকিব ও সাইফুজ্জামানকে হারিয়েছি। গত বছর টরেন্টোতে আমরা তিনজন একসঙ্গে ছিলাম। অনেক স্মৃতি...অনেক হাসি...। দয়া করে তাদের আপনার প্রার্থনায় রাখুন। শান্তিতে ঘুমাও ভাইয়েরা আমার।’

অমিয়/

সকাল থেকে গাজায় নিহত ৭৪, পদদলিত হয়ে প্রাণ যায় ২০ জনের

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ১১:০৮ পিএম
সকাল থেকে গাজায় নিহত ৭৪, পদদলিত হয়ে প্রাণ যায় ২০ জনের
ছবি: সংগৃহীত

গাজা উপত্যকার মেডিকেল সূত্রগুলো জানিয়েছে, বুধবার (১৬ জুলাই) সকাল থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজা জুড়ে অন্তত ৭৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অন্তত ২০ জন ছিলেন খাদ্যসাহায্য নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে মারা যান।

দক্ষিণ গাজার খান ইউনুস এলাকায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (GHF)-এর একটি সাহায্য বিতরণ কেন্দ্রে চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যে পদদলিত হয়ে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে GHF এবং একটি স্থানীয় হাসপাতাল।

GHF জানায়, এদের মধ্যে ১৯ জন পদদলিত হয়ে এবং একজন ছুরিকাঘাতে মারা গেছেন একটি বিশৃঙ্খল ও বিপজ্জনক পরিস্থিতির মধ্যে। তারা অভিযোগ করে, ‘হামাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সশস্ত্র ব্যক্তিরা’ এই অবস্থাকে উসকে দেয়।

তবে হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার সরকারি গণমাধ্যম অফিস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং দাবি করেছে, GHF ‘অপরাধ ধামাচাপা’ দেওয়ার চেষ্টায় হামাসের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।

খান ইউনুসের নাসের হাসপাতাল জানিয়েছে, তারা এমন ২১ জনের মরদেহ গ্রহণ করেছে, যারা গ্যাসে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে এবং পদদলিত হয়ে মারা গেছে।

এই প্রথম GHF নিজেই স্বীকার করল যে তাদের পরিচালিত কোনো সাহায্য কেন্দ্রে প্রাণহানি ঘটেছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়- নাসের হাসপাতালের একটি ঠেলাগাড়িতে ৬ শিশু ও যুবকের মরদেহ রাখা, এবং একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলছেন, ‘তারা খাদ্যের জন্য মারা গেছে। শিশুদের কী দোষ ছিল?’

তিনি বলেন, ‘GHF-এর দরজার সামনে ও পেছনে তারা লোহার বেড়া বসায়। ছেলেরা সামনের দিকে ছিল, আর পেছনের মানুষজন চাপে তাদের উপর দিয়ে হেঁটে যায়।’ আর এতেই এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২১ বছর বয়সী আহত যুবক মাহমুদ ফুজো রয়টার্সকে বলেন, ‘আমি যখন সাহায্যকেন্দ্রে পৌঁছাই, তখন দেখলাম গেট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। লোকজন গাদাগাদি করতে থাকে। কেউ চাপ সহ্য করতে না পেরে পড়ে যায় এবং তাদের পিষে ফেলা হয়।’

GHF–এর এক মুখপাত্র এসব অভিযোগ ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

GHF ইসরায়েলি সেনা নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে বেসরকারি নিরাপত্তা বাহিনী ব্যবহার করে সাহায্য বিতরণ করে। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র বলছে, হামাস যাতে ত্রাণ লুট করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা।

জাতিসংঘ এই ব্যবস্থার সমালোচনা করেছে এবং বলেছে, এটি অনৈতিক।

GHF গত মে মাসের শেষ থেকে কার্যক্রম শুরু করার পর থেকেই প্রায় প্রতিদিনই খাদ্য নিতে গিয়ে ফিলিস্তিনিদের নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, তাদের অনেকেই ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে মারা গেছেন।

জাতিসংঘ মানবাধিকার দপ্তর জানায়, গত ছয় সপ্তাহে GHF-এর দক্ষিণ ও মধ্য গাজার চারটি বিতরণকেন্দ্রের আশপাশে মোট ৬৭৪ জন নিহত হয়েছেন। আর জাতিসংঘ ও অন্যান্য সংস্থার ত্রাণ বহরের রুটে আরও ২০১ জন নিহত হওয়ার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের গাজা যুদ্ধ এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৮ হাজার ৫৭৩ জনকে হত্যা করেছে এবং ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬০৭ জনকে আহত করেছে।

অন্যদিকে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে ইসরায়েলে চালানো হামলায় আনুমানিক ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হন এবং ২০০-র বেশি মানুষকে জিম্মি করে নেওয়া হয়। সূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি

 

সিরিয়ার সেনাবাহিনীর দপ্তর গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫২ পিএম
সিরিয়ার সেনাবাহিনীর দপ্তর গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল
ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে যে, তারা সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর এবং প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের নিকটবর্তী একটি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।

টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, দক্ষিণ সিরিয়ায় দ্রুজ সম্প্রদায়ের বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সিরীয় শাসকগোষ্ঠীর কার্যক্রম এবং অন্যান্য পরিস্থিতির উপর সেনাবাহিনী নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক নেতৃত্বের নির্দেশনা অনুযায়ী ওই এলাকায় হামলা চালানো হচ্ছে এবং ভবিষ্যতের সম্ভাব্য পরিস্থিতির জন্য সেনাবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।

সিরিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানা গেছে, দামেস্কে ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত একজন নিহত এবং ১৮ জন আহত হয়েছেন। সূত্র: আল জাজিরা

 

সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের বাসভবনে ইসরায়েলি হামলা, দ্রুত সরে যাওয়ার আহ্বান

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৭:৪৯ পিএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৭:৫৯ পিএম
সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের বাসভবনে ইসরায়েলি হামলা, দ্রুত সরে যাওয়ার আহ্বান
ছবি: সংগৃহীত

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল শারা ও সেনাপ্রধানের (জেনারেল স্টাফ) প্রাসাদে ইসরায়েলের হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তুরস্কের তরফ থেকে প্রেসিডেন্ট আল শারাকে দ্রুত প্রাসাদ ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে।

বুধবার (১৬ জুলাই) সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কজুড়ে অবিরাম বিমান হামলায় সামরিক সদর দপ্তর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অফিসসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। বাদ যায়নি প্রেসিডেন্ট ও সেনাপ্রধানের বাসভবন। হামলায় প্রকৃত হতাহতের সংখ্যা এখনো জানা যায় নি।

সিরিয়ার সুইদা প্রদেশে দ্রুজদের সঙ্গে সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর সংঘাতকে কেন্দ্র করে দ্রুজদের পক্ষ নিয়ে সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে এ হামলা পরিচালনা করা হচ্ছে। 

ইসরায়েল বলছে এটি সতর্কবার্তা দেওয়ার জন্য করা হয়েছে। কথা না শুনলে প্রেসিডেন্ট আল-শারাকে টার্গেট করা হবে। সুওয়াইদার ঘটনাবলী নিয়ে সিরিয়ান সরকারের সঙ্গে সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাটজ এক বিবৃতিতে বলেন, সিরিয়ান সরকারকে সুয়াইদার দ্রুজ সম্প্রদায়কে একা ছেড়ে দিতে হবে এবং তাদের বাহিনীকে অঞ্চলটি থেকে প্রত্যাহার করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছি, ইসরায়েল সিরিয়ার দ্রুজ জনগণকে ত্যাগ করবে না এবং আমরা যে ‘অসামরিককরণ নীতি’ গ্রহণ করেছি তা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করব।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্ট দক্ষিণ সিরিয়ায় জরুরি সামরিক হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সিরিয়ার সীমান্তে আরও দুইটি সামরিক কোম্পানি মোতায়েন করেছে। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার একটি কোম্পানি মোতায়েন করেছিল।

এদিকে সিরিয়ার দ্রুজ অধ্যুষিত এলাকায় দ্রুজ মিলিশিয়ারা ইসরায়েলি পতাকা উড়িয়েছে। 

সিরিয়ায় থাকা তুরস্ক তার সমস্ত ঘাঁটিতে জরুরি সতর্কতা অবস্থা জারি করেছে।


বিস্তারিত আসছে…

ইয়েমেনে ভারতীয় নার্সের ফাঁসি পেছানোর নেপথ্যে মুফতি মুসলিয়ার

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০২:২৪ পিএম
ইয়েমেনে ভারতীয় নার্সের ফাঁসি পেছানোর নেপথ্যে মুফতি মুসলিয়ার
নিমিশা প্রিয়া

ইয়েমেনে বন্দি ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার কথা ছিল আজ (১৬ জুলাই)। তবে তা স্থগিত করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং ভারতের গ্র্যান্ড মুফতি কাঁথাপুরম এপি আবুবকর মুসলিয়ার হস্তক্ষেপে নিমিশার মৃত্যুদণ্ড পিছিয়েছে।

এর ফলে নিমিশার পরিবার আপাতত কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে।

বর্তমানে নিমিশা হুথি নিয়ন্ত্রিত একটি কারাগারে বন্দি। হুথিদের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও নিমিশার জন্য আশার আলো দেখা দিয়েছে ভারতের গ্র্যান্ড মুফতির চেষ্টায়।

ভারতের এই সুন্নি মুসলিম নেতা ইয়েমেনের কিছু ইসলামিক স্কলারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে তারা নিমিশার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে দেশটির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাক্ষাত করে আলোচনা করেন।

এর আগে জানা গিয়েছিল, আবুবকর মুসলিয়ারের নির্দেশে এক সুফি আলেমের প্রতিনিধি এবং খুন হওয়া ব্যক্তির পরিবারের এক সদস্যের মধ্যে কথাবার্তা হয়। পাশাপাশি, অন্য পক্ষের সঙ্গে পারস্পরিক সম্মতিতে একটি সমাধানে পৌঁছাতে প্রিয়ার পরিবারকে বাড়তি সময় দেওয়ার চেষ্টা করছে ভারত।

ভারতের কর্মকর্তারাও ইয়েমেনের কারা কর্তৃপক্ষ এবং প্রসিকিউটর অফিসের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছিলেন, ফলে শেষ পর্যন্ত আজকের মতো নিমিশার মৃত্যু স্থগিত করা সম্ভব হয়।

ইয়েমেনের শরিয়া আইনে ‘ব্লাড মানি’ একটি গ্রহণযোগ্য বিধান। এই হিসাবে নিমিশার পরিবার ভুক্তভোগীর পরিবারকে আট কোটি ৬০ লাখ টাকা দিতে ইচ্ছুক ছিল।

মুসলিয়ার বলেন, ‘ইসলামে হত্যার পরিবর্তে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রথা রয়েছে। আমি তাদের তা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করেছি।’

গ্র্যান্ড মুফতিকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানায়, নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড স্থগিত হওয়ায় আপাতত স্বস্তি পেলেও তা পুরোপুরি এড়াতে এবং তাকে নিরাপদে ভারতে ফেরানোর পথ এখনও অনেকটাই দীর্ঘ।

অমিয়/

হোয়াইট হাউসের দেয়াল পেরিয়ে ‘উড়ে এল ফোন’, শোরগোল-লকডাউন

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০১:৩৫ পিএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০১:৪৭ পিএম
হোয়াইট হাউসের দেয়াল পেরিয়ে ‘উড়ে এল ফোন’, শোরগোল-লকডাউন
ছবি: সংগৃহীত

হোয়াইট হাউসের সামনের গেটের নিরাপত্তা বেষ্টনী পেরিয়ে হঠাৎ করে ছুঁড়ে ফেলা হয় একটি মোবাইল ফোন। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) এই ঘটনার পর নিরাপত্তাজনিত কারণে সিক্রেট সার্ভিস হোয়াইট হাউসের সামনের লনটি কিছুক্ষণের জন্য লকডাউন করে দেয়। 

মার্কিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, দেয়ালের উপর দিয়ে একটি অজ্ঞাত বস্তু (মোবাইল ফোন) উত্তর লনে ছুঁড়ে মারা হয়। এর প্রতিক্রিয়ায়, সিক্রেট সার্ভিস দ্রুত হোয়াইট হাউস এবং পার্ক সংলগ্ন এলাকা লকডাউন করে দেয়। এছাড়া, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে পেনসিলভেনিয়া অ্যাভিনিউ বন্ধ করে দেয়। 

অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি ফোনটি হোয়াইট হাউসে ছুড়েছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টা নাগাদ। ওই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায় হোয়াইট হাউসে। নিরাপত্তা মূলক ব্যবস্থা হিসেবে কিছুক্ষণের জন্য লকডাউন জারি করা হয় সেখানে। অজ্ঞাতপরিচয় ওই ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস।

দুপুরের দিকে হোয়াইট হাউসের প্রেস পুলের সদস্যরা শিক্ষা সচিব লিন্ডা ম্যাকমাহনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সেই সময়ই এই ঘটনাটি ঘটে। তবে সঙ্গে সঙ্গেই পদক্ষেপ নেয় মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস। সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা হিসেবে সাংবাদিকদের জেমস এস ব্র্যাডি ব্রিফিং রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পরেই সাময়িক ভাবে জারি করা হয় লকডাউন। এমনকী, যান চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয় পেনসিলভেনিয়া অ্যাভিনিউতে। এ ছাড়াও হোয়াইট হাউসের নর্থ লনে প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

তবে অল্প সময়ের মধ্যেই পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়। স্থানীয় সময় সকাল ১১:৫৬ মিনিটে লকডাউন তুলে নেওয়া হয়। সাংবাদিকদের নর্থ লনে ফিরে আসার অনুমতি দেওয়া হয়। দুপুরের মধ্যে সংবাদকর্মীরা হোয়াইট হাউসের পাম রুমে পুনরায় জড়ো হন। প্রেসিডেন্টের পূর্ব নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী সমস্ত কাজও হয়। এর পরে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরে আসে হোয়াইট হাউস।

এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত হোয়াইট হাউসের তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

সুলতানা দিনা/