ঢাকা ২৫ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
English

যে কারণে ইরানে আক্রমণ করল ইসরায়েল

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ০৩:৫১ পিএম
আপডেট: ২৩ জুন ২০২৫, ০৪:৪৭ পিএম
যে কারণে ইরানে আক্রমণ করল ইসরায়েল
ছবি: সংগৃৃহীত

ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সংঘর্ষ যতই দিন গড়াচ্ছে উভয়পক্ষের হতাহতের সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। ইরানে কমপক্ষে ৪৩০ জনের বেশি নিহত এবং সাড়ে তিন হাজার আহত হয়েছেন। তাছড়া ইসরায়েলে কমপক্ষে ২৪ জন নিহত এবং অনেক আহত হয়েছেন। ইরানের মারাত্মক প্রতিক্রিয়া সত্ত্বেও ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলছেন, ইরানের বিভিন্ন পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানো প্রয়োজন ছিল।

ইসরায়েলি জনসাধারণের কাছে বেশ কিছু যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু ইসরায়েলি সরকার কেন একতরফা, বিনা প্ররোচনায় আক্রমণ চালানোর সিদ্ধান্ত নিল তার প্রকৃত কারণ কেউই ব্যাখ্যা করেননি।

ইসরায়েল সরকার দাবি করে, এই হামলা একটি ‘প্রতিরোধমূলক’ অভিযান, যার উদ্দেশ্য ইরানের পক্ষ থেকে পারমাণবিক বোমা তৈরির তাৎক্ষণিক, অনিবার্য হুমকি মোকাবেলা করা।

এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই বলে মনে হচ্ছে। ইসরায়েলের হামলা নিঃসন্দেহে দীর্ঘ সময় ধরে সতর্কতার সঙ্গে পরিকল্পনা করা হয়। 

একটি প্রতিরোধমূলক আক্রমণের ক্ষেত্রে আত্মরক্ষার উপাদান থাকতে হয়, যা আবার একটি জরুরি পরিস্থিতি থেকে উদ্ভূত হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে এমন কোনো জরুরি পরিস্থিতির অস্তিত্ব পরিলক্ষিত হচ্ছে না।

এ ছাড়াও, ইসরায়েল বলেছে যে, আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) কর্তৃক ১২ জুন প্রকাশিত প্রতিবেদন, যা ২০০০ সালের শুরুর দিক পর্যন্ত পরমাণু অস্ত্র বিস্তার নিষেধাজ্ঞা চুক্তির (এনপিটি) প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘনের জন্য ইরানকে অভিযুক্ত করে, সেটিই জরুরি পরিস্থিতি তৈরি করেছে। কিন্তু আইএইএ মনে হচ্ছে এই দাবি প্রত্যাখ্যান করছে। কারণ, প্রতিবেদনে এমন কিছুই ছিল না যা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর আগে জানা ছিল না।

ইসরায়েল সরকার ‘প্রতিরোধমূলক’ হামলার ধারণার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত হয়েও দাবি করেছে যে, তারা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে ‘অগ্রভাগে আঘাত’ করে ধ্বংস করতে চায়। তবে গবেষক ও নীতিনির্ধারকদের মধ্যে সাধারণভাবে এই ব্যাপারে একমত রয়েছে যে, ইসরায়েলের পক্ষে এককভাবে এমন হামলা চালিয়ে ইরানের পুরো পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস করা সম্ভব নয়।

এই অভিযানের ধরণ দেখে মনে হচ্ছে, ইসরায়েল কখনোই ইরানের পারমাণবিক কর্মকাণ্ড ধ্বংস করার ইচ্ছা পোষণ করেনি। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি থেকে শুরু করে গ্যাসক্ষেত্র এবং তেলের ডিপো পর্যন্ত বিভিন্ন সামরিক ও সরকারি লক্ষ্যবস্তুতে বোমা হামলা চালিয়েছে। তারা ইরানের জ্যেষ্ঠ সামরিক নেতাদের ওপরও একাধিক হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন ছিলেন প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা আলী শামখানি, যদিও ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এবং সরকার এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। গত কয়েক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনায় শামখানি একজন শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব বলে মনে করা হচ্ছে।

এই হত্যাকাণ্ড, যেমনটি অন্যদের ক্ষেত্রেও হয়েছে, ইসরায়েলের একটি পছন্দের কৌশল বা অভ্যাসকে প্রতিফলিত করে। ইসরায়েল প্রায়ই নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের ‘বিলুপ্ত’ করার চেষ্টা করে এই আশায় যে, তাদের মৃত্যু সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ব্যবস্থার ভেঙে পড়ার কারণ হবে। শামখানির মৃত্যু ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার আলোচনা ভঙ্গের একটি প্রচেষ্টা হিসেবেও বিবেচিত হতে পারে। যেকোনো ভাবেই হোক, এই ধরনের হত্যাকাণ্ড ইসরায়েলের একটি সুপরিকল্পিত পদক্ষেপের ইঙ্গিত দেয়, যার উদ্দেশ্য হলো ইরানের সরকারের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড ও প্রক্রিয়ার প্রতিটি স্তরে নিজের শক্তি প্রদর্শন। এটি ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির কোনো ‘অগ্রভাগে আঘাত’ বা ‘নেতৃত্বচ্ছেদ’ নয়।

তৃতীয় যে ব্যাখ্যাটি দেওয়া হচ্ছে তা হলো - ইসরায়েলের লক্ষ্য তেহরানে ‘শাসন পরিবর্তন’ প্রক্রিয়া শুরু করা। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ‘ইরানের গর্বিত জনগণকে’ ‘একটি দুষ্ট ও দমনমূলক শাসন থেকে মুক্তির জন্য’ দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

ইরানিদের ওপর একতরফাভাবে এবং ধারাবাহিকভাবে বোমাবর্ষণ করে তাদের দিয়ে ইসরায়েলের ইচ্ছানুযায়ী কাজ করিয়ে নেওয়া যাবে। এই ধারণাটি এমন এক কল্পনার মতো, যেমনটি ধরে নেয় যে, যদি ইসরায়েল গাজায় ফিলিস্তিনিদেরকে পর্যাপ্ত মাত্রায় অনাহারে রেখে নিধন করে, তাহলে তারা হামাসের বিরুদ্ধে উঠে দাঁড়িয়ে একে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেবে।

যদি তাই হতো, তবুও এই ধারণা যে ইরানিরা কেবল ইসরায়েলের একটি হামলার অপেক্ষায় আছেন যেন তারা শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারে - এটি ইরানের রাজনীতিকে চালিত করা শক্তিগুলোর প্রতি গভীর অজ্ঞতার পরিচয় দেয়। যদিও অনেক ইরানি নিঃসন্দেহে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের বিরোধিতা করে, তবুও সব মতাদর্শের ইরানিরাই ধারাবাহিকভাবে ‘দেশপ্রেমিক’। তারা ইরানের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার পক্ষে অটল, এবং বিদেশি শক্তির অ্যাজেন্ডা চাপিয়ে দেওয়ার যেকোনো চেষ্টার বিরুদ্ধে তারা অবস্থান নেয়।

প্রকৃতপক্ষে যেমনটি দেখা গেছে, অনেক ইসরায়েলি, যারা নিজেদেরকে নেতানিয়াহুর কঠোর সমালোচক হিসেবে বিবেচনা করেন, ইসরায়েলের হামলা শুরু হওয়ার পরই সতর্ক হয়ে উঠেছে। তারা এখন প্রকাশ্যে সরকারের প্রতি সমর্থন দিচ্ছেন। সবচেয়ে স্পষ্টভাবে সমর্থন দিচ্ছেন সংসদের ‘বিরোধী দলের’ সদস্যরাও।

তেমনি ইসলামি প্রজাতন্ত্রের বহু বিরোধীও এখন জাতীয় পতাকার পেছনে একত্রিত হয়ে ইরানের লঙ্ঘিত সার্বভৌমত্বের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন। ইসরায়েলের আক্রমণ কেবল একটি গণবিপ্লবের ‘ভিত্তি তৈরি করছে’ বলে দাবি করা এক ধরনের নির্লজ্জ রাজনৈতিক চাতুরি।

শুধু এসব কারণেই ইসরায়েল ইরানে আক্রমণ করেনি। তাহলে আক্রমণের কারণ কী?

গাজায় চলমান গণহত্যার প্রেক্ষাপটে, নেতানিয়াহু ভালভাবেই জানেন যে তার সরকারের কৌশলগত বিকল্পগুলো দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং আঞ্চলিক মিত্ররা প্রকাশ্যে ইসরায়েলের সমালোচনা করতে শুরু করেছে। কেউ কেউ একতরফাভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে, যেমন- ফিলিস্তিনিকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়া।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) পক্ষ থেকে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি এখন কেবল সময়ের ব্যাপার। আর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) দখলদারত্বের আইনি বৈধতা নিয়ে রায় অপেক্ষমাণ। ইসরায়েল এবং এর সামরিক বাহিনী বারবার হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, তা অস্বীকার করেছে, এবং পরবর্তীতে প্রমাণিত হয়েছে তারা মিথ্যা বলেছে।

নেতানিয়াহু যে ইরানে হামলার পরিকল্পনা বহু বছর ধরে করছিলেন, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি কেবল উপযুক্ত সময়ের অপেক্ষায় ছিলেন। সেই সময়টি এল ১৩ জুন (শুক্রবার)। এটি এক ধরনের মরিয়া প্রচেষ্টা, যাতে বিশ্বকে আবার ইসরায়েলের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ করা যায়। এটি ঠিক তখনই শুরু করা হয়েছে যখন বিশ্বের নানা জায়গায় ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের দায়মুক্তি শেষ করার প্রস্তুতি চলছে।

ইরানকে এখনো গ্লোবাল নর্থের অনেক বড় শক্তি হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে। একতরফাভাবে প্রাণঘাতী হামলা চালানোর ক্ষেত্রে ইসরায়েলের পরিচিত ভাষ্য - ঈশ্বরপ্রদত্ত প্রতিশ্রুতি থেকে শুরু করে হলোকাস্ট পর্যন্ত - নেতানিয়াহু এসব পুনরুজ্জীবিত করে বিশ্বব্যবস্থায় আগের মতোই ইসরায়েলকে স্বাধীনভাবে সবকিছু করার অধিকার ফিরিয়ে আনতে চেয়েছেন।

এই ‘নিরাপত্তা’ হলো ইসরায়েলের বর্তমান সংজ্ঞা - যা এর অস্তিত্বের মূলনীতির অন্যতম। এটি হলো একটি আপাত অরাজনৈতিক ভিত্তি, যা ইসরায়েলিত্বের জন্মস্থল, যেখানে পূর্ণভাবে ইহুদি আধিপত্যের ধারণা নিবেদিত। কারণ ‘নিরাপত্তা’ মানেই - ইসরায়েল চাইলে যাকে খুশি, যখন খুশি, যেখানে খুশি হত্যা করতে পারবে, এবং এর কোনো মূল্য দিতে হবে না।

এই ‘নিরাপত্তা’ই ইসরায়েলের কার্যক্রম চালিয়েছে গাজা থেকে ইয়েমেন, লেবানন, সিরিয়া এবং এখন ইরান পর্যন্ত। এ ধরনের ‘নিরাপত্তা ব্যবস্থা’ অবশ্যই সম্প্রসারিত হতে থাকে। এটি কখনো থেমে থাকতে পারে না। ইরানে হামলা চালিয়ে নেতানিয়াহু যেন সর্বস্ব ঝুঁকিতে ফেলেছেন। চেষ্টা করছেন ইসরায়েলের এবং নিজের জন্য পরম দায়মুক্তির দাবি প্রতিষ্ঠা করতে। তা হেগে হোক বা দেশের অভ্যন্তরীণ আদালতে।

এটাই কি হবে নেতানিয়াহুর মুক্তির পথ? ইসরায়েলি জনগণ কি তাকে দেশে ব্যর্থতা ও গাজায় ভয়াবহ অপরাধের জন্য ক্ষমা করে দেবে? বর্তমান ইসরায়েলি গণমাধ্যম ও জনমনে উদ্দীপনার যে ঢেউ দেখা যাচ্ছে, তাতে এমন সম্ভাবনা অস্বীকার করা যায় না।

প্রতিটি খোলা দোকানে, হার্ডওয়ার থেকে খাদ্যদ্রব্য পর্যন্ত দীর্ঘ লাইন প্রমাণ করে - ইসরায়েলিরা এখন নিছক টিকে থাকার মনোভাব নিয়ে চলছে। একটি নিঃশব্দ, বশ্যতাপূর্ণ নাগরিক সমাজ নেতানিয়াহুর জন্য সুবিধাজনক হতে পারে কিন্তু এটি একটি শক্তিশালী ও প্রতিরক্ষাযোগ্য ইসরায়েলি সমাজ গঠনের জন্য অশনিসংকেত। সূত্র: আল-জাজিরা

লেখক: ওরি গোল্ডবার্গ
নিরপেক্ষ বিশ্লেষক

অমিয়/

ইরানকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করল চীন

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৯:৩০ পিএম
ইরানকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করল চীন
চীনের তৈরী এইচকিউ-৯ আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র। ছবি: সংগৃহীত

ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা চীনের কাছ থেকে হাতে পেয়েছে ইরান। ইসরায়েলের সঙ্গে টানা ১২ দিনের সংঘাতের পর আকাশ প্রতিরক্ষা আরও জোরদার করতে তেহরান তার অস্ত্রভাণ্ডার সমৃদ্ধ করার পদক্ষেপ নিয়েছে।

মিডল ইস্ট আই-কে এক আরব গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, গত ২৪ জুন ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির পর তেহরানে পৌঁছেছে চীনের তৈরি ওই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক আরব কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র রাষ্ট্রগুলো আগে থেকেই জানত যে ইরান তার আকাশ প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই অগ্রগতি সম্পর্কে হোয়াইট হাউসকেও জানানো হয়েছে।

তবে যুদ্ধবিরতির পর চীন থেকে ইরান ঠিক কতগুলো ক্ষেপণাস্ত্র পেয়েছে, এবং কোন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র পেয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য দেননি সংশ্লিষ্ট কেউ। তবে এক আরব কর্মকর্তা জানান, ইরান তেলের বিনিময়ে এসব ক্ষেপণাস্ত্র সংগ্রহ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ইরানের সবচেয়ে বড় তেল ক্রেতা হচ্ছে চীন। মার্কিন জ্বালানি তথ্য সংস্থা ইউএস এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মে মাসে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ইরানের প্রায় ৯০ শতাংশ অপরিশোধিত তেল ও কনডেনসেট রপ্তানি হয় চীনে। উল্লেখ্য, কনডেনসেট হলো প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনের সময় সংগৃহীত হালকা তরল জ্বালানি।

দ্বিতীয় আরব কর্মকর্তা বলেন, নিষেধাজ্ঞা এড়াতে ইরান বিভিন্ন সৃজনশীল কৌশলে বাণিজ্য করে থাকে। এই সামরিক চালান চীন-ইরান সম্পর্কের গভীরতাকেই নির্দেশ করে।

বর্তমানে ইরান রাশিয়ার তৈরি এস-৩০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করছে, যা বিমান ও ড্রোন ধ্বংসের পাশাপাশি কিছুটা ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতেও সক্ষম। পাশাপাশি চীনের পুরোনো ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার পাশাপাশি ইরান নিজেদের তৈরি খোরদাদ সিরিজ এবং বাভার-৩৭৩ ব্যবস্থাও ব্যবহার করছে। সূত্র: মিডল ইস্ট আই

 

তালেবানের ২ শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৯:০৮ পিএম
তালেবানের ২ শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
ছবি: সংগৃহীত

নারী ও মেয়েদের ওপর নিপীড়নের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) তালেবানের শীর্ষ দুই নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) আইসিসির বিচারকরা জানিয়েছেন, তালেবান সুপ্রিম লিডার হিবতুল্লাহ আখুন্দজাদা এবং প্রধান বিচারপতি আবদুল হাকিম হাক্কানির বিরুদ্ধে লিঙ্গভিত্তিক নিপীড়নের অভিযোগে মামলা চালানোর মতো ‘যুক্তিসঙ্গত প্রমাণ’ রয়েছে।

এক বিবৃতিতে আদালত জানায়, ‘তালেবান সমগ্র জনগণের ওপর কিছু নিয়ম ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও তারা বিশেষভাবে নারীদের লক্ষ্যবস্তু করেছে কেবলমাত্র তাদের লিঙ্গের কারণে এবং তাদের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করেছে।’

আইসিসির বিচারকরা বলেন, ‘তালেবান মেয়েদের শিক্ষা, গোপনীয়তা ও পারিবারিক জীবনের অধিকার এবং চলাফেরা, মতপ্রকাশ, চিন্তা, বিবেক ও ধর্মের স্বাধীনতা থেকে চরমভাবে বঞ্চিত করেছে।’

তারা আরও জানান, এছাড়া, এমন কিছু ব্যক্তিকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে যাদের যৌনতা ও লিঙ্গ পরিচয়ের কিছু অভিব্যক্তি তালেবানের লিঙ্গনীতি পরিপন্থী বলে মনে হয়েছে।

আদালতের মতে, এসব অপরাধ ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট তালেবান ক্ষমতা দখলের সময় থেকে শুরু হয়ে ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।

নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত আইসিসি বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ অপরাধ যেমন যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করে। তবে আদালত নিজস্ব কোনো পুলিশ বাহিনী চালায় না এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ওপর নির্ভর করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে - যার ফলাফল মিশ্র।

বিধি অনুযায়ী, আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আওতাভুক্ত কোনো ব্যক্তি সদস্য রাষ্ট্রে ভ্রমণ করলে তাকে গ্রেপ্তার হওয়ার ঝুঁকি নিতে হয়। সূত্র: আল জাজিরা

মাহফুজ/

গাজার সব বাসিন্দাকে ‘ক্যাম্পে বন্দি’ করার পরিকল্পনা ইসরায়েলের

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৬:৫২ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৬:৫৩ পিএম
গাজার সব বাসিন্দাকে ‘ক্যাম্পে বন্দি’ করার পরিকল্পনা ইসরায়েলের
ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ জানিয়েছেন, গাজার সব ফিলিস্তিনিকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের একটি শিবিরে স্থানান্তরের জন্য সামরিক বাহিনীকে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। দেশটির গণমাধ্যমগুলো সোমবার (৭ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছে।

কাটজ সাংবাদিকদের বলেন, রাফাহ শহরের ধ্বংসস্তূপের ওপর একটি ‘হিউম্যানিটারিয়ান সিটি’ অর্থাৎ মানবিক আশ্রয় শিবির হিসেবে একটি এলাকা গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে তার, যেখানে প্রাথমিকভাবে প্রায় ৬ লাখ ফিলিস্তিনিকে রাখা হবে, এবং পরে গাজার পুরো ২১ লাখ জনগোষ্ঠীকে সেখানে স্থানান্তর করা হবে।

ইসরায়েল কাটজ জানান, সবার আগে নিরাপত্তা যাচাই করে নিশ্চিত করা হবে তারা হামাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। যাচাইয়ের পর তাদের ভেতরে আনা হবে এবং বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, যদি পরিস্থিতি অনুকূল হয়, তাহলে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে প্রস্তাবিত ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির সময় এই নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।

এ পরিকল্পনাকে এক ইসরায়েলি মানবাধিকার আইনজীবী সরাসরি ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের একটি প্রক্রিয়াগত পরিকল্পনা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

মানবাধিকার আইনজীবী মাইকেল স্ফার্ড ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানকে বলেন, এটা গাজার দক্ষিণ প্রান্তে জনগণকে স্থানান্তরের মাধ্যমে পরবর্তীতে তাদের বহিষ্কারের প্রস্তুতি।

জাতিসংঘও এর আগে সতর্ক করেছে, কোনো দখলকৃত ভূখণ্ডের বেসামরিক জনগোষ্ঠীকে জোরপূর্বক স্থানান্তর বা বহিষ্কার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের পরিপন্থী এবং ‘জাতিগত নির্মূলের শামিল’।

এ বিষয়ে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা হামাসের পক্ষ থেকে কোনো তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

এদিন পরে, হোয়াইট হাউসে এক বৈঠকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবের কথা বলেন, যেখানে যুদ্ধোত্তর গাজা শাসনে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ ও ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র স্থায়ীভাবে পুনর্বাসনের কথা বলা হয়েছে।

নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমি মনে করি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি অসাধারণ। এটা 'স্বাধীন পছন্দ' নামে পরিচিত। কেউ থাকতে চাইলে থাকুক, আর কেউ যদি চলে যেতে চায়, তাহলে তাদের যাওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত… আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি এমন দেশ খুঁজতে, যারা ফিলিস্তিনিদের জন্য ভালো ভবিষ্যৎ চায়।’

ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা আশেপাশের দেশগুলোর কাছ থেকে অসাধারণ সহযোগিতা পেয়েছি… প্রতিটি দেশের কাছ থেকেই দারুণ সমর্থন এসেছে। তাই, কিছু ভালোই ঘটবে।’

গত মার্চে আরব রাষ্ট্রগুলো ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিকল্প হিসেবে মিশরের ৫৩ বিলিয়ন ডলারের গাজা পুনর্গঠন পরিকল্পনাকে সমর্থন করে, যেখানে ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূমিতেই থেকে যাওয়ার সুযোগ থাকবে।

তারা একে ‘ফিলিস্তিনি জনগণের যেকোনো প্রকার স্থানান্তরের ঘোরতর বিরোধতা’ বলে অভিহিত করে এবং এটিকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং জাতিগত নির্মূল’ হিসেবে আখ্যায়িত করে।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং হামাস মিশরের এই পরিকল্পনাকে সমর্থন জানালেও, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল বলেছে, এ পরিকল্পনা গাজার বাস্তবতা বিবেচনায় নেয়নি।

এদিকে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ভয় বাড়ছে আরেকটি নাকবার আশঙ্কায়। আরবি ভাষায় যার অর্থ ‘বিপর্যয়’, যখন ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র গঠনের আগে ও পরে লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান বা উৎখাত হন।

সেই সময়ের অনেক শরণার্থীই গাজায় এসে আশ্রয় নেন, এবং তাদের সন্তান-সন্ততিসহ তারা গাজার মোট জনসংখ্যার প্রায় তিন-চতুর্থাংশ। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, আরও ৯ লাখ নিবন্ধিত শরণার্থী পশ্চিম তীরে এবং ৩৪ লাখ ফিলিস্তিনি জর্ডান, সিরিয়া ও লেবাননে বাস করছেন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন সীমান্ত পেরিয়ে হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হলে, ইসরায়েল হামাসকে নিশ্চিহ্ন করতে সামরিক অভিযান শুরু করে।

হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, এরপর থেকে গাজায় ৫৭ হজার ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

গাজার অধিকাংশ মানুষ একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। বাড়িঘরের ৯০ শতাংশেরও বেশি ধ্বংস হয়েছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে স্বাস্থ্যব্যবস্থা, পানি, স্যানিটেশন এবং পরিচ্ছন্নতা ব্যবস্থা। তীব্র সংকটে রয়েছে খাদ্য, জ্বালানি, ওষুধ ও আশ্রয়। সূত্র: বিবিসি

মাহফুজ/

 

কায়রোর টেলিকম ভবনের আগুনে নিহত ৪, ব্যাহত ইন্টারনেট ও ফোন সেবা

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৫:২৯ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৫:২৯ পিএম
কায়রোর টেলিকম ভবনের আগুনে নিহত ৪, ব্যাহত ইন্টারনেট ও ফোন সেবা
ছবি: সংগৃহীত

মিশরের রাজধানী কায়রোয় একটি প্রধান টেলিকমিউনিকেশন ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে চারজন কর্মী নিহত হয়েছেন এবং অন্তত ২২ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন মিশরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হোসাম আবদেল ঘাফফার।

সোমবার (৭ জুলাই) টেলিকম ইজিপ্টের (Telecom Egypt) একটি গুরুত্বপূর্ণ ডেটা সেন্টারে আগুন লাগার ঘটনায় কায়রোর বিভিন্ন এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে জানানো হয়, আগুন সোমবারই নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে মিশরের যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী আমর তালাত জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধাপে ধাপে সব সেবা স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

টেলিকম ইজিপ্ট মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে নিহত কর্মীদের জন্য শোক প্রকাশ করে এবং তাদের পরিবারকে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

আগুনের কারণে ফোন কল ও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ইন্টারনেট পর্যবেক্ষণ সংস্থা Netblocks জানায়, আগুনের পর জাতীয় ইন্টারনেট সংযোগ স্বাভাবিকের তুলনায় ৬২ শতাংশে নেমে আসে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, যারা জরুরি অ্যাম্বুলেন্স সেবা পেতে হটলাইন নম্বরে পৌঁছাতে পারছেন না, তাদের জন্য বিকল্প নম্বর চালু করা হয়েছে।

ফোন সেবা ছাড়াও, এই অগ্নিকাণ্ডের প্রভাবে কিছু ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা, যেমন ক্রেডিট কার্ড, এটিএম মেশিন এবং অনলাইন লেনদেন ব্যাহত হয় বলে সোমবার জানিয়েছেন ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা ও স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে সেদিন ব্যাংকগুলো বন্ধই ছিল।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, অধিকাংশ আহত ব্যক্তি ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা MENA সোমবার জানায়, আগুন পুরো ভবন এবং আশপাশের ছাদগুলোতে ছড়িয়ে পড়ার আগেই নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

দেশটির নিরাপত্তা সূত্র জানায়, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, আগুনের সূত্রপাত হয় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে। সূত্র: আনাদুলো এজেন্সি

মাহফুজ/

 

এবার নিজের টিভি স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চালু করলেন ট্রাম্প

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩০ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩৪ পিএম
এবার নিজের টিভি স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চালু করলেন ট্রাম্প
ছবি: সংগৃহীত

নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল চালুর পর এবার নতুন টিভি স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ প্লাস’ চালু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের মালিকানাধীন ট্রাম্প মিডিয়া অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপ (টিএমটিজি) এটি পরিচালনা করবে।

সোমবার (৭ জুলাই) ট্রাম্পের মিডিয়া কোম্পানি ট্রুথ প্লাস নামে্র এই টেলিভিশন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম উন্মোচন করে ঘোষণা করে যে, নিউজম্যাক্স - ট্রাম্প-পন্থী কন্টেন্টের জন্য পরিচিত একটি প্রচারণামূলক একটি ফ্ল্যাগশিপ চ্যানেল হবে।

প্ল্যাটফর্মটি কনজারভেটিভ (রক্ষণশীল) সংবাদমাধ্যম নিউজম্যাক্সের সঙ্গে অংশীদারত্বে শুরু হয়েছে। ট্রাম্প মিডিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্ল্যাটফর্মটি ‘পরিবারবান্ধব লাইভ টিভি চ্যানেল ও অন ডিমান্ড কনটেন্ট’ সম্প্রচারে গুরুত্ব দেবে।

আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ছাড়াও ইন্টারনেট, অ্যাপল টিভি, অ্যান্ড্রয়েড টিভি, অ্যামাজন ফায়ার ও রোকু কানেকটেড টিভিতে অ্যাপটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যাবে। এলজি ও স্যামসাংয়ের স্মার্ট টিভির জন্যও অ্যাপটি শিগগির চালু হবে এবং এটি অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

গত জুনের শেষ দিক থেকে এই প্ল্যাটফর্মের বেটা সংস্করণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করে ট্রাম্প মিডিয়া।

এক বিবৃতিতে ট্রাম্প মিডিয়ার সিইও ও চেয়ারম্যান ডেভিন নুনেস জানান, ‘ট্রুথ প্লাস’ এত দ্রুত আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করতে পেরে আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা সব ডিভাইস ও অপারেটিং সিস্টেমে এটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করতে কাজ করছি।
 
নিউজম্যাক্সের সিইও ক্রিস রুডি জানান, ডেভিন নুনেস যুক্তরাষ্ট্রে ট্রুথ সোশ্যাল এবং এখতাই তাদের বিশ্বব্যাপী সম্প্রসারণ একেবারেই স্বাভাবিক। এই সম্প্রসারণে ট্রাম্প মিডিয়ার সঙ্গে অংশীদার হতে পেরে তিনি গর্বিত।

এদিকে ট্রুথ সোশ্যাল ও ট্রুথ প্লাস ছাড়াও ট্রাম্প মিডিয়া শিগগিরই ‘ট্রুথ ডট ফাই’ নামে একটি নতুন আর্থিক ও ফিনটেক ব্র্যান্ড চালু করতে যাচ্ছে। সেখানে থাকবে ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে বিনিয়োগের সুযোগ।

সুলতানা দিনা/