ঢাকা ২৫ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
English

ইরানের ভেতর থেকেই ঘুণ ধরায় ইসরায়েল

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০১:০৩ পিএম
ইরানের ভেতর থেকেই ঘুণ ধরায় ইসরায়েল
ছবি: সংগৃহীত

গত ১৩ জুন ইরানে হামলা চালায় ইসরায়েল। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ হামলা চালানো হয় ইরানের অভ্যন্তর থেকেই। যার প্রতিবাদে ইরানও পাল্টা হামলা চালায়। এতে শুরু হয়েছে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ। ইরানে ইসরায়েলের হামলা কয়েক বছরের পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়ন। যার শুরুটা হয় ইরানের নিরাপত্তাবাহিনীতে ইসরায়েলিদের অনুপ্রবেশ দিয়ে। এ ছাড়া স্থানীয় এজেন্টের মাধ্যমে ইরানের অভ্যন্তরে অস্ত্র চোরাচালান ও অস্ত্র উৎপাদন ছিল এ পরিকল্পনার অংশ।

এসব তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশের মাধ্যমে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, ইরানের ভেতর থেকেই ঘুণ ধরায় ইসরায়েল, তারপর এক সময় সেটি ভেঙে ফেলার জন্য সক্রিয় হয়।

প্রায় ১ হাজার মাইল দূরে অবস্থিত ইসরায়েল ইরানের ওপর স্থলপথে হামলা চালায়। 

বিভিন্ন সংবাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাবমেরিন বিধ্বংসী ব্যবস্থা, ক্ষেপণাস্ত্রের ভাণ্ডার ছিল তাদের হামলার নিশানা। এ ছাড়া ইরানের কমান্ড সেন্টার, নির্বাচিত ব্যক্তিবিশেষকে লক্ষ্য করে একযোগে হামলা চালানো হয়েছিল। একমাত্র সে দেশের অভ্যন্তরে সক্রিয় গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমেই এ ধরনের সুপরিকল্পিত এবং নিখুঁত হামলা চালানো সম্ভব।

তবে এই পুরো ঘটনায় ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের ভূমিকা কতটা ছিল তা এখনো স্পষ্ট নয়। ধারণা করা হচ্ছে মোসাদ নয়, ইরানে চালানো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে অন্য গোয়েন্দা সংস্থা জড়িত।

ইরানের অভ্যন্তরে অস্ত্র চোরাচালান, সমাবেশ ও অস্ত্র উৎপাদন

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েল শুধু ইরানের সংবেদনশীল তথ্য সংগ্রহ করা নয়, ইরানের মাটিতে আক্রমণাত্মক অস্ত্র তৈরি ও মোতায়েনের জন্য একটা সংগঠিত ব্যবস্থা তৈরি করে ফেলেছিল।

অভিযোগ রয়েছে, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্থানীয় এজেন্টের নেটওয়ার্ক ও নিজেদের পরিবহনব্যবস্থা তৈরি করে তাদের গোপন কর্মকাণ্ড দীর্ঘ দিন ধরে চলেছে। 

আর এই প্রস্তুতির ভিত্তিতেই সাম্প্রতিক হামলার ভিত্তি স্থাপন হয়েছে। সামরিকবিষয়ক পর্যবেক্ষক সংস্থা ‘দ্য ওয়ার জোন’ এবং অন্য সূত্রের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ইসরায়েল অল্প অল্প করে সংবেদনশীল ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র সরঞ্জাম ইরানে চোরাচালান করেছে। আর এ জন্য ব্যবহার করা হয়েছে, ইরাকের মধ্য দিয়ে যাওয়া ট্রাক, বাণিজ্যিক কনটেইনার এবং যাত্রী স্যুটকেস। এসবের মধ্যে বিভিন্ন অংশে লুকিয়ে রেখে সেগুলো ইরানে আনা হয়েছে। 

এই ডিভাইসগুলোর মধ্যে বৈদ্যুতিক ফিউজ, উন্নত ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল ক্যামেরা, লিথিয়াম ব্যাটারি, হালকা ওজনের ইঞ্জিন, জিপিএস-ভিত্তিক গাইডেন্স সিস্টেম এবং সুরক্ষিত যোগাযোগ ডিভাইস অন্তর্ভুক্ত ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। এই সব যন্ত্রাংশ পরে ইরানের বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা মোসাদের গোপন ঘাঁটিতে নিয়ে গিয়ে একত্রিত করে তাকে আক্রমণাত্মক অস্ত্রের আকার দেওয়া হয়েছে।

ইরানের বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, মোসাদের সদস্যরা গত কয়েক বছর ধরে ইরানের বিভিন্ন অঞ্চলে গোপন ডেরা তৈরি করেছিল। তেহরানের কাছে এমনই এক তিনতলা ভবনের সন্ধান পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ওই ভবন ছিল আত্মঘাতী ড্রোন তৈরি ও সংরক্ষণের জন্য তৈরি করা ঘাঁটি। ওই ভবনের একটি ঘরের টেবিল এবং তাকের ওপরে অন্তত একটি ড্রোন, ড্রোন প্রপেলার, বিভিন্ন যন্ত্রাংশ এবং সেটিকে কন্ট্রোল করার সরঞ্জাম রাখা ছিল। সেখানে একটি থ্রিডি প্রিন্টারও পাওয়া গেছে। এ ধরনের থ্রিডি প্রিন্টার ইউক্রেনে ড্রোনের যন্ত্রাংশ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে। 

ইরানের পুলিশের এক মুখপাত্র জানান, তেহরানের একটা এলাকায় দুটো পৃথক অভিযানে মোসাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুজন ‘এজেন্টকে’ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ২০০ কেজির বেশি বিস্ফোরক, ২৩টা ড্রোনের যন্ত্রাংশ, লঞ্চার, কন্ট্রোল সিস্টেম এবং একটা নিশান গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া ইস্ফাহানে যেখানে ইরানের সবচেয়ে স্পর্শকাতর পরমাণু স্থাপনা রয়েছে, সেখানে এক কর্মশালায় অভিযান চালিয়ে বিপুল সংখ্যক ড্রোন এবং মাইক্রো-ড্রোন তৈরির সরঞ্জাম এবং যন্ত্রাংশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে ইতোমধ্যে আটক করা হয়েছে।

আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে নষ্ট করা

ইসরায়েল ইরানের ওপর বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ শুরুর আগে তাদের (ইরানের) আকাশ প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ককে নিষ্ক্রিয় করতে সমন্বিত হামলা চালায়। এ হামলায় ছোট আত্মঘাতী ড্রোন, ইরানের মাটিতে মোতায়েন করা গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এগুলোর সম্মিলিত ব্যবহারের লক্ষ্য ছিল ইরানের রাডার সিস্টেমকে ব্যর্থ করে দেওয়া এবং ডিফেন্স মিসাইল লঞ্চ প্ল্যাটফর্মকে ধ্বংস করা। হামলা চালানোর জন্য ইসরায়েল যেন একটা নিরাপদ করিডর পেয়ে যায়।

ধারণা করা হচ্ছে, হামলার শুরুতে ছোট এবং হালকা কোয়াডকপ্টারের মতো ড্রোন এবং মাইক্রো-ড্রোনের মাধ্যমে একযোগে সক্রিয় করা হয়েছিল। এসব ড্রোন গত কয়েক মাসে ইরানের বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। ইরানে হামলার প্রথম দিনই একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জানায়, মোসাদ কমান্ডোরা ইরানি ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করেছে এবং ইরানি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার চারপাশে নির্ভুল-নির্দেশিত ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে। সমন্বিত এসব আক্রমণ কেবল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দেওয়ার জন্যই নয়, বরং ইরানের প্রাথমিক উৎক্ষেপণ ক্ষমতা ধ্বংস করার জন্যও তৈরি করা হয়েছিল। অর্থাৎ ইসরায়েল প্রথমে যুদ্ধবিমান দিয়ে নয়, বরং ইরানের মাটিতে লুকানো ডিভাইস দিয়ে আক্রমণ করেছিল।

স্মার্ট অস্ত্রের ব্যবহার

ইসরায়েল ইরানের মাটিতে হালকা ওজনের, নির্ভুল ও রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে কাজ করে এমন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। এই ধরনের আধুনিক ও বিশেষ প্রযুক্তিতে তৈরি অস্ত্র কোনো অপারেটরের উপস্থিতি ছাড়াই ইরানের ভেতর থেকে নিক্ষেপ করা যায়। 

ইরানের ইংরেজি নিউজ চ্যানেল প্রেস টিভি জানায়, ইরানের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এমন ধরনের স্পাইক মিসাইল লঞ্চার উদ্ধার করেছে, যেগুলো ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে লক্ষ্যবস্তু হিসাবে নিশানা করার জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছিল। এই সিস্টেমগুলো ইন্টারনেট-অটোমেশন এবং রিমোট কন্ট্রোল দ্বারা সজ্জিত ছিল। আর মোসাদের এজেন্টরা এই সিস্টেমগুলো পরিচালনা করছিল। এই লঞ্চারগুলো ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল গাইডেন্স সিস্টেম, অত্যাধুনিক ক্যামেরা এবং স্যাটেলাইট যোগাযোগ অ্যান্টেনা দিয়ে সজ্জিত। তাই দূর থেকেই কমান্ড (নির্দেশ) নিতে পারে এই ডিভাইস।

স্মার্ট অস্ত্র ব্যবহার করায় ইরান নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মকর্তা এমনকি জনসাধারণকেও মোবাইল ফোন, স্মার্ট ওয়াচ বা ল্যাপটপের মতো নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত ডিভাইস ব্যবহার না করার বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়। সবাইকে এসব ডিভাইস ব্যবহার কমিয়ে ফেলার কথা বলা হয়। 

টার্গেটেড কিলিং এবং কমান্ড সিস্টেমের ক্ষতি

ইসরায়েল ইরানের সামরিক বাহিনী ও রেভল্যুশনারি গার্ডকে দুর্বল করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যক্তিত্বদের লক্ষ্যবস্তু হিসেবে নিশানা করে। মোসাদ ও তার মিত্ররা গোপন তথ্য ও স্মার্ট অস্ত্রের সাহায্যে ইরানের কমান্ড সিস্টেম ভাঙার চেষ্টা করে। শুরুর দিকে কয়েকটা হামলায় সামরিক ঘাঁটি বা ক্ষেপণাস্ত্র প্ল্যাটফর্মকে নিশানা করা হয়নি বরং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বাড়িতে বা অফিসে হামলা চালানো হয়েছিল। ইরানের মাটি থেকেই স্পাইক মিসাইল লঞ্চার দিয়ে এসব হামলা চালানো হয়েছিল। এই জাতীয় ক্ষেপণাস্ত্র ভবনের ভেতরে থাকা মানুষকেও সরাসরি নিশানা করতে পারে। 

দুধ খেতে না চাওয়ায় নবজাতকে ফুটন্ত পানিতে ডুবিয়ে মারলেন মা!

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫০ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫৬ পিএম
দুধ খেতে না চাওয়ায় নবজাতকে ফুটন্ত পানিতে ডুবিয়ে মারলেন মা!
প্রতীকী ছবি

ভারতের বেঙ্গালুরুতে দুধ খেতে না চাওয়ায় হেমন্ত কুমার নামে এক মাস ৮ দিন বয়সী ছেলেকে ফুটন্ত পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেছেন রাধা নামে এক মা (২৭)। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রাধাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত সোমবার (৭ জুলাই) বিশ্বেশ্বরপুরে রাধা নামে ওই নারী তার বাবার বাড়িতে এ ভয়াবহ কাণ্ড ঘটান

পুলিশ জানায়, রাধা পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনে (প্রসবোত্তর অবসাদ) ভুগছিলেন। সময়ের আগেই ভুমিস্ট হওয়ায় দূর্বল ছিল শিশুটি। প্রায়ই দুধ খেতে চাইত না। মাঝেমধ্যেই অস্বাভাবিকভাবে কান্নাকাটি করত সে। এর ফলে অভিযুক্ত রাধা বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে শিশুটি স্বাভাবিক নয়। সেই হতাশা থেকেই তিনি চুলা জ্বালিয়ে, রান্নার পাত্রে পানি ফুটিয়ে শিশুটিকে তাতে শুইয়ে দেন।

জানা গেছে, দুবছর আগে পবন নামে এক অটোচালক তরুণের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন রাধা। মাসখানেক আগে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন তিনি। তার সাংসারিক জীবনে প্রচণ্ড অশান্তি ছিল। রাধার স্বামী মদ্যপ ও বেকার। সন্তান জন্মের পর স্বামী তার সঙ্গে থাকতেন না।

মেহেদী/ 

ভারতের জাগুয়ার যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, পাইলট নিহত

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:১৯ পিএম
ভারতের জাগুয়ার যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, পাইলট নিহত

ভারতের রাজস্থানে একটি জাগুয়ার যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে বিমানের পাইলট নিহত হয়েছেন।

বুধবার (৯ জুলাই) চুরু জেলার ভানুদা গ্রামের কাছে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

বিমানটি সুরতগড় বিমানঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করেছিল।

বিমান ভেঙে পড়তেই এলাকার বাসিন্দারা সেখানে জড়ো হন। ঘটনার একটি ভিডিও সামনে এসেছে। এতে দুর্ঘটনাস্থল থেকে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।

খবর পেয়ে পুলিশ ও প্রশাসন ঘটনাস্থলে গেছেন। 

গ্রামবাসীরা জানান, বিকট শব্দের পর বিমানটি ভেঙে পড়ে। তারপরেই বিমানে আগুন লেগে যায়। গ্রামবাসীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছিলেন। ধ্বংসস্তূপের কাছ থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই মরদেহটি পাইলটের।

ঠিক কী কারণে বিমানটি ভেঙে পড়ল সে সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।

এর আগে গত এপ্রিলে গুজরাটের জামনগরের কাছে বিমান বাহিনীর একটি জাগুয়ার যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল। এতে পাইলট সিদ্ধার্থ যাদব সহকারী পাইলটের জীবন বাঁচাতে গিয়ে নিহত হন।

প্রশিক্ষণ অভিযানের সময় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে রাত সকাল সাড়ে ৯টায় একটি খোলা মাঠে যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছিল।

সিদ্ধার্থের বাবা সুশীল যাদব ছেলের প্রতি তার গর্বের কথা জানিয়ে এনডিটিভিকে বলেন, ‘আমি খুব গর্বিত... সে অন্য একজনকে বাঁচাতে গিয়ে তার জীবন হারিয়েছে। কিন্তু এটা দুঃখেরও বিষয় কারণ সে আমার একমাত্র ছেলে ছিল।’

অমিয়/

ব্রিকসভুক্ত দেশগুলোর ওপর ১০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক ধার্য

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০১:৩৫ পিএম
ব্রিকসভুক্ত দেশগুলোর ওপর ১০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক ধার্য
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

ব্রিকসভুক্ত দেশগুলোকে ১০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক দিতে হবে বলে জানিয়ে দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেন, ব্রিকস যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতি করতে এবং ডলারের দাম কমানোর জন্য গঠন করা হয়েছে।

ট্রাম্প বলেন, ‘ব্রিকস গঠন করা হয় আমাদের ক্ষতি করার জন্য, আমাদের ডলারের দাম কমানোর করার জন্য...। ডলার যাতে আর স্ট্যান্ডার্ড না থাকে, তার জন্য। ওরা যদি নিজেদের খেলাটা খেলতে চায়, আমিও ওদের খেলাটা খেলতে পারি। সুতরাং ব্রিকসে যেই আছে তাদেরই ১০ শতাংশ চার্জ (শুল্ক) দিতে হবে।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘যে দেশগুলো ডলারকে চ্যালেঞ্জ করতে চায়, তাদের চড়া মূল্য দিতে হবে।’

তার কথায়, ‘আমি মনে করি না যে তাদের (ব্রিকস দেশগুলি) মধ্যে কেউ সেই মূল্য দিতে ইচ্ছুক।’

ব্রিকস অনেকাংশে ভেঙে গেছে উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম ব্রিকস আছে। আমি এক বছর আগে বলেছিলাম, এটি মূলত ভেঙে গেছে, তবে তাদের মধ্যে কয়েকটি দেশ এখনও ঝুলছে। ব্রিকস গুরুতর হুমকি নয়, তবে তারা ডলার ধ্বংসের চেষ্টা করছে।’

প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে কটাক্ষ করে ট্রাম্প বলেন, ডলারের বৈশ্বিক অবস্থান রক্ষার জন্য আমেরিকার একজন স্মার্ট নেতা দরকার।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা যদি ডলারের বিশ্বমান হারাই, সেটা হবে যুদ্ধে হেরে যাওয়ার মতো, বড় ধরনের বিশ্বযুদ্ধে হারের মতো। আমরা আর সেই মহান দেশ থাকব না। কিন্তু ডলারই রাজা। আমরা এভাবেই চলব।’ সূত্র: রয়টার্স

পেজেশকিয়ানকে হত্যা করতে চেয়েছিল ইসরায়েল

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১২:৪৮ পিএম
পেজেশকিয়ানকে হত্যা করতে চেয়েছিল ইসরায়েল
মাসুদ পেজেশকিয়ান

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান জানিয়েছেন যে ইসরায়েল তাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল। তিনি বৈঠক করছিলেন এমন অঞ্চলে বোমাবর্ষণ করেছিল দেশটি।

মার্কিন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব টাকার কার্লসনকে পেজেশকিয়ান বলেন, ‘হ্যাঁ, তারা চেষ্টা চালিয়েছিল। তারা সে অনুসারে কাজও করেছিল, কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে।’ কার্লসন পেজেশকিয়ানকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ইসরায়েল কখনো তাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল কি না। সেটির উত্তরেই পেজেশকিয়ান এ মন্তব্য করেন।

কার্লসন দোভাষীর সহায়তায় পেজেশকিয়ানের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এবং সাক্ষাৎকারটি গত সোমবার প্রকাশ করা হয়েছে।

ইরান ও ইসরায়েলের সংঘাতের পর এবারই প্রথম ইরানি প্রেসিডেন্ট পশ্চিমা কোনো গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বকে সাক্ষাৎকার দিলেন। 

পেজেশকিয়ান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমার প্রাণ নেওয়ার চেষ্টা করেনি। ইসরায়েল করেছে। আমি বৈঠকে ছিলাম… তারা ওই এলাকায় হামলা চালিয়েছে, যেখানে আমরা বৈঠক করছিলাম।’

তবে ইসরায়েল গত মাসের সংঘাতের সময় ওই চেষ্টা চালিয়েছে কি না, তা তিনি স্পষ্ট করেননি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এরই মধ্যে জানিয়েছেন, ইসরায়েল ইরানের ৮৬ বছর বয়সী সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু তিনি তা আটকে দিয়েছেন। খামেনি এখনো প্রকাশ্যে আসেননি। তাকে গোপন ও নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ইরানের কর্মকর্তারা। এর মধ্যে শুধু একদিন তেহরানে এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেন খামেনি। এতে স্বস্তি ফিরে এসেছে খামেনির সমর্থকদের মধ্যে। 
 
পেজেশকিয়ান গত গ্রীষ্মে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। তাকে হত্যায় ইসরায়েল সফল হলে, গোটা বিষয়টি অন্যদিকে মোড় নিতে পারত। সেক্ষেত্রে ইরানের রাজনৈতিক কাঠামোতেও বড় ধরনের আঘাত আসত।

১২ দিনের ওই সংঘাত চলাকালে ট্রাম্প ইরানের শাসকগোষ্ঠী পরিবর্তনের পক্ষে কথা বলেছেন। তবে তিনি এতে ততটা সক্রিয়ভাবে জড়াননি। বর্তমানে ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের সঙ্গে স্থায়ী চুক্তিতে যাওয়ার চেষ্টা করছে বলেও খবর এসেছে গণমাধ্যমে। তবে ইরানকে ঠিক কী ধরনের প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে তা এখনো অস্পষ্ট। ইরান এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, তারা নিজেদের পারমাণবিক কর্মসূচির লাগাম টানবে না।

 সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান  

গাড়িতে রুশ মন্ত্রীর মরদেহ, তদন্ত শুরু

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০১:১৯ পিএম
গাড়িতে রুশ মন্ত্রীর মরদেহ, তদন্ত শুরু
রোমান স্টারভয়েট

রাশিয়ার সাবেক পরিবহনমন্ত্রী রোমান স্টারভয়েটের লাশ সোমবার (৭ জুলাই) এক গাড়িতে পাওয়া গেছে। তার শরীরে গুলির আঘাত রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে দেশটির শীর্ষ অপরাধ তদন্ত সংস্থা।

এর কয়েক ঘণ্টা আগে স্টারভয়েটকে পরিবহনমন্ত্রীর পদ থেকে সরানোর ঘোষণা দেন পুতিন। কর্তৃপক্ষ বলছে, ৫৩ বছর বয়সী স্টারভয়েটকে মস্কোর এক পার্কের কাছে ফেলে রাখা টেসলা গাড়িতে পাওয়া গেছে। তার সঙ্গে একটি পিস্তল ছিল। ওই অস্ত্রটি স্টারভয়েটের নামেই ইস্যু করা। 

ধারণা করা হচ্ছে, এটি আত্মহত্যা হতে পারে। তবে অন্য কিছু কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। তার মৃত্যু নিয়ে এরই মধ্যে গুঞ্জন উঠতে শুরু করেছে। স্টারভয়েট সবমিলিয়ে এক বছরেরও কম সময় পরিবহনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সূত্র: আল জাজিরা