ঢাকা ২৫ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
English

লিবিয়ার পরিণতি দেখেই ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি দ্বিগুণের সংকল্প?

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৫, ০১:০০ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৩:২৩ পিএম
লিবিয়ার পরিণতি দেখেই ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি দ্বিগুণের সংকল্প?
ইরানের নাতানজ পরমানু সমৃদ্ধকরণ স্থাপনায় ২০১৯ সালে ইউরেনিয়াম সেন্ট্রিফিউজ দেখা যায়। ছবি:পিকচার অ্যালায়েন্স

ইসরায়েলের সঙ্গে সাম্প্রতিক যুদ্ধের পরও তেহরান তার পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার ব্যাপারে অটল বলে মনে হচ্ছে। শাহ শাসন আমলে মার্কিন সহায়তায় শুরু হওয়া পারমাণবিক কর্মসূচি এক সময় দেশটির শক্তি প্রদর্শনের প্রতীক ছিল। কিন্তু এখন এটি ইরানের বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর স্থিতিস্থাপকতারও প্রতীক।

সম্প্রতি মার্কিন ও ইসরায়েলি বিমান হামলার পরিপ্রেক্ষিতে তেহরান আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (IAEA) সাথে তার সহযোগিতা বন্ধ করে দিয়েছে।

ইরান বলছে, ‘যতক্ষণ না ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত ইরান IAEA-কে সহযোগিতা করা স্থগিত রাখবে।’ গত সপ্তাহে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সংদের স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ জানান, মাসুদ পেজেশকিয়ান বুধবার (২ জুলাই) এই পদক্ষেপে স্বাক্ষর করেছেন।

তবে, ১২ দিনের সংঘাতের সময় ইরানে অবস্থানরত আইএইএ পরিদর্শকদের উপর এই সিদ্ধান্তের কেমন প্রভাব পড়বে তা এখনও জানা যায়নি। ভিয়েনা-ভিত্তিক জাতিসংঘের এই সংস্থাটি ইসরায়েল এবং মার্কিন হামলার শিকার ইরানের তিনটি শীর্ষ পারমাণবিক স্থাপনা- ফোর্দো, ইসফাহান এবং নাতানজে - এর অবস্থা সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করতে চাচ্ছে। এছাড়া, ইরানের স্থাপনাগুলোতে আঘাত করার পর, এটিও এখন আর স্পষ্ট নয় যে, বিশ্বব্যাপী অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের ভিত্তি, বিস্তাররোধক চুক্তিতে (এনপিটি) থাকতে ইরান ইচ্ছুক কিনা।

ইরানে ইসরায়েলি হামলার আগেই, আইএইএ সতর্ক করে , ইরানই একমাত্র পারমাণবিক অস্ত্রবিহীন দেশ যারা প্রায় অস্ত্র-গ্রেড স্তরে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে এবং তাদের কাছে বেশ কয়েকটি পারমাণবিক বোমা তৈরির পর্যাপ্ত উপাদান রয়েছে। তবে, একই সময়ে, আইএইএ জোর দিয়ে এ-ও বলেছে যে, তাদের কাছে ‘পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য পদ্ধতিগত প্রচেষ্টার কোনও প্রমাণ’ নেই।

তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচির দীর্ঘ এবং জটিল ইতিহাস ১৯৫০ এর দশকে শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির সময় থেকে শুরু হয়। মার্কিন-সমর্থিত রেজা পাহলভি মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ারের ‘শান্তির জন্য পরমাণু’ নামে পরিচিত একটি উদ্যোগে যোগদানের মাধ্যমে বেসামরিক পারমাণবিক প্রযুক্তিতে প্রবেশ করে। 

মূলত ইরান তার নিজস্ব পারমাণবিক কর্মসূচির ভিত্তি তৈরি করার জন্য এই প্রস্তাবের সুযোগ নিয়েছিল। এরপর, ১৯৫৮ সালে তেহরান আইএইএ-তে (IAEA) যোগ দেয়।

ইরান শুরুতে পারমাণবিক কর্মসূচিকে একটি মর্যাদাপূর্ণ প্রকল্প হিসেবেই দেখতো। তেল ও গ্যাসের ব্যবহারও কমানোর পাশাপাশি দেশটি তার বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করতে এবং বিদেশী সরবরাহকারীদের সহযোগিতায় স্বাধীনভাবে নিজস্ব পারমাণবিক জ্বালানি উৎপাদন করতে চেয়েছিল। যার ফলশ্রুতিতে, ১৯৭০ সালে, ইরান পরমাণু বিস্তার রোধ চুক্তিতে স্বাক্ষর করে, যা IAEA-এর তত্ত্বাবধানে বেসামরিকভাবে পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারের অনুমতি দেয়।

কিন্তু ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লব ইরানকে বিশৃঙ্খলার মধ্যে ফেলে দেয়। এসময় আমেরিকা তেহরানের গবেষণা চুল্লিতে পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। ১৯৮০ সালে, ইরাক ইরানের তেলক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য আক্রমণ করে, যার ফলে আট বছর ধরে যুদ্ধ শুরু হয়। জার্মান সহ পশ্চিমা কোম্পানিগুলি ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে তাদের সহযোগিতা বন্ধ করে দেয়। 

১৯৮০-এর দশকের গোড়ার দিকে, গুজব ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে যে, ইরাক পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে। ইসরাইল, যারা ইরাকের সাদ্দাম হোসেনের শাসনকে ইরানি ধর্মীয় নেতাদের চেয়ে বেশি হুমকি হিসেবে বিবেচনা করত, তারাই ১৯৮১ সালে ইরাকের ওসিরাক পারমাণবিক চুল্লিতে বোমা হামলার জন্য ইরানের দেয়া গোপন তথ্য কাজে লাগায়।

এরপর, ১৯৮৮ সালে ইরান-ইরাক যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর, ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ এবং নিজস্ব পারমাণবিক জ্বালানি তৈরির জন্য পাকিস্তান, চীন এবং রাশিয়া থেকে প্রযুক্তি আমদানি শুরু করে। ইরানের শাসকগোষ্ঠী আশা করতে শুরু করে যে, তারা প্রমাণ করবে যে ইরান  উচ্চ প্রযুক্তির প্রকল্প বাস্তবায়নে সক্ষম, এবং এর পারমাণবিক কর্মসূচি ইরানি জাতির শক্তির প্রতীক হয়ে ওঠে।

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির জনক হিসেবে পরিচিত আকবর এতেমাদ বিশ্বাস করতেন যে, অন্য দেশগুলো কীভাবে তাদের পারমাণবিক নীতি অনুসরণ করবে তা নির্ধারণ করার অধিকার কোনও দেশের নেই। কিন্তু ১৯৭৯ সালে ইসলামী বিপ্লবের পরে তিনি সেই অবস্থান থেকে বের হয়ে আসেন।

সাম্প্রতিক ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হওয়ার আগ পর্যন্ত ইরানের পারমাণবিক সংস্থার নেতৃত্বদানকারী ফেরেদুন আব্বাসিও প্রকাশ্যে বলেন যে, 'সরকার যদি চায় তবে ইরানকে দ্রুত অস্ত্র-গ্রেড সমৃদ্ধকরণের স্তরে পৌঁছাতে সক্ষম হবে। এর আগেও জরুরি পরিস্থিতিতে তেহরানেরও পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির ক্ষমতা রয়েছে, এই সত্যটি ইরানি কর্মকর্তারা কখনও অস্বীকার করেননি।'

'আরও ভালো চুক্তি করতে' ট্রাম্পের বৃথা আশা

২০০৩ সালে আইএইএ পরিদর্শক এবং স্যাটেলাইট নজরদারি ইরানের গোপন সামরিক পারমাণবিক কর্মসূচি অনুসরণের ইঙ্গিত দেয়। তৎকালীন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জোশকা ফিশার, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সের তার প্রতিপক্ষদের ইরানের সাথে আলোচনা শুরু করতে রাজি করান, যার লক্ষ্য ছিল IAEA-এর সহায়তায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির উপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা।

দীর্ঘ ১২ বছর ধরে আলোচনার পর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া এবং তিনটি ইউরোপীয় শক্তি ইরানের সাথে একটি বিস্তৃত পারমাণবিক চুক্তিতে পৌঁছেছে যা JCPOA নামে পরিচিত।

তবে, ২০১৮ সালে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি আরও ভালো চুক্তি অর্জনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে সেই চুক্তি থেকে সরিয়ে নেন। ইরান ধীরে ধীরে তার প্রতিশ্রুতি থেকে সরে যায় এবং ২০১৯ সালে উচ্চ-স্তরের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ শুরু করে।

বর্তমানে, ইরানে প্রায় ৪০০ কিলোগ্রাম (৮৮০ পাউন্ডেরও বেশি) উচ্চ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম রয়েছে এবং তেজস্ক্রিয় উপাদান প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য অনেক উন্নত সেন্ট্রিফিউজ ব্যবহৃত হয়।

ইরানের জন্য শিক্ষা হিসেবে লিবিয়া

যুক্তরাষ্ট্র যতই দাবি করুক যে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এখন বিলুপ্ত কিন্তু অনেক বিশেষজ্ঞ সতর্ক করে বলেছেন যে, ইরান তার পারমাণবিক স্থাপনা পুনর্নির্মাণ করছে দ্বিগুণ আকারে।

ক্যালিফোর্নিয়ার মন্টেরিতে অবস্থিত মিডলবেরি ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ বিশেষজ্ঞ জেফ্রি লুইস বলেন, ‘ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় চালু করার এবং পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির উল্লেখযোগ্য ক্ষমতা ধরে রেখেছে।’

লুইস খুব জোর দিয়ে বলেন যে ‘এমন অনেক স্থাপনা আছে যেখানে বোমা হামলা হয়নি।’ এছাড়া নিকট ভবিষ্যতে ইরানের আপস করার সম্ভাবনা খুবই কম।

কেলসি ডেভেনপোর্টের মতে, ভবিষ্যতে ইরানের দৃষ্টিভঙ্গি লিবিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার মতো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ইরান সম্ভবত লিবিয়ার দিকে তাকিয়ে নিজের সংকল্প দৃঢ করেছে, যেখানে মুয়াম্মার গাদ্দাফি দেশটির পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি ত্যাগ করেন, এনপিটিতে ভালো অবস্থানে ফিরে আসেন। কিন্তু পরে তিনি পশ্চিমা-সমর্থিত শক্তির হাতেই উৎখাত হন।

অন্যদিকে, উত্তর কোরিয়া ২০০৩ সালে পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি ত্যাগ করে, তাদের নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করে এবং সেই সরকার - এখন কিম জং উনের নেতৃত্বে - দৃঢ়ভাবে ক্ষমতায় রয়েছে।

সুলতানা দিনা/ 

ইরানকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করল চীন

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৯:৩০ পিএম
ইরানকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করল চীন
চীনের তৈরী এইচকিউ-৯ আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র। ছবি: সংগৃহীত

ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা চীনের কাছ থেকে হাতে পেয়েছে ইরান। ইসরায়েলের সঙ্গে টানা ১২ দিনের সংঘাতের পর আকাশ প্রতিরক্ষা আরও জোরদার করতে তেহরান তার অস্ত্রভাণ্ডার সমৃদ্ধ করার পদক্ষেপ নিয়েছে।

মিডল ইস্ট আই-কে এক আরব গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, গত ২৪ জুন ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির পর তেহরানে পৌঁছেছে চীনের তৈরি ওই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক আরব কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র রাষ্ট্রগুলো আগে থেকেই জানত যে ইরান তার আকাশ প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই অগ্রগতি সম্পর্কে হোয়াইট হাউসকেও জানানো হয়েছে।

তবে যুদ্ধবিরতির পর চীন থেকে ইরান ঠিক কতগুলো ক্ষেপণাস্ত্র পেয়েছে, এবং কোন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র পেয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য দেননি সংশ্লিষ্ট কেউ। তবে এক আরব কর্মকর্তা জানান, ইরান তেলের বিনিময়ে এসব ক্ষেপণাস্ত্র সংগ্রহ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ইরানের সবচেয়ে বড় তেল ক্রেতা হচ্ছে চীন। মার্কিন জ্বালানি তথ্য সংস্থা ইউএস এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মে মাসে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ইরানের প্রায় ৯০ শতাংশ অপরিশোধিত তেল ও কনডেনসেট রপ্তানি হয় চীনে। উল্লেখ্য, কনডেনসেট হলো প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনের সময় সংগৃহীত হালকা তরল জ্বালানি।

দ্বিতীয় আরব কর্মকর্তা বলেন, নিষেধাজ্ঞা এড়াতে ইরান বিভিন্ন সৃজনশীল কৌশলে বাণিজ্য করে থাকে। এই সামরিক চালান চীন-ইরান সম্পর্কের গভীরতাকেই নির্দেশ করে।

বর্তমানে ইরান রাশিয়ার তৈরি এস-৩০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করছে, যা বিমান ও ড্রোন ধ্বংসের পাশাপাশি কিছুটা ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতেও সক্ষম। পাশাপাশি চীনের পুরোনো ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার পাশাপাশি ইরান নিজেদের তৈরি খোরদাদ সিরিজ এবং বাভার-৩৭৩ ব্যবস্থাও ব্যবহার করছে। সূত্র: মিডল ইস্ট আই

 

তালেবানের ২ শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৯:০৮ পিএম
তালেবানের ২ শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
ছবি: সংগৃহীত

নারী ও মেয়েদের ওপর নিপীড়নের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) তালেবানের শীর্ষ দুই নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) আইসিসির বিচারকরা জানিয়েছেন, তালেবান সুপ্রিম লিডার হিবতুল্লাহ আখুন্দজাদা এবং প্রধান বিচারপতি আবদুল হাকিম হাক্কানির বিরুদ্ধে লিঙ্গভিত্তিক নিপীড়নের অভিযোগে মামলা চালানোর মতো ‘যুক্তিসঙ্গত প্রমাণ’ রয়েছে।

এক বিবৃতিতে আদালত জানায়, ‘তালেবান সমগ্র জনগণের ওপর কিছু নিয়ম ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও তারা বিশেষভাবে নারীদের লক্ষ্যবস্তু করেছে কেবলমাত্র তাদের লিঙ্গের কারণে এবং তাদের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করেছে।’

আইসিসির বিচারকরা বলেন, ‘তালেবান মেয়েদের শিক্ষা, গোপনীয়তা ও পারিবারিক জীবনের অধিকার এবং চলাফেরা, মতপ্রকাশ, চিন্তা, বিবেক ও ধর্মের স্বাধীনতা থেকে চরমভাবে বঞ্চিত করেছে।’

তারা আরও জানান, এছাড়া, এমন কিছু ব্যক্তিকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে যাদের যৌনতা ও লিঙ্গ পরিচয়ের কিছু অভিব্যক্তি তালেবানের লিঙ্গনীতি পরিপন্থী বলে মনে হয়েছে।

আদালতের মতে, এসব অপরাধ ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট তালেবান ক্ষমতা দখলের সময় থেকে শুরু হয়ে ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।

নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত আইসিসি বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ অপরাধ যেমন যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করে। তবে আদালত নিজস্ব কোনো পুলিশ বাহিনী চালায় না এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ওপর নির্ভর করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে - যার ফলাফল মিশ্র।

বিধি অনুযায়ী, আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আওতাভুক্ত কোনো ব্যক্তি সদস্য রাষ্ট্রে ভ্রমণ করলে তাকে গ্রেপ্তার হওয়ার ঝুঁকি নিতে হয়। সূত্র: আল জাজিরা

মাহফুজ/

গাজার সব বাসিন্দাকে ‘ক্যাম্পে বন্দি’ করার পরিকল্পনা ইসরায়েলের

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৬:৫২ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৬:৫৩ পিএম
গাজার সব বাসিন্দাকে ‘ক্যাম্পে বন্দি’ করার পরিকল্পনা ইসরায়েলের
ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ জানিয়েছেন, গাজার সব ফিলিস্তিনিকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের একটি শিবিরে স্থানান্তরের জন্য সামরিক বাহিনীকে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। দেশটির গণমাধ্যমগুলো সোমবার (৭ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছে।

কাটজ সাংবাদিকদের বলেন, রাফাহ শহরের ধ্বংসস্তূপের ওপর একটি ‘হিউম্যানিটারিয়ান সিটি’ অর্থাৎ মানবিক আশ্রয় শিবির হিসেবে একটি এলাকা গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে তার, যেখানে প্রাথমিকভাবে প্রায় ৬ লাখ ফিলিস্তিনিকে রাখা হবে, এবং পরে গাজার পুরো ২১ লাখ জনগোষ্ঠীকে সেখানে স্থানান্তর করা হবে।

ইসরায়েল কাটজ জানান, সবার আগে নিরাপত্তা যাচাই করে নিশ্চিত করা হবে তারা হামাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। যাচাইয়ের পর তাদের ভেতরে আনা হবে এবং বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, যদি পরিস্থিতি অনুকূল হয়, তাহলে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে প্রস্তাবিত ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির সময় এই নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।

এ পরিকল্পনাকে এক ইসরায়েলি মানবাধিকার আইনজীবী সরাসরি ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের একটি প্রক্রিয়াগত পরিকল্পনা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

মানবাধিকার আইনজীবী মাইকেল স্ফার্ড ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানকে বলেন, এটা গাজার দক্ষিণ প্রান্তে জনগণকে স্থানান্তরের মাধ্যমে পরবর্তীতে তাদের বহিষ্কারের প্রস্তুতি।

জাতিসংঘও এর আগে সতর্ক করেছে, কোনো দখলকৃত ভূখণ্ডের বেসামরিক জনগোষ্ঠীকে জোরপূর্বক স্থানান্তর বা বহিষ্কার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের পরিপন্থী এবং ‘জাতিগত নির্মূলের শামিল’।

এ বিষয়ে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা হামাসের পক্ষ থেকে কোনো তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

এদিন পরে, হোয়াইট হাউসে এক বৈঠকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবের কথা বলেন, যেখানে যুদ্ধোত্তর গাজা শাসনে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ ও ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র স্থায়ীভাবে পুনর্বাসনের কথা বলা হয়েছে।

নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমি মনে করি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি অসাধারণ। এটা 'স্বাধীন পছন্দ' নামে পরিচিত। কেউ থাকতে চাইলে থাকুক, আর কেউ যদি চলে যেতে চায়, তাহলে তাদের যাওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত… আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি এমন দেশ খুঁজতে, যারা ফিলিস্তিনিদের জন্য ভালো ভবিষ্যৎ চায়।’

ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা আশেপাশের দেশগুলোর কাছ থেকে অসাধারণ সহযোগিতা পেয়েছি… প্রতিটি দেশের কাছ থেকেই দারুণ সমর্থন এসেছে। তাই, কিছু ভালোই ঘটবে।’

গত মার্চে আরব রাষ্ট্রগুলো ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিকল্প হিসেবে মিশরের ৫৩ বিলিয়ন ডলারের গাজা পুনর্গঠন পরিকল্পনাকে সমর্থন করে, যেখানে ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূমিতেই থেকে যাওয়ার সুযোগ থাকবে।

তারা একে ‘ফিলিস্তিনি জনগণের যেকোনো প্রকার স্থানান্তরের ঘোরতর বিরোধতা’ বলে অভিহিত করে এবং এটিকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং জাতিগত নির্মূল’ হিসেবে আখ্যায়িত করে।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং হামাস মিশরের এই পরিকল্পনাকে সমর্থন জানালেও, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল বলেছে, এ পরিকল্পনা গাজার বাস্তবতা বিবেচনায় নেয়নি।

এদিকে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ভয় বাড়ছে আরেকটি নাকবার আশঙ্কায়। আরবি ভাষায় যার অর্থ ‘বিপর্যয়’, যখন ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র গঠনের আগে ও পরে লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান বা উৎখাত হন।

সেই সময়ের অনেক শরণার্থীই গাজায় এসে আশ্রয় নেন, এবং তাদের সন্তান-সন্ততিসহ তারা গাজার মোট জনসংখ্যার প্রায় তিন-চতুর্থাংশ। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, আরও ৯ লাখ নিবন্ধিত শরণার্থী পশ্চিম তীরে এবং ৩৪ লাখ ফিলিস্তিনি জর্ডান, সিরিয়া ও লেবাননে বাস করছেন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন সীমান্ত পেরিয়ে হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হলে, ইসরায়েল হামাসকে নিশ্চিহ্ন করতে সামরিক অভিযান শুরু করে।

হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, এরপর থেকে গাজায় ৫৭ হজার ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

গাজার অধিকাংশ মানুষ একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। বাড়িঘরের ৯০ শতাংশেরও বেশি ধ্বংস হয়েছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে স্বাস্থ্যব্যবস্থা, পানি, স্যানিটেশন এবং পরিচ্ছন্নতা ব্যবস্থা। তীব্র সংকটে রয়েছে খাদ্য, জ্বালানি, ওষুধ ও আশ্রয়। সূত্র: বিবিসি

মাহফুজ/

 

কায়রোর টেলিকম ভবনের আগুনে নিহত ৪, ব্যাহত ইন্টারনেট ও ফোন সেবা

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৫:২৯ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৫:২৯ পিএম
কায়রোর টেলিকম ভবনের আগুনে নিহত ৪, ব্যাহত ইন্টারনেট ও ফোন সেবা
ছবি: সংগৃহীত

মিশরের রাজধানী কায়রোয় একটি প্রধান টেলিকমিউনিকেশন ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে চারজন কর্মী নিহত হয়েছেন এবং অন্তত ২২ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন মিশরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হোসাম আবদেল ঘাফফার।

সোমবার (৭ জুলাই) টেলিকম ইজিপ্টের (Telecom Egypt) একটি গুরুত্বপূর্ণ ডেটা সেন্টারে আগুন লাগার ঘটনায় কায়রোর বিভিন্ন এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে জানানো হয়, আগুন সোমবারই নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে মিশরের যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী আমর তালাত জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধাপে ধাপে সব সেবা স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

টেলিকম ইজিপ্ট মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে নিহত কর্মীদের জন্য শোক প্রকাশ করে এবং তাদের পরিবারকে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

আগুনের কারণে ফোন কল ও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ইন্টারনেট পর্যবেক্ষণ সংস্থা Netblocks জানায়, আগুনের পর জাতীয় ইন্টারনেট সংযোগ স্বাভাবিকের তুলনায় ৬২ শতাংশে নেমে আসে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, যারা জরুরি অ্যাম্বুলেন্স সেবা পেতে হটলাইন নম্বরে পৌঁছাতে পারছেন না, তাদের জন্য বিকল্প নম্বর চালু করা হয়েছে।

ফোন সেবা ছাড়াও, এই অগ্নিকাণ্ডের প্রভাবে কিছু ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা, যেমন ক্রেডিট কার্ড, এটিএম মেশিন এবং অনলাইন লেনদেন ব্যাহত হয় বলে সোমবার জানিয়েছেন ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা ও স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে সেদিন ব্যাংকগুলো বন্ধই ছিল।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, অধিকাংশ আহত ব্যক্তি ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা MENA সোমবার জানায়, আগুন পুরো ভবন এবং আশপাশের ছাদগুলোতে ছড়িয়ে পড়ার আগেই নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

দেশটির নিরাপত্তা সূত্র জানায়, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, আগুনের সূত্রপাত হয় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে। সূত্র: আনাদুলো এজেন্সি

মাহফুজ/

 

এবার নিজের টিভি স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চালু করলেন ট্রাম্প

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩০ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩৪ পিএম
এবার নিজের টিভি স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চালু করলেন ট্রাম্প
ছবি: সংগৃহীত

নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল চালুর পর এবার নতুন টিভি স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ প্লাস’ চালু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের মালিকানাধীন ট্রাম্প মিডিয়া অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপ (টিএমটিজি) এটি পরিচালনা করবে।

সোমবার (৭ জুলাই) ট্রাম্পের মিডিয়া কোম্পানি ট্রুথ প্লাস নামে্র এই টেলিভিশন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম উন্মোচন করে ঘোষণা করে যে, নিউজম্যাক্স - ট্রাম্প-পন্থী কন্টেন্টের জন্য পরিচিত একটি প্রচারণামূলক একটি ফ্ল্যাগশিপ চ্যানেল হবে।

প্ল্যাটফর্মটি কনজারভেটিভ (রক্ষণশীল) সংবাদমাধ্যম নিউজম্যাক্সের সঙ্গে অংশীদারত্বে শুরু হয়েছে। ট্রাম্প মিডিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্ল্যাটফর্মটি ‘পরিবারবান্ধব লাইভ টিভি চ্যানেল ও অন ডিমান্ড কনটেন্ট’ সম্প্রচারে গুরুত্ব দেবে।

আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ছাড়াও ইন্টারনেট, অ্যাপল টিভি, অ্যান্ড্রয়েড টিভি, অ্যামাজন ফায়ার ও রোকু কানেকটেড টিভিতে অ্যাপটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যাবে। এলজি ও স্যামসাংয়ের স্মার্ট টিভির জন্যও অ্যাপটি শিগগির চালু হবে এবং এটি অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

গত জুনের শেষ দিক থেকে এই প্ল্যাটফর্মের বেটা সংস্করণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করে ট্রাম্প মিডিয়া।

এক বিবৃতিতে ট্রাম্প মিডিয়ার সিইও ও চেয়ারম্যান ডেভিন নুনেস জানান, ‘ট্রুথ প্লাস’ এত দ্রুত আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করতে পেরে আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা সব ডিভাইস ও অপারেটিং সিস্টেমে এটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করতে কাজ করছি।
 
নিউজম্যাক্সের সিইও ক্রিস রুডি জানান, ডেভিন নুনেস যুক্তরাষ্ট্রে ট্রুথ সোশ্যাল এবং এখতাই তাদের বিশ্বব্যাপী সম্প্রসারণ একেবারেই স্বাভাবিক। এই সম্প্রসারণে ট্রাম্প মিডিয়ার সঙ্গে অংশীদার হতে পেরে তিনি গর্বিত।

এদিকে ট্রুথ সোশ্যাল ও ট্রুথ প্লাস ছাড়াও ট্রাম্প মিডিয়া শিগগিরই ‘ট্রুথ ডট ফাই’ নামে একটি নতুন আর্থিক ও ফিনটেক ব্র্যান্ড চালু করতে যাচ্ছে। সেখানে থাকবে ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে বিনিয়োগের সুযোগ।

সুলতানা দিনা/