দীর্ঘ দিনের চেপে রাখা কান্না কান সৈকতের পাড়ে গিয়ে কাঁদলেন কার্লা সোফিয়া গ্যাসকন। রূপান্তরকামী একজন নারী হিসেবে নিজের দেশেও অপমানিত হতে হয়েছে তাকে। কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়ে সবার নজর কেড়েছেন তিনি। সেখান থেকেই রূপান্তরকামীদের প্রতি সদয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এই অভিনয়শিল্পী।
’ইমিলিয়া পেরেস’ সিনেমার জন্য কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন চারজন। তাদের অন্যতম কার্লা। জ্যাক অদিয়াঁর নির্মিত ছবিটায় পুরস্কার পাওয়ার পর বক্তৃতায় তিনি নিজের সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন। জানান, রূপান্তরকামী হওয়ায় পদে পদে কীভাবে নানা বাধার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। বক্তৃতায় রূপান্তরকামিতা নিয়ে কুসংস্কার ও তার সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈষম্য নিয়েও কথা বলেন তিনি। ট্রান্সজেন্ডারদের প্রতিনিয়ত অপমানিত হতে হয়, হত্যার হুমকির মধ্য দিয়ে যেতে হয় সেসব তিক্ত অভিজ্ঞতাও তুলে ধরেন কার্লা। তিনি বলেন, ‘আমার নিজের দেশ মেক্সিকোতে মানুষ আমাদের বিশ্রি ভাষায় সম্বোধন করে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যা, আমাদের সেভাবেই গ্রহণ করা উচিত। শরীর আমাদের, এটা বদলে ফেলার অধিকারও আমার আছে।’ তার স্পষ্ট বক্তব্য হচ্ছে, ট্রান্সজেন্ডাররা স্বাভাবিক মানুষ, তাদের সম্মান পাওয়ার অধিকার আছে।
রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের সংগ্রাম শুধু সামাজিক নয়, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও তাদের সংগ্রাম করতে হয় প্রতিনিয়ত। রূপান্তরকামিতা কোনো মানসিক রোগ নয়, এটি এখনো সমাজে প্রতিষ্ঠিত নয়। এ কারণে এই সম্প্রদায়ের মানুষকে নানা বিতর্কের মুখোমুখি হতে হয়। ‘এমিলিয়া পেরেস’ সিনেমায় শুরুতে কার্লার ভূমিকা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। তিনি কি একজন পুরুষ মাদকমাফিয়া হবেন, নাকি নারী! যদিও ছবিতে তার অনবদ্য অভিনয় অতিথিদের চোখে পড়েছিল। টানা ১১ মিনিটের অভিবাদনই সে কথা বলে দেয়।
কলি