গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশের দিন প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন মেলেনি। রমনা মডেল থানার এই মামলায় বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদের আদালতে গত বুধবার জামিনের আবেদন করেন মির্জা ফখরুল। তার পক্ষে আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ এই আবেদন করেন।
রাজধানীতে গত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ ঘিরে হামলা, ভাঙচুর, সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়। তবে এই ১১ মামলার মধ্যে ১০টিতেই তার জামিন মঞ্জুর করেন বিচারিক আদালত। শুধু প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় জামিন আবেদন খারিজ করেন হাইকোর্ট। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।
গত ১০ জানুয়ারি হাইকোর্ট জামিন প্রশ্নে রুল খারিজ করেন। রুল খারিজের রায়ে ওই দিন আদালত বলেন, অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনা করে এ মুহূর্তে (ফখরুলকে) জামিন দেওয়া হলে তদন্ত বাধাগ্রস্ত হতে পারে। যে কারণে এ মুহূর্তে তাকে জামিন দেওয়া সমীচীন হবে না। তাই রুল খারিজ করা হলো। এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর পল্টন মডেল থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পর জামিন নামঞ্জুর করে ফখরুলকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে রাজধানীর পৃথক ৯ মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন (শ্যোন অ্যারেস্ট) আদালত। গতকাল ঢাকার পৃথক দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত শুনানি শেষে তাকে গ্রেপ্তার দেখান।
বৃহস্পতিবার কারাগার থেকে মির্জা আব্বাসকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত পল্টন থানার পাঁচ মামলায় এবং অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত রমনা মডেল থানার চার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
গত ২৪ জানুয়ারি মির্জা আব্বাসের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী। এরপর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালত এ বিষয়ে শুনানির জন্য গতকাল (১ ফেব্রুয়ারি) দিন ধার্য করেন। এর ধারাবাহিকতায় শুনানি নিয়ে আদালত আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের দিনে নানা ঘটনায় করা ১১ মামলায় মির্জা আব্বাসকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে শাহজাহানপুর থানার নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় গোয়েন্দা পুলিশ গত ৩১ অক্টোবর রাতে ঢাকার শহীদবাগ থেকে মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করেন।
পরে এ মামলায় গত ১ নভেম্বর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ৫ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তী সময়ে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা রেওলয়ে থানার আরেক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এমএ/