সাড়ে তিন মাস কারাগারে বন্দি থাকার পর সোমবার সন্ধ্যায় মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকে পৌঁছালে তাকে বরণ করেন দলের অপর স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাসের স্ত্রী ও মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায়সহ দলের কয়েক'শ নেতা-কর্মী স্লোগান ও করতালি দিতে থাকেন।
ছাদ খোলা গাড়িতে নেতা-কর্মীদের হাত তুলে অভিবাদন জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদের গণতন্ত্র ফেরানোর মুক্তির আন্দোলন চলবে।
তিনি বলেন, এখনও অনেক কর্মী কারাগারে রয়েছে, অনেকের সাজা হয়েছে। এই কর্মীদের মুক্ত করতে হবে, তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। কারাগারে চিকিৎসার অপ্রতুলতার কারণে নেতা-কর্মীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করে তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে সরকারের কাছে দাবি জানান মির্জা আব্বাস।
এর আগে সোমবার সকালে ঢাকা রেওলয়ে থানার মামলায় চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুলহাস উদ্দিন শুনানি শেষে তাকে দশ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন দেন। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগসহ ১১টি মামলায় জামিন পেয়ে মুক্তি পেলেন মির্জা আব্বাস।
মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী জানান, সবকটি মামলায় জামিন হওয়ার পর বিকালে জামিননামা কারাগারে পোঁছানোর পরে সন্ধ্যায় মির্জা আব্বাস মুক্তি পান।
কারাগারের প্রধান ফটকে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য দিয়ে ঢাকার শাহজাহানপুরের বাসার উদ্দেশে রওনা দেন মির্জা আব্বাস।
গত বৃহস্পতিবার এই কারাগার থেকে মুক্তি পান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনার পর গত ৩১ অক্টোবর রাতে ঢাকার শহীদবাগ থেকে মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলাসহ ১১টি মামলা দেওয়া হয়।
সফিক/এমএ/