
সাবেক সংসদ সদস্য ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সাবেক মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নানকে অর্থ আত্মসাতের এক মামলায় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। সুদাসলে ২০ কোটি ২২ লাখ ৩ হাজার ৬৩০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় এ নির্দেশ দেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত এই নির্দেশ দেন।
কমিশনের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ দিন মান্নান আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স করপোরেশন লিমিটেডের (বিআইএফসি) সাবেক চেয়ারম্যান মেজর (অব.) আবদুল মান্নান ও ঋণগ্রহীতা মো. রফিক উদ্দিনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা করে কমিশন। দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. আব্দুল মাজেদ বাদী হয়ে ২০২৩ সালের ১২ এপ্রিল ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এই মামলা করেন। অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা এই মামলায় অভিযোগ করা হয়, মেজর (অব.) আবদুল মান্নান এবং তার প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও কর্মকর্তারা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণামূলকভাবে মো. রফিক উদ্দিনের নামে নিরাপত্তা জামানত ও মর্টগেজ ছাড়াই ১১ কোটি ৭০ লাখ টাকা ঋণ মঞ্জুর ও বিতরণ দেখায়। এই টাকা পরিশোধ না করে গ্রাহকের নিকট পাওনা ১৪ কোটি ৩১ লাখ ১৯ হাজার ২৫ টাকা আত্মসাৎপূর্বক দণ্ডবিধির ৪০৬/৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অপরাধ করায় কমিশন তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজুর অনুমোদন দিয়েছে।
অভিযুক্ত রফিক উদ্দিন বিআইএফসির কর্মকর্তা ও বোর্ড সদস্যদের অন্যায়ভাবে প্রভাবিত করে পৃথক ৪টি ঋণ চুক্তির মাধ্যমে ১১ কোটি ৭০ লাখ টাকা ঋণ মঞ্জুর করিয়ে ১৪ কোটি ৩১ লাখ ১৯ হাজার ২৫ টাকা আত্মসাৎ করে দণ্ডবিধির ৪০৬/৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অপরাধ করেছেন। আসল ও সুদ মিলে যার বর্তমান স্থিতি ২০ কোটি ২২ লাখ ৩ হাজার ৬৩০ টাকা।