ঢাকা ৩ আশ্বিন ১৪৩১, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ধর্ষণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানের যাবজ্জীবন

প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৪, ০৬:০৬ পিএম
ধর্ষণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানের যাবজ্জীবন
খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদ

ধর্ষণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে ঝিনাইদহের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মো. মিজানুর রহমান এই রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় ফরিদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নরহরিদ্রা গ্রামের খোন্দকার আমিরুজ্জামানের ছেলে এবং হরিশংকরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও হরিশংকরপুর ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান।

আদালতের রায় সূত্রে জানা গেছে, খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদের নিজ গ্রামে সদর উপজেলার নৃসিংহপুরে গত ২০২২ সালের ১৫ এপ্রিল এক বিচারপ্রার্থী নারীকে মাদকদ্রব্য সেবন করিয়ে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ১৯ এপ্রিল ওই নারী ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা করেন। ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদ ধর্ষণ মামলা থেকে বাঁচতে ওই নারীকে বিয়ে করেন আবার একই টেবিলে বসে তালাকও দেন। ধর্ষণ মামলার পর ফারুকুজ্জামান ফরিদ উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে হরিশংকরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে থাকেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমীন প্রধান ২০২২ সালের ১৬ এপ্রিল খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদকে সাময়িক বহিষ্কার করে প্রজ্ঞাপন জারি করেন। মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য ঝিনাইদহের আদালত ডিএনএ টেস্ট করার জন্য ঢাকায় পাঠান। ডিএনএ টেস্টে চেয়ারম্যান ফরিদ অপরাধের প্রমাণ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ঝিনাইদহ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ তাকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে।

আদালত সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০-এর ৯(১) ধারায় অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজার রায় দেন। মামলায় ফরিদের গাড়িচালক সদর উপজেলার হুদা বাকড়ী গ্রামের ইউনুস মুন্সির ছেলে নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে আদালত বেকসুর খালাস প্রদান করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট বজলুর রহমান ও আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট নেকবার আলী মামলাটি পরিচালনা করেন।

নির্মম হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও বিচার অগ্রাধিকার পাবে : চিফ প্রসিকিউটর

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৬ পিএম
নির্মম হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও বিচার অগ্রাধিকার পাবে : চিফ প্রসিকিউটর
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সবচেয়ে স্পর্শকাতর, নির্মম ও আলোচিত হত্যাকাণ্ডগুলো অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তদন্ত করে বিচারের জন্য নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম। 

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম, বি এম সুলতান মাহমুদ ও আব্দুল্লাহ আল নোমান উপস্থিত ছিলেন। 

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘রংপুরের আলোচিত আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড, আশুলিয়ায় হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে ফেলাসহ উত্তরা ও যাত্রাবাড়ীর নির্মম হত্যাগুলোর তদন্ত দ্রুত শেষ করে বিচারের জন্য নিয়ে আসার চেষ্টা করা হবে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে কত দ্রুত ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা যায় তার ওপর।’ 

তিনি বলেন, ‘ট্রাইব্যুনাল এই মুহূর্তে ফাংশনিংয়ে নেই। আমরা সরকারের কাছে আহ্বান করেছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন হওয়া প্রয়োজন। ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিয়োগ না হলে এই যে যারা আসামি আছে, তাদের গ্রেপ্তার আদেশ যদি চাই, তাদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের কোর্টের আদেশ ছাড়া কঠিন। সরকারের কাছে আমরা অনুরোধ করছি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে ট্রাইব্যুনালটা পুনর্গঠন হোক। ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন হলে কাজগুলো খুব দ্রুতগতিতে এগোবে। আমাদের প্রস্তুতিগুলো এগোবে। সে চেষ্টা অব্যাহত আছে। তদন্ত সংস্থার কাছে বা প্রসিকিউশনের কাছে যে অভিযোগগুলো আসছে, সেগুলো সরাসরি মামলা না। সেগুলো অভিযোগ আকারে আসছে। এগুলো যাচাই-বাছাই করে আমরা যখন ট্রাইব্যুনালের কাছে পিটিশন আকারে উপস্থাপন করব, তখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনের অধীনে মামলা হবে। সে মামলা হওয়ার আগ পর্যন্ত অভিযোগে কারও নাম এলে তিনি আসামি হয়ে যাচ্ছেন না। ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট বা থানার ব্যাপার আলাদা। আমরা যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করব। এখানে ভুলভ্রান্তি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’

এক প্রশ্নের উত্তরে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে (ট্রাইব্যুনাল) নিরপেক্ষ বিচারক লাগবে। আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য বিচারক লাগবে। হাইকোর্ট ডিভিশনে বিচারক আছেন, যারা বিগত সরকারের আমলে নিয়োজিত হয়েছেন। স্বাভাবকিভাবে তাদের যদি ট্রাইব্যুনালে আনা হয়, তাহলে নানা দিক থেকে প্রশ্ন উঠতে পারে। আমরা চাই, এমন সব বিচারক নিয়ে আসা হোক, যাদের ব্যাপারে কোনো প্রশ্ন নেই। সে কারণে সরকার নানান দিক বিবেচনা করছে। এ জন্য সময় লাগছে।’

শেখ হাসিনার নামে আরও দুই মামলা

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৯ পিএম
শেখ হাসিনার নামে আরও দুই মামলা
শেখ হাসিনা (ফাইল ছবি)

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে আরও দুটি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় একটি হত্যা মামলা এবং গুলিতে একজন আহত হওয়ার ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী সাম্প্রতিক আন্দোলনের মধ্যে যাত্রাবাড়ীর কাজলায় গুলি করে সোহেল রানা নামে একজনকে হত্যার অভিযোগে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) তার ভাই জুয়েল ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে মামলা করেন।

মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন রেজার আদালত অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। 

মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হন সোহেল রানা। সেখানে অন্য আসামিদের নির্দেশে পুলিশের পোশাক পরিহিত লোকের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন সোহেল। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। শেখ হাসিনা ছাড়া মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন তার মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, হাছান মাহমুদ, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, শাজাহান খান, কামরুল ইসলাম, জুনাইদ আহমেদ পলক ও মোহাম্মদ আলী আরাফাত এবং সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য হাজি সেলিম, মির্জা আজম, পংকজ দেবনাথ, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। 

অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মো. জাহাঙ্গীর নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে সোনারগাঁ থানায় মামলা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে আহত মো. জাহাঙ্গীর নিজেই এ মামলা করেন।

মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারী।

মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান মাসুম, সোনারগাঁ যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, হাজি সোহাগ রনি, কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনসহ ১৫১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া ২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। 

মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ১৯ জুলাই দুপুরে সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর এলাকায় জাহাঙ্গীরসহ ছাত্র-জনতার ওপর ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আসামিরা গুলিবর্ষণ করে। এ সময় একটি গুলি তার কপালে লাগলে রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি লুটিয়ে পড়েন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নেন। এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কাঁচপুর এলাকায় নিহতের ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে চারটি হত্যা মামলা ও একটি আহতের ঘটনায় মামলা করা হয়। এ নিয়ে ছয়টি মামলা হয়েছে। আরও মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে থানার একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সাবেক মন্ত্রী মেনন-সুজনের ৩ দিন করে রিমান্ড

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:১৬ পিএম
সাবেক মন্ত্রী মেনন-সুজনের ৩ দিন করে রিমান্ড
রাশেদ খান মেনন-নূরুল ইসলাম সুজন

শেখ হাসিনা সরকারের দুই মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ও নূরুল ইসলাম সুজনের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এর আগে সকালে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে চেয়ে পুলিশের করা আবেদনের ওপর শুনানি করেন আদালত।

এরমধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেননের তিনি দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

তাকে ৫ দিন রিমান্ডে চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক মাইনুল ইসলাম খান পুলক।

শুনানিতে মেননের আইনজীবী রিমান্ড আবেদনের বিরোধীতা করে জামিন আবেদন করেন। 

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালত এই আদেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ছয় বছর আগে ২০১৮ সালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিএনপির নির্বাচনি প্রচারণায় মির্জা আব্বাসের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনায় গত ৪ আগস্ট শাহবাগ থানায় মামলা করেন ইমাম হোসেন ইমন নামের এক ব্যক্তি।

এদিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে ইমরান হাসান নামের এক শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যার মামলায় সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন রেজার আদালত শুনানি শেষে রিমান্ড মঞ্জুর করে এই আদেশ দেন।

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক শাহ আলম মিয়া তাকে এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিন রিমান্ডে চেয়ে আবেদন করেন।

আদালতে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী নূরুল ইসলাম সুজনের পক্ষে তার আইনজীবী রিমান্ড আবেদনের বিরোধীতা করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আদেশ দেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে গত ৫ আগস্ট সকালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও পুলিশ ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি করে। এতে ইমরান হাসান গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

ওই ঘটনায় গত ১ সেপ্টেম্বর নিহতের মা কোহিনুর আক্তার বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ২৯৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। 

মাহমুদুল আলম/অমিয়/

পুলিশ কর্মকর্তা কাফি আবারও রিমান্ডে

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:০১ পিএম
পুলিশ কর্মকর্তা কাফি আবারও রিমান্ডে
আব্দুল্লাহিল কাফি

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সাভারের আশুলিয়া থানার এক হত্যাচেষ্টা মামলায় ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সুপার নিউমারারি পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) আব্দুল্লাহিল কাফির আরও দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই আদেশ দেন।

আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আবু তাহের মিয়া তাকে সাত দিন রিমান্ডে চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুলহাস উদ্দিনের আদালত তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে ভুক্তভোগী মো. রবিউল আলম গত ১১ সেপ্টেম্বর আশুলিয়া থানায় এই মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়। 

মামলার অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ইউজিসির সাবেক সচিব ড. ফেরদৌস জামান, সাবেক সদস্য ড. মুহাম্মদ আলমগীর, ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র, ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।

এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর হাজারীবাগ থানার এক মামলায় আট দিন এবং ১২ সেপ্টেম্বর সাভারের একটি হত্যা মামলায় চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় তাকে।

মাহমুদুল আলম/অমিয়/

বিচারপতি মানিকের জামিন

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২৭ পিএম
আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩২ পিএম
বিচারপতি মানিকের জামিন
সাবেকবিচারপতি এ শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক

অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার অপরাধে সিলেটের কানাইঘাট থানায় করা মামলায় জামিন পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। তবে এই মামালায় জামিন পেলেও ঢাকায় তার বিরুদ্ধে মামলায় মানিককে শ্যোন অ্যারেস্ট (গ্রেপ্তার) দেখানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে সিলেটের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক অঞ্জন কান্তি দাশ এক টাকা জরিমানা আদায়ের মাধ্যমে তাকে জামিন দেন। তবে তার বিরুদ্ধে ঢাকায় বিভিন্ন অপরাধে সহায়তার জন্য একাধিক মামলা রয়েছে। সেসব মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে মানিককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট আদালতে নিযুক্ত পুলিশ পরিদর্শক (কোর্ট পরিদর্শক) জমসেদ আলী বলেন, সিলেটের মামলায় তার জামিন হলেও ঢাকায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট (গ্রেপ্তার) দেখানো হয়েছে। সে জন্য সিলেটের কারাগার থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হবে তাকে।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে বিচারপতি এ শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে সেনা, পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পাহারায় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তা দিয়ে আদালতে হাজির করা হয়।  

সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত দিয়ে গত ২৩ আগস্ট রাত ১১টার দিকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় মানিককে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার পাশের একটি জঙ্গল থেকে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সহায়তায় আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সেখানে বিজিবির কাছে আটকের আগে স্থানীয়রা তাকে মারধর করেন। পরদিন শনিবার (২৪ আগস্ট) সকালে তাকে কানাইঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়। ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ওই দিন বিকালে আদালতে হাজির করলে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আলমগীর হোসাইন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর রবিবার (২৫ আগস্ট) রাতে তার বিরুদ্ধে সিলেটের কানাইঘাট থানা-পুলিশ বাদী হয়ে পাসপোর্ট ও ভিসা ব্যতীত ভারতে প্রবেশের চেষ্টার অপরাধে মামলা করে।

আদালতে প্রবেশের সময় আদালত প্রাঙ্গণে থাকা মানুষজন শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে বেধড়ক কিল-ঘুষি মারেন। অনেকে ডিম ছোড়েন, কেউ জুতাও নিক্ষেপ করেন। অনেকেই শামসুদ্দিন চৌধুরীর নাম উল্লেখ করে কটূক্তিমূলক স্লোগানও দেন এবং লাঞ্ছিত করেন। সেখান থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পর সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে আনা হয়। এরপর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র দেওয়ার পর ওইদিন বিকেল চারটায় তাকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়।

শাকিলা ববি/জোবাইদা/অমিয়/