মাদক মামলায় ঝিনাইদহ জেলার সাবেক ট্রাফিক ইন্সপেক্টর শেখ আজমকে (৪০) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফরিদপুরের আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৩ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৩ জুন) দুপুরে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শিহাবুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে পুলিশ প্রহরায় কারাগারে পাঠানো হয়।
সাজাপ্রাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা শেখ আজম নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার পাচুরিয়া গ্রামের আলী আহমদ শেখের ছেলে। বর্তমানে তিনি সিলেট জেলায় কর্মরত ছিলেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর মধুখালী থানার এসআই কামরুজ্জামান মোবাইল ফোনে খবর পান, জেলার মধুখালী রেলগেট পশ্চিম পাশে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন। সে সময় মোটরসাইকেল আরোহী দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় জনতা শেখ আজমকে আটক করে। তিনি তখন ঝিনাইদহ জেলার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত ছিলেন। পুলিশ এসে মোটরসাইকেলের সঙ্গে গোপন একটি বাক্স থেকে ৮২ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করে এবং পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে মধুখালী থানার মাদক আইনে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে।
আসামি চুয়াডাঙ্গা জেলা সীমান্ত থেকে রাজবাড়ী জেলা গোয়ালন্দ ঘাট এলাকা প্রায়ই যাতায়াত করত এবং মাদক পরিবহন ও ব্যবসা করত। ২০১৮ সালের ৭ মে মধুখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন।
মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) টেবিলের ৩(খ) ধারায় আদালত ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সোমবার রায় ঘোষণা করেন। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায়, মোটরসাইকেলের অপর আরোহী আসামি নুর আলমকে খালাস দিয়েছেন আদালত।