ঢাকা ১৭ কার্তিক ১৪৩১, শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪

হোলি আর্টিজানের ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ রায় দেখে সাজা বাড়ানোর আবেদনের সিদ্ধান্ত

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০৯:৩১ পিএম
হোলি আর্টিজানের ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ রায় দেখে সাজা বাড়ানোর আবেদনের সিদ্ধান্ত
অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন

গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার আট বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ। এ হত্যা মামলায় হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় দেখে আসামিদের সাজা বাড়ানোর আবেদন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাষ্ট্রপক্ষ। 

রবিবার (৩০ জুন) অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন (এ এম আমিন উদ্দিন) সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘এই মামলাটা অনেক স্পর্শকাতর। বিশাল একটা জাজমেন্ট ছিল। বিচারিক আদালতে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হলেও হাইকোর্ট রায়ে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে আজীবন কারাবাস দেওয়া হয়েছে। পক্ষান্তরে হাইকোর্ট দণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন। শুধু বাক্যের পরিবর্তন হয়েছে। সে ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই কোনো কারণ ছিল, কিংবা কেন এটা দিয়েছেন তার কারণগুলো নিশ্চয়ই পূর্ণাঙ্গ রায়ে লেখা থাকবে। ওইটা দেখার পরে সরকারের সঙ্গে কথা বলে দেখব যে যুক্তিটা কী এবং এটার বিপক্ষে গেলে রাষ্ট্রের পক্ষে ফল লাভ হবে কি না, সেটা তখন আমরা বিবেচনা করব।’ 

এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকাটাই যুক্তিযুক্ত ছিল। আসামিদের প্রতি অনুকম্পা দেখানোর কোনো কারণই নাই। এরা (আসামি) যে বিদেশি কিছু নিরীহ মানুষ, যারা আমাদের দেশকে সহায়তা করতে এসেছিলেন, তারা আমাদের দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন করতে এসেছিলেন, তাদের বিনা কারণে শুধু ধর্মের নামে এবং উগ্রবাদিতার নামে হত্যা করেছে। যাদের বিরুদ্ধে রায় হয়েছে, সাজা হয়েছে, তারাই কিন্তু পেছনে ছিল। মদদ দিয়েছে, অস্ত্র দিয়েছে, পয়সা দিয়েছে, সহায়তা দিয়েছে, মূল পরিকল্পনার অংশে তারাই ছিল। তাদের প্রতি বিন্দুমাত্র অনুকম্পা দেখানোর সুযোগ নাই। তারপরও আদালত কী কারণে অনুকম্পা দেখিয়েছেন, তা আমাদের দেখতে হবে। সেটা দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রায় অনুযায়ী মৃত্যু পর্যন্ত তাদের কারাগারেই থাকতে হবে। মৃত্যুর পর তাদের লাশ কারাগার থেকে বের হবে।’

সাত জঙ্গির সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড: গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত জঙ্গির সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। গত বছর ৩০ অক্টোবর হাইকোর্টের বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজিব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে রাশ, সোহেল মাহফুজ ওরফে হাতকাটা মাহফুজ, হাদিসুর রহমান সাগর, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, মামুনুর রশিদ রিপন এবং শরিফুল ইসলাম খালিদ। দণ্ডপ্রাপ্ত আসমিদের সবাই এখন কারাবন্দি। 

২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর দেওয়া হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা মামলার রায়ে সাতজন জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালত। এরপর সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গিদের ‘ডেথ রেফারেন্স’ এবং আসামিপক্ষের করা আপিলের ওপর শুনানি শেষে রায় দেন হাইকোর্ট। 

আট বছর আগে ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে নৃশংস হামলা চালায় জঙ্গিরা। ওই হামলাকে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলার ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এতে ১৮ জন বিদেশি নাগরিকসহ ২২ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ৯ জন ইতালির, সাতজন জাপানের, একজন ভারতীয় এবং তিনজন বাংলাদেশি নাগরিক। তিনজন বাংলাদেশির মধ্যে একজনের দ্বৈত নাগরিকত্ব ছিলেন। এ ছাড়া দুজন পুলিশ কর্মকর্তাও সেদিন জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হন। 

সাবেক মন্ত্রী মোকতাদির ৫ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৩ পিএম
সাবেক মন্ত্রী মোকতাদির ৫ দিনের রিমান্ডে
সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী

সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের বিচারক মেহেরা মাহবুব এই আদেশ দেন। 

পুলিশ ও আদালত সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর মিরপুরের শেওড়াপাড়া এলাকা থেকে উবায়দুল মোকতাদিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পল্টন থানায় করা বিএনপির কর্মী মকবুল হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই মামলায় গতকাল বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করে পল্টন থানার পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চেয়ে আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এ সময় মোকতাদির চৌধুরীর আইনজীবী রিমান্ড আবেদন নাকচ করে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানির পর তাকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন আদালত।

মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ডাকা এক দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনের কর্মসূচিতে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতা-কর্মীরা ঢাকায় জড়ো হতে থাকেন। ৭ ডিসেম্বর বিকেলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদ, যুগ্ম কমিশনার মেহেদী হাসান ও বিপ্লব কুমারের নেতৃত্বে ৭০ থেকে ৮০ জন পুলিশ সদস্য বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। এ সময় আসামিরা বিএনপির কার্যালয়ের বিভিন্ন আসবাব, কম্পিউটার, নগদ অর্থ ও মুঠোফোন লুট করে নিয়ে যান। অভিযানে বিএনপির কার্যালয় ও এর আশপাশে থাকা দলটির হাজার হাজার নেতা-কর্মীর ওপর হামলা চালানো হয়। একই সঙ্গে সেদিন মকবুল নামে বিএনপির এক কর্মীকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা ও উবায়দুল মোকতাদিরসহ ২৫৬ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করা হয়। 

উবায়দুল মোকতাদির ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬টি হত্যাসহ অন্তত ৯টি মামলা রয়েছে।

 

দুদকে দলীয় ও আমলামুক্ত কমিশন চায় টিআইবি

প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৫৭ পিএম
দুদকে দলীয় ও আমলামুক্ত কমিশন চায় টিআইবি

দলীয় রাজনৈতিক বিবেচনা ও আমলাতান্ত্রিক প্রভাবের চর্চা থেকে বেরিয়ে এসে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নতুন কমিশন গঠনের আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটির পক্ষ থেকে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দক্ষ ও উপযুক্ত ব্যক্তিদের নিয়োগ দিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। টিআইবি মনে করে, যারা প্রকৃত অর্থেই স্বার্থের দ্বন্দ্বের ঊর্ধ্বে থেকে দুর্নীতি দমনের মাধ্যমে দুদকের প্রতি জন-আস্থা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবেন, তাদেরই নিয়োগ দেওয়া উচিত।

গত ২৯ অক্টোবর দুদকের চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের পদত্যাগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল এই বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে টিআইবি। এতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘চলমান রাষ্ট্র সংস্কার কার্যক্রমের আওতাভুক্ত অন্যতম প্রতিষ্ঠান দুদক, যার দীর্ঘকালীন অকার্যকরতার কারণে সংস্কার কমিশনের ওপর দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও কার্যকরভাবে দায়িত্ব পালনে উপযোগী সুপারিশ প্রণয়ন করা। এমন পরিপ্রেক্ষিতে সরকার অবিলম্বে নতুন কমিশন গঠনের দায়িত্ব নিয়েছে। পতিত কর্তৃত্ববাদী সরকারের শতাধিক সাবেক মন্ত্রী-এমপি এবং সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে অনুসন্ধানের কাজ চলমান রয়েছে। এমন একটি সময়ে শীর্ষ পর্যায়ে শূন্যতা দুদকের তদন্তসহ সব কার্যক্রমে স্থবিরতা সৃষ্টি করবে। কেননা নতুন কমিশন গঠনের আগ পর্যন্ত নতুন করে কারও বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু ও তদন্ত বা মামলার সুযোগ থাকবে না। ফলে দ্রুত নতুন কমিশন গঠনের মাধ্যমে এ শূন্যতা পূরণ করা জরুরি। অন্যথায় রাষ্ট্র সংস্কারের ক্ষেত্রে হিতে বিপরীত পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।’

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ‘২০০৪ সালে দুদকের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আমরা সংস্থাটিকে রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক বিবেচনায় নিয়োগ এবং রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক স্বার্থরক্ষায় ব্যবহারের হাতিয়ার হিসেবে দেখে আসছি। কর্তৃত্ববাদী সরকারের সময় কমিশনের নেতৃত্বের রাজনৈতিক আজ্ঞাবহ চরিত্রের দৃষ্টিকটু দৃষ্টান্তও রয়েছে। রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়ার কারণে কমিশন কখনোই প্রত্যাশিত ভূমিকা পালন করতে পারেনি, আগ্রহীও হয়নি। একই কারণে নিয়োগ পাওয়া কমিশনাররা সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা করণীয় নির্ধারণেও ক্ষমতায় থাকা বা ক্ষমতার বাইরে থাকার মানদণ্ডে প্রভাবিত। অনেক ক্ষেত্রে বড় আকারের দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের তথ্য ও সুস্পষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও তদন্তের উদ্যোগ না নেওয়া, আবার দায়সারা উদ্যোগ নিলেও পরবর্তী সময়ে অভিযুক্তকে দায়মুক্তি দেওয়ার অশুভ নজিরও তৈরি করেছে দুদক। অন্যদিকে ক্ষমতার বাইরে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বা অন্য কোনো কারণে বিরাগভাজন মহলের জন্য হয়রানির হাতিয়ার হিসেবে নিজেকে ব্যবহৃত হতে দিয়েছে দুদক। ফলে বাস্তবে প্রতিষ্ঠানটি দুর্নীতি দমনের স্থলে দুর্নীতি সহায়ক ও সুরক্ষাকারী হিসেবে ভূমিকা রেখেছে। আমরা মনে করি, দুদকের চেয়ারম্যান ও কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো অবস্থায়ই দলীয় রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে বিবেচিত হওয়ার সুযোগ দেওয়া যাবে না। একই সঙ্গে দুর্নীতি দমনে দক্ষ-উপযুক্ত, ব্যক্তিজীবনে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত, আমলাতান্ত্রিক স্বার্থমুক্ত এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে দৃঢ় মনোভাবাপন্ন ব্যক্তিদের কমিশনার হিসেবে নিয়োগের আহ্বান জানাই। এ ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিলে নজিরবিহীন ত্যাগের বিনিময়ে সৃষ্ট জনপ্রত্যাশা যেমন আরও একবার ধূলিসাৎ হবে, তেমনি অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে থাকবে।’

খালেদা জিয়ার নাশকতার আরও এক মামলা বাতিল

প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৩ পিএম
আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৩ পিএম
খালেদা জিয়ার নাশকতার আরও এক মামলা বাতিল
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া

রাজধানীর দারুস সালাম থানায় নাশকতার অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা আরও একটি মামলা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

এর আগে গতকাল বুধবার রাজধানীর দারুস সালাম ও যাত্রাবাড়ী থানায় নাশকতার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে দায়ের করা ১০টি মামলা বাতিল করেন হাইকোর্ট।

আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

আদালতে উপস্থিত ছিলেন- জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, ব্যারিস্টার সানজিদ সিদ্দিকী।

আইনজীবীরা বলেন, ২০১৫ সালে সরকারবিরোধী আন্দোলন চলাকালে নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় তিনটি ও দারুস সালাম থানায় সাতটি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় এফআইরে খালেদা জিয়ার নাম ছিল না। চার্জশিটে তার নাম ঢুকানো হয়। দীর্ঘদিন থেকে হাইকোর্টের আদেশে এসব মামলার কার্যক্রম স্থগিত ছিল। 

এদিকে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ মুক্তিযুদ্ধের সংখ্যা নিয়ে মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা বাতিল করেন।

এলিস/অমিয়/

ফুলকোর্ট সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি

প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৫৮ পিএম
আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৫৯ পিএম
ফুলকোর্ট সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ

সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির নিয়ে ফুলকোর্ট সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

আগামী সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।

ফুলকোর্ট সভা অনুষ্ঠান সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের জারি করা এক নথিতে বলা হয়, আগামী ৪ নভেম্বর বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে প্রশাসন ভবন-৪এর দোতলায় অবস্থিত কনফারেন্স রুমে ফুলকোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হবে।

এলিস/অমিয়/

তারেক রহমান-সালামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বাতিল

প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৩৫ পিএম
আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:১২ পিএম
তারেক রহমান-সালামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বাতিল
তারেক রহমান ও আব্দুস সালাম

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান আব্দুস সালামসহ চারজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার কার্যক্রম বাতিল করে তাদের খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এই মামলায় খালাস পাওয়া অন্য দুজন হলেন- একুশে টেলিভিশনের সাবেক প্রধান প্রতিবেদক মাহাথীর ফারুকী খান ও সিনিয়র প্রতিবেদক কনক সারওয়ার।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি লন্ডন থেকে তারেক রহমানের দেওয়া বক্তব্য একুশে টিভি সরাসরি সম্প্রচার করলে পরদিন তারেক রহমান ও আবদুস সালামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চায় তেজগাঁও থানা পুলিশ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর তেজগাঁও থানার এসআই বোরহান উদ্দিন ২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় এ মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে গত বছর ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের গোয়েন্দা পরিদর্শক এমদাদুল হক। সেখানে তারেক রহমান ও আব্দুস সালামের সঙ্গে মাহাথীর ফারুকী খান ও কনক সারওয়ারকেও আসামি করা হয়।

এই মামলায় ইটিভির চেয়ারম্যান আবদুস সালাম গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন জেল খেটেছেন। তবে মামলায় তারেক রহমান কোনো আবেদন করেনি। মামলাটি বাতিল করায় সব আসামি একই সুবিধা পাবেন।

এলিস/অমিয়/