ঢাকা ১৮ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২

চট্টগ্রামে ফ্লাইওভারের গার্ডার ধস মামলায় ৮ জনের কারাদণ্ড

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৪, ০৪:৪০ পিএম
চট্টগ্রামে ফ্লাইওভারের গার্ডার ধস মামলায় ৮ জনের কারাদণ্ড
ছবি : খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের তিনটি গার্ডার ধসে ১৩ জনের প্রাণহানির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ৮ কর্মকর্তাকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

একই সঙ্গে মামলার এক ধারায় ৫ বছর করে কারাদণ্ড ও ৩ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অন্য একটি ধারায় ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁইয়্যার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ।

তিনি বলেন, রায় ঘোষণার সময় ৮ আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মীর আক্তার অ্যান্ড পারিশা ট্রেড সিস্টেমস (জেভি) বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. গিয়াস উদ্দীন, সুপারভিশন ইঞ্জিনিয়ার মো. মনজুরুল ইসলাম, কোয়ালিটি কন্ট্রোল ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হাই, মো. মোশারফ হোসেন রিয়াজ, ডিরেক্টর (অ্যাডমিন) প্রকৌশলী মো. শাহজাহান আলী, আব্দুল জলিল, আমিনুর রহমান ও রফিকুল ইসলাম।

এর আগে গত ২৫ জুন এ মামলায় রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। পরে ১০ জুলাই রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আদালত।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর নগরে নির্মাণাধীন বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের গার্ডার ধসে ১৩ জন প্রাণ হারায়। এ ঘটনার দুই দিন পরে নগরের চান্দগাঁও থানায় মামলা করে পুলিশ। মামলায় দায়িত্বে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ এনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নির্বাহী প্রকৌশলী, প্রকল্প পরিচালক, মীর আখতার ও পারিশা ট্রেডের কর্মকর্তাসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর আদালতে ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ২০১৪ সালের ১৮ জুন তৎকালীন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এসএম মজিবুর রহমানের আদালত ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এ মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন ২২ জন। আসামিপক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন ৭ জন।

মনির/সালমান/

‘২২৬ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়েছি’ শেখ হাসিনাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩৫ পিএম
আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩৭ পিএম
শেখ হাসিনাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ‘২২৬টি মামলা হয়েছে, ২২৬ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’ মর্মে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যসংবলিত অডিওর ফরেনসিক রিপোর্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়েছে। রিপোর্টে বক্তব্যটি শেখ হাসিনার বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিষয়টি আদালত অবমাননা বলে উল্লেখ করে শেখ হাসিনাসহ ছাত্রলীগ নেতা শাকিল আহমেদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে। তাদের আগামী ১৫ মে’র মধ্যে জবাব দিতে বলেছেন ট্রাইব্যুনাল। 

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ফরেনসিক রিপোর্ট দাখিলের পর প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল ওই নোটিশ জারি করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার পক্ষ থেকে আমাদের কাছে একটা আবেদন পাঠানো হয়। তারা তদন্তকালে সোশ্যাল মিডিয়া ও সাধারণ গণমাধ্যমে তথ্য পান যে, এই ট্রাইব্যুনালের একজন আসামি- অভিযুক্ত শেখ হাসিনা এবং আরও একজন গাইবান্ধার আওয়ামী লীগ নেতা শাকিল আহমেদের মধ্যে টেলিফোনে একটা কনভারসেশন হয়, যা সামাজিকমাধ্যমে প্রথমে ভাইরাল হয় এবং পরে প্রিন্ট মিডিয়ায় অনেক নিউজ হয়। সেই কনভারসেশনে দেখা গেছে, আসামি শেখ হাসিনা শাকিল আহমেদকে বলছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে সারা দেশে যে ২২৬টা মামলা হয়েছে, যারা এই মামলাগুলো করেছে, তাদের মারার আমি লাইসেন্স পেয়ে গেছি।’ এদের বাড়িঘর ভাঙচুর করার জন্য তিনি নির্দেশ দেন। তাদের কারও বাড়িঘর যেন অক্ষত না থাকে। একই সঙ্গে তিনি পুলিশ কর্মকর্তাদের হুমকি দেন যে, তারা যেন মনে রাখে, ভবিষ্যতেও চাকরি করতে হবে।” 

এই কথোপকথনের মাধ্যমে তদন্ত সংস্থার কাছে সুস্পষ্ট হয়েছে যে, আসামি শেখ হাসিনা ও শাকিল আহমেদ তাদের কথোপকথনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চলমান বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছেন এবং সাক্ষীদের ভয়ভীতি দেখিয়েছেন। 

এরই পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা মনে করেছেন, ‘এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিতে ভয় পাবেন। তদন্ত ও বিচার-প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে। এই কনভারসেশন সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়েছে এবং ফরেনসিক প্রতিবেদন অনুযায়ী শেখ হাসিনা ও শাকিল আহমেদরই কনভারসেশন এটি। বানানো কোনো কিছু নয়। এ জন্য আমরা আদালতের কাছে আবেদন করেছিলাম শেখ হাসিনা ও শাকিলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা মামলা প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল ওই দুজনের বিরুদ্ধে নোটিশ ইস্যু করেছেন। আগামী ১৫ মে অথবা তার আগে ট্রাইব্যুনালে সশরীরে হাজির হয়ে কিংবা আইনজীবীর মাধ্যমে তাদের কথোপকথনের বিষয়ে ব্যাখ্যা উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।’

জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গণমাধ্যম ও সামাজিকমাধ্যমে বিশেষ করে ফেসবুক, ইউটিউব ও এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশিত শেখ হাসিনার বক্তব্য সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। 

ট্রাইব্যুনালের ওই আদেশের কয়েক দিন আগে শেখ হাসিনার কিছু কিছু বক্তব্য ও ফোনালাপ সোশ্যাল মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ফাঁস হয়েছে। সেখানে একটি কনভারসেশনে শেখ হাসিনা বলেছেন ২২৬টি মামলা হয়েছে। অতএব তিনি ২২৬ জনকে হত্যার সার্টিফিকেট পেয়ে গেছেন, লাইসেন্স পেয়ে গেছেন। তিনি আরও বলেছেন, ‘তোমাদের বাড়িঘর পোড়াচ্ছে, তাদের বাড়িঘর নেই।’

আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে যান। 

 

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন স্থগিত

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৫৭ পিএম
আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০১ পিএম
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন স্থগিত
বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেছেন চেম্বার জজ আদালত।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হকের আদালত এই আদেশ দেন।

হাইকোর্টের রায়ের অনুলিপি প্রকাশ ও নিয়মিত লিভ টু আপিল দায়ের না হওয়া পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ দেয়া হয়েছে। চেম্বার আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন- অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনিক আর হক।

এর আগে বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে চিন্ময় দাসকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড হেলাল আমীন এ আবেদন দায়ের করেছেন।

এদিন দুপুরে বিচারপতি মো. আতাউর রহমান ও বিচারপতি মো. আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে জামিন দেন।

এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

গত বছরের ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সনাতনী সম্প্রদায়ের একটি বড় সমাবেশ হয়। ওই সমাবেশের পর ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এরপর রাষ্ট্রদ্রোহের সেই মামলায় গত ২৫ নভেম্বর তাকে ঢাকায় গ্রেপ্তার করা হয়।

পরদিন জামিন আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর করে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট।

আদালত চিন্ময়কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে সেদিন চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময়ের অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এই সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে আদালত চত্বরের বাইরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এর পর থেকেই কারাগারে রয়েছেন চিন্ময়। 

গত ২ জানুয়ারি চিন্ময় দাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালত। পরবর্তীতে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী। গত ২৩ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল শুনানির জন্য ৩০ এপ্রিল দিন ধার্য করেন। এর ধারাবাহিকতায় শুনানি নিয়ে রুল অ্যাবসলিউট ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট।

এমএ/

অভিনেতা সিদ্দিক ৭ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২৬ পিএম
আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩২ পিএম
অভিনেতা সিদ্দিক ৭ দিনের রিমান্ডে
অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিকের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজধানীর গুলশানে ভ্যানচালক জব্বার আলী হাওলাদারকে হত্যাচেষ্টার মামলায় অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিককে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (৩০ এপ্রিল) অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্যাহ এ আদেশ দেন। 

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সালাম আসামিকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। 

আদালতে আসামি পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিলসহ জামিন চেয়ে আবেদন করেন। 

শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

গত মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে বেইলি রোড দিয়ে যাওয়ার সময় কিছু যুবক সিদ্দিককে আটক করেন। পরে রমনা থানা থেকে তাকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গত বছরের ১৯ জুলাই রাজধানীর গুলশানের শাহজাদপুরে কনফিডেন্স টাওয়ারের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানো হয়। এতে জব্বার আলী হাওলাদার গুলিবিদ্ধ হন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন। 

এ ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০৯ জনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা করেন ভ্যানচালক জব্বার।

উজ্জ্বল/পপি/

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০৩ পিএম
আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১৮ পিএম
চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন
বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস

চট্টগ্রামের একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিচারপতি মো. আতাউর রহমান ও বিচারপতি মো. আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে তাকে জামিন দেন।

এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

গত বছরের ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সনাতনী সম্প্রদায়ের একটি বড় সমাবেশ হয়। ওই সমাবেশের পর ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এরপর রাষ্ট্রদ্রোহের সেই মামলায় গত ২৫ নভেম্বর তাকে ঢাকায় গ্রেপ্তার করা হয়। 

পরদিন জামিন আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর করে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট।

আদালত চিন্ময়কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে সেদিন চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময়ের অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এই সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে আদালত চত্বরের বাইরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

এর পর থেকেই কারাগারে রয়েছেন চিন্ময়। 

গত ২ জানুয়ারি চিন্ময় দাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালত। পরবর্তীতে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী। গত ২৩ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল শুনানির জন্য ৩০ এপ্রিল দিন ধার্য করেন। এর ধারাবাহিকতায় শুনানি নিয়ে রুল অ্যাবসলিউট ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট।

অমিয়/

আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা মামলার রায় আগামী ১৫ তারিখের মধ্যে হতে পারে

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫৩ পিএম
আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা মামলার রায় আগামী ১৫ তারিখের মধ্যে হতে পারে
ছবি: খবরের কাগজ

মাগুরায় শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় আগামী মাসের ১৫ তারিখে হতে পারে বলে জানিয়েছেন রাষ্টপক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মুকুল। 

বুধবার (৩০ এপ্রিল) চতুর্থ দিনের মতো মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদেরকে এ তথ্য জানান তিনি। 

এর আগে সকাল ১০টার পরে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আসামিদের হাজির করা হয়।

আদালতে হাজির হওয়ার সময় হিটু শেখ সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা নাই। আমার বিটার বউরে (ছেলের স্ত্রী) ধরেন সঠিক তথ্য পেয়ে যাবেন। সে টিকটক করে, তারে ধরেন।’ 

গত রবিবার (২৭ এপ্রিল) থেকে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রথম দিনে তিনজন, দ্বিতীয় দিনে তিনজন, তৃতীয় দিনে ১০ জন ও আজ (বুধবার) তিনজন চিকিৎসকের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এ নিয়ে চারদিনে ১৯ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হলো। 

মামলার শুরু থেকে আসাসি পক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকলেও গত রবিবার লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে আসামিদের আবেদনের প্রেক্ষিতে অ্যাডভোকেট সোহেল আহমেদকে নিয়োগ দেওয়া হয়। পর্যায়ক্রমে মামলার বাদিসহ ৩৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হবে বলে জানা যায়। 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলায় শিশুটির বোনের শ্বশুরকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯/২ ধারায় (ধর্ষণের ফলে মৃত্যুর অপরাধ), শিশুটির বোনের স্বামী ও ভাশুরকে দণ্ডবিধির ৫০৬ ধারার দ্বিতীয় অংশ (ভয়ভীতি প্রদর্শন) এবং বোনের শাশুড়ির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২০১ ধারায় (অপরাধের আলামত নষ্টের অভিযোগ) অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। 

রাষ্টপক্ষের আইনজীবী মনিরুল বলেন, ‘চাঞ্চল্যকর এ মামলার চতুর্থ দিনের মতো আজ সাক্ষ্যগ্রহণ করা হলো। আজ মেডিকেল এক্সপার্ট তিনজন চিকিৎসককে সাক্ষ্য নেওয়ার জন্য হাজির করা হয়েছিল। তারা তাদের সাক্ষ্য দিয়েছেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী তাদেরকে জেরা করেছেন। পরে আগামী ৪ মে বিজ্ঞ আদালত বাকি সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে সাক্ষ্যগ্রহণ করে এ মামলার একটি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার করতে পারব।’

আদালতে আসামিরা নিজেদেরকে নির্দোষ দাবি করছে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আসামি যে পাগলের প্রলাপ করছে এ বিষয়ে আমার মন্তব্য করার সুযোগ নেই। কারণ সে যখন দেখছে তার সর্বোচ্চ শাস্তি হবে, ভেতরে ভীতি কাজ করার কারণেই সে পাগলের মত আবোল-তাবোল বলছে।’ 

মামলার রায় আনুমানিক কত দিনের মধ্যে হতে পারে এমন প্রশ্নে আইনজীবী মনিরুল বলেন, ‘আমরা আশা করছি, যদি সবকিছু ঠিক থাকে আগামী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে মামলার রায় হবে বলে আপনাদেরকে জানাতে পারি। আশা করছি, ১৫ তারিখের মধ্যে রায় সম্পন্ন হবে।’

গত ৬ মার্চ মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়িতে বেড়াতে গেলে শিশু আছিয়াকে বোনের শ্বশুর হিটু শেখ ধর্ষণ করে হত্যার চেষ্টা করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মারা যায় শিশুটি। এ ঘটনায় আছিয়ার মা আয়েশা আক্তার বাদী হয়ে মামলা করেন। এ মামলায় ১৩ এপ্রিল পুলিশ চার্জশিট দাখিল করে। পরে ২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে বিচারকাজ শুরু হয়।

শ্রাবন/পপি/