ঢাকা ২৫ ভাদ্র ১৪৩১, সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আপিল বিভাগে ৪ বিচারপতি নিয়োগ

প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৪, ১০:৩০ পিএম
আপডেট: ১২ আগস্ট ২০২৪, ১০:৩০ পিএম
আপিল বিভাগে ৪ বিচারপতি নিয়োগ
ছবি : সংগৃহীত

হাইকোর্টের চারজন বিচারপতিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। 

সোমবার (১২ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা গেছে। 

আপিল বিভাগে নিয়োগ পাওয়া চারজন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম, বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত চারজন বিচারককে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ করেছেন। এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।’

শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের নামে মামলা তদন্তে পিবিআই

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২১ পিএম
শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের নামে মামলা তদন্তে পিবিআই
শেখ হাসিনা (ফাইল ছবি)

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর রামপুরায় গুলিতে বাবুল হাওলাদার নামের এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনায় রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) মামলা হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ৩৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

রবিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এই মামলা করেন নিহত বাবুলের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম। 

সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আফনান সুমীর আদালতে মামলার আবেদন করলে আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন এবং অভিযোগের বিষয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে বিক্ষোভ চলাকালে গত ১৯ জুলাই বেটার লাইফ হাসপাতালের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা গুলি ছোড়েন। এ সময় বাবুল গুলিবিদ্ধ হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবুল মারা যান।

এ নিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অন্তত ১২৭টি হত্যা মামলা করা হলো।

হাসানুল হক ইনু ও শাজাহান খান কারাগারে

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:১৯ পিএম
হাসানুল হক ইনু ও শাজাহান খান কারাগারে
হাসানুল হক ইনু ও শাজাহান খান

সাবেক দুই মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও শাজাহান খানকে আদালত থেকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর রিমান্ড মঞ্জুর করা হলেও আপাতত তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর শাজাহান খানকে এক মামলায় রিমান্ডের মধ্যে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় আদালতের অনুমতি নিয়ে তাকেও কারাগারে পাঠানো হয়।

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে দায়িত্বরত পুলিশের ওসি (হাজত) মুরাদ হোসেন তাদের কারাগারে পাঠানোর তথ্য নিশ্চিত করেন।

আদালতসূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে রাজধানীর আইডিয়াল কলেজের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় ইনুর ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব লালবাগ থানার এই মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়ে রবিবার এই আদেশ দেন। এই মামলায় তাকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আর তার আইনজীবী রিমান্ড আবেদনের বিরোধিতা করে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদেশ দেন আদালত।

এদিকে বৈষম্যবিরোধী সাম্প্রতিক আন্দোলনের মিছিলে গুলিতে আব্দুল মোতালিব নিহতের ঘটনায় করা মামলায় রিমান্ডে ছিলেন শাজাহান খান। রাজধানীর ধানমন্ডি থানার ওই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ৭ দিনের রিমান্ডে ছিলেন তিনি। তবে রিমান্ড শেষ না করেই কারাগারে পাঠানো হয়েছে তাকে। 

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দার এই আদেশ দেন। 

রিমান্ড চলাকালে শাজাহান খান অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর খোকন মিয়া। 

ময়মনসিংহে শেখ হাসিনা-রেহানাসহ ১১১ জনের নামে মামলা

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:২২ পিএম
আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:২৯ পিএম
ময়মনসিংহে শেখ হাসিনা-রেহানাসহ ১১১ জনের নামে মামলা
ছবি : খবরের কাগজ

ময়মনসিংহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত রেদোয়ান হাসান সাগর (২৪) হত্যায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১১১ জনের নামে আদালতে মামলার আবেদন করেছেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ।

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রওশন জাহানের আদালতে মামলার আবেদন করা হয়।

এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও আসামি করা হয়েছে শেখ রেহেনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, ময়মনসিংহ সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমান শান্ত, সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ইকরামুল হক টিটু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামূল আলম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, সভাপতি আমিনুল হক শামীম, সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সাবেক সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, সাবেক সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল, নিলুফা আনজুম পপি, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুসহ ১১১জনকে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ময়মনসিংহ জজ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী নুরুল হক বলেন, এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়েছে কি না আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা আদালতকে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করতে নির্দেশনা দেবেন বলে আশা করছি।

মামলার বাদি আবু ওয়াহাব আকন্দ বলেন, প্রকাশ্যে দিবালোকে মোহিত উর রহমান শান্ত ও তার লোকজন সাগরকে গুলি করে হত্যা করেছে। অন্য আসামিদের নির্দেশে ময়মনসিংহে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

গত ১৯ জুলাই বিকেলে নগরীর মিন্টু কলেজ এলাকায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের সময় নগরীর আকুয়া চৌরঙ্গী মোড় এলাকার আসাদুজ্জামানের ছেলে অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রেদোয়ান হাসান সাগর গুলিতে নিহত হন। আহত হন অন্তত ৩৫ জন। 

এরপর ২৪ জুলাই পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১৫০-২০ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করে। এ মামলায় গত ১৯ আগস্ট রাতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শফিকুর রহমান সরকার ওরফে ভিপি মুকুল, আজাদ জাহান শামীম ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক আসাদুজ্জামান রুপনকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

কামরুজ্জামান মিন্টু/জোবাইদা/অমিয়/

নাইকো দুর্নীতি মামলার সব সাক্ষীকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে হাজিরের নির্দেশ

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:১০ পিএম
নাইকো দুর্নীতি মামলার সব সাক্ষীকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে হাজিরের নির্দেশ
বিশেষ জজ আদালত-৯

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আসামিদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া বহুল আলোচিত নাইকো দুর্নীতি মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সব সাক্ষীকে আগামী ১২ সেপ্টেম্বরের (বৃহস্পতিবার) মধ্যে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এই আদেশ দেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ আসামিদের হাজির করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) আদালত এই নির্দেশ দেন। 

রবিবার এই মামলায় কোনো সাক্ষী সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির না হওয়ায় সময়ের আবেদন করে দুদক। কমিশনের আইনজীবী ফাতেমা খানম নীলা এই আবেদন করেন। এদিকে খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবীরা সাক্ষাৎ সম্পন্ন করার আবেদন করেন। 

আদালতকে তারা বলেন, পরপর তিনটি ধার্য তারিখে কমিশন সাক্ষী হাজির করেনি। দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি এভাবে আসামিদের হয়রানি করছে। তাই মামলায় সাক্ষ্য সম্পন্ন করে আসামিদের খালাস দেওয়া হোক। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদেশ দেন আদালত।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, মামলায় এখন পর্যন্ত বাদীসহ দুইজনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। দুই সাক্ষীর মধ্যে বাপেক্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আব্দুল বাকী আংশিক সাক্ষ্য দিয়েছেন।

খালেদা জিয়া ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপি সরকার আমলের মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম।

সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও থানায় এই মামলা করে কমিশন।

মাহমুদুল আলম/অমিয়/

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম
আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৭ এএম
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম
অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলামকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে সই করেন আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ (জিপি-পিপি) শাখা থেকে সলিসিটর রুনা নাহিদ আক্তার। 

অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম ছাড়া ট্রাইব্যুনালে আরও চার আইনজীবীকে প্রসিকিউটর পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- মো. মিজানুল ইসলাম, গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম, বি এম সুলতান মাহমুদ এবং আব্দুল্লাহ আল নোমান।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদা, বেতন-ভাতা সুযোগ সুবিধা ভোগ করবেন। বাকি চার প্রসিকিউটরের মধ্যে মো. মিজানুল ইসলাম অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম ও বিএম সুলতান মাহমুদ ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবং আব্দুল্লাহ আল নোমান সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের সমমর্যাদা পাবেন।

এতে আরও বলা হয়, এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

সালমান/