অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা মামলা রাতারাতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রত্যাহারের বিষয়টি কাউকে জানানো হয়নি। মামলাটি আইনিভাবে মোকাবিলা করা হবে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
সোমবার (১২ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে দুর্নীতি দমন কমিশনের উদ্দেশে আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে গ্রামীণ টেলিকমের কেউ কিছু জানেন না। গ্রামীণ টেলিকমের পক্ষ থেকে বক্তব্য হলো, এই ব্যক্তিদের (মামলার আসামিদের) বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে তাদের চোর, অর্থ আত্মসাৎকারী, পাচারকারী বলে সারা পৃথিবীতে, দেশের মানুষের কাছে অপমানিত করলেন, সম্মানহানি করলেন। আর এখন রাতারাতি মামলাটি প্রত্যাহার করে নিলেন।’
ব্যারিস্টার মামুন আরও বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি এখনো বলছেন, প্রতিটি মামলা আইনি পদ্ধতি অনুযায়ী চলবে। প্রতিটি মামলা তিনি আইনিভাবে মোকাবিলা করবেন। তাই গতকাল যে বিষয়টা (মামলা প্রত্যাহার) হয়েছে, তা আমরা অবগত নই, বিষয়টি সম্পর্কে আমরা জানি না।’
ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৪ ধারা অনুযায়ী দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলাটি গত রবিবার প্রত্যাহারের আবেদন করে। ওই দিনই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক মো. রবিউল আলম আবেদনটি মঞ্জুর করেন।