ঢাকা ২৮ আষাঢ় ১৪৩২, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
English

ড. ইউনূসের মামলা প্রত্যাহার আইনিভাবে মোকাবিলা করা হবে: আইনজীবী

প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৪, ১১:৫২ এএম
ড. ইউনূসের মামলা প্রত্যাহার আইনিভাবে মোকাবিলা করা হবে: আইনজীবী
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা মামলা রাতারাতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রত্যাহারের বিষয়টি কাউকে জানানো হয়নি। মামলাটি আইনিভাবে মোকাবিলা করা হবে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। 

সোমবার (১২ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে দুর্নীতি দমন কমিশনের উদ্দেশে আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে গ্রামীণ টেলিকমের কেউ কিছু জানেন না। গ্রামীণ টেলিকমের পক্ষ থেকে বক্তব্য হলো, এই ব্যক্তিদের (মামলার আসামিদের) বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে তাদের চোর, অর্থ আত্মসাৎকারী, পাচারকারী বলে সারা পৃথিবীতে, দেশের মানুষের কাছে অপমানিত করলেন, সম্মানহানি করলেন। আর এখন রাতারাতি মামলাটি প্রত্যাহার করে নিলেন।’

ব্যারিস্টার মামুন আরও বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি এখনো বলছেন, প্রতিটি মামলা আইনি পদ্ধতি অনুযায়ী চলবে। প্রতিটি মামলা তিনি আইনিভাবে মোকাবিলা করবেন। তাই গতকাল যে বিষয়টা (মামলা প্রত্যাহার) হয়েছে, তা আমরা অবগত নই, বিষয়টি সম্পর্কে আমরা জানি না।’

ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৪ ধারা অনুযায়ী দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলাটি গত রবিবার প্রত্যাহারের আবেদন করে। ওই দিনই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক মো. রবিউল আলম আবেদনটি মঞ্জুর করেন।

অধ্যাপক আবুল বারকাত কারাগারে

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৫, ০৫:১৫ পিএম
অধ্যাপক আবুল বারকাত কারাগারে
আদালতে তোলা হয় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল বারকাতকে। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল বারকাতকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানা এই আদেশ দেন।

এদিন আবুল বারকাতকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

এদিকে আসামির তিন দিনের রিমান্ড আবেদন ছিল। তবে এই কোর্টের রিমান্ড বিষয়ে শুনানি করার এখতিয়ার না থাকায় তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে সিনিয়র আদালতে এই রিমান্ড বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি অ্যাননটেক্স গ্রুপের নামে ২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাতসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাজমুল হুসাইন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সূত্র: বাসস

সালমান/

সাবেক এমপি বিপ্লব ফের ৫ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৫, ০২:২১ পিএম
আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৫, ০২:৩৩ পিএম
সাবেক এমপি বিপ্লব ফের ৫ দিনের রিমান্ডে
মো. ফয়সার বিপ্লব

জুলাই-আগষ্ট আন্দোলনে দিনমজুর সজল মোল্লা (৩০) হত্যা মামলায় মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. ফয়সার বিপ্লবের আরও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

এ মামলায় সাত দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার (১০ জুলাই) মুন্সীগঞ্জ আমলী আদালত-১ এ পুলিশের আট দিনের রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের বিচারক নুসরাত শারমিন তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। 

জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর মো. হালিম হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ২২ জুন ঢাকার মনিপুরীপাড়ার একটি আবাসিক ভবন থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ফয়সাল বিপ্লবকে গ্রেপ্তার করে। পরে গত ১ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শ্রমিক সজল হত্যা মামলায় তাকে মুন্সীগঞ্জ আমলী আদালত-১ এ হাজির করে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে ৪ জুলাই তাকে মুন্সীগঞ্জ সদর থানা হেফাজতে রিমান্ডে আনা হয়।

মইনউদ্দিন/মৌসুমী/পপি/

রাজসাক্ষী মামুন খালাস পেতে পারেন

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৫, ১২:২৩ পিএম
আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৫, ১২:৪১ পিএম
রাজসাক্ষী মামুন খালাস পেতে পারেন
আবদুল্লাহ আল-মামুন

জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যা ও  মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় অভিযুক্ত পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রুভার) হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) তিনি রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন করলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ তা মঞ্জুর করেন। যদিও তিনি অভিযুক্ত, তবে রাজসাক্ষী হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তিনি খালাস পেতে পারেন। আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।  

গত বছরে জুলাই অভ্যুত্থানের সময় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমন করতে তার নির্দেশে পুরো পুলিশ বাহিনী সারা দেশে সক্রিয় ছিল। আন্দোলন ঠেকাতে মারণাস্ত্র ব্যবহার থেকে শুরু করে পুলিশের সব ধরনের কর্মকাণ্ড ঘটেছে তার অধীনেই। তবে তিনিও সরকারপ্রধান ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ মোতাবেক পুলিশ বাহিনীকে পরিচালনা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে তিনিসহ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুদজ্জামান খান কামাল অভিযুক্ত হয়েছেন। তিনি অভিযোগের দায় স্বীকার করে সব আসামির অপরাধ ও সব ঘটনার সত্য তুলে ধরতে রাজসাক্ষী হয়েছেন।       

রাজসাক্ষী হওয়ায় তিনি খালাস পাবেন কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল গতকাল খবরের কাগজকে বলেছেন, ‘রাজসাক্ষী হিসেবে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন খালাস পাবেন। তার আবেদন মঞ্জুর হওয়ার পর থেকে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে বিবেচিত হবেন। তিনি যদি মূল আসামিদের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে সাক্ষ্য দেন, তাহলে তার কোনো সাজা হবে না।’    

গতকাল ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তিনিও তার দোষ স্বীকার করেছেন। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে যে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল, সেই অপরাধের সবকিছুই তার জানার কথা। সব তথ্য উদ্‌ঘাটনের ব্যাপারে ট্রাইব্যুনালকে সহায়তার মাধ্যমে তিনি অ্যাপ্রুভার (রাজসাক্ষী) হওয়ার আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেছেন। সুতরাং চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন পরবর্তী সময়ে এই ট্রাইব্যুনালে সুবিধাজনক সময়ে তার বক্তব্য উপস্থাপনের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনাসহ সব অপরাধ কাদের মাধ্যমে, কীভাবে সংঘটিত হয়েছিল, সেই তথ্য উদ্‌ঘাটনে সাহায্য করবেন। সে হিসেবে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে গণ্য হবেন। তিনি এখন কারাগারেই থাকবেন। বক্তব্য গ্রহণের পর তার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ট্রাইব্যুনাল। অ্যাপ্রুভার হওয়ার কারণে তার নিরাপত্তাসংকটের আশঙ্কায় যথাযথ নিরাপত্তা চেয়ে তিনি ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেছেন।  নিরাপত্তার বিষয়ে ট্রাইব্যুনাল পরবর্তী সময়ে যথাযথ আদেশ দেবেন। রাজসাক্ষী হিসেবে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এ মামলায় ক্ষমা পেতে পারেন কিংবা ট্রাইব্যুনাল অন্য কোনো আদেশ দিতে পারেন। এটা পুরোপুরি আদালতের এখতিয়ার।’  

উল্লেখ্য, ‘রাজসাক্ষী’ শব্দটি এসেছে মূলত ‘রাজা’ ও ‘সাক্ষী’ শব্দ দুটি থেকে। সাক্ষ্য আইন প্রণয়নের সময় রাজার রাজ্য প্রথা ছিল। সেই সময় এ ধরনের সাক্ষীকে রাজসাক্ষী বলা হতো। এখন রাজাও নেই, রাজত্ব প্রথাও নেই। এখন রাষ্ট্র। তাই রাজসাক্ষীকে বর্তমানে রাষ্ট্রের সাক্ষী হিসেবে গণ্য করা হয়। অপরাধের সঙ্গে যুক্ত কোনো আসামি রাজি হলে তাকে রাষ্ট্রের পক্ষে সাক্ষী করা হয়। আইন অনুসারে এখনো তাকে রাজসাক্ষী বা অ্যাপ্রুভার বলা হয়। কোনো আসামি রাজসাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিতে রাজি হলে প্রথমে তাকে রাজসাক্ষী হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং পরে কারাগারে রাখা হয়, যাতে অন্য কোনো আসামি বা ব্যক্তি তাকে প্রভাবিত করতে না পারে অথবা তার কোনো ক্ষতি করতে না পারে। 

রায় ঘোষণার আগেই বিচার চলাকালে অপরাধটির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত বা সে সম্পর্কে গোপন তথ্যের অধিকারী কোনো ব্যক্তির অপরাধের সব ঘটনা, মূল অপরাধী ও সহায়তাকারী হিসেবে জড়িত সব অপরাধী সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ও সত্য ঘটনা প্রকাশ করে সাক্ষ্য প্রদান সম্পন্ন হলে আদালত রাজসাক্ষীকে ক্ষমা করতে পারেন। তবে রাজসাক্ষী ইচ্ছাকৃতভাবে অত্যাবশ্যক কোনো কিছু গোপন করে মিথ্যা সাক্ষ্য দিলে বা যে শর্তে ক্ষমা করা হয়েছিল সেই শর্ত পালন না করলে আদালত রাজসাক্ষীরও বিচার করতে পারবেন। যে অপরাধের বিষয়ে রাজসাক্ষীকে ক্ষমা করা হয়েছিল, আদালত সেই অপরাধের বিষয়ে তার বিচার করতে পারবেন। তবে রাজসাক্ষীকে অন্য আসামিদের সঙ্গে একত্রে বিচার করা যাবে না। 

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত: প্রথম আলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে সিআইডি

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ০৭:০১ পিএম
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত: প্রথম আলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে সিআইডি
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ তদন্ত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজজামান এই আদেশ দেন। 

গত ২৮ এপ্রিল আদালতে এ নালিশী (সিআর) মামলা দায়ের করেন নজরুল ইসলাম (৪৮) নামে এক ব্যক্তি। তিনি নরসিংদীর পলাশ উপজেলার বালিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

ওইদিন সংশ্লিষ্ট বিচারক বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে আদেশের জন্য গত ৪ মে দিন ধার্য করেছিলেন। পরে ফের বৃহস্পতিবার তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

গত ৩০ মার্চ পত্রিকাটিতে প্রকাশিত এক ঈদ শুভেচ্ছায় ইসলাম ধর্মের পবিত্র উৎসবকে ব্যঙ্গাত্মক কার্টুনের মাধ্যমে চিত্রায়িত করে প্রচার করায় মুসলিম উম্মাহর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করা হয়। 

মামলায় পত্রিকার সম্পাদক, প্রকাশকের পাশাপাশি কনটেন্টটি তৈরির দায়িত্বে থাকা একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারকে আসামি করা হয়েছে। মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত ঈদ শুভেচ্ছা কার্টুনে ‘ঈদ মোবারক’ লেখার পাশে কুকুরের ছবি ব্যবহার করায় ঈদের মতো পবিত্র ইবাদতকে হেয় প্রতিপন্ন ও অবমাননা করা হয়েছে। 

এটা সচেতন ও সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ঈদুল ফিতরের মতো মহান ধর্মীয় উৎসবকে অপমানিত ও হেয় করার ঘৃণ্য প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। আসামিরা স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে, ইচ্ছাকৃতভাবে অপরাধটি করেছেন মর্মে উল্লেখ করা হয়। মামলার বাদী ও সাক্ষীরা ওইদিনই পত্রিকাটি পড়ে এ বিষয় সম্পর্কে অবগত হন।

বাদীর অভিযোগ, ব্যঙ্গাত্মক ওই কার্টুনের ছবি শুধু তার ব্যক্তিগত অনুভূতিতে আঘাত করেনি বরং সমগ্র মুসলিম সমাজের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরমভাবে আঘাত করা হয়েছে যা দণ্ডবিধির ১৮৬০-এর ২৯৫, ২৯৫(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। 

শেখ হাসিনার বিচার শুরু, রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি মামুন

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ০১:৫১ পিএম
শেখ হাসিনার বিচার শুরু, রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি মামুন
ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে ছাত্র–জনতার আন্দোলনের সময় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হচ্ছেন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।  এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১–এ মানবতাবিরোধী অপরাধে মামলায় অভিযোগ গঠনের সময় চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন রাজসাক্ষী হওয়ার আগ্রহের কথা জানান।

এর আগে সকালে জুলাই গণহত্যার মামলায় চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

ট্রাইব্যুনালে তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলাম, সব রহস্য উন্মোচন করব। এই মামলায় আমি স্বপ্রণোদিত হয়ে রাজসাক্ষী হতে চাই।

এদিন ট্রাইব্যুনালে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন হয়।  এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। মামলায় সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন হবে ৩ আগস্ট আর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে ৪ আগস্ট।

এর আগে গত সোমবার (৭ জুলাই) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১, অভিযোগ গঠনের আদেশের জন্য আজকের দিন ঠিক করেন।

মেহেদী/