ঢাকা ১৬ বৈশাখ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম
আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৭ এএম
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম
অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলামকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে সই করেন আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ (জিপি-পিপি) শাখা থেকে সলিসিটর রুনা নাহিদ আক্তার। 

অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম ছাড়া ট্রাইব্যুনালে আরও চার আইনজীবীকে প্রসিকিউটর পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- মো. মিজানুল ইসলাম, গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম, বি এম সুলতান মাহমুদ এবং আব্দুল্লাহ আল নোমান।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদা, বেতন-ভাতা সুযোগ সুবিধা ভোগ করবেন। বাকি চার প্রসিকিউটরের মধ্যে মো. মিজানুল ইসলাম অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম ও বিএম সুলতান মাহমুদ ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবং আব্দুল্লাহ আল নোমান সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের সমমর্যাদা পাবেন।

এতে আরও বলা হয়, এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

সালমান/

এজলাসের ফটকে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুলকে কিল-ঘুষি

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩৮ পিএম
এজলাসের ফটকে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুলকে কিল-ঘুষি
ছবি: খবরের কাগজ

নারায়ণগঞ্জে এজলাস থেকে বের করার সময় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে চড়-থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি মেরে ধাওয়া দিয়েছেন ফটকে অবস্থানরত বিক্ষুব্ধ জনতা ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাইনুদ্দিন কাদিরের আদালতে তার মামলার শুনানি শেষে এ ঘটনা ঘটে।

আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইয়ুম খান জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন চলাকালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মাদ্রাসা ছাত্র হাফেজ সোলাইমান হত্যা মামলায় আনিসুল হকের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। শুনানি শেষে আদালত আনিসুল হককে জিজ্ঞাসাবাদেন জন্য চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তায় তাকে আনিসুল হককে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। পরে তাকে এজলাস থেকে বের করার সময় ফটকে অবস্থান করা বিক্ষুব্ধ জনতা ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা আনিসুল হককে চরথাপ্পড় ও  কিল-ঘুষি দিয়ে ধাওয়া করলে পুলিশ দ্রুত প্রিজন ভ্যানে তুলে তাকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে নিয়ে যায়।

পুলিশ জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওপর গুলিবিদ্ধ হন ১৯ বছর বয়সী হাফেজ সোলাইমান। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ২২ আগস্ট সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন নিহত সোলাইমানের ভগ্নিপতি শামীম কবির। মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, মন্ত্রী দিপু মনি, আনিসুল হক, ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক এমপি শামীম ওসমানসহ ৫১ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, রিমান্ডে আনিসুল হককে জিজ্ঞাসাবাদে আনিসুল হকসহ কারা ছাত্র
হত্যার নির্দেশ দিয়েছে সে রহস্য উদঘাটন হবে বলে মনে করে রাষ্ট্রপক্ষ।

বিল্লাল/সিফাত/

তিন বন কর্মকর্তার ব্যাংক হিসাব-সঞ্চয়পত্র অবরুদ্ধ

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:২৬ পিএম
আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩৪ পিএম
তিন বন কর্মকর্তার ব্যাংক হিসাব-সঞ্চয়পত্র অবরুদ্ধ
প্রতীকী ছবি

বাগেরহাট জেলার ষাট গম্বুজ বন বিভাগের এসএফএনটিসি ফরেস্টার চিন্ময় মধু, তার স্ত্রী লোপা রানী মণ্ডল, বাগেরহাট বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জি এম রফিক আহমেদ ও তার স্ত্রী আকলিমা আহমেদ, আরেক কর্মকর্তা হরিদাস মধু এবং তার স্ত্রী দুলালি মধুর নামে থাকা ৫টি ব্যাংক হিসাব ও ১৩টি সঞ্চয়পত্র অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। 

এর মধ্যে চিন্ময় মধু ও তার স্ত্রী লোপা রানী মণ্ডলের নামে থাকা ৫ ব্যাংক হিসাবের আছে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৯১ হাজার ৬৩২ টাকা। 

এ ছাড়া জিএম রফিকের নামে ৬টি, তার স্ত্রীর  নামে ৩টি, দুলালি মধুর নামে ২টি, হরিদাস মধু ও লোপা রানীর নামে ১টি সঞ্চয়পত্র রয়েছে। এসব সঞ্চয় পত্রে ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

সূত্র জানায়, দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক কাজী হাফিজুর রহমান ওই আবেদন দাখিল করেন।

আবেদনে বলা হয়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বাগেরহাট জেলার ষাট গম্বুজ বন বিভাগের এসএফএনটিসি ফরেস্টার চিন্ময় মধু, তার স্ত্রী লোপা প্রাহী মণ্ডল, বাগেরহাট বন বিভাগের জি এম রফিক আহমেদ ও তার স্ত্রী আকলিমা আহমেদ, হরিদাস মানু এবং দুলালি মধুর নামের ৫টি ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন এবং ৩৫ জনের নামে মোট ১৩টি সঞ্চয় ক্রয় করা হয়েছে। 

তাদের ওইসব হিসাবে মোট ২ কোটি ৭৯ লাখ ৯১ হাজার ৬৩২ টাকা রয়েছে। 

তারা এসব অর্থ অন্যত্র সরিয়ে ফেলতে পারেন মর্মে আশঙ্কা রয়েছে। ওই অর্থ অন্যত্র সরিয়ে ফেললে ভবিষ্যতে তা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না বিধায় এই হিসাবগুলো জরুরিভিত্তিতে অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।

এম এ জলিল উজ্জ্বল/সুমন/

নাসির-তামিমার মামলা শুনানিতে বিব্রত বিচারক

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৪ পিএম
আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:০০ পিএম
নাসির-তামিমার মামলা শুনানিতে বিব্রত বিচারক
নাসির হোসাইন ও তামিমা সুলতানা তাম্মি। ছবি: সংগৃহীত

অন্যের স্ত্রীকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে যাওয়া ও ব্যভিচারের অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসাইন ও তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে করা মামলার শুনানিতে বিব্রত বোধ করে অন্য আদালতে স্থানান্তরের জন্য নথি সিএমএম আদালতে পাঠিয়ে দিয়েছেন বিচারক।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামান মামলার নথি সিএমএম বরাবরে পাঠানোর আদেশ দেন। 

সোমবার মামলায় আত্মপক্ষ শুনানির দিন ধার্য তারিখে আসামি নাসির হোসাইন এবং তামিমা সুলতানা দুজনই আদালতে হাজির ছিলেন। তাদের পক্ষে আইনজীবী দুটি আবেদন করেন। 

আবেদনের একটিতে বাদীর আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনেন। 

অন্যটিতে আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পুরো অভিযোগ না শুনিয়ে মামলার সারসংক্ষেপ পড়ে শোনানোর আবেদন করেন।

এদিকে বাদীপক্ষের আইনজীবী আদালতে অভিযোগ করেন, আসামিপক্ষের আইনজীবী আগে বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেছেন। আইন অনুযায়ী তিনি আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করতে পারেন না।

দুই পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক বলেন, ‘উভয়পক্ষেরই আবেদন দেওয়ার অধিকার রয়েছে। এ মামলার শুনানি করতে যে ধৈর্য্য দরকার, এত সময় এই আদালতের নেই। এতে অন্য মামলায় প্রভাব পড়ে। আমি আসলে বিব্রতবোধ করছি। মামলাটি চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর পাঠিয়ে দিচ্ছি।’ 

এতে আপত্তি নেই বলে জানান দুইপক্ষের আইনজীবীরা। 

এর আগে গত ১৬ এপ্রিল মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। মামলাটিতে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।  

এ মামলায় ২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি একই আদালত ক্রিকেটার নাসির হোসাইন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। 

শুনানি শেষে নাসিরের শাশুড়ি সুমি আক্তারকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। 

একই বছরের ৬ মার্চ নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ বেআইনি মর্মে  মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন আবেদন করেন তাদের আইনজীবী।  

অন্যদিকে সুমি আক্তারকে অব্যাহতির আদেশ দেওয়ার আইনিভাবে সুযোগ নেই দাবি করে দায়রা জজ আদালতে রিভিশন আবেদন করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী। 

গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুর্শিদ আহাম্মেদ উভয়পক্ষের রিভিশন আবেদন নামঞ্জুর করে মামলার বিচার চলবে বলে আদেশ দেন। 

তবে নাসিরের শাশুড়ি সুমি আক্তারকে দেওয়া অব্যাহতির আদেশ বহাল থাকবে বলে আদেশ দেন।

এর আগে ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাম্মির সাবেক স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

তদন্ত শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক (নিরস্ত্র) শেখ মো. মিজানুর রহমান, নাসির, তামিমা ও তামিমার মা সুমি আক্তারকে  অভিযুক্ত করে ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, তামিমা পেশায় একজন কেবিন ক্রু। ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের আট বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। 

২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্র-পত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে সম্পূর্ণ জানেন।

মামলার আরজিতে আরও বলা হয়, রাকিবের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক চলমান অবস্থাতেই তাম্মি নাসিরকে বিয়ে করেন; যা ধর্মীয় এবং রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ। তামিমাকে প্রলুব্ধ করে নিজের কাছে নিয়ে গেছেন নাসির। তাদের এমন অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তার আট বছর বয়সী কন্যা মারাত্মভাবে মানসিক বিপর্যস্ত হয়েছেন। আসামিদের এমন কার্যকলাপে রাকিবের চরমভাবে মানহানি ঘটেছে যার কারনে অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।

জলিল উজ্জ্বল/সুমন/

আশুলিয়ায় ৬ লাশ পোড়ানোর মামলার প্রতিবেদন দাখিলের সময় বাড়ল

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০৫ পিএম
আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০৬ পিএম
আশুলিয়ায় ৬ লাশ পোড়ানোর মামলার প্রতিবেদন দাখিলের সময় বাড়ল
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল

সাভারের আশুলিয়ায় জুলাই আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ছয় লাশ পোড়ানোর ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এক মাস সময় মঞ্জুর করে, ২৫ মে দিন ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) প্রসিকিউসনের আবেদনের শুনানি নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মূর্তজা মজুমদারের নের্তৃত্বাধীন দুই সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।

ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউসনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। তার সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ ও প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদ।

এই মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে সময় আবেদনের বিষয়ে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর মামলায় তদন্ত রিপোর্ট দাখিলের জন্য আজ দিন ধার্য ছিল। তবে তদন্ত পর্যায়ে একটা আমরা একটা ভিডিও শনাক্ত করেছি। সেখানে কারা কিভাবে এই হত্যাকাণ্ড করেছে, সে বিষয়টি সামনে এসেছে। এসব যুক্ত করে তদন্ত শেষ করতে একটু সময়ের দরকার। তাই আমরা এক মাস সময় চাইলে আদালত সে সময় মঞ্জুর করেছেন।’

এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গত ১৫ এপ্রিল তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনাল। যে তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে সেদিন কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়, তারা হলেন- ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম ও ডিবি’র সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।

লাশ পোড়ানোর নৃশংস ঘটনার বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর সাংবাদিকদের বলেন, গত ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় ছয় তরুণকে গুলি করে হত্যার পর লাশগুলো পুলিশভ্যানে রেখে আগুন লাগিয়ে দেন পুলিশ সদস্যরা। যখন এসব মরদেহে আগুন দেওয়া হচ্ছিল, তখন একজন জীবিত ছিলেন। জীবিত থাকা অবস্থায় তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়া হয়। সূত্র: বাসস

অমিয়/

মানহানি মামলায় জামিন পেলেন বাসস’র ব্যবস্থাপনা সম্পাদক

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩৭ পিএম
মানহানি মামলায় জামিন পেলেন বাসস’র ব্যবস্থাপনা সম্পাদক
প্রতীকী ছবি

মানহানির অভিযোগে দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক আবদুল হাই শিকদারের করা মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়া উদ্দিন শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন। 

গত ২৩ মার্চ একই আদালতে আবদুল হাই শিকদার বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলায় বাসসের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ছাড়াও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খাইরুল আলম এবং আসাদুজ্জামান আসাদকে আসামি করা হয়।

আসাদকে আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা হিসেবে মামলায় উল্লেখ করা হয়। 

ওইদিন বিচারক বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে আদালতে হাজির হতে আসামিদের প্রতি সমন জারি করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলায় বলা হয়, গত ১৭ মার্চ আসামি মাহবুব মোর্শেদ তার ফেসবুক আইডিতে একটি মনগড়া কবিতা পোস্ট করেন। সেটি কবি ও দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক আবদুল হাই শিকদারের বলে পোস্টে উল্লেখ করেন। পোস্টের ক্যাপশনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের এক কবি কীভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে অবমাননা করেছেন, তা পড়ে দেখার অনুরোধ জানাই। মন থেকে এত ঘৃণা পোষণ করার পরও এমন কবিরা বিএনপির সুবিধাভোগী হয়ে থাকতে চান।’

আসামি খাইরুল আলম গত ১৬ জানুয়ারি তার ফেসবুক আইডি থেকে একই কবিতা পোস্ট করেন এবং লেখেন, ‘শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে নিয়ে লেখা কবিতাটি আব্দুল হাই শিকদার এরশাদকে উপহার দিয়েছিলেন। সাইফুল আলমকে সরিয়ে এখন তিনি যুগান্তর সম্পাদক। সাংবাদিকরাই কালে কালে শক্তিশালী হয়েছে, আবারও প্রমাণিত সত্য! #জয়তু-সাংবাদিকতা।’

এরপর আসাদুজ্জামান আসাদ তার ফেসবুক থেকে পোস্ট করেন। তার পোস্ট তিনি লেখেন, ‘আমাদের জাতীয়তাবাদী প্রাণপ্রিয় কবি ও নেতা, বর্তমান যুগান্তর সম্পাদক জনাব আব্দুল হাই শিকদার ভাইয়ের লেখা কবিতাটি আমার মেসেঞ্জারে পেয়েছি। জাতীয়তাবাদী এক সহকর্মী এটি আমাকে দিয়েছেন। আমি কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এটি পোস্ট করলাম। কবিতাটি স্বৈরাচার এরশাদকে দেওয়া হয়েছিল।’

এরপর তিনি কবিতার একই অংশ উল্লেখ করেন, যা ফয়সাল আলমের পোস্টের সঙ্গে মিলে যায়। এসব তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, অসত্য, কাল্পনিক, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। 

এসব মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর কবিতা এবং পোস্টের মাধ্যমে বাদীর ১০ কোটি টাকা সম্মান হানি হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। 

জলিল উজ্জ্বল/অমিয়/