ঢাকা ১৯ আশ্বিন ১৪৩১, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪

আবু সাঈদ হত্যা মামলায় দুই পুলিশ সদস্য রিমান্ডে

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১৭ পিএম
আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৫ পিএম
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় দুই পুলিশ সদস্য রিমান্ডে
আদালতে নেওয়া হচ্ছে আবু সাইদ হত্যা মামলার আসামি দুই পুলিশ সদস্যকে। ছবি: খবরের কাগজ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে কঠোর নিরাপত্তা ও গোপনীয়তায় রংপুর মহানগর পুলিশের এএসআই মো. আমির আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে রংপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ২-এ তোলা হয়।

পরে পুলিশের পক্ষ থেকে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলেও আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামান হাইকোর্টের আদেশ মেনে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রোকনুজ্জামান জানান, সেদিন মহানগর পুলিশের দুই সহকারী কমিশনার আরিফুজ্জামান ও ইমরানের আদেশে গুলি চালানো হয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছেন অভিযুক্ত এই দুই পুলিশ সদস্য। 

শুধু এই দুই পুলিশ সদস্য নয়, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ও নির্দেশদাতা পুলিশের প্রত্যেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মামলাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে যারা জড়িত, তাদের প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আনার দাবি জানান এই আইনজীবী।

এর আগে সোমবার বিকেলে মামলার আসামি এএসআই মো. আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার রিক্যুইজিশনের ভিত্তিতে পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়।

এর আগে গত ৩ আগস্ট মহানগর পুলিশ হেডকোয়ার্টার ওই দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অপেশাদার আচরণের প্রমাণ পাওয়ায় তাদের বরখাস্ত করা হয়।

গত ১৬ জুলাই দুপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেরোবির এক নম্বর গেটের সামনে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের গুলিতে ইংরেজি বিভাগের ছাত্র আবু সাঈদ নিহত হন। এ ঘটনায় গত ১৮ আগস্ট রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাজহাট আমলি আদালতে আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে পুলিশ কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষকসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

রানা/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন গঠন

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২০ পিএম
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন গঠন

বিচার বিভাগকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও কার্যকর করতে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমানকে প্রধান করে এই কমিশন গঠন করে গত বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্যরা হলেন বিচারপতি এমদাদুল হক (হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এবং সাবেক জেলা ও দায়রা জজ), বিচারপতি ফরিদ আহমেদ শিবলী (হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এবং সাবেক জেলা ও দায়রা জজ), সাইয়েদ আমিনুল ইসলাম (সাবেক জেলা ও দায়রা জজ এবং সুপ্রিম কোর্টের সাবেক রেজিস্ট্রার), মাজদার হোসেন (সাবেক জেলা ও দায়রা জজ এবং মাজদার হোসেন বনাম রাষ্ট্র মামলার বাদী), তানিম হোসেন শাওন (সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট), কাজী মাহফুজুল হক (সুপন), অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কমিশন সংশ্লিষ্ট সব মতামত বিবেচনা করে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে তৈরি প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করবে। কমিশনের কার্যালয় সরকার নির্ধারণ করবে। কমিশনের প্রধান ও সদস্যরা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সরকারি পদমর্যাদা, বেতন বা সম্মানী ও সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে শর্ত থাকে যে কমিশন প্রধান বা কোনো সদস্য অবৈতনিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে চাইলে বা সুযোগ-সুবিধা নিতে না চাইলে তা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন করতে পারবেন।

প্রজাতন্ত্রের সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ বা দপ্তর বা সংস্থা কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্যউপাত্ত সরবরাহসহ সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

কমিশন প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যক্তিকে কমিশনের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ এ কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা করবে।

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে জ্যোতি কারাগারে

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:০৭ পিএম
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে জ্যোতি কারাগারে
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছেলে সাফি মোদ্দাসের খান জ্যোতি

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকেন্দ্রিক এক মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছেলে সাফি মোদ্দাসের খান জ্যোতিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আন্দোলনের মধ্যে গুলিতে গার্মেন্টসকর্মী আশরাফুল ইসলামকে হত্যার অভিযোগে আশুলিয়া থানায় করা মামলায় বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) এই আদেশ দেন আদালত।

রিমান্ড শেষে এদিন তাকে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশ। আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে ঢাকার অতিরিক্ত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কেএম মহিউদ্দিন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গার্মেন্টসকর্মী আশরাফুল ইসলাম আন্দোলনের মধ্যে গত ৫ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়ায় গুলিতে নিহত হন। ওই ঘটনায় নিহতের ভাই নাছির উদ্দিন আশুলিয়া থানায় এ মামলা করেন। 

মাহমুদুল আলম/এমএ/

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঢাকায় আরও হত্যা মামলা

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫৩ পিএম
আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫৪ পিএম
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঢাকায় আরও হত্যা মামলা

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর ফুলবাড়িয়া এলাকায় এক রিকশাচালককে গুলি করে হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঢাকায় আরও একটি হত্যা মামলা হয়েছে। 

রিকশাচালক মনিরুজ্জামান মনিরকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) শেখ হাসিনাসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়। 

নিহতের বোন নিলুফার ইয়াসমিন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আক্তারুজ্জামানের আদালতে এ মামলা করেন। আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করে শাহবাগ থানা পুলিশকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।

মামলার অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—আওয়ামী লীগ আমলের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদ।

নিলুফার ইয়াসমিনের আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গত ৫ আগস্ট রাজধানীর ফুলবাড়িয়া এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন মনিরুজ্জামান মনির। তাকে ঢাকা মেডিকেল  কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওই ঘটনায় এ মামলা করা হয়।

মাহমুদুল আলম/এমএ/

স্বর্ণ চোরাচালান মামলায় যুবকের ১০ বছর কারাদণ্ড

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২৫ পিএম
স্বর্ণ চোরাচালান মামলায় যুবকের ১০ বছর কারাদণ্ড

স্বর্ণ চোরাচালান মামলায় লুৎফুর রহমান (৪০) নামে এক যুবককে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেনের আদালত এ রায় দেন।

মামলা নথি থেকে জানা যায়, শারজাহ থেকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর একটি ফ্ল্যাইটে আসেন কক্সবাজার মহেশখালীর লুৎফর রহমান। পরে তার কাছে থাকা খেলনা গাড়ির ভেতর থেকে ১ হাজার ৪০৬ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। ২৪ ক্যারেটের এ স্বর্ণের মূল্য ৬০ লাখ টাকা। 

এ ঘটনায় পতেঙ্গা থানায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে মামলা করে।  

মহানগর দায়রা জজ আদালতের কর্মকর্তা দীপেন দাশগুপ্ত জানান, ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আসামি লুৎফুর রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৪ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ের সময় আসামি অনুপস্থিত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা মূলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সিলেটে অটোচালক হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৫০ পিএম
আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৫৬ পিএম
সিলেটে অটোচালক হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। ছবি : সংগৃহীত

সিলেটে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক হযরত আলীকে (৩৫) হত্যার দায়ে পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক শায়লা শারমিনে এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার ঘোষগাউয়ের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম (৩৩), শান্তিগঞ্জ উপজেলার তাইকাপন গ্রামের সুমন আহমদ (২৯) এবং একই উপজেলার বরুমপুর গ্রামের শিপু মিয়া (২৯), জাকারিয়া ওরফে মুন্না (৩০) ও মো. রুহুল আমিন (৩০)।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) আবদুস সাত্তার। 

তিনি জানান, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি জামিনে ছিলেন। গত ২৬ সেপ্টেম্বর মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের তারিখে তারা আদালতে হাজির হননি। ওই দিন থেকে তারা পলাতক রয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের প্রায় ১০ বছর পর এই রায় হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৭ আগস্ট রাত ৮টার সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কদমতলির অটোরিকশা স্ট্যান্ড থেকে পাঁচ যুবক বিয়ানীবাজার যাওয়ার উদ্দেশ্যে হযরত আলীর সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি ভাড়ায় নেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিয়ানীবাজারের শিকপুর-বিয়ানীবাজার সড়কের পুরুষপাল এলাকায় পৌঁছালে যাত্রীরা হযরত আলীকে থামান। এ সময়
তারা হযরত আলীকে ছুরিকাঘাত করে অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে স্থানীয় লোকজন খবর পেয়ে তাদের আটক করেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় হযরত আলীকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন রাত দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

পরদিন ১৮ আগস্ট নিহতের ছোট ভাই মো. শুকুর আলী বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে বিয়ানীবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ওই বছরের ৪ নভেম্বর আদালতে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। মামলায় ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত এ রায় দেন।

সালমান/