রাজশাহীতে দুই হাতে দুই পিস্তল নিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানো জহিরুল ইসলাম রুবেলকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শিক্ষার্থী আলী রায়হান হত্যা মামলায় তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১-এর বিচারক ফয়সল তারেক।
এর আগে বেলা সোয়া ১১টার দিকে রুবেলকে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পরিয়ে আদালতে নেয় পুলিশ। ওই সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রুবেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাসুদ পারভেজ জানান, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী রুবেলকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর তাকে রাজশাহী এনে র্যাবের হেফাজতে রাখা হয়। রবিবার সকালে তাকে বোয়ালিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর ছাত্রশিবির নেতা আলী রায়হান হত্যা মামলায় রুবেলকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
ওসি আরও জানান, তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী আলী রায়হান ও সাকিব আনজুম হত্যা মামলা রয়েছে। এ ছাড়া আরও দুটি মামলার আসামি তিনি। তাকে দুটি হত্যাসহ চারটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। জহিরুল হক রুবেল (৪১) রাজশাহী নগরীর চণ্ডীপুর এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তিনি সাবেক সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের ডানহাত ও যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা যায়।
গত ৫ আগস্টের একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, রুবেল মাথায় হেলমেট পরে দুটি পিস্তল দুই হাতে নিয়ে সমান তালে শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ছেন। ওই সময় তার সঙ্গে আরও ছিলেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সহসভাপতি বোরহান উদ্দিন পাভেল, মহানগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রনি, মহানগর যুবলীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক রাজিব মতিন, মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রোজেলসহ অনেকেই। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাকিব আনজুম ও রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী আলী রায়হান নিহত হন। গুলিবিদ্ধ হন অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। এই দুই শিক্ষার্থী হত্যা মামলার আসামি জহিরুল ইসলাম রুবেল।