বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ময়মনসিংহ জেলায় ৬ ছাত্র হত্যা, রাজধানীর মিরপুর, বাড্ডা, উত্তরা ও আজমপুরে গণহত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও পাঁচটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) পৃথকভাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় এসব অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রতিটি ঘটনায় নিহতের বাবারা এসব অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।
তদন্ত সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। ৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পরবর্তীতে বিভিন্ন আদালতে হত্যা মামলার পাশাপাশি গণহত্যার অভিযোগে ট্রাইব্যুনালে একের পর এক অভিযোগ দায়ের হয়। এতে ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গত ১৪ আগস্ট থেকে রবিবার পর্যন্ত মোট ১৯টি অভিযোগ দায়ের করা হলো।
যাদের হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে-
গত ২০ জুলাই বেলা ১১টায় ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের ওপর কলেজছাত্র নুরে আলম সিদ্দিকী রাকিব ও জুবায়েরকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৬৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ দায়ের করেন নুরের বাবা আব্দুল হালিম ও জুবায়েরের বাবা আনোয়ার উদ্দিন।
গত ১৯ জুলাই বিকেল ৩টায় মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় দশম শ্রেণির ছাত্র শহিদ মাহফুজুর রহমানকে (১৫) গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৭৬ জনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের বাবা আব্দুল মান্নান। একই দিন বিকেল ৫টার দিকে উত্তরার আব্দুল্লাহপুর এলাকায় এইচএসসি পরীক্ষার্থী ফয়সাল সরকারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগটি দায়ের করেন নিহতের বাবা শফিকুল ইসলাম সরকার।
গত ৫ আগস্ট বিকেল ৫টায় উত্তরার আজমপুর ফুটওভার ব্রিজের পূর্ব পাশে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র সামিউ আমান নুরকে (১৩) গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৫৮ জনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের বাবা মোহাম্মদ আমানুল্লাহ।
গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাড্ডা এলাকায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একাদশ শ্রেণির ছাত্র মো. মারুফ হোসেনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ২৮ জনকে আসামি করে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের বাবা মো. ইদ্রিস।