ঢাকা ১৮ কার্তিক ১৪৩১, রোববার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪

সালমান-আনিসুল-নূর আরও এক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:০১ পিএম
আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:০১ পিএম
সালমান-আনিসুল-নূর আরও এক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার
সালমান এফ রহমান-আনিসুল হক-আসাদুজ্জামান নূর

ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে এবং মামুন নামের এক দোকান কর্মচারীকে হত্যার অভিযোগে সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) কারাগার থেকে তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ।

এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন।

শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক তাদের এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। 

এরপর তাদের আইনজীবী জামিন চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ১৩ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। পরের দিন ১৪ আগস্ট তাদের দুইজনের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট থানা এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আর মামুন নামের এক দোকান কর্মচারীকে হত্যার অভিযোগে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় করা মামলায় সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাত ১১টায় বেইলী রোডের নওরতন কলোনী থেকে আসাদুজ্জামান নূরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ১৬ সেপ্টেম্বর হোটেল কর্মচারী মো. সিয়াম সরদারকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে মিরপুর মডেল থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। 

এরপর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেনের আদালত শুনানি শেষে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই বিকেলে নীলক্ষেত এলাকায় পুলিশের গুলিতে ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ মারা যান। এ ঘটনায় তার শ্যালক আব্দুর রহমান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। 

এছাড়া গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে নিহত হন মামুন। এ ঘটনায় গত ২৯ আগস্ট তার বাবা আজগর আলী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।

বাসস/অমিয়/

সাবেক কৃষিমন্ত্রী আবদুস শহীদ কারাগারে

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৮ পিএম
সাবেক কৃষিমন্ত্রী আবদুস শহীদ কারাগারে
সাবেক কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ ড. আবদুস শহীদ

সাবেক কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ ড. আবদুস শহীদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার আজমপুরে রাইদা পরিবহনের বাসচালক আলমগীর হোসেন (৩৪) হত্যা মামলায় রবিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ এই নির্দেশ দেন। আদেশে মৌলভীবাজার-৪ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্যকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এই মামলায় চার দিনের রিমান্ড শেষে রবিবার (৩ নভেম্বর) তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে এ আদেশ দেন আদালত।

এর আগে গত বুধবার আবদুস শহীদকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুল হালিম ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানিতে তার আইনজীবী বিরোধিতা করে জামিন আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শরীফুর রহমান তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত মঙ্গলবার রাজধানী থেকে আবদুস শহীদকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

মামলাসূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে গত ৫ আগস্ট রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার আজমপুরে রাইদা পরিবহনের চালক আলমগীর হোসেন গুলিতে নিহত হন। এ ঘটনায় গত ৬ অক্টোবর তার মা আলেয়া উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেন।

হবিগঞ্জে সাবেক এসপিসহ ৫৫ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৮ পিএম
আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৮ পিএম
হবিগঞ্জে সাবেক এসপিসহ ৫৫ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম মুরাদ আলী

বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর গুলি ও নির্যাতনের অভিযোগে হবিগঞ্জের সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম মুরাদ আলী, সদর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুক আলীসহ ৫৫ পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেছে দলটি।

বরিবার (৩ নভেম্বর) লাখাই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম মতিন হবিগঞ্জ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক দেলোয়ার হোসেনের আদালতে এ আবেদন করেন। 

বিচারক মামলাটির আংশিক শুনানি শেষে অধিকতর শুনানির জন্য আগামী ৫ নভেম্বর নির্ধারণ করেছেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০২১ সালের ২২ ডিসেম্বর জেলা বিএনপির উদ্যোগে দলের জনসভাকে কেন্দ্র করে শায়েস্তানগরে অস্থায়ী কার্যালয়ে মঞ্চ তৈরি করা হয়। এতে কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। কিন্তু বেলা ১২টা থেকেই পুলিশ সভার সব প্রবেশমুখে চেকপোস্ট বসিয়ে জনসভায় আসা নেতা-কর্মীদের হয়রানি করে। পরে মারমুখী হয়ে নেতা-কর্মীদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। এতে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ রাজীব আহমেদ রিংগন, সফিকুর রহমান সিতুসহ তিন শতাধিক নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শামসুল হক মতিন জানান, আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে। আদালত শুনানি শেষে অধিকতর শুনানির জন্য আগামী ৫ নভেম্বর নির্ধারণ করেছেন।

কাজল/সালমান/

নিজ খরচে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার পেপারবুক প্রস্তুতের অনুমতি

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৭ পিএম
নিজ খরচে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার পেপারবুক প্রস্তুতের অনুমতি
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক নিজ খরচে তৈরির অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রবিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। 

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ। 

পরে আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কোনো অনুকম্পা চান না। তিনি আইনিভাবে মামলা নিষ্পত্তি করতে চান। এ কারণে আমরা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার সাজার রায়ের বিরুদ্ধে দ্রুত আপিল শুনানি করতে চাই। আপিল শুনানির জন্য আদালত আমাদের নিজ খরচে পেপারবুক প্রস্তুত করার অনুমতি দিয়েছেন। 

২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একইসঙ্গে অন্য তিন আসামিকেও সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। খালেদা জিয়াসহ প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ট্রাস্টের নামে কেনা কাকরাইলে ৪২ কাঠা জমি বাজেয়াপ্ত করে তা রাষ্ট্রের অনুকূলে নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন খালেদা জিয়া। 

এলিস/অমিয়/

হিন্দি সিনেমা বাংলায় ডাবিং করে প্রদর্শনের দাবিতে লিগ্যাল নোটিশ

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২১ পিএম
আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫১ পিএম
হিন্দি সিনেমা বাংলায় ডাবিং করে প্রদর্শনের দাবিতে লিগ্যাল নোটিশ
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

ভারতীয় হিন্দি সিনেমা বাংলা ভাষায় ডাবিং করে বাংলাদেশের সিনেমা হলগুলোতে প্রদর্শনের দাবিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

রবিবার (৩ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহমুদুল হাসান এ নোটিশ পাঠান।

তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ফিল্ম সার্টিফিকেশন বোর্ডের সচিব এবং বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সম্পাদককে এ নোটিশ পাঠানো হয়।

নোটিশে বলা হয়, হিন্দি ভাষা আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের অফিশিয়াল ভাষা এবং প্রকারান্তরে জাতীয় ভাষা। ভারত দক্ষিণ এশিয়ার একটি শক্তিশালী দেশ। দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সব রাষ্ট্রের ওপর ভারতের শক্তিশালী প্রভাব রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্বাধীন রাষ্ট্র দখল করার অভিজ্ঞতা ভারতের রয়েছে। 

উদাহরণস্বরূপ ভারত ক্ষুদ্র রাষ্ট্র হায়দ্রাবাদকে দখল করেছে এবং স্বাধীন রাষ্ট্র সিকিমকে দখল করে নিজেদের ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত করেছে।

আইনি নোটিশে আরও বলা হয়, ভারতের হিন্দি সিনেমাগুলো বাংলাদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয়। বাংলাদেশের জনগণ টেলিভিশনে ও ইন্টারনেটে ভারতের হিন্দি সিনেমা, বিভিন্ন এপিসোড উপভোগ করে থাকেন। কিন্তু ভারতের সদ্য নির্মিত সিনেমাগুলো যখন বাংলাদেশে মুক্তি পায় তখন এটা বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা ও উত্তেজনার সৃষ্টি করে। এভাবে যদি নিয়মিত বাংলাদেশের সিনেমা হলগুলোতে ভারতীয় সদ্য নির্মিত হিন্দি সিনেমাগুলো মুক্তি পেতে থাকে তাহলে এটা বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে এবং হিন্দি ভাষার প্রতি বাংলাদেশের জনগণের আগ্রহ বাড়তে থাকবে। এভাবে বাংলাদেশের জনগণ তাদের দৈনন্দিন জীবনে হিন্দি ভাষা চর্চা শুরু করবে এবং হিন্দি ভাষায় অভ্যস্ত হয়ে উঠবে।

নোটিশে আরও বলা হয়, প্রতিবেশী কোনো শক্তিশালী রাষ্ট্রের সঙ্গে ভাষাগত মিল দুর্বল রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি সৃষ্টি করে। 
উদাহরণস্বরূপ, রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ ও সংঘাতে রাশিয়া ইউক্রেনের ক্রিমিয়া, ডোনেটস্ক, খেরসন, লুহানস্ক এবং জাপোরিঝিয়া অঞ্চলগুলো দখল করেছে। এসব অঞ্চলের মানুষগুলো মূলত রুশ ভাষায় কথা বলতেন। ভাষাগত মিল থাকার কারণে রাশিয়া উদ্বুদ্ধ হয়েছে ইউক্রেনের এই অঞ্চলগুলো দখল করতে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান অনুযায়ী, ভাষাগত মিল একধরনের মানসিক ঐক্য সৃষ্টি করে। এতে করে বাংলাদেশের জনগণ যদি হিন্দি ভাষায় অভ্যস্ত হয়ে যায়, তবে অদূর ভবিষ্যতে ভারত উদ্বুদ্ধ হবে বাংলাদেশে আক্রমণ করতে।

এতে বলা হয়েছে, হিন্দি ভাষা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। সে কারণে ভারতের হিন্দি সিনেমাগুলো বাংলাদেশে মুক্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলা ভাষায় ডাবিং করে মুক্তি দিতে হবে। তবে বাংলা ভাষায় ডাবিং করার ক্ষেত্রে অবশ্যই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সমিতির সদস্য অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের কণ্ঠ ব্যবহার করতে হবে। 

আইনি নোটিশ পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে ভারতীয় হিন্দি সিনেমা বাংলা ভাষায় ডাবিং করে বাংলাদেশের সিনেমা হলগুলোতে প্রদর্শনের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

এলিস/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

ফেসবুকে ভুয়া খবর প্রচারের অভিযোগে ছাত্রলীগ কর্মী গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৩ পিএম
ফেসবুকে ভুয়া খবর প্রচারের অভিযোগে ছাত্রলীগ কর্মী গ্রেপ্তার
ফেসবুকে ভুয়া খবর প্রচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার যুবক।ছবি: খবরের কাগজ

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষে ‘মধ্যরাতে উত্তাল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়’ শিরোনামে ভুয়া খবর প্রচারের অভিযোগে সাইফুল ইসলাম (৩১) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে নোয়াখালীর সেনবাগ থানা পুলিশ।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) সাইবার ক্রাইম ইউনিটের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাকে সেনবাগ থানার গাবতলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
 
শনিবার (২ অক্টোবর) তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আরএমপি সদর দপ্তরের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন। 

গ্রেপ্তার সাইফুল ইসলাম সেনবাগ থানার পূর্ব ছাতারপাইয়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি ছাত্রলীগের সেনবাগের ছাতারপাইয়া ইউনিটের কর্মী।

সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, গত ২৯ আগস্ট কয়েকটি ফেসবুক পেজ থেকে নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষে ‘মধ্যরাতে উত্তাল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়’ শিরোনামে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে একটি ভুয়া ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এতে সাধারণ মানুষসহ সারাদেশের ছাত্রদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার ঘটে এবং উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এছাড়া দেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্নসহ সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা দেখা দেয়।

তিনি বলেন, বিষয়টি নজরে আসলে আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিট ভিডিওগুলো পর্যালোচনা করে দেখে যে, ভিডিওগুলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলেও তা এ সময়ের নয়। পুরোনো মিছিলের ভিডিওতে নতুন করে কণ্ঠ লাগানো হয়েছে এবং নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থানা এলাকা থেকে এই ভুয়া ও মিথ্যা ভিডিও ছড়ানো হয়েছে। তখন এর পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহ করে আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিট এবং তা নোয়াখালীর সেনবাগ থানায় পাঠানো হয়।

পরে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামি জানান, তিনি ৫ আগস্ট থেকে তার নিজস্ব ফেসবুক পেইজসহ আরও বিভিন্ন ফেসবুক পেজ খুলে ইচ্ছাকৃতভাবে রাষ্ট্র ও সরকারের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশে ভুয়া ও মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে আসছেন। তার নামে সেনবাগ থানায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। ওই মামলায় শনিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এনায়েত করিম/মাহফুজ/অমিয়/