রাজধানীর উত্তরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে শিক্ষার্থীসহ দুই জনকে হত্যার ঘটনায় পৃথক দুই মামলায় আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলন- জাতীয় শ্রমিক লীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি আল মামুন মিয়া, ৫৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. আব্দুল মোতালিব, আওয়ামী লীগ কর্মী সাব্বির, মারুফ ও ইব্রাহীম।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে তুরাগ থানা এলাকা হতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখ বিকেলে উত্তরা পশ্চিম থানার জসিমউদ্দিন রোডের আরকে টাওয়ারের সামনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার বিজয় উল্লাস চলছিল। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার উপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। গুলিতে শিক্ষার্থী ওমর নুরুল আবছার গুরুতর আহত হয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ওমর নুরুল আবছারের মায়ের অভিযোগে উত্তরা পশ্চিম থানায় গত ৩১ আগস্ট ২০২৪ তারখে একটি মামলা রুজু হয়। মামলাটি তদন্তকালে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এ ঘটনায় জড়িত দুই আওয়ামী লীগ নেতা আল মামুন মিয়া ও মো. আব্দুল মোতালিবকে শনাক্ত করার পর মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করে।
অন্যদিকে গত ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখ উত্তরার ৩নং সেক্টরের রবীন্দ্র সরণীতে বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের ছোড়া গুলিতে সানজিদ হোসেন মৃধা গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় সানজিদের বাবা ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আওয়ামী লীগের তিন কর্মীকে মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতকৃতদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আল-আমীন/এমএ/