ঢাকা ২২ আশ্বিন ১৪৩১, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে উত্তরায় হত্যা মামলায় আ.লীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২৭ পিএম
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে উত্তরায় হত্যা মামলায় আ.লীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে শিক্ষার্থীসহ দুই জনকে হত্যার ঘটনায় পৃথক দুই মামলায় আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলন- জাতীয় শ্রমিক লীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি আল মামুন মিয়া, ৫৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. আব্দুল মোতালিব, আওয়ামী লীগ কর্মী সাব্বির, মারুফ ও ইব্রাহীম।  

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে তুরাগ থানা এলাকা হতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

পুলিশ জানায়, গত ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখ বিকেলে উত্তরা পশ্চিম থানার জসিমউদ্দিন রোডের আরকে টাওয়ারের সামনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার বিজয় উল্লাস চলছিল। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার উপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। গুলিতে শিক্ষার্থী ওমর নুরুল আবছার গুরুতর আহত হয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ওমর নুরুল আবছারের মায়ের অভিযোগে উত্তরা পশ্চিম থানায় গত ৩১ আগস্ট ২০২৪ তারখে একটি মামলা রুজু হয়। মামলাটি তদন্তকালে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এ ঘটনায় জড়িত দুই আওয়ামী লীগ নেতা আল মামুন মিয়া ও মো. আব্দুল মোতালিবকে শনাক্ত করার পর মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করে।

অন্যদিকে গত ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখ উত্তরার ৩নং সেক্টরের রবীন্দ্র সরণীতে বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের ছোড়া গুলিতে সানজিদ হোসেন মৃধা গুরুতর আহত হয়। পরে  তাকে উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় সানজিদের বাবা ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আওয়ামী লীগের তিন কর্মীকে মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতকৃতদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

আল-আমীন/এমএ/

চৌধুরী নাফিজ সরাফতের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩৭ পিএম
চৌধুরী নাফিজ সরাফতের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
চৌধুরী নাফিজ সরাফত

পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফতের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। 

সোমবার (৭ অক্টোবর) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।

কমিশনের আবেদনে বলা হয়েছে, চৌধুরী নাফিজ সরাফতের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তিনি তার পদের অপব্যবহার করে ও রাজনৈতিক পরিচয়ের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে এবং কানাডায় বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি অজ্ঞাত স্থান থেকে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে তার পক্ষে বক্তব্য প্রচার করছেন। 

বিশ্বস্ত সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যমতে, দেশের বর্তমান বাস্তবতায় চৌধুরী নাফিজ সরাফত দেশত্যাগ করতে পারেন বলে আশঙ্কা করছে কমিশন। তাই সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা আবশ্যক।

আদালতে কমিশনের উপপরিচালক মো. মাসুদুর রহমান এই আবেদন করেন। আদালতে কমিশনের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানি করেন। শুনানি শেষে এই আদেশ দেন আদালত। 

মাহমুদুল আলম/সালমান/

স্ত্রীসহ সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৪০ পিএম
আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৪১ পিএম
স্ত্রীসহ সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী

সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং তার স্ত্রী রুকমীলা জামানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। 

সোমবার (৭ অক্টোবর) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।

কমিশনের আবেদনে উল্লেখ করা হয়, সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়েছে। কমিশন প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে, সাইফুজ্জামান চৌধুরী অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন। ওই অর্থে তার নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নামে যুক্তরাজ্যে ৩৫০টি, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২২৮টি, যুক্তরাষ্ট্রে ৯টি বাড়ি করেছেন তিনি। তা ছাড়া অন্যান্য দেশেও বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্টসহ অন্যান্য সম্পদ অর্জন করেছেন তিনি। পাশাপাশি সাইফুজ্জামান চৌধুরী অবৈধভাবে অর্জিত অর্থে বাংলাদেশেও সম্পদ গড়েছেন বলে কমিশনের কাছে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়।

কমিশন বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছে, সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রী রুকমীলা জামান দেশত্যাগ করতে পারেন। তাই সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রী রুকমীলা জামানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দরকার। 

আদালতে কমিশনের উপপরিচালক রাম প্রসাদ মণ্ডল তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। কমিশনের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম আদালতে আবেদনের ওপর শুনানি করেন। শুনানি শেষে এই আদেশ দেন আদালত।

মাহমুদুল আলম/সালমান/

চাঁদপুরে শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ২ যুবকের যাবজ্জীবন

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৩৩ পিএম
আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৩৪ পিএম
চাঁদপুরে শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ২ যুবকের যাবজ্জীবন
দণ্ডিত নুর আলম ও সজীব হোসেন। ছবি: খবরের কাগজ

চাঁদপুরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে নুর আলম (২৬) ও সজীব হোসেন (১৯) নামে দুই যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আব্দুল হান্নান এ রায় দেন।

এ ছাড়াও বিচারক আসামিদের খুনে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় সাত বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

হত্যার শিকার শিশু জান্নাতুল নাঈম মিশু (১৫) কচুয়া উপজেলার বড় হায়াতপুর গ্রামের প্রবাসী মো. আবু হানিফের মেয়ে।

দণ্ডিত আসামি নুর আলম বড় হায়াতপুর গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে এবং সজীব হোসেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার গাব্দেরগাঁওয়ের আমির হোসেনের ছেলে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই শুক্রবার দুপুরে মিশু বাড়ির পাশে ছাগলের জন্য ঘাস কাটতে যায়। সেখানে উভয় আসামি শিশুটিকে প্রথমে ধর্ষণ এবং পরে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় শিশুটির মা ফাতেমা বেগম ৩ আগস্ট কচুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত করেন কচুয়া থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মকবুল হোসেন। তদন্ত শেষে তিনি একই বছর ২৯ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। 

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শামসুল ইসলাম মন্টু বলেন, এই মামলায় আদালত ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ও নথিপত্র পর্যালোচনা করে আসামিদের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন আব্দুল্লাহ আল মামুন ও রিয়াদ হোসেন মুনতাসির। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মাসুম হোসেন ভূঁইয়া।

ফয়েজ আহমেদ/অমিয়/

হত্যা মামলায় ঢাবির সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফুয়াদ গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৫৪ পিএম
হত্যা মামলায় ঢাবির সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফুয়াদ গ্রেপ্তার
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা মামলায় ঢাবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও আইনবিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ ফুয়াদ হোসেন ওরফে শাহাদতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি: খবরের কাগজ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আকরাম খান রাব্বী হত্যা মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও আইনবিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ ফুয়াদ হোসেন ওরফে শাহাদতকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির পল্লবী থানা পুলিশ।

সোমবার (৭ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

এর আগে রবিবার (৬ অক্টোবর) রাতে পল্লবীর ৭নং সেকশন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পল্লবী এলাকায় আকরাম খান রাব্বী হত্যার ঘটনায় গত ২৫ আগস্ট পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১৯ জুলাই বিকেলে পল্লবী থানার মিরপুর-১০ আবুল তালেব স্কুলের সামনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় রাস্তা পারাপারের সময় আকরাম খান রাব্বী নামের এক ব্যক্তি গুলিতে আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন।

মামলাটির তদন্তকালে গোয়েন্দা তথ্য ও ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে রাব্বী হত্যায় জড়িত ফুয়াদকে গ্রেপ্তার করে পল্লবী পুলিশ। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।

রিনা তুলি/সাদিয়া নাহার/

হাজী সেলিম-সৈকত-মানিক নতুন মামলায় গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৩০ পিএম
আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৩৪ পিএম
হাজী সেলিম-সৈকত-মানিক নতুন মামলায় গ্রেপ্তার
সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম, ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ও সাবেক কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক

সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ও সাবেক কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিককে নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত। 

সোমবার (৭ অক্টোবর) নতুন করে তাদেরকে প্লাস্টিক কারখানার কর্মচারী রাকিব হাওলাদার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে এই আদেশ দেন আদালত।

এদিন তাদেরকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও চকবাজার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক মোরাদুল ইসলাম নতুন করে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। 

আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমানের আদালত গ্রেপ্তারের আদেশ দেন।

গত ১ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে রাজধানী থেকে হাজী সেলিমকে আটক করা হয়। পরের দিন ২ সেপ্টেম্বর আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১৪ আগস্ট রাজধানীর খিলক্ষেত থেকে তানভীর হাসান সৈকতকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাজধানীর পল্টনে কামাল মিয়া নামে এক রিকশাচালককে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় পরদিন তার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এ ছাড়া হাবিবুর রহমান মানিককে গত ২২ আগস্ট রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজিমপুরে কলেজছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহকে হত্যার মামলায় পরের দিন ২৩ আগস্ট পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

নতুন করে গ্রেপ্তার দেখানো মামলায় উল্লেখ করা হয়, রাকিব হাওলাদার চকবাজারের কাজল প্লাস্টিক কারখানায় কাজ করতো। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে গত ৫ আগস্ট দুপুরে সে মিছিলে অংশগ্রহণ করে। মিছিলটি চানখারপুল পৌঁছালে পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিলে গুলিবর্ষণ করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয় রাকিব। তাকে মিডফোর্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন এ ঘটনায় মামলা করেন। 

মাহমুদুল আলম/সাদিয়া নাহার/