ছাত্র-জনতার আন্দোলনের হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ১০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার (২ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়। গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ডিএমপি জানায়, উত্তরায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিতে শিক্ষার্থীসহ দুজনকে হত্যার ঘটনায় পৃথক দুই মামলায় আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন জাতীয় শ্রমিক লীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি আল মামুন মিয়া ও ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. আব্দুল মোতালিব, আওয়ামী লীগ কর্মী সাব্বির, মারুফ ও ইব্রাহীম।
এ ছাড়া মালিবাগ কমিউনিটি সেন্টারের কাছে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের গুলিবর্ষণে সাব্বির হোসেন নামে একজন গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় খিলগাঁও থানায় মামলা করা হয়। এ মামলায় খিলগাঁও ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রানা ওরফে পিস্তল রানা ও ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক শ্রমিক লীগ সভাপতি তাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে খিলগাঁও থানার পুলিশ।
পাশাপাশি মিরপুরে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে আন্দোলনকারী ইমরান হত্যাকাণ্ডের মামলায় যুবলীগের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পল্লবী থানার পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন পল্লবী থানার বাউনিয়া ‘এ’ ব্লকের যুবলীগের সভাপতি আব্দুর রহমান ওরফে সুজন, ‘সি’ ব্লকের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহীন খান ও সদস্য সোহেল।
পুলিশ জানায়, মামলাগুলোর তদন্তকালে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা জড়িত ছিলেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।