ঢাকা ১৮ কার্তিক ১৪৩১, রোববার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪

সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের জামিন

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫৭ এএম
আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০২:০৬ পিএম
সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের জামিন
আদালতে থেকে জামিন পেয়েছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান

জামিন পেয়েছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে করা মামলায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে জেলে পাঠানোর আদেশ দেন।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

তার আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মেজবাহ বলেন, মাহমুদুর রহমানকে মিথ্যা মামলায় দেওয়া সাজার বিরুদ্ধে আজ আমরা আপিল করেছি। আদালত আপিল আবেদন গ্রহণ করেন। এরপর আমরা মাহমুদুর রহমানের জামিন চেয়ে আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। এ ক্ষেত্রে তার কারামুক্ত হওয়ার আর কোনো আইনগত বাধা থাকল না।

এ মামলায় ২৯ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণ করে আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে তাকে কারাগারে ডিভিশন দেওয়ারও আদেশ দেন আদালত।

অ্যাডভোকেট মেজবাহ বলেন, মাহমুদুর রহমানকে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগে সাজা দেওয়া হয়। প্রশ্নবিদ্ধ বিচারিক প্রক্রিয়ায় তড়িৎগতিতে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে বিচারের নামে প্রহসন করা হয়েছিল। রায় ঘোষণা করা বিচারকের ভূমিকাও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। আমরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি।

সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ এবং হত্যাচেষ্টার মামলায় গত বছরের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালত মাহমুদুর রহমান ও সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ ৫ জনের পৃথক দুই ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য তিন আসামি হলেন- জাসাস নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ, রিজভী আহমেদ সিজার ও মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।

আসামিদের দণ্ডবিধির ৩৬৫ ধারায় (অপহরণ) পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। জরিমানার টাকা অনাদায়ে তাদের আরও এক মাসের কারাভোগ করতে হবে। এ ছাড়া একই আইনে ১২০-খ ধারায় (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) দুই বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যেকোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। ওই ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন। ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

বাসস/অমিয়/

হবিগঞ্জে সাবেক এসপিসহ ৫৫ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৮ পিএম
আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৮ পিএম
হবিগঞ্জে সাবেক এসপিসহ ৫৫ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম মুরাদ আলী

বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর গুলি ও নির্যাতনের অভিযোগে হবিগঞ্জের সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম মুরাদ আলী, সদর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুক আলীসহ ৫৫ পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেছে দলটি।

বরিবার (৩ নভেম্বর) লাখাই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম মতিন হবিগঞ্জ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক দেলোয়ার হোসেনের আদালতে এ আবেদন করেন। 

বিচারক মামলাটির আংশিক শুনানি শেষে অধিকতর শুনানির জন্য আগামী ৫ নভেম্বর নির্ধারণ করেছেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০২১ সালের ২২ ডিসেম্বর জেলা বিএনপির উদ্যোগে দলের জনসভাকে কেন্দ্র করে শায়েস্তানগরে অস্থায়ী কার্যালয়ে মঞ্চ তৈরি করা হয়। এতে কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। কিন্তু বেলা ১২টা থেকেই পুলিশ সভার সব প্রবেশমুখে চেকপোস্ট বসিয়ে জনসভায় আসা নেতা-কর্মীদের হয়রানি করে। পরে মারমুখী হয়ে নেতা-কর্মীদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। এতে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ রাজীব আহমেদ রিংগন, সফিকুর রহমান সিতুসহ তিন শতাধিক নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শামসুল হক মতিন জানান, আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে। আদালত শুনানি শেষে অধিকতর শুনানির জন্য আগামী ৫ নভেম্বর নির্ধারণ করেছেন।

কাজল/সালমান/

নিজ খরচে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার পেপারবুক প্রস্তুতের অনুমতি

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৭ পিএম
নিজ খরচে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার পেপারবুক প্রস্তুতের অনুমতি
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক নিজ খরচে তৈরির অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রবিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। 

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ। 

পরে আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কোনো অনুকম্পা চান না। তিনি আইনিভাবে মামলা নিষ্পত্তি করতে চান। এ কারণে আমরা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার সাজার রায়ের বিরুদ্ধে দ্রুত আপিল শুনানি করতে চাই। আপিল শুনানির জন্য আদালত আমাদের নিজ খরচে পেপারবুক প্রস্তুত করার অনুমতি দিয়েছেন। 

২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একইসঙ্গে অন্য তিন আসামিকেও সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। খালেদা জিয়াসহ প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ট্রাস্টের নামে কেনা কাকরাইলে ৪২ কাঠা জমি বাজেয়াপ্ত করে তা রাষ্ট্রের অনুকূলে নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন খালেদা জিয়া। 

এলিস/অমিয়/

হিন্দি সিনেমা বাংলায় ডাবিং করে প্রদর্শনের দাবিতে লিগ্যাল নোটিশ

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২১ পিএম
আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫১ পিএম
হিন্দি সিনেমা বাংলায় ডাবিং করে প্রদর্শনের দাবিতে লিগ্যাল নোটিশ
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

ভারতীয় হিন্দি সিনেমা বাংলা ভাষায় ডাবিং করে বাংলাদেশের সিনেমা হলগুলোতে প্রদর্শনের দাবিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

রবিবার (৩ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহমুদুল হাসান এ নোটিশ পাঠান।

তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ফিল্ম সার্টিফিকেশন বোর্ডের সচিব এবং বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সম্পাদককে এ নোটিশ পাঠানো হয়।

নোটিশে বলা হয়, হিন্দি ভাষা আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের অফিশিয়াল ভাষা এবং প্রকারান্তরে জাতীয় ভাষা। ভারত দক্ষিণ এশিয়ার একটি শক্তিশালী দেশ। দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সব রাষ্ট্রের ওপর ভারতের শক্তিশালী প্রভাব রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্বাধীন রাষ্ট্র দখল করার অভিজ্ঞতা ভারতের রয়েছে। 

উদাহরণস্বরূপ ভারত ক্ষুদ্র রাষ্ট্র হায়দ্রাবাদকে দখল করেছে এবং স্বাধীন রাষ্ট্র সিকিমকে দখল করে নিজেদের ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত করেছে।

আইনি নোটিশে আরও বলা হয়, ভারতের হিন্দি সিনেমাগুলো বাংলাদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয়। বাংলাদেশের জনগণ টেলিভিশনে ও ইন্টারনেটে ভারতের হিন্দি সিনেমা, বিভিন্ন এপিসোড উপভোগ করে থাকেন। কিন্তু ভারতের সদ্য নির্মিত সিনেমাগুলো যখন বাংলাদেশে মুক্তি পায় তখন এটা বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা ও উত্তেজনার সৃষ্টি করে। এভাবে যদি নিয়মিত বাংলাদেশের সিনেমা হলগুলোতে ভারতীয় সদ্য নির্মিত হিন্দি সিনেমাগুলো মুক্তি পেতে থাকে তাহলে এটা বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে এবং হিন্দি ভাষার প্রতি বাংলাদেশের জনগণের আগ্রহ বাড়তে থাকবে। এভাবে বাংলাদেশের জনগণ তাদের দৈনন্দিন জীবনে হিন্দি ভাষা চর্চা শুরু করবে এবং হিন্দি ভাষায় অভ্যস্ত হয়ে উঠবে।

নোটিশে আরও বলা হয়, প্রতিবেশী কোনো শক্তিশালী রাষ্ট্রের সঙ্গে ভাষাগত মিল দুর্বল রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি সৃষ্টি করে। 
উদাহরণস্বরূপ, রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ ও সংঘাতে রাশিয়া ইউক্রেনের ক্রিমিয়া, ডোনেটস্ক, খেরসন, লুহানস্ক এবং জাপোরিঝিয়া অঞ্চলগুলো দখল করেছে। এসব অঞ্চলের মানুষগুলো মূলত রুশ ভাষায় কথা বলতেন। ভাষাগত মিল থাকার কারণে রাশিয়া উদ্বুদ্ধ হয়েছে ইউক্রেনের এই অঞ্চলগুলো দখল করতে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান অনুযায়ী, ভাষাগত মিল একধরনের মানসিক ঐক্য সৃষ্টি করে। এতে করে বাংলাদেশের জনগণ যদি হিন্দি ভাষায় অভ্যস্ত হয়ে যায়, তবে অদূর ভবিষ্যতে ভারত উদ্বুদ্ধ হবে বাংলাদেশে আক্রমণ করতে।

এতে বলা হয়েছে, হিন্দি ভাষা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। সে কারণে ভারতের হিন্দি সিনেমাগুলো বাংলাদেশে মুক্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলা ভাষায় ডাবিং করে মুক্তি দিতে হবে। তবে বাংলা ভাষায় ডাবিং করার ক্ষেত্রে অবশ্যই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সমিতির সদস্য অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের কণ্ঠ ব্যবহার করতে হবে। 

আইনি নোটিশ পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে ভারতীয় হিন্দি সিনেমা বাংলা ভাষায় ডাবিং করে বাংলাদেশের সিনেমা হলগুলোতে প্রদর্শনের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

এলিস/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

ফেসবুকে ভুয়া খবর প্রচারের অভিযোগে ছাত্রলীগ কর্মী গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৩ পিএম
ফেসবুকে ভুয়া খবর প্রচারের অভিযোগে ছাত্রলীগ কর্মী গ্রেপ্তার
ফেসবুকে ভুয়া খবর প্রচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার যুবক।ছবি: খবরের কাগজ

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষে ‘মধ্যরাতে উত্তাল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়’ শিরোনামে ভুয়া খবর প্রচারের অভিযোগে সাইফুল ইসলাম (৩১) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে নোয়াখালীর সেনবাগ থানা পুলিশ।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) সাইবার ক্রাইম ইউনিটের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাকে সেনবাগ থানার গাবতলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
 
শনিবার (২ অক্টোবর) তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আরএমপি সদর দপ্তরের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন। 

গ্রেপ্তার সাইফুল ইসলাম সেনবাগ থানার পূর্ব ছাতারপাইয়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি ছাত্রলীগের সেনবাগের ছাতারপাইয়া ইউনিটের কর্মী।

সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, গত ২৯ আগস্ট কয়েকটি ফেসবুক পেজ থেকে নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষে ‘মধ্যরাতে উত্তাল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়’ শিরোনামে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে একটি ভুয়া ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এতে সাধারণ মানুষসহ সারাদেশের ছাত্রদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার ঘটে এবং উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এছাড়া দেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্নসহ সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা দেখা দেয়।

তিনি বলেন, বিষয়টি নজরে আসলে আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিট ভিডিওগুলো পর্যালোচনা করে দেখে যে, ভিডিওগুলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলেও তা এ সময়ের নয়। পুরোনো মিছিলের ভিডিওতে নতুন করে কণ্ঠ লাগানো হয়েছে এবং নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থানা এলাকা থেকে এই ভুয়া ও মিথ্যা ভিডিও ছড়ানো হয়েছে। তখন এর পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহ করে আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিট এবং তা নোয়াখালীর সেনবাগ থানায় পাঠানো হয়।

পরে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামি জানান, তিনি ৫ আগস্ট থেকে তার নিজস্ব ফেসবুক পেইজসহ আরও বিভিন্ন ফেসবুক পেজ খুলে ইচ্ছাকৃতভাবে রাষ্ট্র ও সরকারের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশে ভুয়া ও মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে আসছেন। তার নামে সেনবাগ থানায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। ওই মামলায় শনিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এনায়েত করিম/মাহফুজ/অমিয়/

সাবেক মন্ত্রী মোকতাদির ৫ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৩ পিএম
সাবেক মন্ত্রী মোকতাদির ৫ দিনের রিমান্ডে
সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী

সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের বিচারক মেহেরা মাহবুব এই আদেশ দেন। 

পুলিশ ও আদালত সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর মিরপুরের শেওড়াপাড়া এলাকা থেকে উবায়দুল মোকতাদিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পল্টন থানায় করা বিএনপির কর্মী মকবুল হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই মামলায় গতকাল বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করে পল্টন থানার পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চেয়ে আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এ সময় মোকতাদির চৌধুরীর আইনজীবী রিমান্ড আবেদন নাকচ করে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানির পর তাকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন আদালত।

মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ডাকা এক দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনের কর্মসূচিতে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতা-কর্মীরা ঢাকায় জড়ো হতে থাকেন। ৭ ডিসেম্বর বিকেলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদ, যুগ্ম কমিশনার মেহেদী হাসান ও বিপ্লব কুমারের নেতৃত্বে ৭০ থেকে ৮০ জন পুলিশ সদস্য বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। এ সময় আসামিরা বিএনপির কার্যালয়ের বিভিন্ন আসবাব, কম্পিউটার, নগদ অর্থ ও মুঠোফোন লুট করে নিয়ে যান। অভিযানে বিএনপির কার্যালয় ও এর আশপাশে থাকা দলটির হাজার হাজার নেতা-কর্মীর ওপর হামলা চালানো হয়। একই সঙ্গে সেদিন মকবুল নামে বিএনপির এক কর্মীকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা ও উবায়দুল মোকতাদিরসহ ২৫৬ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করা হয়। 

উবায়দুল মোকতাদির ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬টি হত্যাসহ অন্তত ৯টি মামলা রয়েছে।