ঢাকা ২৫ কার্তিক ১৪৩১, রোববার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

স্ত্রীসহ সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৪০ পিএম
আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৪১ পিএম
স্ত্রীসহ সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী

সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং তার স্ত্রী রুকমীলা জামানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। 

সোমবার (৭ অক্টোবর) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।

কমিশনের আবেদনে উল্লেখ করা হয়, সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়েছে। কমিশন প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে, সাইফুজ্জামান চৌধুরী অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন। ওই অর্থে তার নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নামে যুক্তরাজ্যে ৩৫০টি, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২২৮টি, যুক্তরাষ্ট্রে ৯টি বাড়ি করেছেন তিনি। তা ছাড়া অন্যান্য দেশেও বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্টসহ অন্যান্য সম্পদ অর্জন করেছেন তিনি। পাশাপাশি সাইফুজ্জামান চৌধুরী অবৈধভাবে অর্জিত অর্থে বাংলাদেশেও সম্পদ গড়েছেন বলে কমিশনের কাছে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়।

কমিশন বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছে, সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রী রুকমীলা জামান দেশত্যাগ করতে পারেন। তাই সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রী রুকমীলা জামানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দরকার। 

আদালতে কমিশনের উপপরিচালক রাম প্রসাদ মণ্ডল তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। কমিশনের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম আদালতে আবেদনের ওপর শুনানি করেন। শুনানি শেষে এই আদেশ দেন আদালত।

মাহমুদুল আলম/সালমান/

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় লিভ টু আপিলের আদেশ সোমবার

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২১ পিএম
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় লিভ টু আপিলের আদেশ সোমবার
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের আদেশের জন্য সোমবার (১১ নভেম্বর) দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।

রবিবার (১০ নভেম্বর) আপিল বিভাগের সিনিয়র বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

এদিকে গত ৩ নভেম্বর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানির জন্য ১০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন চেম্বার আদালত।

অরফানেজ ট্রাস্টের নামে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামানের আদালত।

একই সঙ্গে এই মামলায় তারেক রহমানসহ মামলার অপর পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি ছয় আসামির প্রত্যেককে দুই কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।

বাকি চার আসামি হলেন- সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক সংসদ সদস্য ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান। এর মধ্যে পলাতক আছেন তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান।

এরপর বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া, কাজী সালিমুল হক কামাল এবং ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ। পরে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন। 

হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে লিভ-টু আপিল করেন খালেদা জিয়া।

এলিস/তাওফিক/অমিয়/

ভারতীয় চ্যানেল রিপাবলিক বাংলার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে নোটিশ

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩০ পিএম
ভারতীয় চ্যানেল রিপাবলিক বাংলার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে নোটিশ
সুপ্রিম কোর্ট

ভারতীয় চ্যানেল রিপাবলিক বাংলার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বাংলাদেশের ভূখণ্ডে তাদের নিউজ ও কন্টেন্ট নিষিদ্ধ-ব্লক করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

রবিবার (১০ নভেম্বর) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে আইনি নোটিশ পাঠান বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান। 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইসিটি বিভাগের সচিব এবং বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, 'রিপাবলিক বাংলা' একটি ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল। এই চ্যানেল স্যাটেলাইট সম্প্রচারের পাশাপাশি তাদের নিউজ, কন্টেন্টসমূহ ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে থাকে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই যে, এই ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল নিয়মিতভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা প্রচার করে যাচ্ছে। মিথ্যা তথ্য সম্প্রচার করছে এবং বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এই ভারতীয় চ্যানেল রিপাবলিক বাংলা নিরন্তনভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গুজব ছড়িয়ে বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, এ ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল রিপাবলিক বাংলা সম্পূর্ণ অসৎ উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিডিয়া আগ্রাসন চালাচ্ছে। এই ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলটি বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এছাড়া এই ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলটি বাংলাদেশের জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে।

আইনি নোটিশে বলা হয়, বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে অবশ্যই এ ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল রিপাবলিক বাংলার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ছাড়া, বাংলাদেশের জননিরাপত্তার স্বার্থে এ বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলের সব নিউজ, কন্টেন্ট বাংলাদেশের ভূখণ্ডে নিষিদ্ধ ও ব্লক করে দিতে হবে।

নোটিশ পাওয়ার তিনদিনের মধ্যে ভারতীয় চ্যানেল রিপাবলিক বাংলার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বাংলাদেশের ভূখণ্ডে তাদের নিউজ ও কন্টেন্ট নিষিদ্ধ-ব্লক করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করা হবে।

এলিস/জোবাইদা/

মেনন-ইনু-পলক-শমী-তাপস কারাগারে

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৮ এএম
মেনন-ইনু-পলক-শমী-তাপস কারাগারে
রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জুনায়েদ আহমেদ পলক, কৌশিক হোসেন তাপস, শমী কায়সার

ইমন হোসেন গাজী নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল শনিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদের আদালত এই আদেশ দেন।

একই দিন ব্যবসায়ী ইশতিয়াক মাহমুদকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সার ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল গান বাংলার চেয়ারম্যান কৌশিক হোসেন তাপসকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াকের আদালত এই আদেশ দেন। 

আদালত সূত্র জানায়, ইমন হোসেন গাজী হত্যা মামলায় গত ২ নভেম্বর আদালত রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু ও জুনায়েদ আহমেদ পলককে সাত দিনের রিমান্ড দেন। রিমান্ড শেষে গতকাল তাদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক মো. মাহাবুল ইসলাম। পরে তিনি মামলার তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত ওই তিনজনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। এই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদেশ দেন আদালত।

গত ২২ আগস্ট রাশেদ খান মেনন, ২৬ আগস্ট ইনু এবং ১৪ আগস্ট পলককে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার চিটাগাং রোডে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ইমন হোসেন গাজী। ওই ঘটনায় তার ভাই আনোয়ার হোসেন এই মামলা করেন।

আদালত সূত্র আরও জানায়, ব্যবসায়ী ইশতিয়াক মাহমুদকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় গত ৬ নভেম্বর আদালত শমী কায়সার ও কৌশিক হোসেন তাপসের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে গতকাল তাদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পূর্ব থানার উপপরিদর্শক মৃত্যুঞ্জয় পণ্ডিত মিঠুন। তিনি মামলার তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত শমী কায়সার ও তাপসকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। এই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদেশ দেন আদালত।

গত ৩ নভেম্বর তাপসকে ও ৫ নভেম্বর শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, হয়, গত ১৮ জুলাই কোট সংস্কার আন্দোলনে ইশতিয়াক মাহমুদসহ অন্যরা অংশ নেন। এ সময় উত্তরা পূর্ব থানাধীন আজমপুর নওয়াব হাবিবুল্লাহ হাইস্কুলের সামনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ইশতিয়াকের ওপর অতর্কিত হামলা করেন। এ সময় তার পেটে, পিঠে, হাতে, মাথায় গুলি লাগে। পরে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এ ঘটনায় গত ২৯ অক্টোবর ইশতিয়াক মাহমুদ মামলা করেন। 

অন্যদিকে মাহাদী হাসান পান্থ হত্যা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মুক্তিযোদ্ধা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহাদ আলী ওরফে পানি আহাদ (৫৫) ও কদমতলী থানা আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইকবাল হোসেনকে (৫৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাত ৩টার দিকে কদমতলী থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

ডিএমপি জানায়, গত ১৯ জুলাই বিকেলে কদমতলী থানার রায়েরবাগ স্বপ্ন সুপার শপের সামনের সড়কে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেন মাহাদী হাসান পান্থ। এ সময় আন্দোলনকারীদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এ সময় মাহাদী গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় গত ৮ নভেম্বর মাহাদীর বাবা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন কদমতলী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। 

কুমিল্লায় আ.লীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার
কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল ঝাউতলা ও কান্দিরপাড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা হলেন সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহার উদ্দিন বাহারের ভাতিজা কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর সাহরীন সায়ের ও কুমিল্লা মহানগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হানিফ মিয়া।

কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তিনটি করে মামলা রয়েছে। 

গোপালগঞ্জে আ.লীগ কর্মী গ্রেপ্তার
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার হত্যা মামলায় মেহেদী হাসান রাসেল (৩৫) নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বিকেলে কাশিয়ানী উপজেলার ছোট খাগড়াবাড়িয়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাসেল ওই গ্রামের মৃত বালা মিয়ার ছেলে।

কাশিয়ানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শফি উদ্দিন খান জানান, দিদার হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি মেহেদী হাসান রাসেল। রাসেল নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। রাসেলের বিরুদ্ধে কাশিয়ানী থানায় একাধিক চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে।

হবিগঞ্জে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৯ জনকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় যুবলীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রেখাছ মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে বানিয়াচং উপজেলার যাত্রাপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রেখাছ মিয়া বানিয়াচং উপজেলা যুবলীগের সভাপতি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বানিয়াচং থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম জানান, এখন পর্যন্ত ৯ ছাত্র-জনতা হত্যা মামলায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

গত ৫ আগস্ট বানিয়াচংয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পুলিশের গুলিতে শিশুসহ ৯ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হন। এ সংঘর্ষে এক সাংবাদিক ও এক পুলিশ সদস্যও প্রাণ হারান। 

২২ আগস্ট নিহত শিশু হাসানের বাবা বাদী হয়ে এই ঘটনায় ১৬০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গাড়ি বহরে হামলার এক যুগ পর মামলা

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৯ পিএম
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গাড়ি বহরে হামলার এক যুগ পর মামলা
পটুয়াখালীর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী

পটুয়াখালীর কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরীর গাড়ি বহরে হামলার এক যুগ পর মামলা করা  হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পটুয়াখালী সদর থানায় মেহেদী হাসান জীবন বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মুক্তা মিয়াকে প্রধান আসামি করা হয়। সেই সঙ্গে ৫৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৩০-৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। 

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমতিয়াজ মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ২০১৩ সালে হামলার ঘটনায় মেহেদী হাসান জীবন বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।’

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৫ অক্টোবর দলীয় কর্মসূচি শেষে ফেরার পথে শিয়ালী বাজার এলাকায় সাবেক স্বরাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরীর গাড়ি বহরে হামলা করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এতে  ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও জেলা কৃষকদলের সভাপতি এস এম আব্দুর রব হাওলাদার, ইউনিয়ন যুবদলের সহ- সভাপতি মোহন সিকদার, যুবদলের সদস্য দেলোয়ার হোসেন এবং শফিক টেইলার গুরুতর আহত হন।

মেহেদী হাসান বলেন, ‘২০১৩ সালের হামলায় আমার বাবা গুরুতর আহত হন। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বিচার পাওয়া তো দূরের কথা বাবার চিকিৎসাই ঠিকভাবে করাতে পারিনি। ছাত্র জনতার আন্দোলনে পাঁচ আগস্ট সরকার বিতাড়িত হওয়ার পাশাপাশি ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় আমি মামলা করেছি।’

আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান ওসি।

হাসিবুর রহমান/মেহেদী/সাদিয়া নাহার/

আমুর আইনজীবীকে মারধরের ঘটনা সাজানো: পিপি

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫১ এএম
আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫১ এএম
আমুর আইনজীবীকে মারধরের ঘটনা সাজানো: পিপি
মো. ওমর ফারুক

সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমুর আইনজীবীকে গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) আদালত থেকে মেরে বের করে দেওয়ার ঘটনাকে সাজানো বলে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগরের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. ওমর ফারুক (ফারুকী)। 

ঘটনার পরদিন শুক্রবার (৮ নভেম্বর) আদালতে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি করেন।

পিপি বলেন, আমির হোসেন আমুর আইনজীবী দাবি করা আইনজীবীকে রাষ্ট্রপক্ষের কোনো আইনজীবী মারধর করেননি। প্রকৃতপক্ষে গতকাল (বৃহস্পতিবার) আমির হোসেন আমুর পক্ষে আদালতে একাধিক ওকালতনামা দেওয়া নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। এরপর একটি পক্ষ তাকে আদালত থেকে বের করে দেয়।

ফারুকী বলেন, আইনজীবী দাবি করে কথিত ওই আইনজীবী যে বক্তব্য দিয়েছেন, প্রকৃতপক্ষে তিনি আমুর আইনজীবী নন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা। দেশবাসীকে ভুল বোঝাতে পরিকল্পিতভাবে এমন ঘটনার সৃষ্টি করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিন রেজার আদালতে আমির হোসেন আমুর রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে পিপি শুনানি করেন। তারপর আসামি পক্ষ শুনানি শুরু করে। শুনানিতে আমুর পক্ষের আইনজীবী স্বপন রায় চৌধুরী পিপির বক্তব্য ‘রাজনৈতিক’ বলে মন্তব্য করেন। তখন উত্তেজিত হয়ে আদালতে উপস্থিত আইনজীবীদের মধ্যে কয়েকজন তাকে মারধর শুরু করেন। মারধরের ঘটনায় তিনি আদালতের দরজার সামনে পড়ে যান। একপর্যায়ে তাকে লাথি মারা হয়।

এরপর কয়েকজন আইনজীবী তাকে তুলে আদালত থেকে নিরাপদে বের করে দেন। আদালত থেকে বের হওয়ার পরে সাংবাদিকদের সামনে এ ঘটনার বিচার দাবি করেন ভুক্তভোগী আইনজীবী।