ঢাকা ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও ২ হত্যা মামলা

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪০ পিএম
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও ২ হত্যা মামলা
শেখ হাসিনা (ফাইল ছবি)

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আসামি করে ঢাকার আদালতে আরও দুটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ইমন ও রাকিব নামের দুই যুবককে গুলি করে হত্যার অভিযোগে এসব মামলা করা হয়।

সোমবার (৭ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দারের আদালতে মামলাগুলো করা হয়। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে এ বিষয়ে কোনো মামলা বা জিডি আছে কি না- সে বিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশকে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

ইমন হত্যা মামলাটি করেছেন নিহতের মা জোসনা। মামলায় অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক তিন মন্ত্রী- ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান ও ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ।

আর রাকিব হত্যা মামলাটি করেছেন রাকিবের মা কহিনূর বেগম। মামলায় উল্লেখ করা হয়, আন্দোলনের মধ্যে গত ৫ আগস্ট দুপুরে যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী টোলপ্লাজার সামনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ গুলি চালায়। সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাকিব মারা যান।

একযোগে বদলি ২৬৪ বিচারক

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০১:৩২ পিএম
একযোগে বদলি ২৬৪ বিচারক
ছবি: সংগৃহীত

দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মরত ২৬৪ জন বিচারিক কর্মকর্তাকে একই দিনে বদলি করা হয়েছে।

তাদের মধ্যে ১২ জনকে পদোন্নতিসহ বদলি করা হয়েছে। বদলি হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৬২ জন সহকারী ও সিনিয়র সহকারী জজ রয়েছেন। এ ছাড়া ৩৮ জন অতিরিক্ত জেলা জজকে বদলি করা হয়েছে। জেলা জজ বদলি করা হয়েছে ৩০ জনকে। 

বদলি হওয়া অন্য কর্মকর্তারা বিভিন্ন পদে বিভিন্ন স্থানে কর্মরত আছেন। 

সোমবার (২ জুন) এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এতে লেখা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে জুডিশিয়াল সার্ভিসের বিচার বিভাগীয় এই কর্মকর্তাদের বর্তমান কর্মস্থল থেকে বদলি করে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের প্রত্যেকের নামের পাশে উল্লেখ করা পদে/কর্মস্থলে বদলি করা হলো।

শেখ হাসিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে গুমের অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ১২:২২ পিএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ১২:৩২ পিএম
শেখ হাসিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে গুমের অভিযোগ সালাহউদ্দিনের
ট্রাইব্যুনালে গুমের অভিযোগ জমা দিচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

শেখ হাসিনাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গুমের অভিযোগ জমা দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

মঙ্গলবার (৩ জুন) ট্রাইব্যুনালে এ অভিযোগ জমা দেন তিনি।

এর আগে গত ১৫ অক্টোবর তিনি গুমসংক্রান্ত কমিশনেও নিজের গুমের অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

গতকাল সোমবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ঐকমত্যের দ্বিতীয় দফার সভায় তিনি বলেছিলেন, ‘সবাই বলে আমি কেন মামলা করি না। আগামীকালই আমি আমার অভিযোগ দাখিল করব’।

অভিযোগ জমা দেওয়ার পর সালাহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন- গুম, খুনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হবে। তবে এখনো এ ব্যাপারে দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম দেখা না যাওয়ায় ক্ষোভ জানান তিনি।

এ সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ গুম-খুনে জড়িত সবার বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান বিএনপির এই নেতা।

গুমের ঘটনায় এখন পর্যন্ত যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের সাজা এবং যারা পালিয়ে গেছেন তাদের কমিশনকে খুঁজে বের করার অনুরোধও জানান তিনি।

সালাহউদ্দিন বলেন, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল হাসান-সহ যারা গুমের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। এই সরকারের দায়িত্ব সবাইকে আইনের আওতায় আনা। সেইসঙ্গে দেশ থেকে গুম-খুনের সংস্কৃতি চিরদিনের জন্য বন্ধ করতে হবে।

নিজের গুম হওয়া প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমি আগেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আজকে গুম কমিশনে এসেছি। ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাত সাড়ে ৯টার দিকে উত্তরার একটি বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে সশস্ত্র ব্যক্তিরা আমাকে তুলে নিয়ে যায়। তার ৬১ দিনের মাথায় আরেকটি দেশে প্রচার করে তারা। এ সময়ের মধ্যে আমাকে যে রুমে রেখেছিল, সেই রুমের বর্ণনাসহ নানা বিষয় আমি গুম কমিশনের কাছে বলেছি।’

২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে সালাহউদ্দিন নিখোঁজ হন। এর প্রায় দুই মাস পর ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তার সন্ধান পায়। সালাহউদ্দিনকে আটক করার পর বৈধ নথিপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে দেশটির ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ি মামলা করে মেঘালয় পুলিশ। সেই মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ে ২০১৮ সালে সালাহউদ্দিন খালাস পান। ভারত সরকার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে তাকে সেখানেই থাকতে হয়।

অমিয়/

বোদায় স্ত্রী হত্যার দায়ে ১০ বছর পর স্বামীর যাবজ্জীবন, খালাস ১০

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৫:৫৩ পিএম
বোদায় স্ত্রী হত্যার দায়ে ১০ বছর পর স্বামীর যাবজ্জীবন, খালাস ১০
ছবি: খবরের কাগজ

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় স্ত্রী মমতাজ বেগমকে হত্যার দায়ে স্বামী সফিকুল ইসলামকে (৪৬) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তবে মামলার অন্য ১০ আসামিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২ জুন) দুপুরে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত সফিকুল ইসলাম জেলার বোদা উপজেলার কাজলদিঘী তরঙ্গীপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

আদালত সূত্র জানায়, প্রায় ১৬-১৭ বছর আগে সফিকুল ইসলামের সঙ্গে একই এলাকার আব্দুল মান্নানের মেয়ে মমতাজ বেগমের বিয়ে হয়। সংসারে তাদের দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই সফিকুল প্রতিবেশী এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি নিয়ে দাম্পত্য কলহ ও নির্যাতন শুরু হলে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ বসে। কিন্তু তাতে নির্যাতন থামেনি। সফিকুল ও তার পরিবারের সদস্যরা প্রায়ই মমতাজকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন। পরে ২০১৫ সালের ৮ জুলাই রাতে সফিকুল ও মমতাজের মধ্যে আবারও তুমুল ঝগড়া হয়। অভিযোগ আছে, ওই সময় মমতাজকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। পরদিন ৯ জুলাই সকালে নিজ ঘরে মমতাজের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। পরে প্রাথমিকভাবে বোদা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়।

এরপর নিহতের বাবা আব্দুল মান্নান ১৪ জুলাই ২০১৫ সালে ১১ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে সোমবার মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।

রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট ইয়াসিনুল হক দুলাল বলেন, ময়নাতদন্তে প্রমাণিত হয়েছে যে, মমতাজ বেগমকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। আমরা সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আদালত তাই মূল আসামি সফিকুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন।

অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বলেন, 'আমরা এই রায়ে ন্যায়বিচার পাইনি। উচ্চ আদালতে আপিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।'

রনি/মেহেদী/

রাশেদ খান মেনন আরও ৫ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০১:৩২ পিএম
রাশেদ খান মেনন আরও ৫ দিনের রিমান্ডে
রাশেদ খান মেনন

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে জুট ব্যবসায়ী মো. মনির হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে রিমান্ডে নিয়ে পাঁচ দিন জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেওয়া হয়েছে। 

সোমবার (২ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

শুনানির জন্য মেননকে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। 

তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাইনুল ইসলাম খান পুলক ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। 

মেননের আইনজীবী রিমান্ড আবেদন বাতিল করে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

বিচারক শুনানি শেষে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

মামলার বিবরণে জানা গেছে,  ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত বছরের ৫ আগস্ট চানখারপুল এলাকায় দুপুরে আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে ঘটনাস্থলে মারা যান ক্ষুদ্র জুট ব্যবসায়ী মো. মনির।
 
পরবর্তীতে নিহতের স্ত্রী গত ১৪ মার্চ শাহবাগ হত্যায় মামলা করেন।

গত বছরের ২২ আগস্ট রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে মেননকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন থানার হত্যা ও হত্যা চেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পর্যায়ক্রমে তাকে রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে। 

উজ্জ্বল/পপি/

মেজর সিনহা হত্যা ওসি প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ১১:২৫ এএম
আপডেট: ০২ জুন ২০২৫, ১১:৩৩ এএম
ওসি প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
হাইকোর্ট

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের সাবেক পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। তাছাড়া বাকি ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও বহাল রেখেছেন আদালত।

সোমবার (২ জুন) সকালে বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। 

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের বরখাস্ত হওয়া উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিত, সাগর দেব, রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানায় পুলিশের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

এর আগে গত ২৩ এপ্রিল হাইকোর্টে এ মামলার আপিলের শুনানি শুরু হয়।

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান, সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও সাবেক পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলী

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা। ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি এই হত্যা মামলার বিচার শেষে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত দুজনকে মৃত্যুদণ্ড, ছয়জনকে যাবজ্জীবন ও সাতজনকে খালাসের রায় দেন। পরে নিয়ম অনুযায়ী ডেথ রেফারেন্সসহ মামলার যাবতীয় নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়।

অমিয়/