সাবেক দুই মন্ত্রী শাজাহান খান ও রাশেদ খান মেননসহ পাঁচজনকে নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১১ নভেম্বর) বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে হত্যার অভিযোগে রাজধানীতে করা মামলায় এসব আদেশ দেন আদালত।
গ্রেপ্তার দেখানো অন্য তিন আসামি হলেন- পুলিশের সাবেক আইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও সাবেক এমপি আব্দুস সোবহান গোলাপ।
কারাগার থেকে এদিন তাদের আদালতে হাজির করে সংশ্লিষ্ট মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান তাদের এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখান। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালত পল্টন থানার যুবলীগ নেতা শামীমকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় শাজাহান খান, রাশেদ খান মেনন, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন ও আব্দুস সোবহান গোলাপকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
আর যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায় মনোয়ারা হাসপাতালের সামনে রফিকুল ইসলামকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় আহমদ হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
তাছাড়া মিরপুরের দুটি হত্যা মামলায় চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।
শুনানিতে শাজাহান খান বলেন, ‘আমার বাবা, দাদাসহ পরিবারের ছয়জন মুক্তিযোদ্ধা। আমার বাবা তিন বারের এমপি ছিলেন। আমি আট বারের এমপি ছিলাম। মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছি। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদেরও হাতকড়া পরানো হয়নি। আমাকে যাতে হাতকড়া পরাতে না হয়।'
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. ওমর ফারুক (ফারুকী) বলেন, 'আমরা আগে দেখেছি, অনেক মন্ত্রী ও এমপিকে ডান্ডা বেড়ি পরিয়ে সিঁড়ি দিয়ে সাত ও আট তলায় উঠানো হয়েছে। ওনারা ক্ষমতায় থাকতে এটা করেছেন। ক্ষমতায় থাকলে এক কথা আর ক্ষমতা শেষ হলে আরেক কথা। হাতকড়া ও হেলমেট এগুলো নিরাপত্তার স্বার্থে পরানো হয়। হাতকড়া পরানোর বিষয়ে কোন আদেশ দেননি বিচারক।'
মাহমুদুল আলম/জোবাইদা/