ঢাকা ৩ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
English

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে শাপলা চত্বরে গণহত্যার অভিযোগ

প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০০ এএম
আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৫ পিএম
শেখ হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে শাপলা চত্বরে গণহত্যার অভিযোগ
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে পুলিশের লাঠিচার্জ ও হামলার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর হেফাজতে ইসলামের নেতা জুনায়েদ আল হাবিবী ও মাওলানা মামুনুল হক এই অভিযোগ করেন। তাদের পক্ষে হেফাজত নেতা আজিজুল হক ইসলাম ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন কার্যালয়ে এসে অভিযোগ জমা দেন। 

অভিযোগে আসামির তালিকায় আছেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক এমপি হাজী সেলিম, শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, নারায়ণগঞ্জের সাবেক এমপি শামীম ওসমান, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ, ডিএমপির সাবেক উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, নির্মূল কমিটির সদস্য অধ্যাপক মুনতাসির মামুন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ, গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক ইমরান এইচ সরকার, একাত্তর টিভির সাবেক সিইও মোজাম্মেল হক বাবু, সময় টিভির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আহমেদ জোবায়ের, এবিনিউজ২৪ ডটকমের সম্পাদক সুভাস সিংহ রায়, শেখ হাসিনার সাবেক প্রেস সচিব নাইমুল ইসলাম খান, সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ এবং এনএসআইয়ের সাবেক কর্মকর্তা মনজুর আহমেদ। 

জানা গেছে, ২০১৩ সালে ৫ মে হেফাজতের সমাবেশে পুলিশের হামলার সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন বেনজীর আহমেদ এবং আইজিপি ছিলেন হাসান মাহমুদ খন্দকার। বেনজীর আহমেদ ২০১০ সালের ১৪ অক্টোবর থেকে ২০১৫ সালের ৭ জানুযারি পর্যন্ত ডিএমপি কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন। একেএম শহীদুল হক ২০১৩ সালে অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) এবং ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন। বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন।

আলিফ হত্যার ১১ আসামিকে বিস্ফোরক মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৮ পিএম
আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩০ পিএম
আলিফ হত্যার ১১ আসামিকে বিস্ফোরক মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট
আলিফ হত্যার ১১ আসামিকে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারে হয়ে কারাগারে থাকা ১১ আসামিকে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদ এ আদেশ দেন। 

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতের কাছে তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। 

আসামিরা হলেন- প্রেমনন্দন দাস বুজা (১৯), রনব দাস (২৪), বিধান দাস (২৯), বিকাশ দাস (২৪), রুমিত দাস (৩০), রাজ কাপুর (৫৫), সামির দাস (২৫), শিব কুমার দাস (২৩), ওম দাস (২৬), অজয় দাস (৩০) এবং দেবীচরণ (৩৬)।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘ইসকন সন্ত্রাসীদের হাতে নৃশংসভাবে হত্যার শিকার শহিদ অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ১১ জন আসামিকে কড়া নিরাপত্তায় আজ আদালতে হাজির করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিস্ফোরক আইনে হওয়া একটি মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। মামলাটি করেছেন আলিফের ভাই জানে আলম।’

গত বছরের ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে বহিষ্কৃত ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন তাকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। 

কোতোয়ালী থানায় হওয়া একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন। 

পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজনভ্যানে তোলা হয়। এ সময় চিন্ময়ের অনুসারীরা প্রিজনভ্যান আটকে দিয়ে সেখানে শুয়ে পড়েন। এরপর তারা টানা প্রায় তিন ঘণ্টা বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) লাঠিপেটা করে ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। 

সে সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণের অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়। পরে চট্টগ্রাম আদালত ভবনে প্রবেশপথের বিপরীতে রঙ্গম সিনেমা হলের গলিতে আইনজীবী সাইফুলকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। আদালত এলাকায় সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে।

এ ছাড়া সাইফুল ইসলামের বাবা বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে নগরের কোতোয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পাশাপাশি আলিফের ভাই জানে আলম বাদী হয়ে যানবাহন ভাঙচুর ও জনসাধারণের ওপর হামলার ঘটনায় ১১৬ জনকে আসামি করে বিস্ফোরক আইনে আরেকটি মামলা করেন একই থানায়।

পপি/

শেখ হাসিনা-জয়সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৩৩ পিএম
আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৩৭ পিএম
শেখ হাসিনা-জয়সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
শেখ হাসিনা-সজীব ওয়াজেদ জয়

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা পৃথক দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের দেওয়া চার্জশিট আমলে নেন।

হাসিনা, জয় ছাড়া অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, রাজউকের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, কবির আল আসাদ, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), মো. নুরুল ইসলাম, পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এবং শরীফ আহমেদ। এর মধ্যে আবার মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এবং শরীফ আহমেদ তদন্তপ্রাপ্ত আসামি।

এর মধ্যে এক মামলায় ১২ জন ও অন্য মামলায় ১৭ জন আসামিরা পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

দুদকের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে,  ক্ষমতার অপব্যবহার করে বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও পূর্বাচলে ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানার পরিবারের সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন এবং জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক ৮টি অভিযোগপত্র বা চার্জশিট দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ১২, ১৩  ও ১৪ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো করা হয়।

আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ১৬১/১৬৩/১৬৪/৪০৯/১০৯ ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলা করা হয়।

মেহেদী/

সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ২১ মে

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৬ পিএম
আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৩৮ পিএম
সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ২১ মে
সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২১ মে দিন ধার্য করেছেন ঢাকার একটি আদালত। এ নিয়ে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ১১৭ বার পেছানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তদন্ত সংস্থা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।

মিরপুর মডেল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এএসআই) রফিকুল ইসলাম রাসেল বিষয়টি  নিশ্চিত করেছেন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়ায় থাকা বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। 

এরপর রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। 

গত ৩০ সেপ্টেম্বর সাগর ও রুনি হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব র‌্যাব থেকে সরিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গঠিত একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্সের মাধ্যমে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। 

এ মামলার তদন্ত চেয়ে আনা রিটের আদেশ মডিফিকেশন চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে এ আদেশ দেয় উচ্চ আদালত। 

বিষয়টি নিয়ে শুনানিতে হাইকোর্ট বলেন, ‘আশা করি এবার ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে এবং তদন্তের জন্য দেওয়া এবারের ছয় মাস মানে ছয় মাস।’ 

এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য হাইকোর্টে দিন ধার্য রয়েছে।

পপি/

আশুলিয়ায় মরদেহে আগুন: সাবেক ৩ পুলিশ কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১১ পিএম
আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৬ পিএম
আশুলিয়ায় মরদেহে আগুন: সাবেক ৩ পুলিশ কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আশুলিয়ায় ছয়জনের মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় সাবেক তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকালে তাদের হাজির করা হয়।

এর আগে ৮ এপ্রিল প্রসিকিউশনের আবেদনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে বিচারিক প্যানেল এই আসামিদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করার আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন। সেই সময় প্রসিকিউট বি এম সুলতান মাহমুদসহ অন্য প্রসিকিউটররা উপস্থিত ছিলেন।

সাবেক তিন পুলিশ কর্মকর্তা হলেন- ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম ও সাবেক ডিবি পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।

এ বিষয়ে গত ২৬ ডিসেম্বর তাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, '৫ আগস্ট আশুলিয়ায় ছয় তরুণকে গুলি করে হত্যার পর পুলিশ ভ্যানে রেখে আগুন লাগিয়ে দেন পুলিশ সদস্যরা। যখন এসব মরদেহে আগুন দেওয়া হচ্ছিল, তখন একজন জীবিত ছিলেন। জীবিত থাকা অবস্থায় তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়া হয়।'

মেহেদী/

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১১ পিএম
যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

যৌতুকের জন্য গরম তেল ঢেলে স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় স্বামী মিজান সরদারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

রবিবার (১৩ এপ্রিল) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪-এর বিচারক মুন্সি মো. মশিয়ার রহমান এ রায় দেন।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর এরশাদুল আলম জর্জ জানান, বিচার চলাকালে চার্জশিটভুক্ত ১৯ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। তাদের সাক্ষ্যে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। নির্যাতনের নির্মমতা বিবেচনায় আসামিকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার আগে আসামিকে এজলাসে হাজির করা হয়। রায়ের পর সাজা পরোয়ানা জারি করে কারাগারে পাঠানো হয়। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ১০ বছর আগে মিজান সরদারের সঙ্গে মিম আক্তার রুপার বিয়ে হয়। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। বিয়ের পর থেকে মিজান যৌতুকের জন্য রুপাকে নির্যাতন করতেন। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে রুপার বাবা ২০ লাখ টাকা দিয়ে মিজানকে জমি কিনে দেন। এ ছাড়া ৭ লাখ টাকা দিয়ে একটি দোকান করে দেন। এরপর মিজান আবার যৌতুক দাবি করেন। রুপা এতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। এ ঘটনায় রুপার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বাড়িয়ে দেন মিজান। তবে দুই সন্তানের কথা ভেবে রুপা নির্যাতন সহ্য করে যান।

২০২৩ সালের ৬ মে রাত ১০টার দিকে মিজান কেরানীগঞ্জের কদমতলীর খালপাড় এলাকার বাসায় রুপাকে যৌতুকের জন্য চাপ দেন। রুপা আবার অপরাগতা প্রকাশ করেন। এ নিয়ে তাদের ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে দুই সন্তানকে নিয়ে রুপা ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ৩টার দিকে মিজান সয়াবিন তেল গরম করে রুপার শরীরে ঢেলে দেন। এতে তার শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়। সে সঙ্গে দুই সন্তানও কিছুটা দগ্ধ হয়। তিনজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় ৯ মে যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগে রুপার বাবা জাহাঙ্গীর আলম কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন। পরে ২৫ মে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রুপা মারা যাওয়ায় সঙ্গে হত্যার অভিযোগ যুক্ত হয়। 

গত বছরের ৩১ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক শরজিৎ কুমার ঘোষ চার্জশিট দাখিল করেন। ওই বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক।