
২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে পুলিশের লাঠিচার্জ ও হামলার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর হেফাজতে ইসলামের নেতা জুনায়েদ আল হাবিবী ও মাওলানা মামুনুল হক এই অভিযোগ করেন। তাদের পক্ষে হেফাজত নেতা আজিজুল হক ইসলাম ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন কার্যালয়ে এসে অভিযোগ জমা দেন।
অভিযোগে আসামির তালিকায় আছেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক এমপি হাজী সেলিম, শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, নারায়ণগঞ্জের সাবেক এমপি শামীম ওসমান, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ, ডিএমপির সাবেক উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, নির্মূল কমিটির সদস্য অধ্যাপক মুনতাসির মামুন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ, গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক ইমরান এইচ সরকার, একাত্তর টিভির সাবেক সিইও মোজাম্মেল হক বাবু, সময় টিভির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আহমেদ জোবায়ের, এবিনিউজ২৪ ডটকমের সম্পাদক সুভাস সিংহ রায়, শেখ হাসিনার সাবেক প্রেস সচিব নাইমুল ইসলাম খান, সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ এবং এনএসআইয়ের সাবেক কর্মকর্তা মনজুর আহমেদ।
জানা গেছে, ২০১৩ সালে ৫ মে হেফাজতের সমাবেশে পুলিশের হামলার সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন বেনজীর আহমেদ এবং আইজিপি ছিলেন হাসান মাহমুদ খন্দকার। বেনজীর আহমেদ ২০১০ সালের ১৪ অক্টোবর থেকে ২০১৫ সালের ৭ জানুযারি পর্যন্ত ডিএমপি কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন। একেএম শহীদুল হক ২০১৩ সালে অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) এবং ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন। বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন।