ঢাকা ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

এজলাসে বিচারপতিকে ডিম ছুড়ে মারার ঘটনায় প্রধান বিচারপতির উদ্বেগ

প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ পিএম
আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৭ পিএম
এজলাসে বিচারপতিকে ডিম ছুড়ে মারার ঘটনায় প্রধান বিচারপতির উদ্বেগ
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালকে আদালত কক্ষে ডিম ছুড়ে মারার ঘটনাসহ সারাদেশের আদালতের সাম্প্রতিক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। 

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের পাঠানো  বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে বুধবার (২৭ নভেম্বর) ষোড়শ সংশোধনী মামলার রায়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্যের জেরে একদল আইনজীবী ওই বিচারপতিকে ডিম ছুড়ে মারেন। এক পর্যায়ে ওই বিচারপতি এজলাস ছেড়ে নেমে যেতে বাধ্য হন। 

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২৭ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে যে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে  এবং একই সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে দেশের জেলা আদালতসমূহে যেসকল অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থতির সৃষ্টি হয়েছে, সে সকল বিষয় সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি।  

দেশের আদালতগুলো যাতে বিচারপ্রার্থীদের নির্বিঘ্নে বিচারসেবা প্রদান করতে পারে সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট সামগ্রিক বিষয়াবলী নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং এই মর্মে আশ্বস্ত করছেন যে, সমস্ত প্রতিকুলতা ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির পরও দেশের আদালতগুলোতে বিচারসেবা প্রদান অব্যাহত রয়েছে। 

প্রধান বিচারপতি দেশের আদালতগুলোতে এরূপ পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি রোধ করতে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং দেশের সকল আদালত ও ট্রাইব্যুনালকে তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রেখে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে বিচারপ্রার্থী জনগণকে বিচারসেবা প্রদানের ধারা অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন।

চিফ জাস্টিস/এলিস/মেহেদী

চিন্ময় দাসের জামিন নামঞ্জুর

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৩:১১ পিএম
চিন্ময় দাসের জামিন নামঞ্জুর
আদালতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারী (ফাইল ফটো)

আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলাসহ মোট পাঁচটি মামলায় বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর জামিন না মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

মঙ্গলবার (৩ জুন) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (প্রথম) এর বিচারক আবু বকর সিদ্দিক এ আদেশ দেন। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী। 

তিনি জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা থেকে এসে আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য্য চিন্ময়ের পক্ষে পাঁচটি মামলায় জামিন আবেদন করেন। পরে আদালত রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে জামিন না মঞ্জুর করেন। মামলাগুলো হলো, কোতোয়ালি থানার মামলা নং, ৪২(১১)২৪, ৪৩(১১) ২৪, ৪৪(১১)২৪, ৪৬(১১)২৪ ও ৪৭(১১) ২৪। 

২০২৪ সালের ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাশকে। পরে ২৬ নভেম্বর তাকে কোতোয়ালী থানার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আদালতে হাজির করা হলে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালতে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত। পরবর্তীতে চিন্ময় দাশের অনুসারীরা তাকে বহনকারী প্রিজনভ্যান আটকে আদালত এলাকায় বিক্ষোভ করেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এর এক পর্যায়ে রঙ্গম কনভেনশন হলের সামনে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

২৬ নভেম্বরের এই ঘটনায় আলিফ হত্যা, ভাঙচুর, বিস্ফোরক দ্রব্য, সরকারি কাজে বাধা, বেআইনি সংঘবদ্ধ হয়ে আইনশৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটানোর অপরাধে কোতোয়ালি থানায় মোট পাঁচটি মামলা হয়। ওই মামলাগুলোতে পরবর্তীতে তদন্তে প্রাপ্ত আসামি হিসেবে চিন্ময় কৃষ্ণ দাশকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বর্তমানে মোট ছয়টি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তিনি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।

অমিয়/

অতিরিক্ত ডিআইজি রফিকুল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০২:১০ পিএম
অতিরিক্ত ডিআইজি রফিকুল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা
অতিরিক্ত ডিআইজি রফিকুল ইসলাম

প্রায় আড়াই কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ রফিকুল ইসলাম শিমুল ও তার স্ত্রী ফারহানা রহমানের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৯ লাখ ২৭ হাজার ৯৩১ টাকার এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৩৯ লাখ ২ হাজার ২২৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। 

সোমবার ( ২ জুন) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ মামলা দুটি দায়ের করা হয়। দুদকের মুখপাত্র ও মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এজাহারে বলা হয়, রফিকুল ইসলামের নিজের নামে মোট ৩ কোটি ৭৫ লাখ ৮৭ হাজার ৮৪৪ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে গ্রহণযোগ্য আয়ে ১ কোটি ৬৬ লাখ ৫৯ হাজার ৯১৩ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য রয়েছে। ফলে তিনি সরকারি চাকরি করে ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে ২ কোটি ৯ লাখ ২৭ হাজার ৯৩১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। 

ফারহানার বিরুদ্ধে করা এজাহারে বলা হয়, তিনি স্বামীর ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ-দুর্নীতি ও প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ৩৯ লাখ ২ হাজার ২২৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। ফারহানার নিজ নামে ১ কোটি ৫৬ লাখ ১৩ হাজার ১৮১ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে গ্রহণযোগ্য আয়ে ১ কোটি ১৭ লাখ ‌১০ হাজার ৯৫৬ টাকার সম্পদের মালিকানা পাওয়া গেছে। এ মামলায় তার স্বামী শেখ রফিকুল ইসলাম শিমুলকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে। 

তারা উভয়েই তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনের উৎস গোপন করতে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করেছেন, যা দুদকের তফসিলভুক্ত ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ও ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। 

আমিনুলকে বিসিবির পরিচালক করার বৈধতা নিয়ে করা রিট বাদ

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০১:৪১ পিএম
আমিনুলকে বিসিবির পরিচালক করার বৈধতা নিয়ে করা রিট বাদ
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলামকে বিসিবির পরিচালক মনোনীত করার বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছিলেন সদ্য সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ। তবে রিটটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (২ জুন) রিট আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটটি তালিকা থেকে বাদ দেন। গত রবিবার এই রিট দায়ের করেন ফারুক আহমেদ। 

গত ২৯ মে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক পদে ফারুকের মনোনয়ন বাতিল করে। পরদিন ৩০ মে এনএসসি আমিনুলকে বিসিবির পরিচালক মনোনীত করে। গত ২৯ ও ৩০ মে এই দুই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন ফারুক আহমেদ। 

আদালতে তার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস (কাজল)। এনএসসির পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আর বিসিবির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাহিন এম রহমান।

মাহিন এম রহমান জানান, রিটে ২৯ মে ও ৩০ মের সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়। 

অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর এনএসসি জালাল ইউনুস ও আহমেদ সাজ্জাদুল আলমের জায়গায় ফারুক আহমেদ ও নাজমূল আবেদীনকে বিসিবির পরিচালক হিসেবে মনোনয়ন দেয়। এরপর বোর্ড সভায় পরিচালকদের ভোটে ফারুক সভাপতি নির্বাচিত হন। 

একযোগে বদলি ২৬৪ বিচারক

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০১:৩২ পিএম
একযোগে বদলি ২৬৪ বিচারক
ছবি: সংগৃহীত

দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মরত ২৬৪ জন বিচারিক কর্মকর্তাকে একই দিনে বদলি করা হয়েছে।

তাদের মধ্যে ১২ জনকে পদোন্নতিসহ বদলি করা হয়েছে। বদলি হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৬২ জন সহকারী ও সিনিয়র সহকারী জজ রয়েছেন। এ ছাড়া ৩৮ জন অতিরিক্ত জেলা জজকে বদলি করা হয়েছে। জেলা জজ বদলি করা হয়েছে ৩০ জনকে। 

বদলি হওয়া অন্য কর্মকর্তারা বিভিন্ন পদে বিভিন্ন স্থানে কর্মরত আছেন। 

সোমবার (২ জুন) এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এতে লেখা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে জুডিশিয়াল সার্ভিসের বিচার বিভাগীয় এই কর্মকর্তাদের বর্তমান কর্মস্থল থেকে বদলি করে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের প্রত্যেকের নামের পাশে উল্লেখ করা পদে/কর্মস্থলে বদলি করা হলো।

শেখ হাসিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে গুমের অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ১২:২২ পিএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ১২:৩২ পিএম
শেখ হাসিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে গুমের অভিযোগ সালাহউদ্দিনের
ট্রাইব্যুনালে গুমের অভিযোগ জমা দিচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

শেখ হাসিনাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গুমের অভিযোগ জমা দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

মঙ্গলবার (৩ জুন) ট্রাইব্যুনালে এ অভিযোগ জমা দেন তিনি।

এর আগে গত ১৫ অক্টোবর তিনি গুমসংক্রান্ত কমিশনেও নিজের গুমের অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

গতকাল সোমবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ঐকমত্যের দ্বিতীয় দফার সভায় তিনি বলেছিলেন, ‘সবাই বলে আমি কেন মামলা করি না। আগামীকালই আমি আমার অভিযোগ দাখিল করব’।

অভিযোগ জমা দেওয়ার পর সালাহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন- গুম, খুনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হবে। তবে এখনো এ ব্যাপারে দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম দেখা না যাওয়ায় ক্ষোভ জানান তিনি।

এ সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ গুম-খুনে জড়িত সবার বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান বিএনপির এই নেতা।

গুমের ঘটনায় এখন পর্যন্ত যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের সাজা এবং যারা পালিয়ে গেছেন তাদের কমিশনকে খুঁজে বের করার অনুরোধও জানান তিনি।

সালাহউদ্দিন বলেন, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল হাসান-সহ যারা গুমের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। এই সরকারের দায়িত্ব সবাইকে আইনের আওতায় আনা। সেইসঙ্গে দেশ থেকে গুম-খুনের সংস্কৃতি চিরদিনের জন্য বন্ধ করতে হবে।

নিজের গুম হওয়া প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমি আগেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আজকে গুম কমিশনে এসেছি। ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাত সাড়ে ৯টার দিকে উত্তরার একটি বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে সশস্ত্র ব্যক্তিরা আমাকে তুলে নিয়ে যায়। তার ৬১ দিনের মাথায় আরেকটি দেশে প্রচার করে তারা। এ সময়ের মধ্যে আমাকে যে রুমে রেখেছিল, সেই রুমের বর্ণনাসহ নানা বিষয় আমি গুম কমিশনের কাছে বলেছি।’

২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে সালাহউদ্দিন নিখোঁজ হন। এর প্রায় দুই মাস পর ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তার সন্ধান পায়। সালাহউদ্দিনকে আটক করার পর বৈধ নথিপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে দেশটির ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ি মামলা করে মেঘালয় পুলিশ। সেই মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ে ২০১৮ সালে সালাহউদ্দিন খালাস পান। ভারত সরকার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে তাকে সেখানেই থাকতে হয়।

অমিয়/