ঢাকা ৯ মাঘ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫

পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল আবেদনের রায় ১৭ ডিসেম্বর

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪৯ এএম
আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৫ পিএম
পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল আবেদনের রায় ১৭ ডিসেম্বর

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল চেয়ে রিটে করা রুলের ওপর শুনানি শেষে আগামী ১৭ ডিসেম্বর রায়ের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন। 

এ সংক্রান্ত পৃথক রিটের ওপর গতকাল দ্বাদশ দিনে শুনানি শেষ হয়।

রিটের রুল শুনানিতে সুশাসনের জন্য নাগরিক- সুজনের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ড. শরিফ ভূঁইয়া। 

বিএনপির পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল। 

জামায়াতের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। ইনসানিয়াত বিপ্লব দলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুর রউফ ও ইশরাত হাসান। 

এছাড়া রুল শুনানিতে পক্ষভুক্ত হওয়া সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন আইনজীবীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জুনায়েদ আহমেদ চৌধুরী।

অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দায়ের করা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন চ্যালেঞ্জ করে গত ১৮ আগস্ট সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি রিট পিটিশন দায়ের করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত ১৯ আগস্ট রুল দেন। রুলে পঞ্চদশ সংশোধনী আইন কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চাওয়া হয়।

ওই রুলে ইন্টারভেনার (আদালতকে সহায়তা করতে) হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), গণফোরাম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, সংস্থা, ব্যক্তিসহ বেশ কয়েকজন যুক্ত হন।

শুনানিতে রিট আবেদনকারী, বিএনপি, রাষ্ট্রপক্ষ, জামায়াত, গণফোরাম, ব্যক্তি ও সংস্থার পক্ষে তাদের আইনজীবীরা শুনানিতে স্ব স্ব বক্তব্য তুলে ধরেন।

গত অক্টোবরে পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ১৭টি ধারার বৈধতা নিয়ে নওগাঁর রানীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন একটি রিট আবেদন করেন। এই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ২৯ অক্টোবর হাইকোর্টের একই বেঞ্চ রুল দেন। রুলে আইনের ওই ধারাগুলো কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চাওয়া হয়। এই রুলের ওপরও শুনানি হয়।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ-সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপের পাশাপাশি জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়। 

অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকে রাষ্ট্রদ্রোহ অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে দোষী করে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধানও যুক্ত করা হয়। আগে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনে নির্বাচন করার বিধান থাকলেও ওই সংশোধনীতে পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বিষয়টি সংযোজন করা হয়।

নাইমুর/অমিয়/

বিদ্যুতায়িত হয়ে শিশুর অঙ্গহানি, ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৯ পিএম
আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:০০ পিএম
বিদ্যুতায়িত হয়ে শিশুর অঙ্গহানি, ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ
ছবি: সংগৃহীত

বিদ্যুতায়িত হয়ে ডান হাত ও ডান পা হারানো সাতক্ষীরার শিশু রাকিবুজ্জামানকে ১০ লাখ টাকা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। শিশুটির চিকিৎসায় জরুরি আর্থিক সহায়তা হিসেবে ৩০ দিনের মধ্যে আপাতত এই টাকা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শকের প্রতি এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (২২ জানুয়ারি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রুল শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

বিদ্যুতায়িত হয়ে শিশুটির অঙ্গহানির ঘটনায় ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশনা চেয়ে এই রিট করেন শিশুটির বাবা। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৮ নভেম্বর হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। আদেশে শিশুটির কী কী চিকিৎসার প্রয়োজন এবং এর সম্ভাব্য ব্যয় জানিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালকের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই নির্দেশ অনুসারে ইনস্টিটিউটের পরিচালক সেই বছর ৯ ডিসেম্বর প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে সর্বমোট খরচ ধরা হয় ২ কোটি ৬৩ লাখ ৬৯ হাজার ১৮২ টাকা।

ওই রিটের ধারাবাহিকতায় শিশুটির চিকিৎসায় জরুরি আর্থিক সহায়তা হিসেবে ১০ লাখ টাকা দিতে নির্দেশনা চেয়ে গত ৫ জানুয়ারি সম্পূরক আবেদন করেন শিশুটির বাবা। তার ওই আবেদনের পক্ষে আদালতে ছিলেন আইনজীবী মুহম্মদ তারিক-উল ইসলাম ও ফরিদ হাসান মেহেদী। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজ বিন ইউসুফ, শফিকুর রহমান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।

আদালত থেকে বের হওয়ার পর তারিক-উল ইসলাম এসব তথ্য জানান। 

আইনজীবীরা জানান, ২০২১ সালের ৯ মে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানার প্রতাপনগরের মো. আবদুর রাজ্জাকের বসতবাড়ির ওপর দিয়ে নকশাবহির্ভূত বিদ্যুতের লাইনে বিদ্যুতায়িত হয় শিশু রাকিবুজ্জামান। ওই ঘটনায় শিশুটির হাড়-মাংস ঝলসে যায়। ওই বছরের ১২ মে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির সম্পূর্ণ ডান হাত এবং ডান পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ কেটে ফেলা হয়। ওই ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে ২০২১ সালের ২৫ মে শিশুটির বাবা সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে ক্ষতিপূরণ ও যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আবেদন করেন। এতে প্রতিকার না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। 

যৌথ বাহিনী পরিচয়ে ডাকাতি, গ্রেপ্তার তিনজন রিমান্ডে

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫২ পিএম
আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৫ পিএম
যৌথ বাহিনী পরিচয়ে ডাকাতি, গ্রেপ্তার তিনজন রিমান্ডে
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

যৌথ বাহিনীর পরিচয়ে রাজধানীর গুলশানে ব্যবসায়ীর বাসা থেকে ডাকাতির অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার তিনজনকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। 

আসামিরা হলেন ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম সবুজ (৪২), পটুয়াখালী সদরের টেংরাখালী বন্দরপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদের হাওলাদারের ছেলে মো. খোকন হাওলাদার সিদ্দিক (৪২) ও লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা থানার দক্ষিণ জাওরানী গ্রামের মো. জহুরুল ইসলামের ছেলে মো. সঙ্গীন মিয়া (১৯)।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন রেজা ওই আদেশ দেন। এর আগে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। 

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত ১১ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার সময় গুলশান থানাধীন ২৯ নম্বর রোডে খাদ্যদ্রব্য আমদানিকারক ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিনের বাসায় অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জন লোক তিনটি গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করে। নিজেদের যৌথ বাহিনীর সদস্য হিসেবে পরিচয় দেয়। একজন নিজেকে ডিজিএফআই কর্মকর্তা মেজর মামুন পরিচয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। একপর্যায়ে ডাকাতরা ব্যবসায়ীর কয়েকটি ফ্ল্যাট তল্লাশি করে ১১২ ভরি স্বর্ণ, মূল্যবান তিনটি রোলেক্স ঘড়ি, তিনটি দামি সানগ্লাসসহ সর্বমোট ২ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায়।

ঘটনার সাত দিন পর গত ১৮ জানুয়ারি ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা করেন। উল্লেখ্য, এ মামলা নিতে গড়িমসি করায় গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদ আহমেদকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া পরিদর্শক (তদন্ত) আরাফাতুল হক খানকে গত ১৯ জানুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কেন্দ্রীয় রিজার্ভ অফিসে ক্লোজড করা হয়েছে।

নাফিজ সরাফাতের দুবাইয়ের ফ্ল্যাট-ভিলা জব্দের আদেশ

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৫ পিএম
আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৫ পিএম
নাফিজ সরাফাতের দুবাইয়ের ফ্ল্যাট-ভিলা জব্দের আদেশ
চৌধুরী নাফিজ সরাফাত

পদ্মা ব্যাংকের (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক) সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের দুবাইয়ে থাকা একটি ফ্ল্যাট ও একটি ভিলা জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

বুধবার (২২ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মীর আহমেদ আলী সালাম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘নাফিজ সরাফাতের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে। তার বিরুদ্ধে ব্যাংক দখল ও শেয়ারবাজার থেকে ৮০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। দুদকের উপপরিচালক ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল অভিযোগের অনুসন্ধান করছে।’

গত ৭ জানুয়ারি নাফিজ সরাফাত, তার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শহিদ ও তার ছেলে চৌধুরী রাহিব সাফওয়ান সরাফাতের নামে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় থাকা ১৮টি ফ্ল্যাটসহ প্লট ও জমি ক্রোকের আদেশ দেওয়া হয়। গত বছরের ৭ অক্টোবর নাফিজ সরাফাতের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

গত বছরের ২৫ আগস্ট বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) নাফিজ সরাফাত, তার স্ত্রী ও সন্তানদের ব্যক্তিগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করতে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে নির্দেশনা পাঠায়। 

দুদকের পক্ষে আদালতকে জানানো হয়েছে, পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত অর্থ পাচার করে দুবাইয়ে সম্পদ কিনেছেন। তিনি দুবাইয়ে তিন বেডের (শয়নকক্ষ) একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। পাঁচ বেডের একটি ভিলাও রয়েছে তার। 

দুদকের পক্ষ থেকে আদালতকে আরও জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া কোনো বাংলাদেশি নাগরিকের বিদেশে অর্থ পাঠানোর সুযোগ নেই। কিন্তু চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন না নিয়ে অর্থ পাচার করেছেন। তার আয়কর বিবরণীতেও দুবাইয়ে থাকা সম্পদের তথ্য উল্লেখ করা হয়নি।

শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বার্তা প্রচার করলে আইনি ব্যবস্থা: চিফ প্রসিকিউটর

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫৪ পিএম
শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বার্তা প্রচার করলে আইনি ব্যবস্থা: চিফ প্রসিকিউটর
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হেট স্পিচ বা বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই কেউ তা প্রচার করলে প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানান ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গনে গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তিনি (হাসিনা) বিদেশের মাটিতে বসে নানাধরনের বক্তব্যের মাধ্যমে এই সরকার ও ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়া এবং মামলার সাক্ষীদের ব্যাপারে উসকানিমূলক বক্তব্য রেখে চলেছেন, যা এই মামলার তদন্তকে প্রভাবিত করতে পারে। এ আচরণের মাধ্যমে তিনি এই বিচার প্রক্রিয়াকে বানচাল করার একটি অপচেষ্টা করছেন বলে আমরা দেখতে পাচ্ছি।’

আদালত এ বিষয়ে অবগত আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আইনের নিষেধাজ্ঞা তো আছেই। তবুও কেউ তা প্রচার করলে যদি তা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে তাহলে ঘটনাগুলো আমলে নিয়ে আমরা প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিবো।’

পাশাপাশি, হাসিনার যে সব ঘৃণাসূচক ও বিদ্বেষমূলক বার্তা বিচার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে, সেগুলোকে প্রচারের ব্যাপারে গণমাধ্যমকে সতর্ক করে তিনি জানান, আমাদের সবার লক্ষ্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। এ সব হুমকি দেওয়ার কারণে সাক্ষী ভয় পেতে পারেন বা সাক্ষ্য দেওয়ার আগ্রহ হারাতে পারেন, যা সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়ার জন্য মোটেও কাম্য নয়।’

জুলাই-আগস্ট গণহত্যার শিকার ও আহত ব্যক্তিদের মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখতে ও ন্যায় বিচার পাবার প্রক্রিয়াকে সুরক্ষিত রাখার জন্য এ সময় তিনি গণমাধ্যম ও দেশের জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন।

উল্লেখ্য, বিগত ৫ ডিসেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পাশাপাশি, যেসব বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ইতোমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে সেসব সরিয়ে নেয়ার জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশনা দেয় ট্রাইব্যুনাল। সূত্র: বাসস

এমএ/

শাহীন চাকলাদারের ৪ বছরের কারাদণ্ড, সম্পদ বাজেয়াপ্ত

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৪৭ পিএম
আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫০ পিএম
শাহীন চাকলাদারের ৪ বছরের কারাদণ্ড, সম্পদ বাজেয়াপ্ত
শাহীন চাকলাদার

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে দুদকের মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৩৮ লাখ ৩ হাজার ৬৮৫ টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেওয়া হয়।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে যশোর স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এস এম নূরুল ইসলাম এ রায় দেন।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সিরাজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৩০ মার্চ দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে মামলা করেন। অভিযোগ ছিল, তিনি ৩৮ লাখ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন। দুদকের তদন্তে প্রমাণিত হয় যে, তার ট্যাক্স ফাইলে দেখানো সম্পদের পরিমাণ ও দাখিল করা বিবরণীর মধ্যে অসামঞ্জস্য রয়েছে।

শাহীন চাকলাদার তার সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ করেছিলেন, তার মোট সম্পদ ১ কোটি ৯৬ লাখ ২১ হাজার ৪০০ টাকা। যার মধ্যে ১ কোটি ১ লাখ ৯১ হাজার ৫১৫ টাকা দেনা। কিন্তু দুদকের তদন্তে উঠে আসে, তার প্রকৃত সম্পদের পরিমাণ ৫৬ লাখ ২৬ হাজার ২০০ টাকা। এর বাইরে ৩৮ লাখ ৩ হাজার ৬৮৫ টাকার সম্পদ গোপন করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি তদন্ত শেষে দুদক তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়।

রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী আব্দুল কাদির।

তুহিন/সালমান/