ঢাকা ৯ মাঘ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫

কয়েকজন বিচারপতির অনিয়ম খতিয়ে দেখা হচ্ছে: সুপ্রিম কোর্ট

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৫ পিএম
আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৭ পিএম
কয়েকজন বিচারপতির অনিয়ম খতিয়ে দেখা হচ্ছে: সুপ্রিম কোর্ট
সুপ্রিম কোর্ট। ছবি: সংগৃহীত

সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে বর্তমানে বেশ কয়েকজন বিচারপতির আচরণের বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান চলছে বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।

এর আগে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল তদন্ত করেছে। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, বিচারপতির ব্যাপারে এই অনুসন্ধানকাজে এরই মধ্যে যথেষ্ট অগ্রগতিও হয়েছে।

১৯৭২ সালে প্রণীত মূল সংবিধানে উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কাছে ছিল। ১৯৭৫ সালের ২৪ জানুয়ারি সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এ ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে অর্পণ করা হয়। পরে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা দেওয়া হয় সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছে। ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ষোড়শ সংশোধনীতে সেটা বাতিল করে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয় সংসদকে। বিলটি পাসের পর একই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।

সংবিধানের এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের ৯ আইনজীবী হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। রুল শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ৫ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ। রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পাওয়ার পর ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি এ বিষয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ৩ জুলাই হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে সর্বসম্মতিক্রমে চূড়ান্ত রায়টি দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ। পরে একই বছরের ১ আগস্ট ৭৯৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশিত হয়। এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। গত ২০ অক্টোবর সেই রিভিউ আবেদন পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে সুপ্রিম কোর্ট জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করা হয়।

বিদ্যুতায়িত হয়ে শিশুর অঙ্গহানি, ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৯ পিএম
আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:০০ পিএম
বিদ্যুতায়িত হয়ে শিশুর অঙ্গহানি, ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ
ছবি: সংগৃহীত

বিদ্যুতায়িত হয়ে ডান হাত ও ডান পা হারানো সাতক্ষীরার শিশু রাকিবুজ্জামানকে ১০ লাখ টাকা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। শিশুটির চিকিৎসায় জরুরি আর্থিক সহায়তা হিসেবে ৩০ দিনের মধ্যে আপাতত এই টাকা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শকের প্রতি এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (২২ জানুয়ারি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রুল শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

বিদ্যুতায়িত হয়ে শিশুটির অঙ্গহানির ঘটনায় ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশনা চেয়ে এই রিট করেন শিশুটির বাবা। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৮ নভেম্বর হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। আদেশে শিশুটির কী কী চিকিৎসার প্রয়োজন এবং এর সম্ভাব্য ব্যয় জানিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালকের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই নির্দেশ অনুসারে ইনস্টিটিউটের পরিচালক সেই বছর ৯ ডিসেম্বর প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে সর্বমোট খরচ ধরা হয় ২ কোটি ৬৩ লাখ ৬৯ হাজার ১৮২ টাকা।

ওই রিটের ধারাবাহিকতায় শিশুটির চিকিৎসায় জরুরি আর্থিক সহায়তা হিসেবে ১০ লাখ টাকা দিতে নির্দেশনা চেয়ে গত ৫ জানুয়ারি সম্পূরক আবেদন করেন শিশুটির বাবা। তার ওই আবেদনের পক্ষে আদালতে ছিলেন আইনজীবী মুহম্মদ তারিক-উল ইসলাম ও ফরিদ হাসান মেহেদী। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজ বিন ইউসুফ, শফিকুর রহমান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।

আদালত থেকে বের হওয়ার পর তারিক-উল ইসলাম এসব তথ্য জানান। 

আইনজীবীরা জানান, ২০২১ সালের ৯ মে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানার প্রতাপনগরের মো. আবদুর রাজ্জাকের বসতবাড়ির ওপর দিয়ে নকশাবহির্ভূত বিদ্যুতের লাইনে বিদ্যুতায়িত হয় শিশু রাকিবুজ্জামান। ওই ঘটনায় শিশুটির হাড়-মাংস ঝলসে যায়। ওই বছরের ১২ মে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির সম্পূর্ণ ডান হাত এবং ডান পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ কেটে ফেলা হয়। ওই ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে ২০২১ সালের ২৫ মে শিশুটির বাবা সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে ক্ষতিপূরণ ও যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আবেদন করেন। এতে প্রতিকার না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। 

যৌথ বাহিনী পরিচয়ে ডাকাতি, গ্রেপ্তার তিনজন রিমান্ডে

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫২ পিএম
আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৫ পিএম
যৌথ বাহিনী পরিচয়ে ডাকাতি, গ্রেপ্তার তিনজন রিমান্ডে
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

যৌথ বাহিনীর পরিচয়ে রাজধানীর গুলশানে ব্যবসায়ীর বাসা থেকে ডাকাতির অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার তিনজনকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। 

আসামিরা হলেন ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম সবুজ (৪২), পটুয়াখালী সদরের টেংরাখালী বন্দরপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদের হাওলাদারের ছেলে মো. খোকন হাওলাদার সিদ্দিক (৪২) ও লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা থানার দক্ষিণ জাওরানী গ্রামের মো. জহুরুল ইসলামের ছেলে মো. সঙ্গীন মিয়া (১৯)।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন রেজা ওই আদেশ দেন। এর আগে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। 

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত ১১ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার সময় গুলশান থানাধীন ২৯ নম্বর রোডে খাদ্যদ্রব্য আমদানিকারক ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিনের বাসায় অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জন লোক তিনটি গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করে। নিজেদের যৌথ বাহিনীর সদস্য হিসেবে পরিচয় দেয়। একজন নিজেকে ডিজিএফআই কর্মকর্তা মেজর মামুন পরিচয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। একপর্যায়ে ডাকাতরা ব্যবসায়ীর কয়েকটি ফ্ল্যাট তল্লাশি করে ১১২ ভরি স্বর্ণ, মূল্যবান তিনটি রোলেক্স ঘড়ি, তিনটি দামি সানগ্লাসসহ সর্বমোট ২ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায়।

ঘটনার সাত দিন পর গত ১৮ জানুয়ারি ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা করেন। উল্লেখ্য, এ মামলা নিতে গড়িমসি করায় গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদ আহমেদকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া পরিদর্শক (তদন্ত) আরাফাতুল হক খানকে গত ১৯ জানুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কেন্দ্রীয় রিজার্ভ অফিসে ক্লোজড করা হয়েছে।

নাফিজ সরাফাতের দুবাইয়ের ফ্ল্যাট-ভিলা জব্দের আদেশ

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৫ পিএম
আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৫ পিএম
নাফিজ সরাফাতের দুবাইয়ের ফ্ল্যাট-ভিলা জব্দের আদেশ
চৌধুরী নাফিজ সরাফাত

পদ্মা ব্যাংকের (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক) সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের দুবাইয়ে থাকা একটি ফ্ল্যাট ও একটি ভিলা জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

বুধবার (২২ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মীর আহমেদ আলী সালাম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘নাফিজ সরাফাতের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে। তার বিরুদ্ধে ব্যাংক দখল ও শেয়ারবাজার থেকে ৮০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। দুদকের উপপরিচালক ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল অভিযোগের অনুসন্ধান করছে।’

গত ৭ জানুয়ারি নাফিজ সরাফাত, তার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শহিদ ও তার ছেলে চৌধুরী রাহিব সাফওয়ান সরাফাতের নামে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় থাকা ১৮টি ফ্ল্যাটসহ প্লট ও জমি ক্রোকের আদেশ দেওয়া হয়। গত বছরের ৭ অক্টোবর নাফিজ সরাফাতের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

গত বছরের ২৫ আগস্ট বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) নাফিজ সরাফাত, তার স্ত্রী ও সন্তানদের ব্যক্তিগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করতে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে নির্দেশনা পাঠায়। 

দুদকের পক্ষে আদালতকে জানানো হয়েছে, পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত অর্থ পাচার করে দুবাইয়ে সম্পদ কিনেছেন। তিনি দুবাইয়ে তিন বেডের (শয়নকক্ষ) একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। পাঁচ বেডের একটি ভিলাও রয়েছে তার। 

দুদকের পক্ষ থেকে আদালতকে আরও জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া কোনো বাংলাদেশি নাগরিকের বিদেশে অর্থ পাঠানোর সুযোগ নেই। কিন্তু চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন না নিয়ে অর্থ পাচার করেছেন। তার আয়কর বিবরণীতেও দুবাইয়ে থাকা সম্পদের তথ্য উল্লেখ করা হয়নি।

শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বার্তা প্রচার করলে আইনি ব্যবস্থা: চিফ প্রসিকিউটর

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫৪ পিএম
শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বার্তা প্রচার করলে আইনি ব্যবস্থা: চিফ প্রসিকিউটর
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হেট স্পিচ বা বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই কেউ তা প্রচার করলে প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানান ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গনে গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তিনি (হাসিনা) বিদেশের মাটিতে বসে নানাধরনের বক্তব্যের মাধ্যমে এই সরকার ও ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়া এবং মামলার সাক্ষীদের ব্যাপারে উসকানিমূলক বক্তব্য রেখে চলেছেন, যা এই মামলার তদন্তকে প্রভাবিত করতে পারে। এ আচরণের মাধ্যমে তিনি এই বিচার প্রক্রিয়াকে বানচাল করার একটি অপচেষ্টা করছেন বলে আমরা দেখতে পাচ্ছি।’

আদালত এ বিষয়ে অবগত আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আইনের নিষেধাজ্ঞা তো আছেই। তবুও কেউ তা প্রচার করলে যদি তা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে তাহলে ঘটনাগুলো আমলে নিয়ে আমরা প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিবো।’

পাশাপাশি, হাসিনার যে সব ঘৃণাসূচক ও বিদ্বেষমূলক বার্তা বিচার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে, সেগুলোকে প্রচারের ব্যাপারে গণমাধ্যমকে সতর্ক করে তিনি জানান, আমাদের সবার লক্ষ্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। এ সব হুমকি দেওয়ার কারণে সাক্ষী ভয় পেতে পারেন বা সাক্ষ্য দেওয়ার আগ্রহ হারাতে পারেন, যা সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়ার জন্য মোটেও কাম্য নয়।’

জুলাই-আগস্ট গণহত্যার শিকার ও আহত ব্যক্তিদের মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখতে ও ন্যায় বিচার পাবার প্রক্রিয়াকে সুরক্ষিত রাখার জন্য এ সময় তিনি গণমাধ্যম ও দেশের জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন।

উল্লেখ্য, বিগত ৫ ডিসেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পাশাপাশি, যেসব বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ইতোমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে সেসব সরিয়ে নেয়ার জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশনা দেয় ট্রাইব্যুনাল। সূত্র: বাসস

এমএ/

শাহীন চাকলাদারের ৪ বছরের কারাদণ্ড, সম্পদ বাজেয়াপ্ত

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৪৭ পিএম
আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫০ পিএম
শাহীন চাকলাদারের ৪ বছরের কারাদণ্ড, সম্পদ বাজেয়াপ্ত
শাহীন চাকলাদার

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে দুদকের মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৩৮ লাখ ৩ হাজার ৬৮৫ টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেওয়া হয়।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে যশোর স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এস এম নূরুল ইসলাম এ রায় দেন।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সিরাজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৩০ মার্চ দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে মামলা করেন। অভিযোগ ছিল, তিনি ৩৮ লাখ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন। দুদকের তদন্তে প্রমাণিত হয় যে, তার ট্যাক্স ফাইলে দেখানো সম্পদের পরিমাণ ও দাখিল করা বিবরণীর মধ্যে অসামঞ্জস্য রয়েছে।

শাহীন চাকলাদার তার সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ করেছিলেন, তার মোট সম্পদ ১ কোটি ৯৬ লাখ ২১ হাজার ৪০০ টাকা। যার মধ্যে ১ কোটি ১ লাখ ৯১ হাজার ৫১৫ টাকা দেনা। কিন্তু দুদকের তদন্তে উঠে আসে, তার প্রকৃত সম্পদের পরিমাণ ৫৬ লাখ ২৬ হাজার ২০০ টাকা। এর বাইরে ৩৮ লাখ ৩ হাজার ৬৮৫ টাকার সম্পদ গোপন করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি তদন্ত শেষে দুদক তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়।

রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী আব্দুল কাদির।

তুহিন/সালমান/