অর্থপাচার মামলায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে বিচারিক আদালতের ৭ বছরের দেওয়া কারাদণ্ডের রায় বাতিল করে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আাইনজীবী ওমর সাদাত ও সাব্বির হামজা। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।
অর্থপাচারের অভিযোগে গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করে দুদক।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিটিএল ও গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালের চেয়ারম্যান এম শাহজাদ আলী নেদারল্যান্ডের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশের প্রতিনিধি ছিলেন।
প্রতিষ্ঠানটি রেলওয়ের সিগন্যালিং আধুনিকীকরণের টেন্ডার পেলেও ২০০৩ সালে কার্যাদেশ চূড়ান্ত করার সময় গিয়াস উদ্দিন ওই কাজের বিপরীতে তার কাছে অবৈধ কমিশন দাবি করেন। অন্যথায় কার্যাদেশ বাতিল করার হুমকি দেন তিনি।
পরে শাহজাদ আলী ২০০৪ সালে ৬ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকা মামুনের লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকের হিসাবে জমা করেন।
এই মামলায় ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন। এ ছাড়া তাকে ১২ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
রায়টিতে লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকের হিসাবে থাকা অর্থ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।
পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন গিয়াস। সেই আপিলের শুনানি শেষে আজ (বৃহস্পতিবার) রায় দেন হাইকোর্ট।
এর আগে ২০০৭ সালের ৩০ জানুয়ারি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন গিয়াস। চলতি বছরের ৬ আগস্ট তিনি কারামুক্ত হন।
এলিস/নাইমুর/পপি/