চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি চন্দন দাস আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওসমান গণি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জবানবন্দি শেষে চন্দন দাসকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে ভৈরব বাজার রেলওয়ে স্টেশন থেকে চন্দন দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়। চন্দন দাস বান্ডেল রোডের সেবক কলোনির মেথরপট্টি এলাকার মৃত ধারীর ছেলে।
গত ২৬ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুরের পর কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। এ সময় তার অনুসারীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এদিন বিকেলে রঙ্গম কমিউনিটি হলসংলগ্ন এলাকায় অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
গত ২৯ নভেম্বর আলিফ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন আলিফের বাবা জামাল উদ্দীন। গত ২ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত ৯ আসামিকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়েছিলেন।