ঢাকা ৩০ পৌষ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫

পলক-শাহ কামাল রিমান্ডে নতুন মামলায় গ্রেপ্তার কামরুলসহ ৬ জন

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৩ এএম
নতুন মামলায় গ্রেপ্তার কামরুলসহ ৬ জন
জুনাইদ আহমেদ পলক ও শাহ কামাল

বিভিন্ন মামলায় আদালত কারাবন্দি দুই সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ও কামরুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক আইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ বিভাগের সাবেক উপকমিশনার মশিউর রহমান এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুজ্জামান কিরণকে পৃথক মামলায় গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকেন্দ্রিক বিভিন্ন মামলায় আদালত এসব আদেশ দেন।

এদিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর চানখাঁরপুলে গুলিতে ছাত্রদল নেতা মানিক মিয়া নিহতের ঘটনায় করা মামলায় আদালত আওয়ামী লীগ আমলের সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। অন্যদিকে বিএনপির মহাসমাবেশে যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় সাবেক সচিব শাহ কামালকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ গতকাল সোমবার এসব আদেশ দেন। 

এর মধ্যে রাজধানীর মতিঝিল থানার এক মামলায় রাশেদ খান মেননকে, রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানার দুই মামলায় কামরুল ইসলামকে, চকবাজার থানার মামলায় চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও মশিউর রহমানকে এবং উত্তরা পশ্চিম থানার মামলায় আসাদুজ্জামান কিরণকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন আদালত।

এদিকে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রাজধানীর চানখাঁরপুলে গুলিতে ছাত্রদল নেতা মানিক মিয়া নিহতের ঘটনায় করা মামলায় আদালত এই নির্দেশ দেন। আর বিএনপির মহাসমাবেশে যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় সাবেক সচিব শাহ কামালকে আদালত দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এসব আদেশ দেন আদালত।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, মুন্সীগঞ্জের ছাত্রদল নেতা মানিক মিয়া গত ৫ আগস্ট ঢাকার চানখাঁরপুলে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকেন্দ্রিক ওই ঘটনায় রাজু আহমেদ (৩০) নামে একজন বাদী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৭৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এই মামলার ২ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি পলক।

আরেক মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপি কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী রাজধানীতে মহাসমাবেশ ডাকে। ওই মহাসমাবেশকে পণ্ড করার জন্য একই দিনে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ ডাকে। বিএনপি নেতা-কর্মীদের হত্যা ও গুম করার উদ্দেশ্যে পুলিশের সহায়তায় বিএনপির ঢাকার মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়। এতে বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী আহত হন। ওই ঘটনায় যুবদল নেতা শামীম মারা যান। এ ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর একটি মামলা করা হয়।

এদিকে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ‘গান বাংলার’ ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৌশিক হোসেন তাপসকে এক মামলায় গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মারধর করে প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা দখলের অভিযোগে করা মামলায় আদালত এই আদেশ দেন। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালত এই নির্দেশ দেন।

সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫৬ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫৬ পিএম
সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর গ্রেপ্তার
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সীতাংশু কুমার সুর চৌধুরী ওরফে এস কে সুরকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সংস্থাটির এনফোর্সমেন্ট টিম রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম।

এর আগে দুদকের উপ-পরিচালক নাজমুল হুসাইন এস কে সুরকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন। কিন্তু আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী জামিন আবেদন করেননি। পরে শুনানি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আবেদনে বলা হয়, আসামির বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের বহির্ভূত সম্পদ বা সম্পত্তির মালিক হওয়ার অভিযোগে তার নিজের ও তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের স্বনামে বা বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী দাখিল করার জন্য সম্পদ বিবরণী জারি করা হয়।

গত বছরের ২৭ অক্টোবর নিজ স্বাক্ষরে সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশসহ সম্পদ বিবরণী ফরম গ্রহণ করেন তিনি। কিন্তু আদেশ প্রাপ্তির ২১ কার্যদিবসের মধ্যে অর্থাৎ গত ২৫ নভেম্বরের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধে মামলা করা হয়। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।

আলোচিত পি কে হালদারের আর্থিক কেলেঙ্কারিতে নাম আসায় ২০২২ সালে এস কে সুরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। ওই বছরের মার্চে তাকে দুদকে তলব করা হয়।

এস কে সুর চৌধুরী ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ডেপুটি গভর্নরের পদ থেকে অবসরে যান।

অভিযোগ আছে, এস কে সুর ডেপুটি গভর্নর থাকাকালে আলোচিত এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় সহযোগিতা করেছেন এবং সুবিধা নিয়েছেন।

নাবিল/এমএ/

মডেল তিন্নি হত্যা মামলায় খালাস পেলেন অভি

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪৭ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:০৮ পিএম
মডেল তিন্নি হত্যা মামলায় খালাস পেলেন অভি
সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি - গোলাম ফারুক অভি

নব্বই দশকের আলোচিত মডেল ও অভিনেত্রী সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোছা. শাহীনুর আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন।

২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে কেরানীগঞ্জের বুড়িগঙ্গা নদীর ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ১১ নম্বর পিলারের পাশে তিন্নির লাশ পড়েছিল। তিন্নি হত্যা মামলায় একমাত্র আসামি বরিশাল-২ আসনে জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভি।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, মরদেহ পাওয়ার পরদিন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন কেরানীগঞ্জ থানার তৎকালীন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. সফি উদ্দিন।

এ মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কাইয়ুম আলী সরদার। এরপর নিহত তিন্নির মরদেহের ছবি পত্রিকায় ছাপা হলে তা শনাক্ত করেন তার এক আত্মীয়। পরে মামলাটি চাঞ্চল্যকর মামলা হিসেবে ২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর সিআইডিতে ন্যস্ত হয়।

তিন্নি হত্যা মামলার ৪১ সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। এছাড়া এই মামলায় ২২টি আলামত জব্দ করা হয়।

তদন্তে প্রাথমিকভাবে জাতীয় পার্টির সাবেক সাংসদ গোলাম ফারুক অভি অভিযুক্ত হলেও বিদেশে থাকায় পুলিশ তাকে ধরতে পারেনি। অভির অনুপস্থিতিতেই ২০১০ সালের ১৪ জুলাই ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তিন্নি হত্যা ও মরদেহ গুম সংক্রান্ত মামলায় অভির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

আলোচিত এ হত্যা মামলায় রায় ঘোষণার জন্য ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর দিন ঠিক ছিল। তবে সেদিন মামলার গুরুত্বপূর্ণ দুই সাক্ষী তিন্নির বাবা ও চাচা সাক্ষ্য দিতে চাইলে আদালত রায় ঘোষণা না করে আবারও সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য করেন।

অমিয়/

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর খালাস

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৪৭ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:১৬ পিএম
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর খালাস
লুৎফুজ্জামান বাবর। ছবি : সংগৃহীত

বহুল আলোচিত দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা থেকেও খালাস পেয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। একইসঙ্গে অন্য আসামিদেরও খালাস দেওয়া হয়েছে। এর ফলে বাবরের মুক্তিতে আর বাধা রইলো না।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে বাবরের পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির খালাস চেয়ে এ আবেদন করেন। 

রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসিফ ইমরান জিসান।

অন্য পাঁচ আসামির পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান।

এর আগে বহুল আলোচিত এ মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর গত ৬ নভেম্বর শুনানি শুরু হয়। ১৮ ডিসেম্বর বহুল আলোচিত চট্টগ্রামে দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনায় করা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, মহসিন তালুকদার, এনামুল হক, রাজ্জাকুল হায়দারসহ ছয় আসামিকে খালাস দেন হাইকোর্ট।

রাষ্ট্রপক্ষ প্রয়োজনীয় নথি উপস্থাপনে পর যুক্তি উপস্থাপন করেন। এরপর আসামিপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট আজ রায় দিয়েছেন।

দশ ট্রাক অস্ত্র আটক সংক্রান্ত দুটি মামলার মধ্যে চোরাচালান মামলায় (বিশেষ ক্ষমতা আইনে) সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়াসহ ১৪ আসামিকে ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেন চট্টগ্রামের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক এসএম মজিবুর রহমানের আদালত।

অস্ত্র আইনে অন্য মামলাটিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছিল একই আসামিদের। এ ছাড়া অস্ত্র আটক মামলার অপর ধারায় সাত বছর কারাদণ্ড দেন বিচারক। দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ৫ লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়।

অমিয়/

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার আপিলের রায় বুধবার

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৫১ এএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৪০ পিএম
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার আপিলের রায় বুধবার
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তাকে ১০ বছরের সাজা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন তিনি। ওই আপিলের রায় ঘোষণার জন্য আগামীকাল বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দিন ধার্য করেছেন আদালত। 

আপিলের ওপর শুনানি আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এই আদেশ দেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ রায়ের দিন ধার্য করে এই আদেশ দেন।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন-আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরুদ্দোজা বাদল, রুহুল কুদ্দুস কাজল, কায়সার কামাল ও গাজী কামরুল ইসলাম সজল প্রমূখ। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হোসাইন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারিক আদালত। সেইসঙ্গে এ মামলার অন্য পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। সেইসঙ্গে এই মামলায় খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ মামলার অপর আসামি সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক এমপি ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি ছয় আসামির প্রত্যেককে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।

এরপর বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া, কাজী সালিমুল হক কামাল এবং ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ। ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর  হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন। পরে হাইকোর্টের রায়ে বিরুদ্ধে আপিল করেন তারা। বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে যা আগামীকাল রায়ের জন্য রেখেছেন সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগ। 

মাহমুদুল আলম/মেহেদী

বেনজীর ও তার মেয়ের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:০৭ পিএম
বেনজীর ও তার মেয়ের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ
বেনজীর আহমেদ

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তার বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীরের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।

বেনজীর ও তার বড় মেয়ের বিরুদ্ধে করা দুই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাম। তিনি বেনজীর ও তার মেয়ের আয়কর নথি জব্দ চেয়ে আদালতে দুটি আবেদন করেন। 

আজ আদালতে ওই সব আবেদনের ওপর শুনানি করেন দুদকের প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। 

গত ৮ জানুয়ারি একই আদালত বেনজীরের স্ত্রী জিশান মির্জা ও ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দেন। 

এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী-সন্তানদের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করে দুদক। 

মামলার নথিতে বলা হয়, বেনজীর ৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ২ কোটি ৬২ লাখ টাকা সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। বেনজীরের স্ত্রী ৩১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ১৬ কোটি ১ লাখ টাকার তথ্য গোপন করেছেন। মেয়ে ফারহিন ৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকার ও তাহসিন ৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।