ঢাকা ৩ ফাল্গুন ১৪৩১, রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩ ফাল্গুন ১৪৩১

সিসিকের সাবেক মেয়রের ওপর হামলা মামলার আসামিরা খালাস

প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৮ পিএম
আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২৩ পিএম
সিসিকের সাবেক মেয়রের ওপর হামলা মামলার আসামিরা খালাস
ছবি: সংগৃহীত

সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বদর উদ্দিন আহমেদ কামরানের ওপর বোমা হামলার অভিযোগের মামলায় সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। এতে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের প্রায় ৭০ জন নেতাকর্মী আসামি ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. আব্দুল মোমেন এই রায় দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আসামিপক্ষের আইনজীবী মির্জা মো. ইয়াকুত হোসেন বলেন, ‘বোমা হামলার মামলাটি ষড়যন্ত্রমূলক ও পরিকল্পিত ছিল। আমরা সেটি আদালতে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। ফলে এ মিথ্যা মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন সব আসামি।’

খালাসপ্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন- সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ মো. লোকমান ও চৌধুরী মো. সুহেল, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মির্জা মো. সম্রাট হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আফছর খান, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এমদাদুল হক স্বপন, সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ফারুক মিয়া, সিলেট জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি সিহাব খান, ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল করিম সাচ্ছু, মহানগর যুবদলের সহসাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাফিজ রানা ও ৯নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মানিক মিয়া।

২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার প্রতিবাদে সিলেট নগরীর পাঠানটুলা এলাকায় মিছিল বের করেন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এই মিছিল থেকে সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমেদ কামরানের ওপর বোমা হামলা হয়েছে অভিযোগ করে সেসময় তিনি এ মামলাটি করেছিলেন।

শাকিলা ববি/সুমন/এমএ/

মোবাইল কোর্টের দণ্ড প্রদানের ক্ষমতা সংশোধনের সুপারিশ

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:২২ পিএম
মোবাইল কোর্টের দণ্ড প্রদানের ক্ষমতা সংশোধনের সুপারিশ
ছবি: সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করা বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে মোবাইল কোর্টের দণ্ড প্রদানের ক্ষমতা সংশোধনের সুপারিশ করা হয়েছে।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) কমিশনের ওয়েবসাইট এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংস্কার প্রস্তাবের সারসংক্ষেপ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। মোট ২৮ দফা প্রস্তাবের ২০ নম্বরে রয়েছে মোবাইল কোর্ট সংক্রান্ত অংশটি।

প্রতিবেদনে মোবাইল কোর্ট আপিল বিভাগের বিচারাধীন মামলার সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে মোবাইল কোর্টের দণ্ড প্রদানের ক্ষমতা সংশোধন করে শুধুমাত্র জরিমানা প্রদানের বিধান করা এবং বিভিন্ন আইনে বর্ণিত ক্ষেত্রে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটগণ কর্তৃক মোবাইল কোর্ট পরিচালনার বিধান রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করেন বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান।

সূত্র: বাসস

সিফাত/

শিবলী রুবাইয়াতের স্ত্রীসহ ১১ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৩৩ পিএম
শিবলী রুবাইয়াতের স্ত্রীসহ ১১ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
বিএসইসি’র সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলামের স্ত্রী শেনীন রুবাইয়াতসহ ১১ জনকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন। ১১ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক মো. মাসুদুর রহমান। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মো. রুহুল ইসলাম খান।

দুদকের আবেদনে বলা হয়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া প্রয়োজন।

নিষেধাজ্ঞা দেওয়া অন্যরা হলেন শিবলী রুবাইয়াতের ছেলে জুহায়ের শারার ইসলাম ও জাবের শাহদান ইসলাম, শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, মো. মাহবুবুল আলম, মো. সাইফুর রহমান, মোহাম্মদ রেজাউল করিম, শেখ মাহবুব উর রহমান, মোহাম্মদ মাহমুদুল হক, এস কে মো. লুৎফুল কবির ও মোহা. রশীদুল আলম।

উল্লেখ্য, গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ধানমন্ডি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত ২০২০ সালের ১৭ মে প্রথম দফায় বিএসইসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান। চার বছর দায়িত্ব পালনের পর পুনর্নিয়োগ পেয়ে গত বছরের ১৬ মে তিনি আবার বিএসইসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ১০ আগস্ট বিএসইসির চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ বিভাগে ফিরে যান।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগ সূত্রে জানা যায়, শিবলী রুবাইয়াত সশরীর না গিয়ে এক ব্যক্তিকে পাঠিয়ে বিভাগে যোগদানপত্র জমা দেন। তবে তিনি ক্লাস নেন না।

শিবলী রুবাইয়াতের বিরুদ্ধে পুঁজিবাজারে অনিয়ম-দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। শেয়ারের দাম বাড়াতে তিনি কারসাজিকারকদের নানাভাবে সহায়তা করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া তার প্রশ্রয়ে পুঁজিবাজারের একটি চক্র গড়ে ওঠে। এই চক্র পুঁজিবাজার থেকে অর্থ লোপাটে নানাভাবে তার কাছ থেকে সুযোগ-সুবিধা পেত বলেও অভিযোগ উঠেছে।

এসব অভিযোগের পাশাপাশি বিনিয়োগ আকর্ষণের নামে বিদেশে রোড শো করার কারণে শিবলী রুবাইয়াত ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছিলেন।

সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারকের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির কাছে অভিযোগ

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৭ পিএম
সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারকের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির কাছে অভিযোগ
সাইবার ট্রাইব্যুনাল

ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরে আলমকে প্রত্যাহার ও তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে প্রধান বিচারপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ঢাকা আইনজীবী সমিতি। 

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) আইনজীবীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করার অভিযোগে এ অভিযোগ দেওয়া হয়। এতে স্বাক্ষর করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। 

অভিযোগের অনুলিপি সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, সুপ্রিম কোর্টের অ্যাটর্নি জেনারেল, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার, মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে। 

এর আগে গত মঙ্গলবার ওই ট্রাইব্যুনাল বর্জনের ডাক দেন আইনজীবীরা। টানা দুই দিন ট্রাইব্যুনাল বর্জনের পর গতকাল তারা এ অভিযোগ দেন। 

অ্যাডহক কমিটির সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক মাহবুব হাসান রানা জানান, আইনজীবী সমিতির সংশ্লিষ্ট বাহক (পিয়ন) মারফত অভিযোগটি প্রধান বিচারপতির কার্যালয়ে পৌঁছানো হয়েছে। 

ঢাকা আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। 

ঢাকা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ঘটনার সূত্রপাত হয় গত ৬ ফেব্রুয়ারি। সেদিন আদালত এক আসামির জামিন নামঞ্জুর করেন। শুনানির সময় বিচারকের আচরণে রুষ্ট হয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ ঘটনায় বিচারক তাৎক্ষণিক এজলাস ত্যাগ করেন। এর জেরে ৯ ফেব্রুয়ারি আইনজীবীরা বিচারকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন। ফলে ওই দিন আর বিচারকাজ হয়নি। তার পরের দিন নিরাপত্তার স্বার্থে আদালত প্রাঙ্গণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সেদিন বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে বিচারক এজলাসে বসেন। সে সময় কয়েকজন আইনজীবী নিয়মিত মামলার শুনানি করেন। এরই মাঝে ঢাকা আইনজীবী সমিতির বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বিচারকাজ পরিচালনায় বাধা দেন। বিচারককে উদ্দেশ করে তারা বলেন, ‘আপনি কি পুলিশ দিয়ে কোর্ট চালাবেন? আপনার প্রতি অনাস্থা জানিয়েছি।’ হট্টগোলের একপর্যায়ে দুপুর ১২টার দিকে এজলাস থেকে নেমে যান বিচারক। এরপর থেকে ট্রাইব্যুনালের বিচার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। 

সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম আরও জানান, ওই ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে যাওয়া আইনজীবীদের বেশির ভাগই বিচারকের অসৌজন্যমূলক আচরণে অসন্তুষ্ট। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত মঙ্গলবার অ্যাডহক কমিটি এক জরুরি সভা করে। তাতে সর্বসম্মতিক্রমে ওই আদালত অনির্দিষ্টকালের জন্য বর্জনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

দীপু মনির অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ, সস্ত্রীক সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৫ পিএম
দীপু মনির অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ, সস্ত্রীক সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
ডা. দীপু মনি ও নুরুজ্জামান আহমেদ

সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করা হয়েছে। অন্যদিকে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ও তার স্ত্রী হোসনে আরা বেগমের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব ওই আদেশ দেন। 

দীপু মনির ১৬টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বর্তমানে ২ কোটি ৩৯ লাখ ৫ হাজার ৫০২ টাকা রয়েছে। অ্যাকাউন্টগুলোতে জমা ৩১ কোটি ৯ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার মধ্যে ২৮ কোটি ৭০ লাখ ৫৫ হাজার ১১৫ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান অ্যাকাউন্টগুলো অবরুদ্ধ করার আবেদন করেন।

দীপু মনি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলে তিনি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

গত বছরের ১৯ আগস্ট রাতে রাজধানীর বারিধারা থেকে গ্রেপ্তার হন দীপু মনি। তার বিরুদ্ধে কয়েকটি হত্যা মামলা রয়েছে। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।

এদিকে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আবেদন করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক জাকির হোসেন। গত ৩ ফেব্রুয়ারি নুরুজ্জামান আহমেদ, তার স্ত্রী হোসনে আরা বেগম ও ছেলে রাকিবুজ্জামানের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করে দুদক।

খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতি মামলার রায় ১৯ ফেব্রুয়ারি

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৫৭ পিএম
খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতি মামলার রায় ১৯ ফেব্রুয়ারি
খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া নাইকো দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি। 

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক রবিউল আলম রায় ঘোষণার এই দিন ধার্য করেন। 

এর আগে আদালতে আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানি ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। প্রধান আসামি খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে থাকায় মনোনীত আইনজীবী তার পক্ষে আদালতে হাজিরা দেন। 

জামিনে থাকা উপস্থিত চার আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রসিকিউশন আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করে। অন্যদিকে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি মর্মে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আসামিদের বেকসুর খালাস চান তাদের আইনজীবীরা।  

গত ৫ ফেব্রুয়ারি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। অভিযোগপত্রে ৬৮ জনের মধ্যে ৩৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। 

নাইকো দুর্নীতি মামলায় ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। ২০২৩ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠন করেন আদালত। কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর মামলাটি করে দুদক।