ঢাকা ২৬ মাঘ ১৪৩১, রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৬ মাঘ ১৪৩১

মডেল তিন্নি হত্যা মামলায় খালাস পেলেন অভি

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪৭ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:০৮ পিএম
মডেল তিন্নি হত্যা মামলায় খালাস পেলেন অভি
সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি - গোলাম ফারুক অভি

নব্বই দশকের আলোচিত মডেল ও অভিনেত্রী সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোছা. শাহীনুর আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন।

২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে কেরানীগঞ্জের বুড়িগঙ্গা নদীর ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ১১ নম্বর পিলারের পাশে তিন্নির লাশ পড়েছিল। তিন্নি হত্যা মামলায় একমাত্র আসামি বরিশাল-২ আসনে জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভি।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, মরদেহ পাওয়ার পরদিন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন কেরানীগঞ্জ থানার তৎকালীন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. সফি উদ্দিন।

এ মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কাইয়ুম আলী সরদার। এরপর নিহত তিন্নির মরদেহের ছবি পত্রিকায় ছাপা হলে তা শনাক্ত করেন তার এক আত্মীয়। পরে মামলাটি চাঞ্চল্যকর মামলা হিসেবে ২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর সিআইডিতে ন্যস্ত হয়।

তিন্নি হত্যা মামলার ৪১ সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। এছাড়া এই মামলায় ২২টি আলামত জব্দ করা হয়।

তদন্তে প্রাথমিকভাবে জাতীয় পার্টির সাবেক সাংসদ গোলাম ফারুক অভি অভিযুক্ত হলেও বিদেশে থাকায় পুলিশ তাকে ধরতে পারেনি। অভির অনুপস্থিতিতেই ২০১০ সালের ১৪ জুলাই ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তিন্নি হত্যা ও মরদেহ গুম সংক্রান্ত মামলায় অভির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

আলোচিত এ হত্যা মামলায় রায় ঘোষণার জন্য ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর দিন ঠিক ছিল। তবে সেদিন মামলার গুরুত্বপূর্ণ দুই সাক্ষী তিন্নির বাবা ও চাচা সাক্ষ্য দিতে চাইলে আদালত রায় ঘোষণা না করে আবারও সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য করেন।

অমিয়/

আওয়ামী প্যানেলের ১৪৪ আইনজীবীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৪৯ পিএম
আওয়ামী প্যানেলের ১৪৪ আইনজীবীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

ঢাকা আইনজীবী সমিতির বিভিন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত সাদা প্যানেলের ১৪৪ জন আইনজীবীকে আসামি করে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়েছে।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে হামলা, ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে গত বৃহস্পতিবার এই মামলা করা হয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এবং আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক কাজী নজিবুল্লাহ হিরু এই মামলার আসামি। মামলায় আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

বিএনপিপন্থি আইনজীবী হিসেবে আদালত অঙ্গনে পরিচিত মোহাম্মদ আলী বাবু বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে এ মামলার আবেদন করেন তিনি। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে কোতোয়ালি থানার পুলিশকে এজাহার হিসেবে তা গ্রহণ করতে নির্দেশ দেন।

মামলার অন্য আসামির মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সৈয়দ রেজাউর রহমান, প্রেসিডিয়াম সদস্য কামরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগরের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আবু সাঈদ সাগর, সমিতির সাবেক তথ্য ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সৈয়দা ফরিদা ইয়াসমিন (জেসি), সমিতির সাবেক সদস্য শেখ হেমায়েত হোসেন, মোখলেসুর রহমান বাদল, সাইদুর রহমান মানিক, গাজী শাহ আলম, আব্দুল বাতেন, আসাদুজ্জামান খান রচি, সানজিদা খানম, মাহবুবুর রহমান, আব্দুর রহমান হাওলাদার, মিজানুর রহমান মামুন, আনোয়ার সাহাদাৎ শাওন, ফিরোজুর রহমান মন্টু, গোলাম কিবরিয়া জোবায়ের, মো. নুর হোসেন, তাছলিমা ইয়াসমিন দিপা, নজরুল ইসলাম শামীম, ওমর ফারুক আসিফ প্রমুখ।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ৪ আগস্ট দুপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে আসামিরা ঢাকা আইনজীবী সমিতির সামনে থেকে অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। তারা বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। ভুক্তভোগী আইনজীবী মামলার শুনানি শেষ করে এ সময় ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে আসেন। তখন আসামি আনোয়ার শাহাদাৎ শাওন হেলমেট পরে হত্যার উদ্দেশে তার দিকে পিস্তল তাক করেন। 

খালেদা জিয়ার ৮ মামলা বাতিলের রায় প্রকাশ

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:২৬ পিএম
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম
খালেদা জিয়ার ৮ মামলা বাতিলের রায় প্রকাশ

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা আটটি মামলার কার্যক্রম বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে।

সম্প্রতি পৃথকভাবে এসব রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

আট মামলার মধ্যে বাস পোড়ানোর অভিযোগে দারুস সালাম থানায় ২০১৫ সালের ২৯ জানুয়ারি, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০ ফেব্রুয়ারি, ১ মার্চ, ৩ মার্চ এবং যাত্রাবাড়ী থানায় ২৪ জানুয়ারি, ২৩ জানুয়ারি ও ২৪ জানুয়ারি এসব মামলা করা হয়।

এর আগে গত বছরের অক্টোবরে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল মঞ্জুর করে রায় দিয়েছিলেন।

পরে এসব মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এ অবস্থায় ২০১৭ সালে পৃথকভাবে মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। 

তখন হাইকোর্ট রুল জারি করে মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত বছরের অক্টোবরে রুল মঞ্জুর করে রায় দেন হাইকোর্ট।  

রায়ের পর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আদালত ওইসব মামলায় রুল অ্যাসলিউট করেছেন। এর অর্থ হলো, মামলাগুলো বাতিল হয়ে গেল। এই মামলাগুলো আর থাকল না। অর্থাৎ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে করা এসব মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।’

অমিয়/

সাবেক মন্ত্রী জাহিদ মালেক ও তার ছেলের ২৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩১ পিএম
সাবেক মন্ত্রী জাহিদ মালেক ও তার ছেলের ২৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক

সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকের ১৬টি ও তার ছেলে রাহার মালেকের ১২টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

দুদকের পক্ষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. ফজলুল হক পৃথক দুই আবেদনে তাদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।

আবেদনে বলা হয়, আসামিদের নামে ব্যাংক হিসাবসমূহে বিপুল পরিমাণ আর্থিক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। বিভিন্ন সূত্র হতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, আসামিরা হিসাবসমূহে রক্ষিত অর্থ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। মামলার তদন্ত সমাপ্তির পূর্বে ব্যাংকহিসাবগুলোতে রক্ষিত অর্থ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে তদন্তে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এমন অবস্থায় তার ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ হওয়া একান্ত আবশ্যক। বাসস

অমিয়/

শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে হামলা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ জনসহ ৪৭ আসামি খালাস

প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৩ পিএম
আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৩ পিএম
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ জনসহ ৪৭ আসামি খালাস
ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত ৯ আসামিকে খালাস দিয়েছে হাইকোর্ট

পাবনার ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ জনসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। সাজাপ্রাপ্ত ৪৭ আসামির সবাই বিএনপির নেতা-কর্মী। 

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে তাদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি নিয়ে বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলাম ও বিচারপতি হামিদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। 

আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন কায়সার কামাল এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান। এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি আসামিদের ডেথ রেফারেন্স আপিলের ওপর শুনানি শেষে রায়ের জন্য হাইকোর্ট বেঞ্চ ৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।

এদিকে মামলার রায় ঘোষণার পরপরই ঈশ্বরদীতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা আনন্দ-উল্লাস করেন। সাধারণ মানুষের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেন নেতা-কর্মীরা। শহরে, পাড়া-মহল্লায় খণ্ড খণ্ড আনন্দ মিছিল বের করা হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে, এ জন্য শহরের রেলগেট ট্রাফিক মোড় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। 

ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত ৯ আসামি ছিলেন পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক এ কে এম আক্তারুজ্জামান, ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক পৌর মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মকলেছুর রহমান বাবলু, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু, বিএনপি নেতা মাহাবুবুর রহমান পলাশ, সাবেক কমিশনার শামসুল আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের উপজেলা কমিটির সাবেক সভাপতি আজিজুর রহমান শাহীন, ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি রেজাউল করিম শাহীন, পৌর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোস্তফা নুরে আলম শ্যামল ও বিএনপি নেতা শহিদুল হক অটল। 

মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা উত্তরাঞ্চলে দলীয় কর্মসূচিতে ট্রেনবহর নিয়ে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। ট্রেনটি ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে প্রবেশের সময় হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানায় একটি মামলা হয়। 

মামলার পর পুলিশ কোনো সাক্ষী না পেয়ে আদালতে চূড়ান্ত অভিযোগপত্র জমা দেয়। এরপর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মামলাটির পুনঃতদন্ত হয়। ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল পুলিশ ঈশ্বরদীর ৪৭ জন বিএনপি নেতা-কর্মীর নামে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। 

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আদালতে জমা দেওয়া অভিযোগপত্র বিএনপির নেতা-কর্মীরা প্রত্যাখ্যান করে মামলা প্রত্যাহারের চেষ্টা করেন। কিন্তু আলোচিত রাজনৈতিক এই মামলাটির রায় ঘোষণা করা হয় ২০১৯ সালের ৩ জুলাই। পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের তৎকালীন বিচারক মো. রুস্তম আলী রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১৩ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

আওয়ামী লীগ সরকারের ষড়যন্ত্রে তৎকালীন আদালতের ফরমায়েশী রায় উল্লেখ করে মামলাটি প্রত্যাহার ও আসামিদের মুক্তির দাবি করে আসছিলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। 

বাংলায় রায় দিলেন হাইকোর্ট

প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:০৬ এএম
বাংলায় রায় দিলেন হাইকোর্ট
হাইকোর্ট

মহান ভাষা আন্দোলনের মাস ফেব্রুয়ারিতে এক মামলায় বাংলায় রায় দিয়েছেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব-উল ইসলাম ও বিচারপতি মো. হামিদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

বিরোধীদলীয় নেতা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় এই রায় দেন হাইকোর্ট। পাবনার ঈশ্বরদীতে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে গুলি ও বোমা হামলার অভিযোগে করা মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন), আপিল ও জেল আপিলের ওপর বাংলায় এই রায় দেন আদালত। রায়ের পর্যবেক্ষণ ও সিদ্ধান্ত অংশটুকু আদালত বাংলায় ঘোষণা করেন।

বেঞ্চের নেতৃত্ব দেওয়া বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব-উল ইসলাম রায় ঘোষণার আগে বলেন, ‘মামলার বিষয়বস্তু বিস্তৃত। চুম্বক পয়েন্ট ও সংক্ষিপ্ত আদেশ ঘোষণা করা হবে। ফেব্রুয়ারি মাস মহান ভাষা আন্দোলনের মাস। ঐতিহাসিক এ ঘটনা ১৯৫২ সালের। রায়টা বাংলায় দেওয়া হচ্ছে।’ 

এরপর রায়ের পর্যবেক্ষণসহ সিদ্ধান্ত অংশটুকু ঘোষণা করা হয়। রায়ে হাইকোর্ট বলেন, মামলাটি বিদ্বেষপূর্ণ, রায়ে পক্ষপাতিত্ব করেছে বিচারিক আদালত।

প্রসঙ্গত, এখন ওয়েবসাইটে সুপ্রিম কোর্টের সব রায় বাংলায় দেখার সুযোগ আছে। ইংরেজি ভাষায় দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের সব রায়-আদেশ বাংলা ভাষায় দেখাতে প্রযুক্তিসেবা সংযোজন করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ইংরেজিতে দেওয়া রায় বা আদেশ গুগল ট্রান্সলেটের মাধ্যমে বাংলায় অনুবাদ হয়। জনসাধারণের বিচার-প্রক্রিয়ায় সহজ অভিগম্যতা নিশ্চিতকরণের অভিপ্রায়ে বাংলায় অনূদিত রায় দেখার ব্যবস্থা রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

আইনজীবীরা জানান, এ প্রযুক্তির সংযোজন ও উদ্বোধন বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে এক সময়োপযোগী নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এ প্রযুক্তিসেবা উদ্বোধনের পর সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন জানায়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ইংরেজি ভাষায় দেওয়া সব রায়-আদেশ গুগলের প্রযুক্তির সহায়তায় আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী বা যেকোনো ব্যক্তি নিজে নিজেই বাংলায় অনুবাদ করে দেখতে পারবেন। এ জনমুখী প্রযুক্তি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে এমনভাবে সংযুক্ত করা হয়েছে, যার মাধ্যমে যেকোনো ব্যক্তি ইংরেজি ভাষায় দেওয়া যেকোনো রায় বা আদেশ, তা যত বড়ই হোক না কেন, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে তা বাংলায় অনুবাদ করে দেখতে পারছেন।