ঢাকা ২ ফাল্গুন ১৪৩১, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি রবিবার

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:১০ পিএম
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি রবিবার
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। ছবি: সংগৃহীত

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের বিরুদ্ধে রিভিউয়ের (পুনর্বিবেচনা) শুনানি রবিবার (১৯ জানুয়ারি) নির্ধারণ করা হয়ছে।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, আপিল বিভাগের রবিবারের শুনানির কার্যতালিকায় এই রিভিউ ১৩ নম্বরে রয়েছে। 

গত বছরের এক ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই রিভিউটি ১৯ জানুয়ারি শুনানির জন্য ধার্য করেন।

আদালতে সেদিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, শরীফ ভূঁইয়া ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে ১৬ অক্টোবর রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

এর আগে এ বিষয়ে রিভিউ করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। এ ছাড়া বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার রিভিউ আবেদন করেন। এসব  রিভিউ আবেদন একসঙ্গে শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০১১ সালের ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনে করা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে তা বাতিল করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে সংশোধনী এনে ২০১১ সালের ৩০ জুন সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী আইন পাস হয়। 

গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তিসংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। সূত্র: বাসস

সুমন/

শিবলী রুবাইয়াতের স্ত্রীসহ ১১ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৩৩ পিএম
শিবলী রুবাইয়াতের স্ত্রীসহ ১১ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
বিএসইসি’র সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলামের স্ত্রী শেনীন রুবাইয়াতসহ ১১ জনকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন। ১১ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক মো. মাসুদুর রহমান। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মো. রুহুল ইসলাম খান।

দুদকের আবেদনে বলা হয়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া প্রয়োজন।

নিষেধাজ্ঞা দেওয়া অন্যরা হলেন শিবলী রুবাইয়াতের ছেলে জুহায়ের শারার ইসলাম ও জাবের শাহদান ইসলাম, শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, মো. মাহবুবুল আলম, মো. সাইফুর রহমান, মোহাম্মদ রেজাউল করিম, শেখ মাহবুব উর রহমান, মোহাম্মদ মাহমুদুল হক, এস কে মো. লুৎফুল কবির ও মোহা. রশীদুল আলম।

উল্লেখ্য, গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ধানমন্ডি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত ২০২০ সালের ১৭ মে প্রথম দফায় বিএসইসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান। চার বছর দায়িত্ব পালনের পর পুনর্নিয়োগ পেয়ে গত বছরের ১৬ মে তিনি আবার বিএসইসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ১০ আগস্ট বিএসইসির চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ বিভাগে ফিরে যান।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগ সূত্রে জানা যায়, শিবলী রুবাইয়াত সশরীর না গিয়ে এক ব্যক্তিকে পাঠিয়ে বিভাগে যোগদানপত্র জমা দেন। তবে তিনি ক্লাস নেন না।

শিবলী রুবাইয়াতের বিরুদ্ধে পুঁজিবাজারে অনিয়ম-দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। শেয়ারের দাম বাড়াতে তিনি কারসাজিকারকদের নানাভাবে সহায়তা করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া তার প্রশ্রয়ে পুঁজিবাজারের একটি চক্র গড়ে ওঠে। এই চক্র পুঁজিবাজার থেকে অর্থ লোপাটে নানাভাবে তার কাছ থেকে সুযোগ-সুবিধা পেত বলেও অভিযোগ উঠেছে।

এসব অভিযোগের পাশাপাশি বিনিয়োগ আকর্ষণের নামে বিদেশে রোড শো করার কারণে শিবলী রুবাইয়াত ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছিলেন।

সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারকের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির কাছে অভিযোগ

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৭ পিএম
সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারকের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির কাছে অভিযোগ
সাইবার ট্রাইব্যুনাল

ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরে আলমকে প্রত্যাহার ও তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে প্রধান বিচারপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ঢাকা আইনজীবী সমিতি। 

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) আইনজীবীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করার অভিযোগে এ অভিযোগ দেওয়া হয়। এতে স্বাক্ষর করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। 

অভিযোগের অনুলিপি সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, সুপ্রিম কোর্টের অ্যাটর্নি জেনারেল, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার, মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে। 

এর আগে গত মঙ্গলবার ওই ট্রাইব্যুনাল বর্জনের ডাক দেন আইনজীবীরা। টানা দুই দিন ট্রাইব্যুনাল বর্জনের পর গতকাল তারা এ অভিযোগ দেন। 

অ্যাডহক কমিটির সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক মাহবুব হাসান রানা জানান, আইনজীবী সমিতির সংশ্লিষ্ট বাহক (পিয়ন) মারফত অভিযোগটি প্রধান বিচারপতির কার্যালয়ে পৌঁছানো হয়েছে। 

ঢাকা আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। 

ঢাকা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ঘটনার সূত্রপাত হয় গত ৬ ফেব্রুয়ারি। সেদিন আদালত এক আসামির জামিন নামঞ্জুর করেন। শুনানির সময় বিচারকের আচরণে রুষ্ট হয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ ঘটনায় বিচারক তাৎক্ষণিক এজলাস ত্যাগ করেন। এর জেরে ৯ ফেব্রুয়ারি আইনজীবীরা বিচারকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন। ফলে ওই দিন আর বিচারকাজ হয়নি। তার পরের দিন নিরাপত্তার স্বার্থে আদালত প্রাঙ্গণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সেদিন বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে বিচারক এজলাসে বসেন। সে সময় কয়েকজন আইনজীবী নিয়মিত মামলার শুনানি করেন। এরই মাঝে ঢাকা আইনজীবী সমিতির বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বিচারকাজ পরিচালনায় বাধা দেন। বিচারককে উদ্দেশ করে তারা বলেন, ‘আপনি কি পুলিশ দিয়ে কোর্ট চালাবেন? আপনার প্রতি অনাস্থা জানিয়েছি।’ হট্টগোলের একপর্যায়ে দুপুর ১২টার দিকে এজলাস থেকে নেমে যান বিচারক। এরপর থেকে ট্রাইব্যুনালের বিচার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। 

সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম আরও জানান, ওই ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে যাওয়া আইনজীবীদের বেশির ভাগই বিচারকের অসৌজন্যমূলক আচরণে অসন্তুষ্ট। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত মঙ্গলবার অ্যাডহক কমিটি এক জরুরি সভা করে। তাতে সর্বসম্মতিক্রমে ওই আদালত অনির্দিষ্টকালের জন্য বর্জনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

দীপু মনির অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ, সস্ত্রীক সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৫ পিএম
দীপু মনির অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ, সস্ত্রীক সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
ডা. দীপু মনি ও নুরুজ্জামান আহমেদ

সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করা হয়েছে। অন্যদিকে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ও তার স্ত্রী হোসনে আরা বেগমের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব ওই আদেশ দেন। 

দীপু মনির ১৬টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বর্তমানে ২ কোটি ৩৯ লাখ ৫ হাজার ৫০২ টাকা রয়েছে। অ্যাকাউন্টগুলোতে জমা ৩১ কোটি ৯ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার মধ্যে ২৮ কোটি ৭০ লাখ ৫৫ হাজার ১১৫ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান অ্যাকাউন্টগুলো অবরুদ্ধ করার আবেদন করেন।

দীপু মনি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলে তিনি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

গত বছরের ১৯ আগস্ট রাতে রাজধানীর বারিধারা থেকে গ্রেপ্তার হন দীপু মনি। তার বিরুদ্ধে কয়েকটি হত্যা মামলা রয়েছে। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।

এদিকে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আবেদন করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক জাকির হোসেন। গত ৩ ফেব্রুয়ারি নুরুজ্জামান আহমেদ, তার স্ত্রী হোসনে আরা বেগম ও ছেলে রাকিবুজ্জামানের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করে দুদক।

খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতি মামলার রায় ১৯ ফেব্রুয়ারি

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৫৭ পিএম
খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতি মামলার রায় ১৯ ফেব্রুয়ারি
খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া নাইকো দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি। 

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক রবিউল আলম রায় ঘোষণার এই দিন ধার্য করেন। 

এর আগে আদালতে আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানি ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। প্রধান আসামি খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে থাকায় মনোনীত আইনজীবী তার পক্ষে আদালতে হাজিরা দেন। 

জামিনে থাকা উপস্থিত চার আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রসিকিউশন আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করে। অন্যদিকে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি মর্মে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আসামিদের বেকসুর খালাস চান তাদের আইনজীবীরা।  

গত ৫ ফেব্রুয়ারি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। অভিযোগপত্রে ৬৮ জনের মধ্যে ৩৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। 

নাইকো দুর্নীতি মামলায় ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। ২০২৩ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠন করেন আদালত। কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর মামলাটি করে দুদক।

ছাত্রলীগের লিফলেট বিতরণকারী শিক্ষক মুকিবসহ রিমান্ডে ৫

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪৪ পিএম
ছাত্রলীগের লিফলেট বিতরণকারী শিক্ষক মুকিবসহ রিমান্ডে ৫
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের লিফলেট বিতরণের অভিযোগে করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় কলেজশিক্ষক মুকিব মিয়াসহ পাঁচজনকে তিন দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম এ আদেশ দেন। 

অন্যরা হলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য কপিল হালদার সজল, মতিঝিল থানা যুবলীগের সদস্য কে এম সাইফুল খান, ফতুল্লা থানা যুবলীগের সদস্য শেখ মোহাম্মদ হাফিজ ও নিষিদ্ধ সংগঠন হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আব্দুস সালাম লাভলু। 

এদিন রাজধানীর শাহবাগ থানার ওই মামলায় রিমান্ড শুনানি উপলক্ষে আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক কে এম রেজাউল করিম জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসামিদের ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। আসামিদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল করে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক। 

এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন আদালতে হাজির করা হলে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। 

এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগ দাবিতে আসামিরা লিফলেট বিতরণ করেন। মিছিল করে তাদের নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনের কার্যক্রমকে গতিশীল করা, সরকার তথা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, রাষ্ট্রের ক্ষতিসাধনের লক্ষ্যে অপপ্রচারের উদ্দেশ্যে জনগণের সম্মুখে কালো আইন বাতিল, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। তারা সংঘবদ্ধভাবে ছাত্রলীগের লিফলেট বিতরণ করেন। ওই ঘটনায় গত ২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলাটি করা হয়।