
যৌথ বাহিনীর পরিচয়ে রাজধানীর গুলশানে ব্যবসায়ীর বাসা থেকে ডাকাতির অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার তিনজনকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আসামিরা হলেন ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম সবুজ (৪২), পটুয়াখালী সদরের টেংরাখালী বন্দরপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদের হাওলাদারের ছেলে মো. খোকন হাওলাদার সিদ্দিক (৪২) ও লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা থানার দক্ষিণ জাওরানী গ্রামের মো. জহুরুল ইসলামের ছেলে মো. সঙ্গীন মিয়া (১৯)।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন রেজা ওই আদেশ দেন। এর আগে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত ১১ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার সময় গুলশান থানাধীন ২৯ নম্বর রোডে খাদ্যদ্রব্য আমদানিকারক ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিনের বাসায় অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জন লোক তিনটি গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করে। নিজেদের যৌথ বাহিনীর সদস্য হিসেবে পরিচয় দেয়। একজন নিজেকে ডিজিএফআই কর্মকর্তা মেজর মামুন পরিচয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। একপর্যায়ে ডাকাতরা ব্যবসায়ীর কয়েকটি ফ্ল্যাট তল্লাশি করে ১১২ ভরি স্বর্ণ, মূল্যবান তিনটি রোলেক্স ঘড়ি, তিনটি দামি সানগ্লাসসহ সর্বমোট ২ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায়।
ঘটনার সাত দিন পর গত ১৮ জানুয়ারি ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা করেন। উল্লেখ্য, এ মামলা নিতে গড়িমসি করায় গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদ আহমেদকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া পরিদর্শক (তদন্ত) আরাফাতুল হক খানকে গত ১৯ জানুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কেন্দ্রীয় রিজার্ভ অফিসে ক্লোজড করা হয়েছে।