ঢাকা ১৪ চৈত্র ১৪৩১, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫
English
শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৪ চৈত্র ১৪৩১

সাবেক আইজিপি মামুনসহ ৪ পুলিশ কর্মকর্তা রিমান্ডে

প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:২৫ পিএম
সাবেক আইজিপি মামুনসহ ৪ পুলিশ কর্মকর্তা রিমান্ডে
ফাইল ছবি

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যার অভিযোগে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় করা পৃথক দুটি মামলায় পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনসহ চারজন কর্মকর্তার রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অন্যরা হলেন ডিএমপির সাবেক সহকারী পুলিশ কমিশনার তানজিল আহমদ, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ও এসআই শাহাদাত।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াক শুনানি শেষে পৃথক মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুরের আদেশ দেন।

এর মধ্যে যাত্রাবাড়ী থানার সামনে পথচারী মো. মাসুদুর রহমান জনি হত্যা মামলায় সাবেক আইজিপি মামুনকে তিন দিন এবং একই থানা এলাকায় ছাত্র-জনতার মিছিলে ছোড়া গুলিতে পুলিশ কর্মকর্তার ছেলে ইমাম হাসান তাইম হত্যা মামলায় অপর তিনজনকে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। রিমান্ড শুনানি উপলক্ষে কারাগার থেকে ওই আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। পৃথক দুটি আবেদনে আসামিদের ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি চান তদন্ত কর্মকর্তারা। 

মামুনের পক্ষে তার আইনজীবী রিমান্ড নামঞ্জুর করে জামিন চান। শুনানিতে বলেন, তাকে এ পর্যন্ত ৭৫ দিন রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে উনি যা যা বলার সব বলেছেন। আর রিমান্ডের প্রয়োজন নেই। 

তবে অপর মামলার তিন আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। আসামি তানজিল আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের দুই মাস আগে আমার যাত্রাবাড়ীতে পোস্টিং হয়। আমি ট্রাফিক পুলিশের এসি ছিলাম। একজন ট্রাফিক পুলিশের কাজ কী তা সবারই জানা। আমি এ ঘটনার কিছুই জানি না।’

বগুড়ায় ৫ পুলিশসহ ছয়জন রিমান্ডে

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ১০:৪২ পিএম
বগুড়ায় ৫ পুলিশসহ ছয়জন রিমান্ডে
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

বগুড়ায় দুই ফ্রিল্যান্সারকে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় করা মামলায় রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) পাঁচ সদস্যসহ ছয়জনের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে যশোরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লোকমান হাকিমের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

আসামিরা হলেন আরএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক এসআই শাহীন মোহাম্মদ অনু ইসলাম, কনস্টেবল রিপন মিয়া, কনস্টেবল আবুল কালাম আজাদ, কনস্টেবল মাহবুব আলম ও কনস্টেবল বাশির আলী। অন্য আসামি হলেন মাইক্রোবাসের ড্রাইভার মেহেদী হাসান। 

এর আগে দুই ফ্রিল্যান্সারকে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় আরএমপির ছয় সদস্যসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ধুনট থানায় মামলা হয়। এরপর ছয় সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। 

রিমান্ডের বিষয়ে ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম জানান, এ মামলার অন্য আসামি ডিবির কনস্টেবল ওহাব আলীকে গত ২৫ মার্চ রাতে রাজশাহীর লক্ষ্মীপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। তবে ঈদের পর রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। 

মামলা সূত্র ও পুলিশ জানায়, ওহাব আলী বগুড়ার ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের দীঘলকান্দি গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে। ওই গ্রামের সেলিম শেখের ছেলে রাব্বি শেখ (১৯) ও মৃত শেরবান খাঁর ছেলে জাহাঙ্গীর খাঁ (২৪) ফ্রিল্যান্সার। ওহাব তাদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা করেন। এর ধারবাহিকতায় গত ২৩ মার্চ রাত সাড়ে ১১টার দিকে মাইক্রোবাসে এসআই শাহীন মোহাম্মদ অনু ইসলামের নেতৃত্বে কনস্টেবল ওহাব আলী, রিপন মিয়া, আবুল কালাম আজাদ, মাহবুব আলম, বাশির আলী এবং ড্রাইভার মেহেদী হাসান দীঘলকান্দি গ্রামে যান। তারা রাব্বী ও জাহাঙ্গীরকে বাড়ি থেকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। রাত ২টার দিকে তাদের পরিবারের কাছে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরে বিকাশের মাধ্যমে ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে তাদের বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে ভুক্তভোগীদের স্বজনরা বিষয়টি ধুনট থানা ও কুন্দারহাট হাইওয়ে থানাকে অবহিত করেন। এরপর কুন্দারহাট থানার ওসি মনোয়ারুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বীরগ্রাম বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মাইক্রোবাসটি থামায়। এ সময় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে ওহাব আলী সটকে পড়েন। এ ব্যাপারে রাব্বীর বাবা সেলিম সেখ সাতজনের বিরুদ্ধে ধুনট থানায় মামলা করেন। 

গৃহযুদ্ধের পরিকল্পনা ও সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৯ পিএম
আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৫, ১০:৪০ পিএম
শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

গৃহযুদ্ধের পরিকল্পনা ও বর্তমান সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়েছে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ নামে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মিটিংয়ে এই ষড়যন্ত্র হয়েছে। সেখানে শেখ হাসিনাকে ফের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা বুঝিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রমূলক আলোচনা বা সিদ্ধান্ত হয়।

সিআইডি সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রাতে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য জানিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, ‘গত ১৯ ডিসেম্বর অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মিটিংয়ে ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ গঠন করে একটি গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে পলাতক শেখ হাসিনাকে ফের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা বুঝিয়ে দেওয়া এবং তা নিশ্চিতকরণের জন্য শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত যুদ্ধ করে যাবেন বলে অনেকেই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। মোট ৫৭৭ জন অংশগ্রহণকারী দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ওই জুম মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় তারা শেখ হাসিনার সব নির্দেশ পালন করার ব্যাপারে একাগ্রচিত্তে মত প্রকাশ করেন।’

সিআইডির বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ড. রাব্বি আলমের ‘হোস্টিংয়ে’ (আয়োজক) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, হোস্ট, কো-হোস্ট ও অংশগ্রহণকারী নেতা-কর্মীদের কথোপকথনে ভয়েস রেকর্ড পর্যালোচনা করা হয়। এতে ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ নামক প্ল্যাটফর্মে দেশ-বিদেশ থেকে অংশগ্রহণকারীরা বৈধ সরকারকে শান্তিপূর্ণভাবে দেশ পরিচালনা করতে দেবে না বলে আলোচনা হয়। এই অনলাইন প্ল্যাটফর্ম মিটিংয়ে বর্তমান সরকারকে উৎখাত করার জন্য গৃহযুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধের সুস্পষ্ট উপাদান রয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়েছে। এ কারণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে ওই অভিযোগে মামলাটি করা হলে আদালত তা আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এ মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়েছে। এতে দ্বিতীয় আসামি করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ড. রাব্বি আলমকে। এ ছাড়া অনলাইন মিটিংয়ে অংশগ্রহণকারী আরও ৫০৩ জনকেও আসামি করা হয়েছে। তবে মামলার বাদী কে এবং কবে মামলাটি হয়েছে, সে বিষয়ে সিআইডির বিজ্ঞপ্তিতে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।  

শফিক রেহমানকে যায়যায়দিনের ডিক্লারেশন দেওয়া কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৮:৪৭ পিএম
শফিক রেহমানকে যায়যায়দিনের ডিক্লারেশন দেওয়া কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার লোগো

দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার মুদ্রাকর হিসেবে শফিক রেহমানকে দেওয়া ঘোষণাপত্র কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। এ ছাড়া পত্রিকাটির প্রকাশক ও মুদ্রাকর হিসেবে সাঈদ হোসেন চৌধুরীকে দেওয়া ঘোষণাপত্র বাতিল আদেশ কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। 

বিচারপতি রাজিক আল জলিল এবং বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সাঈদ হোসেন চৌধুরীর করা রিটের শুনানি নিয়ে এই রুল জারি করেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

উল্লেখ্য, শফিক রেহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১১ মার্চ পত্রিকাটির ডিক্লারেশন বাতিল করে সরকার। অফিস আদেশ অনুযায়ী, দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকাটি প্রকাশের জন্য যে অনুমোদিত প্রেস রয়েছে, সেখান থেকে ছাপা হচ্ছে না, কিন্তু প্রিন্টার্স লাইনে অসত্য তথ্য দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে শফিক রেহমান ওই অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়াসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়ার পর এবং অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় পত্রিকাটি মুদ্রণের ডিক্লারেশন বা ঘোষণাপত্র বাতিল করা হয়।

আদেশ অনুযায়ী, দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকা প্রকাশে ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধীকরণ) আইন, ১৯৭৩-এর ১০ ধারার লঙ্ঘন হয়েছে। যে কারণে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার প্রকাশক ও মুদ্রাকর সাঈদ হোসেন চৌধুরীর নামে যে ঘোষণাপত্র ছিল, তা বাতিল করা হয়। বাতিল করার এক সপ্তাহ পর ১৮ মার্চ পত্রিকাটির ডিক্লারেশন ফিরে পান শফিক রেহমান।

রাজনৈতিক হয়রানিমূলক ৬৬৮১ মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫২ পিএম
আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫২ পিএম
রাজনৈতিক হয়রানিমূলক ৬৬৮১ মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও অন্যান্য কারণে রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও নিরীহ ব্যক্তিগণের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত হয়রানিমূলক ৬ হাজার ৬৮১ মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটি।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়।

‘রাজনৈতিক, হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার সংক্রান্ত হাল নাগাদ তথ্য’ শীর্ষক এক নথিতে বলা হয়, উপদেষ্টা, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়- এর সভাপতিত্বে রাজনৈতিক, হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে সুপারিশ করার লক্ষ্যে গঠিত মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটি কর্তৃক অদ্যাবধি ৯টি সভায় মোট ৬৬৮১ (ছয় হাজার ছয়শত একাশি) টি মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে।’

বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও অন্যান্য কারণে রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও নিরীহ ব্যক্তিগণের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত হয়রানিমূলক মামলাসমূহ প্রত্যাহার করার জন্য সুপারিশ করার লক্ষ্যে সরকার জেলা ও মন্ত্রণালয় পর্যায়ে দু'টি কমিটি গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণাল।

মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটির সভাপতি হচ্ছেন- আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা। সদস্য হচ্ছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, অতিরিক্ত সচিব (আইন ও শৃঙ্খলা) ও যুগ্মসচিব (আইন) এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি (যুগ্ম-সচিব পর্যায়ের নিচে নয়)।

কমিটির সদস্যসচিব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের আইন-১ শাখার উপসচিব/সিনিয়র সহকারী সচিব/ সহকারী সচিব।

আর জেলা পর্যায়ের কমিটির সভাপতি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সদস্য পুলিশ সুপার (মহানগর এলাকার জন্য পুলিশের একজন ডেপুটি কমিশনার) ও পাবলিক প্রসিকিউটর (মহানগর এলাকার মামলাসমূহের জন্য মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর) এবং সদস্য-সচিব অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।

এমএ/

ট্রাইব্যুনালের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে ষড়যন্ত্র চলছে: চিফ প্রসিকিউটর

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৭:২১ পিএম
ট্রাইব্যুনালের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে ষড়যন্ত্র চলছে: চিফ প্রসিকিউটর
চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই-আগস্টে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। 

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান। 

ট্রাইব্যুনালের তথ্য পাচারের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালের সঙ্গে জড়িত বা প্রসিকিউশনের কেউ যদি তথ্য ফাঁসে জড়িত থাকেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

জানা গেছে, একের পর এক তথ্য পাচারের ঘটনার বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম। গোপনে তথ্য পাচারের কারণে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর ২২ জন আসামি পালিয়ে গেছেন। এসব তথ্য কীভাবে ফাঁস হচ্ছে, কারা বা কে তথ্য পাচার করছে, তা তদন্তে ইতোমধ্যে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ট্রাইব্যুনালের তথ্য ফাঁস ও গ্রেপ্তারের আগে আসামিদের পালানোর এ কথা স্বীকার করে চিফ প্রসিকিউটর সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিচার বাধাগ্রস্ত করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে।’

এদিকে জুলাই গণহত্যার দ্বিতীয় মামলা হিসেবে চানখাঁরপুলের হত্যা মামলায় তদন্ত শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘৫ আগস্ট রাজধানীর চানখাঁরপুলে ৭ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তদন্ত শেষ হয়েছে। মামলায় আসামির সংখ্যা আটজন। খসড়া প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি।’ 

একই সঙ্গে শেখ হাসিনার সুপিরিয়র কমান্ড রেসপন্সিবিলিটির তদন্ত প্রতিবেদন ঈদের পর ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হবে বলেও জানান তাজুল ইসলাম। 

এ ছাড়া আশুলিয়ায় ৬ মরদেহ পোড়ানো মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ২৮ এপ্রিলের মধ্যে চেয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।