
শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডে খালাসপ্রাপ্ত পাবনার ঈশ্বরদীতে বিএনপির আরও ছয় নেতা কারামুক্ত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পাবনা, রাজশাহী ও ঢাকা কারাগার থেকে তারা মুক্ত হন।
মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি এ কে এম আক্তারুজ্জামান আক্তার, ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মকলেছুর রহমান বাবলু, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদল নেতা মাহাবুবুর রহমান পলাশ, ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর শামসুল হক, স্বেচ্ছাসেবক দল ঈশ্বরদী উপজেলা কমিটির সাবেক সভাপতি আজিজুর রহমান শাহীন এবং ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি রেজাউল করিম শাহীন।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ২৭ আগস্ট শুনানি শেষে আদালত মামলার যাবজ্জীবন ও ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ৩৮ নেতা-কর্মীর জামিন দেন। এরপর গত ৫ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ জনসহ বিএনপির ৪৭ নেতা-কর্মী সবাই খালাস পান।
ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি নিয়ে বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলাম ও বিচারপতি হামিদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এর আগে গতকাল সোমবার কারামুক্ত হন ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু, পৌর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোস্তফা নুরে আলম শ্যামল ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক অটল।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী কারাগার থেকে মুক্ত হন এ কে এম আক্তারুজ্জামান আক্তার, মকলেছুর রহমান বাবলু, শামসুল হক ও আজিজুর রহমান শাহীন, ঢাকা থেকে মাহাবুবুর রহমান পলাশ এবং পাবনা কারাগার থেকে রেজাউল করিম শাহীন। রাজশাহী কারাগার থেকে চার নেতা বের হলে জেলগেটে তাদের ফুল দিয়ে বরণ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব ও সদ্য কারামুক্ত নেতা জাকারিয়া পিন্টু। পরে গাড়িবহর নিয়ে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঈশ্বরদীর পুরোনো বাসস্ট্যান্ডে গণসংবর্ধনা মঞ্চে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়। তবে মাহাবুবুর রহমান পলাশ ঢাকা কারাগার থেকে মুক্ত হলেও তিনি ঈশ্বরদীতে গিয়ে সে সময় পৌঁছাতে পারেননি।
গণসংবর্ধনায় বক্তব্য রাখেন হাবিবুর রহমান হাবিব, আইনজীবী জামিল আক্তার এলাহী, এ কে এম আক্তারুজ্জামান আক্তার, মকলেছুর রহমান বাবলু, জাকরিয়া পিন্টু, শামসুল হক, আজিজুর রহমান শাহীন ও রেজাউল করিম শাহীন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার ট্রেনবহর ঈশ্বরদী স্টেশনে এলে ট্রেনে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানায় একটি মামলা হয়। আলোচিত রাজনৈতিক এই মামলাটির রায় ঘোষণা করা হয় ২০১৯ সালের ৩ জুলাই। রায়ে ৯ জনের ফাঁসি, ২৫ জনের যাবজ্জীন ও ১৩ জনের ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।