চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই-আগস্টে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।
ট্রাইব্যুনালের তথ্য পাচারের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালের সঙ্গে জড়িত বা প্রসিকিউশনের কেউ যদি তথ্য ফাঁসে জড়িত থাকেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জানা গেছে, একের পর এক তথ্য পাচারের ঘটনার বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম। গোপনে তথ্য পাচারের কারণে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর ২২ জন আসামি পালিয়ে গেছেন। এসব তথ্য কীভাবে ফাঁস হচ্ছে, কারা বা কে তথ্য পাচার করছে, তা তদন্তে ইতোমধ্যে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের তথ্য ফাঁস ও গ্রেপ্তারের আগে আসামিদের পালানোর এ কথা স্বীকার করে চিফ প্রসিকিউটর সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিচার বাধাগ্রস্ত করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে।’
এদিকে জুলাই গণহত্যার দ্বিতীয় মামলা হিসেবে চানখাঁরপুলের হত্যা মামলায় তদন্ত শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘৫ আগস্ট রাজধানীর চানখাঁরপুলে ৭ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তদন্ত শেষ হয়েছে। মামলায় আসামির সংখ্যা আটজন। খসড়া প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি।’
একই সঙ্গে শেখ হাসিনার সুপিরিয়র কমান্ড রেসপন্সিবিলিটির তদন্ত প্রতিবেদন ঈদের পর ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হবে বলেও জানান তাজুল ইসলাম।
এ ছাড়া আশুলিয়ায় ৬ মরদেহ পোড়ানো মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ২৮ এপ্রিলের মধ্যে চেয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।