ঢাকা ৯ চৈত্র ১৪৩১, রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫
English

শেখ হেলালের পিএস মুরাদ ৪ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১০ পিএম
শেখ হেলালের পিএস মুরাদ ৪ দিনের রিমান্ডে
আদালত চত্বরে হোসেন মুহাম্মদ মুরাদ ওরফে সোহেল মুরাদ

শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলালের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) হোসেন মুহাম্মদ মুরাদ ওরফে সোহেল মুরাদকে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা এ আদেশ দেন।

রাজধানীর উত্তরার পূর্ব থানার একটি হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। তদন্তের স্বার্থে রিমান্ডে নিয়ে সাত দিন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। তার পক্ষে আইনজীবী রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।

মামলার বিবরণে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট রাজধানীর উত্তরা হাউস বিল্ডিং এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেন তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সহসভাপতি শামীম রেজা। বেলা সাড়ে ১১টায় আসামিদের ছোড়া গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। চিকিৎসা শেষে ১০১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন শামীম রেজা। 

প্রসঙ্গত, গতকাল মঙ্গলবার দেশ ছেড়ে পালানোর সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মুরাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

চিন্ময় দাসের জামিন প্রশ্নে রুলের শুনানি ঈদের পর

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০২:১১ পিএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০২:২৯ পিএম
চিন্ময় দাসের জামিন প্রশ্নে রুলের শুনানি ঈদের পর
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পতাকা অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেপ্তার সনাতনী জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল ঈদের পর শুনবেন হাইকোর্ট। ঈদের ছুটির পরে এ রুলের শুনানি হবে। 

রবিবার (২৩ মার্চ) চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য খবরের কাগজকে এ তথ্য জানিয়েছেন। বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির এ সময় নির্ধারণ করেছেন।

এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন প্রশ্নে দুই সপ্তাহের রুল জারি করেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য ও প্রবীর রঞ্জন হালদার। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনিক আর হক ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ।

রবিবার দুপুরে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য খবরের কাগজকে বলেন, 'ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষ হবে আগামী ১৯ এপ্রিল। ২০ এপ্রিল থেকে কোর্ট খোলা থাকবে। ঈদের পর প্রথম বুধবার এটার শুনানি হতে পারে।' 

গত বছরের ২৫ অক্টোবর চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নেতৃত্বে চট্টগ্রামে সনাতনী সম্প্রদায়ের একটি বড় সমাবেশ হয়। এর কয়েক দিন পর গত ৩১ অক্টোবর চিন্ময়সহ ১৮ জনকে আসামি করে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। পরে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়।

এর পর ২৬ নভেম্বর তাকে চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওই আদেশ দেন। এ সময় চিন্ময়ের অনুসারীরা তাকে বহনকারী প্রিজনভ্যানটি আটকে দিয়ে কয়েকঘণ্টা টানা বিক্ষোভ করেন। সেদিন চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদেরকে সরাতে টিয়ারশেল ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময়ের অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ওইদিন বিকেলে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে আদালতের অদূরে রঙ্গম কনভেনশন হলের গলিতে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এর পর থেকেই কারাগারে আছেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। গত ২ জানুয়ারি চিন্ময় দাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালত। পরে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন চিন্ময় দাস।


মনির/মেহেদী/

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ কারাগারে

প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৭ এএম
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ কারাগারে
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফ মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্রের উপআঞ্চলিক পরিচালক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফ মাহমুদকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিক শুনানি শেষে এ আদেশে দেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. মফিজ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শুক্রবার বিকেলে শরীফ মাহমুদকে আদালতে হাজির করা হলে তার জামিনের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন।

নগরের ডবলমুরিং থানার ওসি রফিক আহমেদ বলেন, ‘শরীফ মাহমুদকে আটক করে ৫৪ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দুদকের একটি মামলা রয়েছে। আমরা দুদকের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছি। তারা পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে।’ 

এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ শেখ মুজিব সড়কের বাংলাদেশ বেতার ভবনে শরীফ মাহমুদকে অবরুদ্ধ করে রাখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থীরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে হেফাজতে নিয়ে আসে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গত বছরের ৪ আগস্ট শরীফ মাহমুদের সই করা চিঠিতে কারফিউ জারি করা হয়েছিল। তাই তাকে আটক করতে হবে।

শরীফ মাহমুদ প্রায় ১০ বছর তেজগাঁও-হাতিরঝিল থেকে নির্বাচিত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের জনসংযোগ কর্মকর্তা ছিলেন। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রামে কর্মরত আছেন।

মামলার বোঝা থেকে এখন মুক্ত তারেক রহমান

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৯:০২ এএম
আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৯:০৩ এএম
মামলার বোঝা থেকে এখন মুক্ত তারেক রহমান
তারেক রহমান

বসুন্ধরা গ্রুপের তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সাব্বির আহমেদ হত্যা মামলার আসামিদের বাঁচাতে ২১ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আটজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। 

গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক আবু তাহেরের আদালত এ রায় দেন। এর মধ্য দিয়ে সব মামলার বোঝা থেকে মুক্ত হলেন তারেক রহমান। 

খালাস পাওয়া অন্যরা হলেন- বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ওরফে শাহ আলম ও তার দুই ছেলে সাফিয়াত সোবহান এবং সাদাত সোবহান, আবু সুফিয়ান, কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, তারেক রহমানের সাবেক একান্ত সহকারী সচিব (এপিএস) মিয়া নুরুদ্দিন অপু। 

মামলার রায়ের পর তার আইনজীবী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বোরহানউদ্দিন খবরের কাগজকে বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দেশে আর কোনো মামলা নেই। মিথ্যা মামলার বোঝা থেকে তিনি সম্পূর্ণভাবে মুক্ত হয়েছেন। এখন তিনি দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছেন। দেশবাসীও তাকে সাদরে বরণ করার অপেক্ষায় রয়েছে। 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার রায় ঘোষণার আগে কাজী সলিমুল হক কামাল ও আবু সুফিয়ান এজলাসে হাজির ছিলেন। জামিনে থাকা অপর আসামিদের পক্ষে সময়ের আবেদন করা হয়।

২০০৭ সালের ৪ অক্টোবর এ মামলাটি করে দুদক। পরের বছরের ২৪ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। একই বছরের ১৪ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ফলে শুরু হয় মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, বসুন্ধরা গ্রুপের তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সাব্বির হত্যা মামলার ঘটনা ধামাচাপা দিতে তারেক, বাবর ও শাহ আলমের মধ্যে বাবরের বেইলি রোডের সরকারি বাসায় একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে শাহ আলমের কাছে ১০০ কোটি টাকা দাবি করেন তারেক ও বাবর। ৫০ কোটি টাকার বিনিময়ে এই হত্যা রহস্য ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তারেক ও বাবরের সঙ্গে শাহ আলমের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুসারে শাহ আলমের কাছ থেকে বাবর ২১ কোটি টাকা গ্রহণ করেন। এ টাকার মধ্যে বাবরের নির্দেশে বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক আবু সুফিয়ান ২০০৬ সালের ২০ আগস্ট হাওয়া ভবনে ১ কোটি টাকা তারেকের এপিএস অপুকে বুঝিয়ে দেন। বাবর ৫ কোটি টাকা আবু সুফিয়ানের মাধ্যমে নগদ গ্রহণ করে কাজী সালিমুল হক কামালের কাছে জমা রাখেন। বাকি ১৫ কোটি টাকা বাবরের নির্দেশে আবু সুফিয়ান প্রাইম ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় সালিমুল হক কামালকে ২০টি চেকের মাধ্যমে প্রদান করেন। 

প্রসঙ্গত, বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের সময় (২০০১-২০০৬) তারেক বেশ প্রভাব বিস্তার করেছিলেন। তার রাজনৈতিক কার্যালয় হাওয়া ভবন বিকল্প শক্তির কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল।

তবে, সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের সময় ২০০৭ সালের ৭ মার্চ দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার পর দৃশ্যপট বদলে যায়।

২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে সেনা-সমর্থিত এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের একাধিক দুর্নীতির মামলা থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন তারেক। ওই সময় তিনি সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন। পরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দলের নেতৃত্বের হাল ধরেন তিনি।

এক-এগারো সরকার এবং পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকার তারেকের বিরুদ্ধে প্রায় ৮৫টি মামলা করেছিল।

এদিকে, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি লন্ডনে যাওয়ার পর থেকে তারেকের বাড়িতেই অবস্থান করছেন। সেখানে ঈদের ছুটি কাটিয়ে মা ও ছেলে দুজনে একসঙ্গে ফিরবেন বলে জল্পনা থাকলেও বিএনপি নেতারা এই সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন।

মনিটরিং কমিটি ফর সাবঅর্ডিনেট কোর্টস

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ১২:১৫ এএম
মনিটরিং কমিটি ফর সাবঅর্ডিনেট কোর্টস
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি দেশের ৮টি বিভাগের জন্য হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতিকে প্রধান করে পৃথক ৮টি Monitoring Committee for Subordinate Courts পুনর্গঠন করেন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনকে ঢাকা-১ বিভাগের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। গত ১১/১২/২০২৪ তারিখের ৩৪/২০২৪ জে নং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি জানানো হয়।

Monitoring Committee for Subordinate Courts-এর ঢাকা-১ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ঢাকা জেলার জেলা ও দায়রা জজ আদালত, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতসহ অন্যান্য আদালত মনিটরিং/পরিদর্শন করেন এবং দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে এবং সব বিচারকে নিয়ে বিকাল সাড়ে ৩টায় শহিদ জগন্নাথ-সোহেল স্মৃতি  মিলনায়তনে সব বিচারকদের উপস্থিতিতে সমাপনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলাল উদ্দিন,মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নূরে আলম ভূইয়া, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানসহ অন্যান্য বিচারকরা।

এসময় বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও  ঢাকা জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর ইকবাল হোসেন।

টি স্পোর্টস, নাগরিক টিভি ও টফির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ১০:০৬ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৬ পিএম
টি স্পোর্টস, নাগরিক টিভি ও টফির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
ছবি: সংগৃহীত

বিচারপতি ফাহমিদা কাদের এবং বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ টি স্পোর্টস, নাগরিক টিভি এবং বাংলালিংকের টফির চ্যানেলে অবৈধভাবে ক্রিকেটের প্রচার সত্ব ক্রয় ও সম্প্রচারের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। দুবাইভিত্তিক কোম্পানি টোটাল স্পোর্টস মার্কেটিং (টিএসএম) এবং পলাতক ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার, কর ফাঁকির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দেন।

ডিআইজি নুরুল, জুলাই গণহত্যায় জড়িত পলাতক একজন পুলিশ কর্মকর্তা, তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় মইনুল হক চৌধুরীকে দিয়ে দুবাইতে টোটাল স্পোর্টস মার্কেটিং নামে একটি কোম্পানি (TSM) প্রতিষ্ঠা করেন। টিএসএম ডিআইজি নুরুলের দুর্নীতির অবৈধ অর্থ ব্যবহার করে বিভিন্ন ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সম্প্রচার স্বত্ব অর্জন করেছিলেন, যার মধ্যে রয়েছে উল্লেখযোগ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনুষ্ঠিত আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৪ এবং দুবাই, পাকিস্তানে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫। 

বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে এইসব তহবিল স্থানান্তর করে আইসিসিকে প্রদান করা হয়েছিল মূলত হুন্ডির মাধ্যমে এবং আংশিকভাবে তা করা হয়েছিল আন্ডার-ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে, ব্যাংকিং চ্যানেল এবং সরকারি কর এড়িয়ে। দুবাইভিত্তিক টিএসএম, যা নিয়ন্ত্রকদের ফাঁকি দিতেই বাংলাদেশে তাদের নাম পরিবর্তন করে টোটাল স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট নাম দিয়ে বাংলাদেশি সম্প্রচারকদের কাছে এই সব খেলার সত্ব সরবরাহ করেছিল। বাংলালিংক, টি স্পোর্টস এবং নাগরিক টিভি ডিআইজি নুরুলের দুর্নীতির অর্থের অবৈধ উৎস নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদ জানা সত্ত্বেও এই অনুষ্ঠানগুলি সম্প্রচার করেছিল। আদালত বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কে বিষয়টি অবিলম্বে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে।

নোটিশে ২০১৪ সালে পরিবেশ কর্মী ও বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের স্বামী আবু বাকের সিদ্দিকের অপহরণের ঘটনায় ডিআইজি নুরুলের জড়িত থাকার বিষয়টিও প্রকাশ করা হয়েছে। ডিআইজি নুরুলের অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ওমর ফারুক অনিক একটি ন্যায়বিচার দাবির নোটিশ দাখিল করার পর আদালতের এই নির্দেশনা আসে।

মাহফুজ