ঢাকা ৫ চৈত্র ১৪৩১, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
English

খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতি মামলার রায় ১৯ ফেব্রুয়ারি

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৫৭ পিএম
খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতি মামলার রায় ১৯ ফেব্রুয়ারি
খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া নাইকো দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি। 

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক রবিউল আলম রায় ঘোষণার এই দিন ধার্য করেন। 

এর আগে আদালতে আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানি ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। প্রধান আসামি খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে থাকায় মনোনীত আইনজীবী তার পক্ষে আদালতে হাজিরা দেন। 

জামিনে থাকা উপস্থিত চার আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রসিকিউশন আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করে। অন্যদিকে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি মর্মে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আসামিদের বেকসুর খালাস চান তাদের আইনজীবীরা।  

গত ৫ ফেব্রুয়ারি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। অভিযোগপত্রে ৬৮ জনের মধ্যে ৩৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। 

নাইকো দুর্নীতি মামলায় ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। ২০২৩ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠন করেন আদালত। কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর মামলাটি করে দুদক।

অস্ত্র মামলার সাজা থেকে খালাস বাবর

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৯:৫৪ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৯:৫৪ পিএম
অস্ত্র মামলার সাজা থেকে খালাস বাবর
ছবি: খবরের কাগজ

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে করা এক মামলায় ১৭ বছরের সাজা থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। তার আপিল মঞ্জুর করে বুধবার (১৯ মার্চ) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালত ও মামলাসূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালে এক-এগার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২৮ মে রাজধানীতে বাবরের শোবার ঘর থেকে অবৈধ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করার অভিযোগে ওই বছরের ৩ জুন রাজধানীর গুলশান থানায় এ মামলা হয়। বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ওই বছরের ৩০ অক্টোবর ঢাকার মহানগর ৯ নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালত বাবরকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেন।

২০০৭ সালেই ওই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আবেদন করেন। ওই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে রায়ের জন্য বুধবার দিন রাখা হয়। আদালতে তার আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। তিনি জানান, গ্রেপ্তারের সাত দিন পর এ মামলা দেওয়া হয়। অভিযোগে বলা হয়, চারটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে বাবরের স্ত্রী একটি রিভলবারের লাইসেন্স দেখাতে পারেননি। ২০ দিন পর মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। আর ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়ে ৩০ অক্টোবর রায় দেন।

আইনজীবীর মতে, গ্রেপ্তারের সাত দিন পর উদ্দেশ্যেমূলকভাবে এ মামলা করা হয়। বলা হয়েছে, লাল-কালো ব্যাগ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও জব্দ তালিকায় সেই ব্যাগ ছিল না। যেই জিডিমূলে তাকে (বাবর) গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেই জিডি আদালতে উপস্থাপন করা হয়নি। ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ উপস্থাপনের আবেদন জানালেও সেটি মঞ্জুর করা হয়নি। তা ছাড়া মামলার নিরপেক্ষ দুই সাক্ষী (দারোয়ান এবং ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি) বলেছেন, তাদের সামনে জব্দ করা হয়নি। শুধু তাদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ২৮ মে আটক হন লুৎফুজ্জামান বাবর। সেই থেকে প্রায় ১৭ বছর কারাবন্দি ছিলেন বিএনপির এই নেতা। এরপর বিভিন্ন মামলায় তার দণ্ড হয়। সেই সব মামলা থেকে খালাস ও জামিনের পর ১৬ জানুয়ারি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হন তিনি।

মাহফুজ/

ঢাবির ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হাইকোর্টে স্থগিত

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৬:৫৫ পিএম
ঢাবির ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হাইকোর্টে স্থগিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার কিছু প্রশ্নপত্রে ভুলের অভিযোগ তুলে এক শিক্ষার্থীর রিটের শুনানি শেষে বুধবার (১৯ মার্চ) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

আদালতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ‘একাধিক ভুল থাকায় সুষ্ঠু ফল প্রকাশের জন্য পুনরায় পরীক্ষার আবেদন’ শীর্ষক ভিসি বরাবর একটি আবেদন দেন এক পরীক্ষার্থী। কিন্তু তাতে সাড়া না পাওয়ায় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে প্রশ্নপত্রে ভুলের কারণে পরীক্ষা বাতিলে কর্তৃপক্ষের কাছে রিটকারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।

একইসঙ্গে ২০ ফেব্রুয়ারি দেওয়া ওই আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পরবর্তী কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে।

এমএ/

ড. ইউনূসের মামলা বাতিল ঠিক ছিল কিনা, রায় ২৩ এপ্রিল

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:২৮ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:৫৮ পিএম
ড. ইউনূসের মামলা বাতিল ঠিক ছিল কিনা, রায় ২৩ এপ্রিল
ফাইল ছবি

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার পরে ড. ইউনূসের মানি লন্ডারিং মামলা বাতিল সঠিক ছিল কিনা, সে বিষয়ে আগামী ২৩ এপ্রিল রায় দেবেন আপিল বিভাগ।

বুধবার (১৯ মার্চ) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের আপিল বিভাগ এ বিষয়ে রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন।

শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ড. ইউনূসের আইনজীবী একটি ভালো উদ্দেশ্যে এখানে এসেছেন, আপিল বিভাগ যেন মামলাটি খারিজ না করে আপিলটি নিষ্পত্তি করে দেন। একই সঙ্গে আপিল বিভাগকে সংবিধানের ১০৪ অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে অনুরোধ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল।

ড. ইউনূসের আইনজীবী বলেন, 'হয়রানি করতেই এ মামলা করা হয়েছিল। কাজেই যখন তিনি ক্ষমতায় আসলেন দ্রুত তা বাতিল হলো। এটি সঠিক হয়নি। পরে আপিল বিভাগ রায়ের দিন ঠিক করে দেন।'

এর আগে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর ১১ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে করা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলা প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করে সবাইকে খালাস দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪। 

মেহেদী/

রাজধানীতে ৭ বছরের শিশু ধর্ষণ মামলায় গৃহশিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:২৩ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৮ পিএম
রাজধানীতে ৭ বছরের শিশু ধর্ষণ মামলায় গৃহশিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বনশ্রীতে ৭ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের মামলায় শিশুটির গৃহশিক্ষক জাহিদুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৯ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মোছাম্মৎ রোকশানা বেগম হ্যাপী এ রায় দেন। 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে রাজধানীর খিলগাঁওয়ের বনশ্রী এলাকার একটি বাড়ির নিরাপত্তা কর্মীর ৭ বছরের মেয়েকেআরবি পড়াতে গিয়ে বাসার ওয়াশরুমের দরজা আটকে ধর্ষণ করেন গৃহশিক্ষক জাহিদুল ইসলাম। পরে এ ঘটনায় খিলগাঁও থানায় একটি মামলা করা হয়। 

রায়ের পরে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘ভুক্তভোগীর পরিবার ন্যায়বিচার পেয়েছে।’ 

এদিকে রায়ে ক্ষোভ জানিয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, ‘এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।’

মেহেদী/

রিমান্ডে ইনু-মেনন-আনিসুল-দীপু মনি ও সাদেক খান

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০১:২০ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০১:৪৫ পিএম
রিমান্ডে ইনু-মেনন-আনিসুল-দীপু মনি ও সাদেক খান
ছবি: সংগৃহীত

সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, আনিসুল হক, দীপু মনি ও সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (১৯ মার্চ) তাদের কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে তদন্তকারী কর্মকর্তারা  সাতদিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজার আদালত তাদের বিভিন্ন মেয়াদের রিমান্ডের আদেশ দেন।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে ওবায়দুল ইসলাম নিহতের মামলায় হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, দীপু মনিকে চার দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

এ ছাড়া মোহাম্মদপুরের বসিলায় মো. সুজন নামে এক ব্যক্তির গুলিতে নিহতের মামলায় আনিসুল হকের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ আন্দোলনের সময় মোহাম্মদপুরের বসিলায় মিরাজুল ইসলাম অর্ণব নিহতের মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

ইনু,মেনন,দীপু মনির মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গত ৪ আগস্ট বিকেল পাঁচটার দিকে যাত্রাবাড়ীর কাজলা পেট্রোল পাম্পের সামনে আওয়ামী লীগের নেতাসহ ১৪ দলের নেতা-কর্মীরা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে হাজার হাজার জনতার ওপর গুলি চালায়। এতে ওবায়দুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের আত্মীয় মো. আলী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৫৮ জনকে আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন।

আনিসুল হকের মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত ২০ জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসের সামনে মো. সুজন নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন।

সাদেক খানের মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, মোহাম্মদপুরের বসিলায় গত ১৯ জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেন মিরাজুল ইসলাম অর্ণব। পরে আসামিদের হামলায়  গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি ।এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। সূত্র: বাসস

মেহেদী/