
ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরে আলমকে প্রত্যাহার ও তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে প্রধান বিচারপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ঢাকা আইনজীবী সমিতি।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) আইনজীবীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করার অভিযোগে এ অভিযোগ দেওয়া হয়। এতে স্বাক্ষর করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক।
অভিযোগের অনুলিপি সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, সুপ্রিম কোর্টের অ্যাটর্নি জেনারেল, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার, মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার ওই ট্রাইব্যুনাল বর্জনের ডাক দেন আইনজীবীরা। টানা দুই দিন ট্রাইব্যুনাল বর্জনের পর গতকাল তারা এ অভিযোগ দেন।
অ্যাডহক কমিটির সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক মাহবুব হাসান রানা জানান, আইনজীবী সমিতির সংশ্লিষ্ট বাহক (পিয়ন) মারফত অভিযোগটি প্রধান বিচারপতির কার্যালয়ে পৌঁছানো হয়েছে।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
ঢাকা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ঘটনার সূত্রপাত হয় গত ৬ ফেব্রুয়ারি। সেদিন আদালত এক আসামির জামিন নামঞ্জুর করেন। শুনানির সময় বিচারকের আচরণে রুষ্ট হয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ ঘটনায় বিচারক তাৎক্ষণিক এজলাস ত্যাগ করেন। এর জেরে ৯ ফেব্রুয়ারি আইনজীবীরা বিচারকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন। ফলে ওই দিন আর বিচারকাজ হয়নি। তার পরের দিন নিরাপত্তার স্বার্থে আদালত প্রাঙ্গণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সেদিন বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে বিচারক এজলাসে বসেন। সে সময় কয়েকজন আইনজীবী নিয়মিত মামলার শুনানি করেন। এরই মাঝে ঢাকা আইনজীবী সমিতির বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বিচারকাজ পরিচালনায় বাধা দেন। বিচারককে উদ্দেশ করে তারা বলেন, ‘আপনি কি পুলিশ দিয়ে কোর্ট চালাবেন? আপনার প্রতি অনাস্থা জানিয়েছি।’ হট্টগোলের একপর্যায়ে দুপুর ১২টার দিকে এজলাস থেকে নেমে যান বিচারক। এরপর থেকে ট্রাইব্যুনালের বিচার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম আরও জানান, ওই ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে যাওয়া আইনজীবীদের বেশির ভাগই বিচারকের অসৌজন্যমূলক আচরণে অসন্তুষ্ট। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত মঙ্গলবার অ্যাডহক কমিটি এক জরুরি সভা করে। তাতে সর্বসম্মতিক্রমে ওই আদালত অনির্দিষ্টকালের জন্য বর্জনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।