ঢাকা ৬ চৈত্র ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১

সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারকের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির কাছে অভিযোগ

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৭ পিএম
সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারকের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির কাছে অভিযোগ
সাইবার ট্রাইব্যুনাল

ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরে আলমকে প্রত্যাহার ও তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে প্রধান বিচারপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ঢাকা আইনজীবী সমিতি। 

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) আইনজীবীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করার অভিযোগে এ অভিযোগ দেওয়া হয়। এতে স্বাক্ষর করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। 

অভিযোগের অনুলিপি সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, সুপ্রিম কোর্টের অ্যাটর্নি জেনারেল, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার, মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে। 

এর আগে গত মঙ্গলবার ওই ট্রাইব্যুনাল বর্জনের ডাক দেন আইনজীবীরা। টানা দুই দিন ট্রাইব্যুনাল বর্জনের পর গতকাল তারা এ অভিযোগ দেন। 

অ্যাডহক কমিটির সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক মাহবুব হাসান রানা জানান, আইনজীবী সমিতির সংশ্লিষ্ট বাহক (পিয়ন) মারফত অভিযোগটি প্রধান বিচারপতির কার্যালয়ে পৌঁছানো হয়েছে। 

ঢাকা আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। 

ঢাকা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ঘটনার সূত্রপাত হয় গত ৬ ফেব্রুয়ারি। সেদিন আদালত এক আসামির জামিন নামঞ্জুর করেন। শুনানির সময় বিচারকের আচরণে রুষ্ট হয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ ঘটনায় বিচারক তাৎক্ষণিক এজলাস ত্যাগ করেন। এর জেরে ৯ ফেব্রুয়ারি আইনজীবীরা বিচারকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন। ফলে ওই দিন আর বিচারকাজ হয়নি। তার পরের দিন নিরাপত্তার স্বার্থে আদালত প্রাঙ্গণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সেদিন বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে বিচারক এজলাসে বসেন। সে সময় কয়েকজন আইনজীবী নিয়মিত মামলার শুনানি করেন। এরই মাঝে ঢাকা আইনজীবী সমিতির বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বিচারকাজ পরিচালনায় বাধা দেন। বিচারককে উদ্দেশ করে তারা বলেন, ‘আপনি কি পুলিশ দিয়ে কোর্ট চালাবেন? আপনার প্রতি অনাস্থা জানিয়েছি।’ হট্টগোলের একপর্যায়ে দুপুর ১২টার দিকে এজলাস থেকে নেমে যান বিচারক। এরপর থেকে ট্রাইব্যুনালের বিচার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। 

সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম আরও জানান, ওই ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে যাওয়া আইনজীবীদের বেশির ভাগই বিচারকের অসৌজন্যমূলক আচরণে অসন্তুষ্ট। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত মঙ্গলবার অ্যাডহক কমিটি এক জরুরি সভা করে। তাতে সর্বসম্মতিক্রমে ওই আদালত অনির্দিষ্টকালের জন্য বর্জনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৪:১৩ পিএম
চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
চট্টগ্রাম আদালত ভবন। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১-এর বিচারক এ পরোয়ানা জারি করেন। 

জেলা ও দায়রা জজ আদালত চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট নাছির উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

ধর্ষকরা হলেন- কাজী মো. শহিদুল ইসলাম (২২), তৌহিদুল ইসলাম (৩০), আজম (২৫) ও জোবাইর (২৩)।

২০২৪ সালের ১১ জুলাই বাঁশখালী সমুদ্র সৈকতের কাথরিয়া হালিয়াপাড়া পয়েন্টে ঝাউবাগানে বাহারছড়া রত্নপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির সেই শিক্ষার্থীকে কাজী শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। পরে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী মামলা করার জন্য থানায় গেলে থানা মামলা নিতে গড়িমসি করে এবং ধর্ষকেরা তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ওই স্কুলছাত্রী ছয়জনকে আসামি করে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১-এ মামলা করলে আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, বাঁশখালীর বাহারছড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও প্যানেল চেয়ারম্যান কাজী মো. ইউসুফ ক্ষমতা বলে তার ছোট ভাই কাজী মো. শহিদুল ইসলামকে (২২) আদমশুমারির দায়িত্ব দেন। আদমশুমারির দায়িত্ব পেয়ে একই ওয়ার্ডের ইলশা গ্রামের জনৈক বিধবার একমাত্র মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। ২০২৪ সালের ১১ জুলাই বিকেলে মেয়েটিকে কাথরিয়া ইউনিয়নের হালিয়াপাড়া অংশে বঙ্গোপসাগরের ঝাউবাগানে নিয়ে যায়। সেখানে শহিদুলের বন্ধু তৌহিদের (৩০) একটি মাছের খামার ছিল। শহিদুল তার দুই বন্ধু মো. আজম (২৫) ও জোবাইরকেও (২৩) সেখানে ডাকে। সেখানে খোশগল্প করতে করতে পালাক্রমে ওই ছাত্রীকে বিকেল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ধর্ষণ করে। এ খবর এলাকায় প্রচার হলে প্রভাবশালীরা কৌশলে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়। পরে ধর্ষকরা ভুক্তভোগীকে জন্ম নিয়ন্ত্রণ ট্যাবলেট কিনে দেয় এবং ঘরে সাংবাদিক সাজিয়ে কিছু লোক দিয়ে হুমকি দেয়। থানায় গেলে মেয়েটির ক্ষতি হবে, ধর্ষকদের ক্ষতি হবে না বলে জানায় তারা। ঘটনাটি পুলিশ ও কাউকে না জানানোর জন্য বারবার হুমকি দেওয়া হয়।

জেলা ও দায়রা জজ আদালত চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট নাছির উদ্দীন বলেন, ‘পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে চারজনের বিরুদ্ধে আদালত আজ (বৃহস্পতিবার) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭/৯(৩)/৩০ ধারায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।’

পপি/

ওবায়দুল করিমের বিদেশ যাওয়া হাইকোর্টে স্থগিত

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ১২:৩১ পিএম
ওবায়দুল করিমের বিদেশ যাওয়া হাইকোর্টে স্থগিত
ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিম

ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিম ও তার স্ত্রী আরজুদা করিমকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত। ওই আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

তাদের আইনজীবী আহসানুল করিম বুধবার (১৯ মার্চ) দৈনিক খবরের কাগজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, বিচারপতি মোহাম্মদ আলী ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ স্থগিতাদেশ দেন।

অধস্তন আদালতের ওই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন আদালত।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আসিফ হাসান। আর ওবায়দুল করিম ও তার স্ত্রীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম।

জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া ওই আদেশ আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ওই দিন হাইকোর্টে আবার শুনানি হবে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংসংক্রান্ত অভিযোগের ওপর অনুসন্ধান চলছে। এতে প্রাথমিকভাবে কিছু তথ্যও পাওয়া গেছে, এ অবস্থায় তাদের বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া উচিত হবে না। এ কারণে ওবায়দুল করিম, তার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়। এই মামলায় প্রথমে স্পেশাল জজ আদালত বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেন। পরে ওবায়দুল করিম, তার স্ত্রী ও মেয়ে বিদেশে যাওয়ার জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে ওবায়দুল করিমের চিকিৎসা ও ওমরাহর জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চাওয়া হয়। আর তার অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে স্ত্রী ও মেয়ের বিদেশযাত্রার অনুমতি চাওয়া হয়। স্পেশাল জজ ওবায়দুল করিম ও তার স্ত্রীকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিয়ে ১৬ মার্চ আদেশ দেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে দুদক আবেদন করে। আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট।

রুলে ওবায়দুল করিম ও তার স্ত্রীকে বিদেশ যেতে অনুমতি দিয়ে স্পেশাল জজ আদালতের ১৬ মার্চ দেওয়া আদেশ কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

‘দ্য রিমান্ড’ চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর অনুমতি দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ১১:০৬ এএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ১১:০৮ এএম
‘দ্য রিমান্ড’ চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর অনুমতি দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
হাইকোর্ট

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ভিত্তিতে নির্মিত ‘দ্য রিমান্ড’ চলচ্চিত্রের সার্টিফিকেশন সনদ ইস্যু করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। 

বুধবার (১৯ মার্চ) রুলসহ এ আদেশ দেন আদালত। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী।

আদালত থেকে বের হওয়ার পর তিনি জানান, তিন দিনের মধ্যে সার্টিফিকেশন সনদ ইস্যু করার নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। চলচ্চিত্রটির প্রযোজক ও নির্মাতা সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলালের পক্ষে এ রিট করেন আইনজীবী।

আশরাফুর রহমানের পরিচালনায় চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন জাকিয়া বারী মম, পারভেজ আবির চৌধুরী, সালেহা খানম নাদিয়া, লুৎফর রহমান জর্জসহ অনেকে। চলচ্চিত্রটি নির্মাণ শেষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডে জমা দেওয়া হয়। গত ৩০ ডিসেম্বর সিনেমাটি প্রিভিউ করলেও এখনো প্রদর্শনের অনুমতি পাননি সংশ্লিষ্টরা। যার পরিপ্রেক্ষিতে দুইবার আইনি নোটিশ দেওয়া হয়। এতে সাড়া না পেয়ে এই রিট করা হয়। রিটে তিন দিনের মধ্যে মুক্তির নির্দেশনা চেয়ে প্রয়োজক হাইকোর্টে রিট করেন। তথ্য ও সম্প্রচার সচিব এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপপরিচালককে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

ঢাবির ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হাইকোর্টে স্থগিত

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৬:৫৫ পিএম
ঢাবির ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হাইকোর্টে স্থগিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার কিছু প্রশ্নপত্রে ভুলের অভিযোগ তুলে এক শিক্ষার্থীর রিটের শুনানি শেষে বুধবার (১৯ মার্চ) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

আদালতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ‘একাধিক ভুল থাকায় সুষ্ঠু ফল প্রকাশের জন্য পুনরায় পরীক্ষার আবেদন’ শীর্ষক ভিসি বরাবর একটি আবেদন দেন এক পরীক্ষার্থী। কিন্তু তাতে সাড়া না পাওয়ায় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে প্রশ্নপত্রে ভুলের কারণে পরীক্ষা বাতিলে কর্তৃপক্ষের কাছে রিটকারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।

একইসঙ্গে ২০ ফেব্রুয়ারি দেওয়া ওই আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পরবর্তী কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে।

এমএ/

ড. ইউনূসের মামলা বাতিল ঠিক ছিল কিনা, রায় ২৩ এপ্রিল

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:২৮ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:৫৮ পিএম
ড. ইউনূসের মামলা বাতিল ঠিক ছিল কিনা, রায় ২৩ এপ্রিল
ফাইল ছবি

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার পরে ড. ইউনূসের মানি লন্ডারিং মামলা বাতিল সঠিক ছিল কিনা, সে বিষয়ে আগামী ২৩ এপ্রিল রায় দেবেন আপিল বিভাগ।

বুধবার (১৯ মার্চ) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের আপিল বিভাগ এ বিষয়ে রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন।

শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ড. ইউনূসের আইনজীবী একটি ভালো উদ্দেশ্যে এখানে এসেছেন, আপিল বিভাগ যেন মামলাটি খারিজ না করে আপিলটি নিষ্পত্তি করে দেন। একই সঙ্গে আপিল বিভাগকে সংবিধানের ১০৪ অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে অনুরোধ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল।

ড. ইউনূসের আইনজীবী বলেন, 'হয়রানি করতেই এ মামলা করা হয়েছিল। কাজেই যখন তিনি ক্ষমতায় আসলেন দ্রুত তা বাতিল হলো। এটি সঠিক হয়নি। পরে আপিল বিভাগ রায়ের দিন ঠিক করে দেন।'

এর আগে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর ১১ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে করা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলা প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করে সবাইকে খালাস দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪। 

মেহেদী/