
মোবাইল ইন্টারনেটের অব্যবহৃত ডেটা, মিনিট এবং এসএমএস পরবর্তী প্যাকেজের সঙ্গে কেন অন্তর্ভুক্ত করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এ-সংক্রান্ত রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. মিজানুর রহমান কায়েস। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রায় ১ কোটি ৩১ লাখ গ্রাহক মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। আইনে আছে, মোবাইল ফোনের অব্যবহৃত ডেটা পরবর্তী কেনা ডেটার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। কিন্তু মোবাইল ফোনের জন্য কেনা ইন্টারনেট ডেটা, মিনিট এবং এসএমএস অব্যবহৃত থেকে গেলেও সেই ডেটা, মিনিটি এবং এসএমএস পরবর্তী সময়ে আর ব্যবহার করা যায় না। মোবাইল কোম্পানিগুলোর কোনোটিই বিটিআরসির আইন মানছে না। তারা যা ইচ্ছা তাই করছে।’
তিনি বলেন, ‘মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর এমন অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য গত ১৩ জানুয়ারি ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান, গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও টেলিটক বরাবরে আইনি নোটিশ পাঠিয়ে ছিলাম। সেই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় গত মাসে আমি নিজে সংক্ষুব্ধ হয়ে হাইকোর্টে রিট করি। আজ ওই রিটের শুনানি শেষে আদালত রুল জারি করেছেন। চার সপ্তাহের মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।’